অস্ট্রেলিয়ার সিডনিস্থ লাকেম্বা লাইব্রেরি হল মিলনায়তনে রোববার (৯ নভেম্বর) অস্ট্রেলিয়া বিএনপির আয়োজনে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে। আলোচনা সভায় বাংলাদেশ থেকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খশরু মাহমুদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।তিনি সর্বস্তরের অস্ট্রেলিয়া বিএনপির নেতা কর্মীদের জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবেসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।অস্ট্রেলিয়া বিএনপির সভাপতি এ.এফ.এম. তাওহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত সবুজ ও অস্ট্রেলিয়া বিএনপির যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মশিউর রহমান মুন্নার যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত এবং দোয়া পরিচালনা করেন অস্ট্রেলিয়া বিএনপির কোষাধ্যক্ষ মনজুরুল হক আলমগীর।অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ রাশেদুল হক। তিনি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে সব নেতাকর্মীদের বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদ সংগ্রহের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। সে সঙ্গে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রত্যেককে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করার জন্য কথা বলেন তিনি।দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানিয়েছেন মোহাম্মদ রাশেদুল হক। অনুষ্ঠানে বিশেষ বক্তা ছিলেন, অস্ট্রেলিয়া বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হায়দার আলী।আসন্ন নির্বাচনের বিএনপি নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে দলীয় কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। সম্ভব হলে বাংলাদেশে তাদের নিজ নিজ এলাকায় দলীয় কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক এই কেন্দ্রীয় সদস্য।বিশেষ বক্তা ছিলেন সিনিয়র সহসভাপতি ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক (যুগ্ম সম্পাদক পদমর্যাদা) মোহাম্মদ ফেরদৌস অমি। আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রত্যেকে দলীয় কর্মকাণ্ডে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন অস্ট্রেলিয়া বিএনপির সহ-সভাপতি সেলিম লকিয়ত, মোবারক হোসেন, মোহাম্মদ ফয়জুর চৌধুরী, ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া বিএনপির আহ্বায়ক মো. কামাল হোসেন, ভিক্টোরিয়া বিএনপির আহ্বায়ক মো. আরিফ খান, কুইন্সল্যান্ড বিএনপির আহ্বায়ক সাঈদ চৌধুরী, তাসমানিয়া বিএনপির আহ্বায়ক মাফুজুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম শফিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রদল নেতা মোহাম্মদ রিজভী আহমেদ, অস্ট্রেলিয়ার নিউক্যাসেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শাহ মিয়া শরিফ, যুবদল অস্ট্রেলিয়ার আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম, স্বেছাসেবক দল অস্ট্রেলিয়ার আহ্বায়ক মশিউর রহমান তুহিন, সদস্য সচিব জাহিদুর রহমান, যুবদল অস্ট্রেলিয়ার সদস্য সচিব ফারুক খান, জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সদস্য সচিব হাসনা হেনা, অস্ট্রেলিয়া বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক ও জিয়া সাইবার ফোর্স অস্ট্রেলিয়া মহাদেশ শাখার সদস্য সচিব মো. বাদশা বুলবুল এবং অস্ট্রেলিয়া বিএনপির সহ-ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক শাহেদুজ্জামান শাহেদ।সভাপতির ভাষণে অস্ট্রেলিয়া বিএনপির সভাপতি জনাব এ.এফ.এম. তাওহীদুল ইসলাম জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে জিয়ার ভূমিকা এবং তার দেশপ্রেম সততা, বহুমুখী কর্মময় জীবন নিয়ে আলোচনা করে সবাইকে তার অনুসরণ করার আহ্বানজানিয়েছেন। হল ভর্তি বিএনপি নেতাকর্মীদের উপস্থিতে অনুষ্ঠানটি প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে ।কুইন্সল্যান্ড বিএনপির নেতাকর্মীরা আহ্বায়ক সাইদ চৌধুরী এবং সদস্যসচিব জাহাঙ্গীর হোসেনের নেতৃত্বে ব্রিসবেনের একটি হলে সমবেত হয়ে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন। অনুরূপভাবে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার পার্থের একটি পার্কে সদস্যসচিব ফয়সাল মাহমুদের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা সমবেত হয়ে অনুষ্ঠানটি ভার্চুয়ালি উপভোগ করেন।অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অস্ট্রেলিয়া বিএনপির সহসভাপতি জনাব মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম, যুগ্ন সম্পাদক মোহাম্মদ কামরুজ্জামন, সহ-সাংগঠনিক গোলাম ফারুকী নাদিম ও আসওয়াদুল হক বাবু, দপ্তর সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান লাবু, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আবিদা সুলতানা, খাজা দাঊদ হোসান, কামরুজ্জান হওলাদার সম্রাট, মোকসেদ আলম দিপু, সারোয়ার হোসেন শিকদার, মোবারক মিয়া, মফিজুল ইসলাম সাগর, আমিনুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার রেজানুর রহমান রুপন, নুরুল হক নূর, আবু বকর সিদ্দিক, শেখ মোহাম্মদ থমাস, ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ হানিফ, মোহাম্মদ রহুল আমিন, মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, খাদিজা জামান রুপম, মোতাহের হোসেন, আব্দুল আলীম, মোহাম্মদ আলী, মোহাম্মদ মজিবুর রহমান, আবুল হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, হারুনুর রশিদ, খায়রুল আমিন, রানা শেখ, রায়হান তালুকদার, মোহাম্মদ মহসিন, মাহিরুল ইসলাম, মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান, আব্দুল মবিন প্রমুখ।ভোরের আকাশ/তা.কা
১ সপ্তাহ আগে
সংযুক্ত আরব আমিরাতের আলোচিত বিগ টিকিট লটারিতে এবার ভাগ্য খুলেছে এক প্রবাসী বাংলাদেশির। আল-আইনে রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ী এই ব্যক্তি দীর্ঘ দুই বছর ধরে নিয়মিত টিকিট কিনলেও একবারও পুরস্কার জেতেননি। তবে এবার স্ত্রীর নামে টিকিট কিনেই বাজিমাত করলেন তিনি।৪৩ বছর বয়সী এই প্রবাসী ১৬ বছর ধরে আমিরাতে বসবাস করছেন। গালফ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তার স্ত্রী ফারহানা আক্তারের নামে কেনা ০৩২১০৮ নম্বরের টিকিট ৫০ হাজার দিরহাম জিতেছে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৭ লাখ টাকা।লটারির হোস্ট রিচার্ড যখন বিজয়ের খবর জানাতে ফারহানাকে ফোন দেন, তখন ফোনটি রিসিভ করেন তার স্বামী। তিনি জানান, “আসলে টিকিটটা আমি স্ত্রীর নামে কিনেছি। ধন্যবাদ, আমি সত্যিই খুব আনন্দিত।”আল-আইনকে নিজের দ্বিতীয় বাড়ি হিসেবে অভিহিত করা এই বাংলাদেশি প্রবাসী জানান, স্ত্রীর নামে কেনা টিকিটই অবশেষে তাদের জীবনে সৌভাগ্য বয়ে এনেছে।ভোরের আকাশ // হ.র
১ মাস আগে
মালদ্বীপের হুলহুমালে শহরে ২১ বছর বয়সী এক নেপালি নারীকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় জাহাঙ্গীর মিয়া (২৫) নামে এক বাংলাদেশি যুবককে গ্রেফতার করেছে দেশটির পুলিশ।স্থানীয় গণমাধ্যম সান এমভি জানিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যায় হুলহুমালের দ্বিতীয় ফেজ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। সূত্রের বরাতে জানা যায়, ঘটনার সময় নেপালি নারী গুরুতর আহত হন এবং তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে শনাক্ত করে। পরে বাংলাদেশি যুবককে মূল অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হয় এবং সন্ধ্যায় গ্রেফতার দেখানো হয়।মালদ্বীপ পুলিশ সার্ভিস আরও জানিয়েছে, ঘটনার পুরো পরিস্থিতি নির্ধারণের জন্য মামলাটির তদন্ত এখনও সক্রিয়ভাবে চলছে।ভোরের আকাশ // হ.র
১ মাস আগে
একজন সাধারণ বাংলাদেশি কর্মীকে আবেগঘন বিদায় সংবর্ধনা দিয়ে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন বাহরাইন বিশ্ববিদ্যালয়ের (University of Bahrain) আইন অনুষদের শিক্ষার্থীরা।দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত থাকা কর্মী ইসলামের জন্য শিক্ষার্থীদের এই আয়োজন সাধারণত কোনো অধ্যাপক বা উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বিদায়ের সময় দেখা যায়।সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, হলরুমজুড়ে শিক্ষার্থীরা ইসলামকে বিদায় জানাতে ভিড় করেছেন। সারি বেঁধে দাঁড়িয়ে তারা তাকে ফুলেল অভ্যর্থনা জানান, মাথার ওপর ফুল ছিটিয়ে দেন। কারও হাতে ছিল ফুলের তোড়া, আবার কেউ এনেছিলেন তার ছবি দিয়ে সাজানো কেক।বিদায় মুহূর্তটি আরও আবেগঘন হয়ে ওঠে যখন এক শিক্ষার্থী তাকে গভীর ভালোবাসায় জড়িয়ে ধরেন এবং কপালে চুমু দেন। শিক্ষার্থীদের এমন অকুণ্ঠ ভালোবাসা দেখে ইসলামও আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন; তার চোখ ছলছল করে ওঠে।শিক্ষার্থীরা জানান, ইসলাম শুধু একজন কর্মী ছিলেন না, তিনি ছিলেন তাদের পরিবারেরই একজন। দীর্ঘদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের নানাবিধ কাজে নিবেদিত থেকে তিনি শিক্ষার্থীদের আস্থা ও ভালোবাসা অর্জন করেছেন।ভোরের আকাশ/মো.আ.
১ মাস আগে