অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বিভিন্ন প্রিন্ট, অনলাইন এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মোট ২৬ জন সাংবাদিক ‘নগদ-ডিআরইউ বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ অর্জন করেছেন।রোববার (১৬ নভেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এক জাঁকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অ্যাওয়ার্ড বিজয়ীদের হাতে ক্রেস্ট এবং পুরস্কারের অর্থ তুলে দেওয়া হয়।রিপোর্ট মূল্যায়নের কঠিন দিক তুলে ধরে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, এই রিপোর্টগুলো বিচার করা খুব কঠিন। মান, প্রেক্ষাপট, ভাষা—সবকিছু যাচাই করতে হয়। যারা এই কষ্টসাধ্য কাজটি করেছেন, তাদের প্রতি বিশেষ ধন্যবাদ।সাংবাদিকতা রাষ্ট্র, সমাজ ও অর্থনীতির জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ—তা উল্লেখ করে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ইনভেস্টিগেটিভ রিপোর্টিং সমাজের গভীর সত্যগুলো তুলে ধরে। সমালোচনা অবশ্যই করবেন, ভুল ধরিয়ে দেবেন, তবে ভালো কাজের কথাও বলবেন।তিনি জানান, অনেক সময় সাংবাদিকদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিক সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হয়। গতকাল এক সমস্যার তথ্য পাই, সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সচিবকে পাঠাই। আজই তিনি আপডেট দেবেন।অর্থ উপদেষ্টা বলেন, সাংবাদিকদের কাছে অনুরোধ, আপনারা সমালোচনার পাশাপাশি সরকারের ভালো কাজের দিকগুলোও তুলে ধরবেন এবং গঠনমূলক পরামর্শ দিয়ে সরকারকে আরও সুশৃঙ্খল ও জবাবদিহিমূলক কাজ করতে সহায়তা করবেন, যাতে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও সামাজিক উভয় ক্ষেত্রেই দ্রুত এগিয়ে যায়।অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর এবং নগদের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান কায়সার আহমেদ চৌধুরী। এছাড়াও নগদের প্রশাসক মো. মোতাসেম বিল্লাহ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।যারা পেলেন পুরস্কার‘নগদ-ডিআরইউ বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’-এ ২৪টি বিভাগে বিপুল সংখ্যক আবেদন জমা পড়ে। এর মধ্যে ২০২৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে এ বছরের ৩০ অক্টোবরের মধ্যে প্রকাশিত বা সম্প্রচারিত সেরা ২৬টি প্রতিবেদনকে পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত করা হয়। দুটি বিভাগে যৌথভাবে বিজয়ী ছিলেন।পুরস্কারপ্রাপ্ত সাংবাদিকদের মধ্যে রয়েছেন—শামসুল হক মোহাম্মদ মিরাজ (দৈনিক কালের কণ্ঠ), মৌসুমী ইসলাম (দ্য ডেইলি সান), রফিকুল ইসলাম (দ্য ডেইলি সান), মো. জসিম উদ্দিন (ঢাকা পোস্ট), মুহাম্মদ সালাহ উদ্দিন জসিম (জাগোনিউজ২৪.কম), সাজ্জাদুর রহমান (দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড), এম এ নোমান (দৈনিক আমার দেশ), জিয়াদুল ইসলাম (দৈনিক আমাদের সময়), মো. শাখাওয়াত প্রিন্স (দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড), দীপন নন্দী (দ্য ডেইলি স্টার), মো. শরিফুল ইসলাম (দ্য ডেইলি স্টার), হারুন-উর রশিদ (দৈনিক কালবেলা), মো. আবু সালেহ রনি (দৈনিক সমকাল), মো. শাহজাহান আলী (সকাল সন্ধ্যা ডটকম), মো. শাহজাহান আলী (দৈনিক দেশ রূপান্তর), এহসানুল হক জসিম (দ্য ডেইলি সান), মোহাম্মদ হেলেমুল আলম (দ্য ডেইলি স্টার), শাহ মো. রাশেদুর রহমান (ডিবিসি নিউজ), আবু জাহেদ মো. সেলিম (মাছরাঙা টিভি), আলমগীর হোসেন (যমুনা টিভি), রাজীব ঘোষ (ডিবিসি নিউজ), মো. এমদাদুল হক (চ্যানেল ২৪), মো. ইউসুফ আলী (ডিবিসি নিউজ), শাহনাজ শারমিন (একাত্তর টিভি), মাহদে আজাদ মাসুম (বৈশাখী টিভি) ও হাসান আরিফ (দ্য ডেইলি বাংলাদেশ)।পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি আবু সালেহ আকন। সমাপনী বক্তব্যে তিনি বলেন, নগদের বিশেষ পৃষ্ঠপোষকতার কারণেই এবারের আয়োজনটি অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক বড় হয়েছে এবং বেশি পুরস্কার দেওয়া সম্ভব হয়েছে।সভাপতি পুরস্কারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানান এবং যারা এবার পুরস্কার পাননি, তাদের প্রতি আগামীতে সফল হওয়ার শুভকামনা জানান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডিআরইউর সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল।পুরস্কারের জন্য গঠিত ১০ সদস্যের জুরি বোর্ডের সভাপতিত্ব করেন ইংরেজি দৈনিক দ্য ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ।ভোরের আকাশ/এসএইচ
১৪ ঘন্টা আগে
অবিলম্বে কুমিল্লা বিভাগ ঘোষণার দাবি জানিয়েছে ‘কুমিল্লা সাংবাদিক ফোরাম, ঢাকা (সিজেএফডি)’র নেতৃবৃন্দ। রোববার (১৬ নভেম্বর) রাজধানীর পুরানা পল্টনে সংগঠনটির কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় এই দাবি জানানো হয়।সংগঠনের সভাপতি মো. সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক এম. মোশাররফ হোসাইনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এই মতবিনিময় সভায় ঢাকায় কর্মরত দেশের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা অংশগ্রহণ করেন।সভায় অবিলম্বে বিভাগ ঘোষণা ও বাস্তবায়নের দাবিতে আগামী ২৪ নভেম্বর সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ কোন ধরনের তালবাহানা বা গড়িমসি না করে অতি দ্রুততার সাথে কুমিল্লা নামেই বিভাগ ঘোষণা ও বাস্তবায়নের যৌক্তিকতা এবং ভবিষ্যত কর্মসূচি নিয়ে মূল্যবান মতামত তুলে ধরেন।তারা বলেন, অবকাঠামো থেকে শুরু করে সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা থাকা সত্বেও কুমিল্লাকে বিভাগ না করে যুগের পর যুগ বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে। যখনই কুমিল্লা বিভাগ ঘোষণার সময় হয় বা দ্বারপ্রান্তে থাকে, তখনই শুরু হয় ষড়যন্ত্র। কুমিল্লা বিভাগ ঘোষণা এখন আর কোনো দাবি নয়, এটা কুমিল্লাবাসীর অধিকার। তাই অবিলম্বে কুমিল্লা বিভাগ বাস্তবায়ন করতে হবে।নেতৃবৃন্দ বলেন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশেও কুমিল্লা বিভাগ ঘোষণা ও বাস্তবায়নের তাগিদ দেয়া হয়েছে। বিভাগ বাস্তবায়নে সরকারের কোষাগার থেকে একটি পয়সাও খরচ করতে হবে না। সুতরাং এ বিষয়ে আর কোন বিলম্বের কারণ আমরা দেখছি না। আগামী ২৪ নভেম্বরের কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য ঢাকায় বসবাসরত কুমিল্লার সকল সাংবাদিকদের প্রতি আহবান জানানো হয়।অন্যান্যদের মধ্যে অলোচনায় অংশগ্রহণ করেন, সংগঠনের সহ-সভাপতি এম. এস. দোহা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম দিদার, এটিএন বাংলার চিফ রিপোর্টার মঈনুল আহসান, অর্থ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন দরবেশ, সাবেক অর্থ সম্পাদক সায়ীদ আবদুল মালিক, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শরীফুল ইসলাম, ক্রীড়া-সাংস্কৃতিক সম্পাদক আবু সুফিয়ান রতন, সাবেক সমাজ কল্যাণ সম্পাদক নার্গিস জুঁই, তথ্য-প্রযুক্তি সম্পাদক আহমেদ আজম, শিক্ষা-প্রশিক্ষণ সম্পাদক ফারজানা আফরিন, ইভেন্ট-আপ্যায়ন সম্পাদক কাজী দ্বীন মোহাম্মদ বেলাল এবং নির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ মাসুদ।ভোরের আকাশ/এসএইচ
১৮ ঘন্টা আগে
গত শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে একজন সিনিয়র সাংবাদিকসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত সভা-সমাবেশে সাংবাদিকদের সঙ্গে অসদাচরণ ও নাজেহাল করার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)।সোমবার (৩ নভেম্বর) বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন, মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী ও ডিইউজের সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম এক যৌথ বিবৃতিতে রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, বুদ্ধিজীবীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে সাংবাদিকদের সঙ্গে সংযত আচরণের আহ্বান জানিয়ে বলেন, সাংবাদিকদের পেশাগত প্রতিষ্ঠান জাতীয় প্রেস ক্লাব অঙ্গনে এ দেশের ইতিহাসের অনেক অধ্যায় রচিত হয়েছে। রাজপথে দাঁড়াতে না পেরে অথবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ধাওয়া খেয়ে রাজনৈতিক নেতা, বুদ্ধিজীবী ও সংস্কৃতিসেবীরা প্রেস ক্লাবে অবস্থান নিয়ে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন।নেতৃবৃন্দ বলেন, জাতীয় প্রেস ক্লাব সাংবাদিকদের সেকেন্ড হোম। প্রেস ক্লাবকে বলা হয় গণতন্ত্রের সূতিকাগার। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনসহ দেশে বহুগণতান্ত্রিক উত্থান-পতনের সাক্ষী এই জাতীয় প্রেস ক্লাব। প্রতিষ্ঠানটি একান্তভাবে পেশাদারদের হলেও দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা পালনকারী রাজনৈতিক নেতা ও জনপ্রতিনিধিসহ সমাজের বিশিষ্টজনকে মেহমানদারি করা সাংবাদিকদের রেওয়াজের অংশ।এজন্য রাজনৈতিক নেতারাসহ জনপ্রতিনিধি বা বিশিষ্টজনরা প্রেস ক্লাবে আসলে সাংবাদিকরা তাদের পাশে থাকেন এবং সর্বাত্মক সহযোগিতা করেন। কিছু কিছু রাজনৈতিক নেতা এটাকে ধারণ করতে ব্যর্থ হন। সম্প্রতি জাতীয় প্রেস ক্লাবে একজন সিনিয়র সাংবাদিকের সাথে একজন রাজনৈতিক নেতা যে অশোভন আচরণ করেছেন, এটাকে চরম অসভ্যতা বলে আমরা মনে করছি। এ ঘটনায় সাংবাদিক সমাজে যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে তা স্মরণে রেখে আগামীতে আরো সতর্ক ও সংযত হওয়ার আহ্বান জানান।ভোরের আকাশ/এসএইচ
১ সপ্তাহ আগে
ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের (ডিএসইসি) সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদ রানার বাবা চান গাজী আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের দিকে রাজধানীর খিলক্ষেতে নিজ বাসায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত তিনি বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন। বৃহস্পতিবার বাদ আসর তার প্রথম নামাজের জানাজা খিলক্ষেত বটতলা জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
১ মাস আগে