অস্ট্রেলিয়ান জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লিবারেল পার্টির প্রার্থী জাকির আলম আনুষ্ঠানিকভাকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন। গতকাল বুধবার সিডনির রিভারউডের কনকাডি ওরো ফাংশন সেন্টারে ওয়াটসন কেন্দ্র থেকে জাঁকজমকপূর্ণ এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ওই প্রচারণার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে লিবারেল পার্টির বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা উপস্থিত ছিলেন।অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন লিবারেল পার্টির প্রবীণ নেতা অনারেবল সাংস্কৃতিক শেডো মিনিষ্টারফিলিপ রাডউক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাল্টিকাচারাল ও ইন্ডাটিয়াল ফর ওয়াক বিষয়ক শেডো মিনিষ্টারমার্ক কুউরে (এমপি) মনিকা টুডহোপ (এমপি) কাউন্সিলর জর্জ জাকিয়া এবং ইডি নাদের। আরও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন লিবারেল পার্টির ওয়াটসন শাখার সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর শাহে জামান টিটু। তিনি তার বক্তব্যে কর্মব্যস্ত দিনে এত মানুষের উপস্থিতিকে স্বাগত জানান এবং সকলকে জাকির আলমের পক্ষে কাজ করার আহ্বান জানান।অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ব্যারিস্টার উপল আমিন। প্রধান অতিথি ফিলিপ রাডউক তার বক্তব্যে বলেন, জাকির একজন কর্মঠ এবং প্রতিশ্রুতিশীল নেতা। তিনি ওয়াটসনকে একটি আধুনিক ও পরিকল্পিত এলাকা হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হবেন।বিশেষ অতিথি এমপি মার্ক কুউরে বলেন, জাকির ওয়াটসনের সামাজিক কর্মকাণ্ডে সবসময় সক্রিয়। তিনি এখানকার মানুষের সঙ্গে নিবিড়ভাবে যুক্ত। তাই লিবারেল পার্টি আশাবাদী, এখানকার ভোটাররা তাকেই নির্বাচিত করবেন।এমপি মনিকা টুডহোপ বলেন, লেবার পার্টির ব্যর্থতার কারণে জনগণ এইবার পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত। আমরা বিশ্বাস করি, জাকির ওয়াটসন থেকে জয়ী হবেন।নিজের বক্তব্যে জাকির আলম বলেন, ওয়াটসন দীর্ঘদিন ধরে লেবার পার্টির দখলে থাকলেও এখানে তেমন উন্নয়ন হয়নি। এলাকাটি আজও অপরিকল্পিত ও অবহেলিত। আমি একটি আধুনিক ও সমন্বিত ওয়াটসন গড়ার লক্ষ্যে কাজ করতে চাই। তিনি কমিউনিটির সকলের প্রতি ভোট দিয়ে তাকে বিজয়ী করার আহ্বান জানান।অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন কাউন্সিলর জর্জ জাকিয়া, ইডি নাদেরসহ অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তি। অতিথিদের মধ্যে ছিলেন সাবেক কাউন্সিলর সাজেদা আক্তার সানজিদা, সোহেল মাহমুদ, আরিফুল হক, মোসলে উদ্দিন আরিফ, আশরাফুল আলম রনি, সোলেমান দেওয়ান, ইঞ্জিনিয়ার ইলিয়াছ হোসেন, ডা. সাখাওয়াত, মাসুম নোমান, সাবিনা ভূঁইয়া, মাহফুজুল, তাহমিনা বিনা, মোবাশ্বের মিকন, ফয়েজ, লিয়াকত আলী, মিতা কাদেরী, তিশা তানিয়া, আমিনুল হক (সিএ), হাছান মামুন, আজিজুর রহমান, লাভু, সামাদ শিবলু ও রাসেল মালিকসহ সোসাইটির আরও অনেকে। অনুষ্ঠানে গান পরিবেশ করেন মাষ্টার সামিন ইয়াসির।জাকির আলম একমাত্র বাংলাদেশি হিসেবে অস্টেলিয়ার জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। বহু প্রতিভার অধিকারী জাকির আলমের জন্ম জন্ম ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়।ভোরের আকাশ/এসএইচ
১২ ঘন্টা আগে
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্ব বাংলাদেশের সমৃদ্ধি বয়ে আনবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহামেদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান।বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদের পরিচয়পত্র দেশটির প্রেসিডেন্টের কাছে পেশ করা হয়। এ সময় শেখ মোহামেদ এ কথা বলেন।এ সময় উভয় দেশের জনগণের জন্য শান্তি কামনাসহ আমিরাতের রাষ্ট্রপতি শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্ব বাংলাদেশের জন্য সমৃদ্ধি বয়ে আনবে। রাষ্ট্রদূত তারেক আহমদ বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষ থেকে আমিরাতের রাষ্ট্রপতিকে শুভেচ্ছা জানান। আমিরাতের রাষ্ট্রপতিও বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের প্রতি তার উষ্ণ শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জন্য শুভ কামনা পৌঁছে দেওয়ার অনুরোধ জানান দেশটির প্রেসিডেন্ট।এ সময় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্রও পেশ করা হয়। পরিচয়পত্র পেশ করার পর রাষ্ট্রদূত তারেক আহমদ আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন।এক সংক্ষিপ্ত মতবিনিময়ের সুযোগে দেশটিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি সদয় অনুভূতির জন্য রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
৬ দিন আগে
এবারের অস্ট্রেলিয়ান জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লিবারেল পার্টির প্রার্থী হিসেবে জাকির আলম লেনিন নিউ সাউথ ওয়েলস এর ওয়াটসন আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিনি একমাত্র বাংলাদেশি হিসেবে এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। বহু প্রতিভার অধিকারী লেলিন সততা, অভিজ্ঞতা এবং সমাজের প্রতি দায়িত্ববোধ থেকেই একটি উন্নত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনে অবদান রাখতে বাংলাদেশি কমিউনিটি ও অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকদের দোয়া ও সমর্থন চেয়েছেন।জাকির আলম লেনিনের জন্ম ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। তার দাদা মাজহারুল আলম ভূঁইয়া ছিলেন জমিদার। পিতা মোতাহের আলম ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের একজন। জাকির আলম লেলিন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সরকার ও রাজনীতি বিভাগে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনেই তিনি ছাত্ররাজনীতিতে সক্রিয় হন এবং জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের জাহাঙ্গীরনগর শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ১৯৯৬ সালের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবে নেতৃত্ব প্রদান করেন।ছাত্রজীবনে তিনি ছিলেন একজন প্রতিভাবান ক্রীড়াবিদ। ফুটবল, ক্রিকেট ও লন টেনিসে তাঁর পারদর্শিতা তাঁকে জেলা ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পরিচিত করে তোলে। পেশাগত জীবনে তাঁর সূচনা ঘটে বাংলাদেশের বহুজাতিক চা কোম্পানি জেমস ফিনলে-তে সহকারী ব্যবস্থাপক হিসেবে।২০০৫ সালে তিনি অস্ট্রেলিয়ায় অভিবাসন করেন এবং সেখানে বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন-এ ডিপ্লোমা এবং অ্যাকাউন্টিংয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি রিয়েল এস্টেট এবং ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ব্যবসায় নিয়োজিত এবং এ বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক সার্টিফিকেট অর্জন করেছেন।অস্ট্রেলিয়ায় তিনি বাংলাদেশি কমিউনিটির অন্যতম সংগঠন জিয়া ফোরাম অস্ট্রেলিয়া-এর সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কোভিড-১৯ মহামারির সময় উল্লেখযোগ্য সামাজিক দায়িত্ব পালনের স্বীকৃতি হিসেবে তাঁর সংগঠন Covid Hero Award অর্জন করে।লিবারেল পার্টির একজন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সদস্য হিসেবে তাঁর মূল লক্ষ্য হচ্ছে বহুসাংস্কৃতিক সমাজের উন্নয়ন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসার প্রসার, এবং সমাজের প্রত্যেক শ্রেণির অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। ওয়াটসন আসনের জনগণের জন্য তিনি একটি শক্তিশালী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক কণ্ঠস্বর হতে চান।উল্লেখ্য, আগামী ৩ মে অস্ট্রেলিয়ায় জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
১ সপ্তাহ আগে
জুলাই আন্দোলনের সময় সৌদি আরবে গ্রেপ্তার ১০ প্রবাসী দীর্ঘ ৮ মাস কারাগারে বন্দিদশার পর দেশে ফিরেছেন। বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে সৌদি এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তারা।গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হলে আনন্দ ও প্রীতিভোজের আয়োজন করে সৌদি আরবে অবস্থানরত বাংলাদেশিরা। সেখান থেকে ১২ জনকে আটক করে সৌদি কর্তৃপক্ষ।এরপর দীর্ঘ ৮ মাস কারাগারে বন্দিদশার পর ১০ জন দেশে ফিরলেন। পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হওয়াসহ কাগজপত্রে কিছু জটিলতা থাকায় পরবর্তীতে ফিরবেন বাকি দুজন।দেশে ফেরত প্রবাসীরা বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার এবং সবার সহযোগিতায় অনিশ্চিত পরিস্থিতি থেকে তারা মুক্ত হয়েছেন। সৌদি দূতাবাস থেকে যোগাযোগের ঘাটতি ছিলো বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।ভোরের আকাশ/এসএইচ
১ সপ্তাহ আগে