-->

সেনেগালকে উড়িয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ড

ক্রীড়া ডেস্ক
সেনেগালকে উড়িয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ড

সেনেগালকে ৩-০ গোলে হারিয়ে কাতার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে সাবেক চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো শেষ আটে খেলার যোগ্যতা অর্জন করল ১৯৬৬ সালের চ্যাম্পিয়নরা। গত আসরে চতুর্থ হয়েছিল ইংল্যান্ড।

 

ম্যাচের প্রথমার্ধে জর্ডান হেন্ডারসন ও হ্যারি কেনের গোলে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল ইংল্যান্ড। দ্বিতীয়ার্ধে বাকি ১টি গোল করেন বুকায়ো সাকা।

 

আল-খোরের আল-বায়াত স্টেডিয়ামে ফেভারিটের তকমা নিয়েই সেনেগালের মুখোমুখি হয় ইংল্যান্ড। গ্রুপ পর্বের পারফরম্যান্স ও ফিফা র‌্যাংকিংয়ে সেনেগালের চেয়ে বেশ এগিয়েই ইংলিশরা।

 

ম্যাচের প্রথম ২০ মিনিটে কোনো আক্রমন করতে পারেনি দল দুটি। বল দখল ও নিজেদের গোছাতেই ব্যস্ত ছিল তারা। ২১ মিনিটে প্রথম আক্রমণ করে ইংল্যান্ড। স্ট্রাইকার ফিল ফোডেনের ক্রস থেকে সেনেগালের গোলমুখে ব্যর্থ শট নেন ডিফেন্ডার জন স্টোনস।

 

এরপর ২৩ মিনিটে প্রথম আক্রমণ করে সেনেগাল। মধ্যমাঠ থেকে বল নিয়ে সতীর্থ ফরোয়ার্ড বুলয়ালে ডিয়াকে পাস দেন ইসমাইলা সার। বক্সের ভেতর থেকে ডিয়ার নেয়া শট সেটি আটকে যায় ইংল্যান্ড আক্রমণভাগের দক্ষতায়।

 

তবে হঠাৎ আক্রমণে গিয়ে ম্যাচের ৩৮ মিনিটে দারুণ এক গোলে ম্যাচে এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। মধ্যমাঠ থেকে বল পেয়ে সেনেগালের বক্সের ভেতর ক্রস করেন ইংলিশ মিডফিল্ডার জুড বেলিংহাম। বক্সের ভেতর বল পেয়েই বাঁ পায়ের আলতো টোকায় সহজেই বলকে সেনেগালের জালে পাঠান আরেক মিডফিল্ডার

 

এগিয়ে গিয়ে যেন সেনেগালকে আরো চেপে ধরে ইংল্যান্ড। ৪১ মিনিটে ডানপ্রান্ত দিয়ে স্ট্রাইকার বুকায়ো সাকার ক্রসে বল পেয়েও হ্যারি কেন প্রতিপক্ষের গোলবারের বাইরে মারেন।

 

তবে ৪১ মিনিটে ভুল করলেও প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ের তৃতীয় মিনিটে ভুল করেননি কেন। মধ্যমাঠ থেকে বল নিয়ে সামনের দিকে থাকা কেনকে বাড়িয়ে দেন হেন্ডারসন। এরপর ফোডেনের সঙ্গে ওয়ান-টু-ওয়ান করতে করতে সেনেগালের বক্সের ভেতর ঢুকে ডান পায়ের জোরালো শটে ম্যাচের দ্বিতীয় গোলের মালিক হন কেন, যা এই বিশ্বকাপে কেনের প্রথম গোল।

 

হেন্ডারসন ও কেনের জোড়া গোলে ২-০-তে এগিয়ে থেকে ম্যাচের বিরতিতে যায় গ্যারেথ সাউথগেটের ইংল্যান্ড। প্রথমার্ধে ৬৫ শতাংশ বল আয়ত্তে রাখা ইংল্যান্ড বিরতি থেকে ফিরেও বল দখলের ধারা অব্যাহত রাখে।

 

এ অবস্থায় দ্বিতীয়ার্ধে গোল পেতে খুব বেশি দেরি করতে হয়নি ইংলিশদের। পরিকল্পনা মাফিক একটি আক্রমণ থেকে ম্যাচের ৫৭ মিনিটে তৃতীয় গোল পেয়ে যায় ইংল্যান্ড। মধ্যমাঠ থেকে বল নিয়ে নিজেদের দারুণ বোঝপড়ায় সেনেগালের সীমানায় আক্রমণ রচনা করেন ফোডেন ও বেলিংহাম।

 

বাঁ প্রান্ত দিয়ে সেনেগালের বক্সের ভেতর পাস দেন ফোডেন। সেখানে দাঁড়ানো থাকা বল পেয়ে আলতো ছোঁয়ায় সেনেগাালের গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে বল জালে পাঠান (৩-০)। বড় ব্যবধানে এগিয়ে গিয়ে ম্যাচ জয়ের পথ তৈরি করে ফেলে ইংল্যান্ড।

 

এরপর ৬৯ ও ৭৪ মিনিটে সেনেগাল দুটি আক্রমণ করলেও সেগুলো গোলের জন্য জুতসই ছিল না। ইংল্যান্ডের রক্ষণভাগের দেয়াল ভাঙতে পারেনি তারা।

 

এরপর ম্যাচের শেষ দিকে ৮৪ মিনিটে গোলের সুযোগ পেয়েছিল সেনেগাল। ইসমাইল জ্যাকবসের ক্রসে বক্সের ভেতর হেড নেন ইসমাইল সার। তবে তার হেড ইংল্যান্ডের গোলবারের ওপর দিয়ে চলে যায়। শেষ পর্যন্ত কোনো গোলই পায়নি সেনেগাল। সহজ জয়ে শেষ আটে নাম লেখায় ইংল্যান্ড।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version