-->
শিরোনাম

নিজের মৃত্যুর গুজব নিয়ে হতাশ স্ট্রিক

অনলাইন ডেস্ক
নিজের মৃত্যুর গুজব নিয়ে হতাশ স্ট্রিক

জিম্বাবুয়ের সাবেক অধিনায়ক হিথ স্ট্রিক মারা গেছেন’, এমন খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং দেশ-বিদেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু পরে জানায় যায়, স্ট্রিক মারা যাননি। এমন খবর নিজেই দিয়েছেন তিনি। নিজের মৃত্যুর গুজব নিয়ে হতবাক ও ব্যথিত বাংলাদেশের সাবেক কোচ স্ট্রিক।

 

গত মে মাসে জানা যায় লিভার ও কোলন ক্যান্সারের সাথে লড়ছেন স্ট্রিক। গত কয়েক মাস ধরে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে একটি হাসপাতালে ক্যান্সারের চিকিৎসা করাচ্ছেন তিনি। ঐ সময় এক বিবৃতিতে স্ট্রিকের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিলো, ‘ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ায় দক্ষিণ আফ্রিকার অন্যতম সম্মানিত ক্যান্সার বিশেষজ্ঞের অধীনে চিকিৎসা চলছে স্ট্রিকের।-বাসস 

 

আজ সারা বিশ্বের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে মারা গেছেন স্ট্রিক। এমন খবরে শোকাহত হয়ে ক্রিকেট বিশ্ব। স্ট্রিকের মৃত্যুর খবর জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে জিম্বাবুয়ের সাবেক পেসার হেনরি ওলোঙ্গা লিখেন, ‘খারাপ খবর পেলাম, হিথ স্ট্রিক অন্য ভুবনে চলে গেছে।’

 

কিন্তু পরবর্তীতে ওলেঙ্গাই জানিয়েছেন, স্ট্রিক বেঁচে আছেন। তিনি লিখেন, ‘আমি নিশ্চিত করতে পারছি, হিথ স্ট্রিকের মৃত্যুর যে খবর ছড়িয়েছিলো তা পুরোপুরি ভুয়ো। মাত্রই আমি তার সাথে কথা বলেছি। তাকে ফেরত নিয়ে এসেছে থার্ড আম্পায়ার। সে বেঁচে আছে বন্ধুরা।’স্ট্রিকের সাথে কথোপকথনের স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোডও করেন ওলেঙ্গা। সেখানে স্ট্রিক লিখেন, ‘আমি পুরোপুরি বেঁচে আছি। দয়া করে রান-আউটের সিদ্ধান্ত ফিরিয়ে নাও।’

 

পরবর্তীতে ভারতীয় পত্রিকা মিড ডে’কে বেঁচে আছেন বলে জানান স্ট্রিক। তিনি বলেন, ‘এটা গুজব। আমি জীবিত ও ভালোই আছি। এমন খবর শুনতে পেরে হতাশ হয়েছি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এই যুগে এমন খবর কারও কাছ থেকে নিশ্চিত না হয়েই কীভাবে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আমার মনে হয়, গুজবের খবর যারা ছড়িয়েছে, তার ক্ষমা চাওয়া উচিত।’

 

১৯৯৩ সালের নভেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক অভিষেক হয় স্ট্রিকের। দেশের হয়ে ৬৫টি টেস্টে ২১৬ উইকেট ও ১৯৯০ রান এবং ১৮৯টি ওয়ানডেতে ২৩৯ উইকেট ও ২৯৪৩ রান করেন তিনি। ২১টি টেস্ট এবং ৬৮টি ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়েকে নেতৃত্বও দিয়েছেন স্ট্রিক। ২০০৫ সালে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেন তিনি।

 

এরপর কোচিং পেশায় জড়িয়ে যান স্ট্রিক। ২০১৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের বোলিং কোচের দায়িত্বও পালন করেন ৪৯ বছর বয়সী স্ট্রিক।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version