-->
শিরোনাম

পাকিস্তানকে ধবলধোলাই করে ঐতিহাসিক সিরিজ জয় বাংলাদেশের

নিজস্ব প্রতিবেদক
পাকিস্তানকে ধবলধোলাই করে ঐতিহাসিক সিরিজ জয় বাংলাদেশের

টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে বাংলাদেশকে নিয়ে তাচ্ছিল্য করেছিলেন বাসিত আলী। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে পাকিস্তানের সাবেক ব্যাটার বলেছিলেন, ‘শুধু বৃষ্টিই বাঁচাতে পারে বাংলাদেশকে। এ ছাড়া দুই দলের কোনো তুলনা চলে না। হোম কন্ডিশনের পুরো সুবিধা পাবে পাকিস্তান।

তবে প্রথম টেস্ট শেষে ভিন্ন চিত্র দেখা দিয়েছে। রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম টেস্টে পাকিস্তানকে ১০ উইকেটে হারিয়ে তাদের মাঠে প্রথম জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। আর আজ ৬ উইকেটের জয়ে প্রথমবার তাদের বিপক্ষে দীর্ঘ সংস্করণে সিরিজও জিতেছে।

অথচ পাকিস্তানের সাবেক ব্যাটার বাসিত বাংলাদেশের জন্য যারে আশীর্বাদ বলে জানিয়েছিলেন সেই বৃষ্টিও তার উত্তরসূরিদের বাঁচাতে পারল না। গতকাল অবশ্য নিজেই সুর পাল্টিয়েছেন বাসিত। তিনি জানান, ধবলধোলাই প্রাপ্য পাকিস্তানের। বেরসিক বৃষ্টি রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের পুরো চার সেশন নষ্ট করে দিলেও ধবলধোলাইয়ের মুখ থেকে রক্ষা পায়নি পাকিস্তান।

দ্বিতীয় দল হিসেবে পাকিস্তানকে তাদের মাঠে ধবলধোলাই করল বাংলাদেশ। এর আগে ২০২২ সালে তিন টেস্টের সিরিজে পাকিস্তানকে প্রথম কোনো দল হিসেবে তাদের মাঠে এমন তিক্ত স্বাদ দিয়েছিল ইংল্যান্ড।দ্বিতীয় টেস্টে পাকিস্তানের দেওয়া ১৮৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত শুরু পায় বাংলাদেশ। গতকাল বৃষ্টিতে শেষ সেশন নষ্ট হওয়ার আগে বিনা উইকেটে ৪২ রানে চতুর্থ দিন শেষ করেছিলেন দুই ওপেনার জাকির হাসান ও সাদমান ইসলাম। আজ অবশ্য গত দিনের সুরটা দীর্ঘ করতে পারেননি তারা।

দলীয় খাতায় ১৬ রান যোগ করার পরেই ফিরতে হয় জাকিরকে। ব্যক্তিগত ৪০ রানে মীর হামজার গুড লেন্থের বলে বোল্ড হন বাংলাদেশি ওপেনার।

সতীর্থর দেখানো পথে দ্রুত ফেরেন আরেক ওপেনার সাদমান ইসলাম। ব্যক্তিগত ১৭ রানে জীবন পাওয়ার পর সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। ২৪ রান করে খুররম শেহজাদের বলে ড্রেসিংরুমে ফেরেন। ৭০ রানে ২ উইকেট হারিয়ে কিছুটা ধাক্কা খাওয়া বাংলাদেশকে পথ দেখান মমিনুল হক ও নাজমুল হোসেন শান্ত। দুজনে তৃতীয় উইকেটে ৫৭ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশের জয়ের ভিত গড়ে দেন। দ্বিতীয় সেশন শুরু হতেই ব্যক্তিগত ৩৮ রানে ফিরে যান বাংলাদেশের অধিনায়ক শান্ত। দারুণ শুরু করা মমিনুলও ফেরেন ৩৪ রানে।

জয়ের বাকি কাজটুকু পরে সারেন মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসান। দলকে ৬ উইকেটের জয় এনে দিয়ে মাঠ ছাড়েন তারা। মুশফিকের ২২ রানের বিপরীতে ২১ রানে অপরাজিত থাকেন সাকিব।

ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ে দলীয় পারফরম্যান্সে প্রদর্শন করেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় টেস্টেই যেমন ২৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে প্রথম ইনিংসে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল বাংলাদেশ। সেখানে থেকে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করে দলকে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ এনে দেন লিটন দাস। অবশ্য ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি করা লিটনের অবদান শুধু বললে ভুল হবে। প্রথম ইনিংসে বোলিংয়ে ৫ উইকেট নেওয়া মেহেদী হাসান মিরাজের কথাও বলতে হবে। সপ্তম উইকেটে লিটনের সঙ্গে ১৬৫ রানের জুটি না গড়লে দ্বিতীয় টেস্টে জয় পাওয়াটা হয়তো হতো না। ৩০ রানের নিচে ৬ উইকেট হারিয়ে সপ্তম উইকেট জুটিতে যা বিশ্বরেকর্ড। বিশ্বরেকর্ড গড়ার পথে ৭৮ রানের ইনিংস খেলেছেন মিরাজ।

মিরাজ-লিটনের দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনের পর বাংলাদেশের জয়ের কাজটা সহজ করে দেন পেসাররা। পাকিস্তানকে ১৭২ রানে দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট করে। প্রথমবারের মতো টেস্ট ইনিংসে ১০ উইকেটের সবকটি নিয়েছেন বাংলাদেশের পেসাররা। প্রতিপক্ষকে অল্প রানে অলআউট করার পথে হাসান মাহমুদ বাংলাদেশের প্রথম পেসার হিসেবে পাকিস্তানের মাঠে ৫ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড গড়েছেন। বাকি ৫ উইকেটের ৪টি নাহিদ রানা এবং অন্যটি তাসকিন আহমেদ পেয়েছেন। এর আগে রাওয়ালপিন্ডিতেই প্রথম টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরি করেন সাদমান ও মুশফিকুর রহিম।

পাকিস্তান ক্রিকেট দলকে ধবলধোলাই করে তাদের মাটিতে প্রথমবারের মতো টেস্ট সিরিজ জয়ে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের ক্রীড়া যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশের ম্যাচ শেষ হওয়ার পর এক বিবৃতির মাধ্যমে টাইগারদের অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি।

আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে দেশে যে গণ-অভ্যুত্থান হয়েছে তারই সুফল পাওয়া যাচ্ছে ক্রীড়াঙ্গনের প্রতিটি ক্ষেত্রে। পাকিস্তানকে টেস্টে প্রথমবার হোয়াইটওয়াশ করা কিংবা সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপ শিরোপা জিতা, সব কিছুই নতুন বাংলাদেশের প্রতিফলন।

তিনি আরো বলেন, দুর্নীতি এবং রাজনৈতিক বলয় থেকে ক্রীড়াঙ্গনকে মুক্ত রাখলে দেশের ক্রীড়া ক্ষেত্রে আরো সাফল্য আসবে। সরকার সে জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন জানিয়ে দেশের ক্রীড়া ক্ষেত্রের প্রতিটি পর্যায়ে সাফল্যের এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে অনুষ্ঠিত দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের দুটোতেই দাপুটে ও গৌরবময় জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।

টেস্ট স্ট্যাটাস অর্জনের ২৪ বছর পর পাকিস্তানের মাটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট ম্যাচ এবং সিরিজ জয়ের স্বাদ পেল টিম টাইগার্স।

এদিকে ঐতিহাসিক টেস্ট জয়ের পর বাংলাদেশ দলের অধিনায়ককে ফোন করে অভিনন্দন জানিয়েছেন অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, ‘পুরো জাতি আপনাদের নিয়ে গর্বিত। সরকার ও আমার পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।

ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ জয়ের সুখবর পেয়েছে বাংলাদেশ। প্রথমবারের মতো পাকিস্তানকে টেস্ট সিরিজে হারিয়ে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট তালিকায় ৪ নম্বরে উঠে এসেছে। ইংল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকার মতো বড় দলকে পেছনে ফেলেছে বাংলাদেশ। অবশ্য প্রথম টেস্ট জিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে পেছনে ফেলেছিল বাংলাদেশ।

কিন্তু রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে স্লো ওভার রেটের কারণে পয়েন্ট কাটা যাওয়ায় পরে প্রোটিয়াদের নিচে জায়গা হয়েছিল বাংলাদেশের। তবে খুব বেশি দিন এইডেন মাক্রাম-টেম্বা বাভুমাদের নিচে থাকতে হলো না নাজমুল হোসেন শান্ত-সাকিব আল হাসানদের। এক সপ্তাহের ব্যবধানেই প্রোটিয়াদের পেছনে ফেলেছে বাংলাদেশ। ৪৫.৮৩ শতাংশ জয়ের হারে বাংলাদেশ এখন চারে।

টেস্টে চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ হিসেবে ৬ ম্যাচে সমান ৩টি করে জয়-পরাজয় পেয়েছে বাংলাদেশ। এর আগে ৬ নম্বরে ছিল বাংলাদেশ। অন্যদিকে সমান ৬ টেস্ট খেলা প্রোটিয়ারা ৩৮.৮৯ শতাংশ জয়ের হারে ছয়ে। দুই দলের মাঝে ১৫ টেস্ট খেলা ইংল্যান্ড ৪৫.০০ শতাংশ জয়ের হারে ৫ নম্বরে আছে।

বাংলাদেশের ওপরে যথাক্রমে নিউজিল্যান্ড (৫০.০০ শতাংশ), অস্ট্রেলিয়া (৬২.৫০ শতাংশ) ও ভারত (৬৮.৫২ শতাংশ) আছে। বাংলাদেশের বড় লাফে অবদান রেখেছে বাংলাদেশের দ্বিতীয় টেস্ট জয়। আজ পাকিস্তানকে দুই টেস্টের সিরিজে ধবলধোলাই করার ম্যাচে ৬ উইকেটের জয় পায় বাংলাদেশ। এর আগে রাওয়ালপিন্ডিতেই প্রথম টেস্টে ১০ উইকেটের জয় পেয়েছিল নাজমুল হোসেন শান্তর দল।

পাকিস্তানের বিপক্ষে তাদের মাঠে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কখনো জয় পায়নি বাংলাদেশ। টেস্টের ২৪ বছরের ইতিহাসে সেই আক্ষেপ এবার ঘুচে গেল সিরিজের প্রথম টেস্টেই। রাওয়ালপিন্ডিতে ১০ উইকেটে পাকিস্তানকে প্রথমবার টেস্টে হারিয়ে।প্রথমবারের মতো টেস্টে তাদের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। দুই টেস্টের সিরিজে প্রতিপক্ষকে ২-০ ব্যবধানে ধবলধোলাইও করেছে বাংলাদেশ। তৃতীয় কোনো প্রতিপক্ষকে দীর্ঘ সংস্করণে ধবলধোলাই করল নাজমুল হোসেন শান্তর দল। এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবুয়েকে ক্রিকেটের আদি সংস্করণে ধবলধোলাই করেছিল বাংলাদেশ।

পাকিস্তানকে ধবলধোলাই করে একটা কীর্তিতে নাম তুলেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দল হিসেবে পাকিস্তানকে তাদের মাঠে ধবলধোলাইয়ের বিব্রতকর লজ্জা দিয়েছেন মুশফিকুর রহিম-লিটন দাসরা। এর আগে পাকিস্তানকে এই তিক্ত স্বাদ দেয় ইংল্যান্ড। ২০২২ সালে তিন টেস্টের সিরিজে পাকিস্তানকে ৩-০ ব্যবধানে হারায় ইংল্যান্ড।

পাকিস্তানের দেওয়া ১৮৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু পায় বাংলাদেশ। ওপেনিং জুটিতে ৫৮ রানের সংগ্রহ এনে দেন জাকির হাসান (৪০) ও সাদমান ইসলাম (২৪)। তবে ১২ রানের ব্যবধানে দুই ওপেনার বিদায় নিলে কিছু চাপে পড়ে বাংলাদেশ। তৃতীয় উইকেট ৫৭ রানের জুটি গড়ে জয়ের ভিত গড়ে দেন মমিনুল হক ও শান্ত। তবে দুজনের কেউই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেননি।

মমিনুলের ৩৪ রানের বিপরীতে অধিনায়ক শান্ত আউট হন ৩৮ রানে।

জয়ের বাকি কাজটুকু সারেন মুশফিকুর রহিম ও সাকিব। দলকে ৬ উইকেটের জয় এনে দিয়ে মাঠ ছাড়েন তারা। মুশফিকের ২২ রানের বিপরীতে ২১ রানে অপাজিত থাকেন সাকিব। এর আগে এই রাওয়ালপিন্ডিতেই প্রথম টেস্টে ১০ উইকেটের জয় পায় বাংলাদেশ।

তৃতীয় উইকেট অপরাজিত ৫২ রানের জুটি গড়ে পঞ্চম দিনের শুরুর ধাক্কা সামলিয়ে নিয়েছেন দুজনে। ধাক্কা সামলানোর পর এখন প্রথমবার পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে সিরিজ জয়ের সুযোগ এনে দিচ্ছেন তারা। এই টেস্ট জিতলে প্রতিপক্ষকে তাদের মাঠে দ্বিতীয় দল হিসেবে ধবলধোলাই করবে বাংলাদেশ। এর আগে ২০২২ সালে ইংল্যান্ডের কাছে ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই হয় পাকিস্তান।

দ্বিতীয় টেস্টের জয়টা কত দ্রুত বাংলাদেশ পাবে সেটাই এখন দেখার বিষয়। শান্তর ৩৩ রানের বিপরীতে ২০ রানে অপরাজিত আছেন মমিনুল। তাদের জুটির আগে অবশ্য ১২ রানের ব্যবধানে ২ উইকেট হারিয়ে কিছুটা ধাক্কা খেয়েছিল বাংলাদেশ। দলীয় ৬৩ রানের সময় আগা সালমানের বদান্যতায় ব্যক্তিগত ১৭ রানে জীবন পেয়েছিলেন সাদমান ইসলাম।

পাকিস্তানি পেসার মীর হামজার বলে তার ক্যাচ ফেলে দেন থার্ড স্লিপে দাঁড়ানো সালমান আগা। তবে সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেননি বাংলাদেশি ওপেনার। জীবন পাওয়ার পর যে ব্যক্তিগত ইনিংসে আর মাত্র ৭ রান যোগ করতে পেরেছেন সাদমান। ২৪ রানের সময় খুররম শেহজাদের বলে লং অফে যেন সহজ এক ক্যাচ তুলে দিলেন শান মাসুদকে। সালমান জীবন দিলেও বাঁহাতি ওপেনারের ক্যাচ তালুবন্দি করতে ভুল করেননি পাকিস্তানের অধিনায়ক।

সাদমানের বিদায় বাংলাদেশের দলীয় ইনিংস দাঁড়ায় ২ উইকেটে ৭০ রান। তার আগে বিনা উইকেটে ৪২ রানে পঞ্চম দিনের খেলা শুরু করেছিল বাংলাদেশ। ইনিংসের শুরুটা গত দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটার জাকির হাসান ও সাদমান দেখেশুনে ব্যাট করলেও জুটিটা বেশিদূর যেতে পারেনি। দলীয় ৫৮ রানের সময় হামজার দুর্দান্ত এক বলে বোল্ড হন জাকির। গুড লেন্থের বল হালকা গতিতে বেরিয়ে যাওয়া পথে ৪০ রান করা জাকিরের স্টাম্প ভেঙে দেন।

 

 

ভোরের আকাশ/মি

মন্তব্য

Beta version