-->

প্রধান উপদেষ্টার ছোঁয়ায় শক্তি পেল বিপিএল

অনলাইন ডেস্ক
প্রধান উপদেষ্টার ছোঁয়ায় শক্তি পেল বিপিএল

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) দেশের সর্ববৃহৎ ঘরোয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্ট হলেও এখনো আন্তর্জাতিক মানের ছোঁয়া পায়নি। প্রতিটি আসরই বিতর্ক ও সমালোচনার মাঝে আটকে যায়, তবে এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। ২০২৩ সালে অলিম্পিক গেমসের নকশা ও আয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুস এবার বিপিএলের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে যুক্ত হয়েছেন, যা দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য সুখবর।

ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া বিপিএলের ১১তম আসরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে এবং দর্শক আকর্ষণে বাড়তি নজর দেওয়া হচ্ছে। রবিবার (৩ নভেম্বর, ২০২৪) অনুষ্ঠিত বিসিবির বৈঠকে বোর্ড সভাপতি ফারুক আহমেদ, ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ, এবং বিপিএলের অংশীদার, বিজ্ঞাপনদাতা, ও সম্প্রচারকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। বিসিবি পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম বৈঠক শেষে জানান, এবারের বিপিএলকে বিশেষভাবে সাজানোর পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।

ফাহিম বলেন, “প্রধান উপদেষ্টার সরাসরি সংশ্লিষ্টতা আমাদের জন্য বড় সুযোগ। তার নির্দেশনায় এবার বিপিএলকে ভিন্ন রূপে উপস্থাপনের কাজ চলছে। আমাদের লক্ষ্য শুধু ক্রিকেট নয়; সমগ্র জাতিকে বিপিএল উৎসবের সাথে যুক্ত করা। প্রত্যেক জেলায় সাংস্কৃতিক কার্যক্রম, খেলা ও মেলার আয়োজনের মাধ্যমে বিপিএলকে আরো গ্রহণযোগ্য করে তুলতে চাই।”

তরুণ সমাজকে বিপিএলের সাথে সংযুক্ত করতে আন্তর্জাতিক সেলিব্রিটি উপস্থিতির কথা ভাবা হচ্ছে এবং আকর্ষণীয় উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। বিদেশি তারকাদের আগমনের পাশাপাশি বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে উদযাপন ছড়িয়ে দিতে উপদেষ্টা ড. ইউনুসের পরিকল্পনা মোতাবেক বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বিসিবি আশা করছে, পূর্বের সব অনিয়ম ও বিতর্ক পেছনে ফেলে এবারের আসর হবে আধুনিক ও জমকালো। যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ জানান, "বিপিএল নিয়ে মানুষের আগ্রহ ফিরিয়ে আনাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য, এবং এটি অর্জনে আমরা মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার অভিজ্ঞতা ও পরামর্শ কাজে লাগাচ্ছি। দেশের একমাত্র ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট হওয়ায় এটি জাতীয় ক্রীড়া শক্তির প্রতীক হয়ে উঠতে পারে।”

ইতোমধ্যে খেলোয়াড় ড্রাফট সম্পন্ন হয়েছে এবং নির্ধারিত পরিকল্পনা অনুযায়ী সাতটি ফ্র্যাঞ্চাইজি দল নিয়ে বিপিএলের পরবর্তী আসর শুরু হবে আগামী ৩০ ডিসেম্বর।

 

ভোরের আকাশ/রন

 

ভোরের আকাশ/রন

মন্তব্য

Beta version