ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে অভিযোগ উঠেছে, প্রতিপক্ষের গুলিতে সাদ্দাম হোসেন (৩২) নামের এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন।বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) দিবাগত রাতে জেলা শহরের কান্দিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত সাদ্দাম ওই এলাকার মস্তু মিয়ার ছেলে। এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।নিহতের পরিবার অভিযোগ করে জানায়, বুধবার সন্ধ্যায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কান্দিপাড়ায় লায়ন শাকিল গ্রুপের লোকজন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন দিলীপ গ্রুপের ৩ জনকে গুলি করে আহত করেন। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছিল। এরই ধারাবাহিকতায় মধ্যরাতে দিলীপ গ্রুপের লোকজন সাদ্দামকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর খবর আসে সাদ্দাম গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সড়কে পড়ে আছে। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তাদের অভিযোগ, প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর উদ্দেশ্যেই সাদ্দামকে হত্যা করা হয়েছে।এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন দিলীপ জানান, সাদ্দাম সবসময় তার সঙ্গেই থাকে। রাতে লায়ন শাকিল তার গ্রুপকে লক্ষ্য করে গুলি করলে সাদ্দাম এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজহারুল ইসলাম ভোরের আকাশকে জানান, কান্দিপাড়ার দুই গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য নিয়ে বিরোধ চলছে। এর জেরেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। আমরা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি।এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় কান্দিপাড়া মাদরাসা রোড এলাকায় দেলোয়ার হোসেন দিলীপ গ্রুপের ওপর লায়ন শাকিলের নেতৃত্বে গুলি চালানোর ঘটনায় তিনজন গুলিবিদ্ধ হন। নিহত সাদ্দাম দেলীপ গ্রুপের সমর্থক ছিলেন বলে জানিয়েছে তার পরিবার।উল্লেখ্য, নানা কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা শহরের কান্দিপাড়া এলাকাটি সবসময় আলোচিত। বেশ কিছুদিন শান্ত থাকার পর আবারো জায়গাটি নেতিবাচক খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে। নাগরিক সমাজ মনে করেন, শহরের শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সদা তৎপর থাকতে হবে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
২ ঘন্টা আগে
ঝিনাইদহে সকালে মর্নিং ওয়াকে বেরিয়ে এক গৃহবধূ নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তাকে মারধর করেই শান্ত হয়নি দুর্বৃত্তরা, একপর্যায়ে তাকে বিবস্ত্র করার অভিযোগ উঠেছে।শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) সকালে সদর উপজেলার দোগাছি গ্রামের পূর্বপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী বর্তমানে ঝিনাইদহ আড়াইশ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।দোগাছি ইউনিয়ন পরিষদের নারী ইউপি সদস্য শারমিন আক্তার জানান, সকালে গৃহবধূ ও তার দেবরের স্ত্রী হাঁটতে বের হন। তারা গ্রামের হাজামবাড়ি মসজিদ এলাকায় পৌঁছালে ১০-১৫ জন দুর্বৃত্ত তাদের পথরোধ করে। এ সময় একজন দৌড়ে পালিয়ে গেলেও ভুক্তভোগীকে বেধড়ক মারপিট করে গায়ের জামা কাপড় ছিঁড়ে ফেলে।দুর্বৃত্তরা তার গলার চেন, কানের দুল ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে ওই নারীকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এক নারীকে মারধর করার ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি। অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
২ ঘন্টা আগে
গাজীপুরের কাপাসিয়ায় অবৈধ বালু মহালে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে প্রায় ৭০ লাখ টাকার বালি জব্দ করা হয়েছে। এ অভিযান পরিচালনায় নেতৃত্ব দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ডা. তামান্না তাসনীম।এসময় সাথে ছিলেন সহকারী কমিশন (ভূমি) মো. নাহিদুল হক ও পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক।বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার টোক ইউনিয়নের উলুসারা বাজার এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। পরে লাল পতাকা টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। জব্দকৃত বালি যেন সরিয়ে নিতে না পারে সে জন্য পাহারা বসানো হয়েছে।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্থানীয় মহসিন ও সালেহ আহমদের নেতৃত্বে দীর্ঘদিন যাবত এসব বালি উত্তোলন করা হয়েছে। তাৎক্ষনিক ভাবে তাদের সম্পর্কে এরচেয়ে বেশি বিস্তারিত জানা সম্ভব হয়নি।উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ডাঃ তামান্না তাসনীম বলেন, অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলন করে বিপুল পরিমাণ বালি মজুত করে রাখা হয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। জেলা প্রশাসক মহোদয়কে বিষয়টি অবহিত করে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযান পরিচালনার সময় এখানে কাউকে পাওয়া যায়নি। বালি উত্তোলনের সরঞ্জামসহ বেশকিছু পাইপ এবং বালি জব্দ করা হয়েছে। পরবর্তীতে পরিমাপ করে জব্দকৃত বালি নিলাম ডাকের মাধ্যমে বিক্রি করা হবে। এসময় তিনি আরো বলেন, গত ডিসেম্বরে এই মৌসুমে ৬৬ বার অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। আবারো যেহেতু শীত শুরু হয়েছে বালু উত্তোলনও শুরু হয়েছে, আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। অভিযান পরিচালনায় পুলিশ, আনসার ও গ্রাম পুলিশের সদস্যরা সহযোগিতা করেন।ভোরের আকাশ/মো.আ.
৪ ঘন্টা আগে
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে পদ্মা পরিবহনের একটি বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে মার্জিয়া আক্তার (৮) নামে শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় শিশুটির নানি নাজমা বেগম (৫৫) গুরুতর আহত হয়েছেন।বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) দিনগত রাত সাড়ে দশটার দিকে হাজীগঞ্জ বাজারস্থ শেরাটন হোটেলের সামনে কুমিল্লা-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের এ দুর্ঘটনা ঘটে।নিহত শিশু মার্জিয়া আক্তার লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার বিঘা গ্রামের কালি বাড়ির মানিক হোসেনের মেয়ে। গুরুত্ব আহত নাজমা বেগম চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের বড় হাজী বাড়ির মনির হোসেনের স্ত্রী। তাকে আশংকাজনক অবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।শিশু মার্জিয়ার নানা মনির হোসেন বলেন, এদিন রাতে তিনি তার স্ত্রী নাজমা বেগম ও বড় মেয়ের ঘরের নাতিন মার্জিয়াকে নিয়ে হাজীগঞ্জ বাজারে কেনাকাটা করতে আসেন। কেনাকাটা শেষে তারা কুমিল্লা-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের উত্তর পাশ থেকে দক্ষিণ পাশে যাচ্ছিলেন।এসময় তিনি রাস্তা পার হতে পারলে ঢাকা থেকে আগত চাঁদপুরগামী পদ্মা পরিবহনের একটি বাসের নিচে চাপা পড়েন স্ত্রী ও নাতিন। তাৎক্ষনিক পথচারিরা তাদেরকে উদ্ধার করে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশু মার্জিয়া মৃত ঘোষণা এবং নাজমা বেগমকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।স্থানীয় বাসিন্দা সাজ্জাদ রশিদ জানান, তিনি সড়কের উত্তর পাশে ছিলেন। মানুষের ডাক-চিৎকার শুনে সড়কের দক্ষিণ পাশে গিয়ে দুর্ঘটনাস্থল থেকে তাৎখনিক শিশুটিকে কোলে তুলে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। তখনও শিশুটি জীবিত ছিলো, কিন্তু হাসপাতালে গেটে প্রবেশের সময় শিশুটি নিস্তেজ হয়ে পড়ে।হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আহমেদ তানভীর হাসান বলেন, হাসপাতালে শিশু মার্জিয়াকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি এবং নাজমা বেগমকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। তবে তার শারিরিক অবস্থা আশংকাজনক।হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক বলেন, বাস ও শিশুর মরদেহ পুলিশি হেফাজতে রয়েছে। তদন্ত করে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
৫ ঘন্টা আগে