পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। আগামী ৮ ডিসেম্বর দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শিরোপা লড়াইয়ে ভারতের মুখোমুখি হবে যুব টাইগাররা।
শুক্রবার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে পাকিস্তানকে মাত্র ১১৬ রানে গুটিয়ে দেয় বাংলাদেশের বোলাররা। পেসার ইকবাল হোসেন ইমন ও মারুফ মৃধার দাপুটে বোলিংয়ে পাকিস্তানের টপ অর্ডার তছনছ হয়ে যায়। ইমন একাই ২৪ রানে ৪টি উইকেট শিকার করেন। ৩৭ ওভারেই গুটিয়ে যাওয়া পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৩২ রান করেন ফারহান ইউসুফ।
ছোট লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতে ২৮ রানে দুই ওপেনার কালাম সিদ্দিকি (১৪ বলে ০) ও জাওয়াদ আবরার (২৫ বলে ১৭) দ্রুত আউট হন। তবে অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম ও শিহাব জেমসের ৫৭ রানের জুটিতে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় বাংলাদেশ। জেমস ৩৬ বলে ২৬ রান করে আউট হলেও তামিম ৪২ বলে ৬১ রানের হার না মানা ইনিংস খেলে দলকে সহজ জয় এনে দেন।
প্রথম সেমিফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে ৭ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিল ভারত। এবার তাদের বিপক্ষে শিরোপা ধরে রাখার লক্ষ্য আজিজুল হাকিম তামিমের দলের। ২০২৩ সালের আসরে আরব আমিরাতকে ১৯৫ রানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশ।
পাকিস্তানের ব্যাটিং ছিল হতাশাজনক। তাদের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে অধিনায়ক সাদ বাইগ ১৮ রান, মোহাম্মদ রিয়াজুল্লাহ ২৮ রান এবং হারুন আরশাদ ১০ রান করেন। বাকিরা সবাই এক অঙ্কে থেমে যান। বল হাতে পাকিস্তানের হয়ে আলি রাজা, আবদুল সুবহান ও নাভিদ আহমেদ খান একটি করে উইকেট নেন। তবে বড় পুঁজি তুলতে ব্যর্থ হওয়ার কারণে তাদের প্রচেষ্টা কাজে আসেনি।
বাংলাদেশের বোলাররা নতুন বলে দুর্দান্ত পারফর্ম করে। ইমনের সঙ্গে মারুফ মৃধা ২ উইকেট নেন, এবং আল-ফাহাদ ও দেবাশীষ দেবা নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে একটি করে উইকেট তুলে নেন।
গ্রুপপর্বে তিনটি ম্যাচ জিতে আসা পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশকে সংগ্রাম করতে হবে বলে মনে করা হলেও অধিনায়ক তামিমের ঝোড়ো ব্যাটিং সেই শঙ্কা দূর করে। ব্যক্তিগত ফিফটি তুলে নেওয়ার পথে তামিম ৭টি চার ও ৩টি ছক্কা হাঁকান। মাত্র ২২.১ ওভারে ম্যাচ শেষ করে বাংলাদেশ।
এবারের ফাইনালে বাংলাদেশ-ভারত দ্বৈরথ নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে। শিরোপা ধরে রাখার চ্যালেঞ্জে তামিমের নেতৃত্বে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ।
ভোরের আকাশ/রন
মন্তব্য