নানা আয়োজনে পালিত হয়েছে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বুদ্ধপূর্ণিমা। গতকাল রোববার রাজধানীর বৌদ্ধ বিহারগুলোতে শান্তি শোভাযাত্রা, প্রদীপ প্রজ¦লন, সমবেত প্রার্থনা ও ধর্মীয় আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে দিনটি।আড়াই হাজার বছর আগে নেপালের কপিলাবস্তু রাজ্যের লুম্বিনি কাননে রাজা শুদ্ধধনের স্ত্রী মহামায়ার গর্ভে জন্ম গ্রহণ করেন মহামতি গৌতম বুদ্ধ। এরপর বুদ্ধগয়ার বোধিবৃক্ষের নিচে দীর্ঘ ছয় বছর কঠোর সাধনার মধ্য দিয়ে পঁয়ত্রিশ বছর বয়সে বুদ্ধত্ব লাভ করেন তিনি। আশি বছর বয়সে একই দিনে শুভ বৈশাখী পূর্ণিমা তিথিতেই মহাপরিনির্বাণ বা দেহত্যাগ করেন গৌতম বুদ্ধ। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে আত্মাকে পরিশুদ্ধ করার পবিত্র দিন এটি। রাজধানীর বাসাবোতে ধর্মরাজিক মহাবিহারে সমবেত ভক্তরা সকল প্রাণীর কল্যাণ কামনায় প্রার্থনার মধ্য দিয়ে গৌতম বুদ্ধের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। বুদ্ধ পূজা, পিন্ডদান, পঞ্চশীল, অষ্টশীল গ্রহণ, ধর্মশ্রবণ ও দান দক্ষিণাসহ নানা আয়োজন ছিল ধর্মরাজিক বৌদ্ধবিহারে।এদিকে, রাজধানীর বাসাবোর বুদ্ধপূর্ণিমার অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের যেকোনো উৎসবে পাশে থাকার কথা জানান ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদ ও বিশৃঙ্খলার বিপক্ষে তার দেশ। জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক’ এই অহিংস বাণীর প্রচারক গৌতম বুদ্ধের শুভ জন্ম, বোধিজ্ঞান আর মহাপরিনির্বাণ- এই স্মৃতিবিজড়িত দিনটিকে বুদ্ধপূর্ণিমা হিসেবে পালন করেন বুদ্ধভক্তরা।ভোরের আকাশ/এসএইচ
জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম বলেছেন, "বর্তমান সংকটকালে বিভেদ আমাদের সর্বনাশ ডেকে আনবে এবং গণহত্যাকারীদের আরও শক্তিশালী করে তুলবে।" মঙ্গলবার (১৩ মে) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।সারজিস আলম বলেন, “খুনি সন্ত্রাসী লীগ নিষিদ্ধের মতো একটি ঐতিহাসিক ঘটনার পর আমাদের উচিত সিসাঢালা প্রাচীরের মতো ঐক্য গড়ে তোলা। এই মুহূর্তে আমাদের মধ্যে যে কোনো ধরনের বিভেদ কেবল শত্রুপক্ষকে সুযোগ করে দেবে এবং আমাদের দাবির বাস্তবায়ন ব্যাহত করবে।”তিনি আরও লিখেছেন, “আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে ছিলাম বলেই গোপন আওয়ামীপন্থিরা আমাদের বাধা দেওয়ার সাহস পায়নি। তবে তাদের ষড়যন্ত্র এখনও থেমে নেই। আমাদের দাবি আংশিক বাস্তবায়িত হলেও পূর্ণ বাস্তবায়নের আগে যে কোনো বিভক্তি আমাদের আন্দোলনকে দুর্বল করে দেবে।”জুলাই মাসকে সামনে রেখে ঐক্যের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, “জাতীয় ঐক্যের এই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে কোনো ব্যক্তিগত বা গোষ্ঠীগত হিসাব-নিকাশ যেন আমাদের ঐক্য বিনষ্ট না করে।”সারজিস আলম আরও বলেন, “এই সময়টা অস্তিত্বের লড়াইয়ের সময়। কোনো ব্যক্তিগত বা রাজনৈতিক স্বার্থ যেন এর চেয়ে বেশি গুরুত্ব না পায়। অন্যথায় ইতিহাস এবং জনতার আদালতে দায়ী হিসেবে সেই নামগুলো চিহ্নিত হয়ে থাকবে।”ভোরের আকাশ/হ.র
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা পৌরসভার পুরাতন বাজার এলাকায় বড় পরিসরের উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে। ফুটপাতে গড়ে ওঠা প্রায় দুই শতাধিক দোকানপাট উচ্ছেদ করেন স্থানীয় প্রশাসন। মঙ্গলবার (১৩ মে) দুপুরে অভিযান পরিচালনা করেন কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছামিউল ইসলাম। এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতিকুর রহমান নাহিদ, কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ মো.আব্দুল কাদের এবং সেনা সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে হঠাৎ উচ্ছেদ হওয়ায় ফুটপাতের দোকানদারগণ ক্ষোভ জানিয়েছেন। আয়ের পথ বন্ধ হওয়ায় পরিবার- পরিজন নিয়ে চরম বিপাকে পড়বে বলে জানিয়েছেন তারা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জনসাধারণের চলাচলের সুবিধার্থে এবং পৌরসভার শৃঙ্খলা রক্ষার্থে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। স্থানীয় মানুষজন চলাচলের জন্য ফুটপাত উচ্ছেদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। ভোরের আকাশ/আমর
রাজবাড়ী সদর উপজেলার ১৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়ে খানখানাপুর সুরাজ মোহিনী স্কুল অ্যান্ড কলেজে অনুষ্ঠিত হলো এক মতবিনিময় সভা।মঙ্গলবার (১৩ মে) দুপুরে অনুষ্ঠিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রতিষ্ঠানটির গভর্নিং বোর্ডের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহ-সভাপতি, রাজবাড়ী জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক অ্যাড. মো. আসলাম মিয়া। এ বছরের এসএসসি পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর শিক্ষকদের সঙ্গে আয়োজিত এই মতবিনিময় সভায় শিক্ষার মানোন্নয়ন, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং শিক্ষকদের ভূমিকা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন খানখানাপুর সুরাজ মোহিনী স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক মুন্সি আব্দুল।সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজবাড়ী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাড. লিয়াকত আলী বাবু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পৌর বিএনপির সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবুল হোসেন গাজী, সদস্য সচিব মুজিবুর রহমান।এছাড়াও সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান লিখন, বর্তমান আহ্বায়ক মো. আব্দুল মালেক খান, জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম রোমান, গোয়ালন্দ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোশারফ আহমেদ, এবং অন্যান্য স্থানীয় নেতারা।সভায় বক্তারা বলেন, শিক্ষার মান উন্নয়নে শিক্ষকদের সক্রিয় ভূমিকা অপরিহার্য।অ্যাড. আসলাম মিয়া বলেন, বিদ্যালয়ে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে দ্রুত সময়ের মধ্যে দুটি জেনারেটর দেওয়া হবে।তিনি আরও বলেন, স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য আমরা সব সময় পাশে থাকব।তিনি বলেন, রাজবাড়ী-১ আসনের জনগণের সেবায় কাজ করতে চাই। আপনাদের দোয়া ও সহযোগিতা নিয়ে সামনের নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে অংশ নেওয়ার আশা রাখি। ভোরের আকাশ/আমর
নওগাঁর মান্দা উপজেলার প্রসাদপুর খাদ্যগুদামে সরকার নির্ধারিত ধান ও চাল সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে।মঙ্গলবার (১৩ মে) দুপুরে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহ আলম মিয়া। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক সাবরিন মুস্তারি, নওগাঁ জেলা চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চকদার ও প্রসাদপুর খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমরান আহমেদ।সংশ্লিষ্ট সূত্র জানা গেছে, এ বছর প্রসাদপুর খাদ্যগুদামে ১৪০৯ মেট্রিকটন ধান ও ৩২০ মেট্রিকটন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকার নির্ধারিত দামে প্রতিকেজি ধান ৩৬ টাকা ও প্রতিকেজি চাল ৪৯ টাকা দরে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে কেনা হবে।এ প্রসঙ্গে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ইউএনও শাহ আলম মিয়া বলেন,‘সরকার কৃষকের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে ধান ও চাল সংগ্রহ করছে। এই কার্যক্রমে কোনো ধরণের দুর্নীতি ও অনিয়ম সহ্য করা হবে না।’ ভোরের আকাশ/এসআই
মাদারীপুরে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের রাজৈর উপজেলায় বাস-মাইক্রোবাসের ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় আহত হয়েছেন অন্তত পাঁচজন।মঙ্গলবার (১৩ মে) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার বৌলগ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় মহাসড়কে প্রায় একঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুপুরে রাজৈরের টেকেরহাট থেকে মাদারীপুরের উদ্দেশে ছেড়ে আসে একটি লোকাল পরিবহনের বাস। রাজৈরের বৌলগ্রাম এলাকায় এলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মাইক্রোবাসের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসের সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে যায়। আহত হন অন্তত পাঁচজন।তারা আরও জানায়, আহতদের উদ্ধার করে রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে আহতদের মধ্যে দুজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পাঠানো হয়েছে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস।মাদারীপুরের রাজৈর থানার ওসি মো. মাসুদ খান বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে থানা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। দুর্ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় যান চলাচল কিছু সময় বন্ধ থাকলেও পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। ভোরের আকাশ/এসআই
দেশের স্বর্ণবাজারে আবারও দাম বাড়ানো হয়েছে। এবার ভরিপ্রতি ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৫৬৩ টাকা বাড়িয়ে নতুন দর নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৬৯ হাজার ১৮৬ টাকা।মঙ্গলবার (১৩ মে) রাতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য জানিয়েছে।বাজুস জানিয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণ বা পিওর গোল্ডের দাম বেড়ে যাওয়ায় এই মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন দর আগামীকাল বুধবার (১৪ মে) থেকে কার্যকর হবে।স্বর্ণের নতুন মূল্য (প্রতি ভরি):২২ ক্যারেট: ১,৬৯,১৮৬ টাকা,২১ ক্যারেট: ১,৬১,৫০০ টাকা,১৮ ক্যারেট: ১,৩৮,৪২৮ টাকা,সনাতন পদ্ধতি: ১,১৪,৪৩৬ টাকা ।বাজুস জানিয়েছে, এই দামের সঙ্গে সরকার নির্ধারিত ৫% মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) এবং বাজুস নির্ধারিত ন্যূনতম ৬% মজুরি যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরি ভিন্ন হতে পারে।উল্লেখ্য, এর আগে গত ১২ মে ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম কমিয়ে ১ লাখ ৬৭ হাজার ৬৮০ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। মাত্র একদিনের ব্যবধানে আবার দাম বাড়ানো হলো, যা বাজারে অস্থিরতা বাড়াতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। ভোরের আকাশ/হ.র
নতুন অর্থবছরের বাজেটে অত্যন্ত বাস্তবভিত্তিক বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) নেওয়া হবে বলে উল্লেখ অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ব্যাংক থেকে ধার করে, টাকা ছাপিয়ে বাজেট বাস্তবায়ন করবো না। ধার করে বড় বড় মেগাপ্রকল্প করবো না।মঙ্গলবার (১৩ মে) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। অর্থ উপদেষ্টার সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।অর্থ উপদেষ্টা আরও বলেন, মোটামুটি বাজেটটা আমরা বাস্তবায়ন করবো, বিরাট একটা গ্যাপ নিয়ে করবো না। প্রকল্প, এডিপি বাস্তবায়ন করবো অত্যন্ত বাস্তবভিত্তিতে। বড় বড় মেগা প্রজেক্ট নিয়ে, ধার করে ডেফিসিট দিয়ে এগুলো করবো না। ব্যাংক থেকে ধার করে, টাকা ছাপিয়ে বাজেট বাস্তবায়ন করবো না। কিছুটা তো ডেফিসিট (ঘাটতি) থাকবে। সেটা পূরণ করতে আমি নেগোশিয়েট করছি, আমরা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ), বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে প্রজেক্টের ব্যাপারে কথা বলছি, সেটা মোটামুটি এখন সাকসেসফুল।জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বিভক্ত করায় রাজস্ব আদায়ে কোনো প্রভাব পড়বে কি না? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, রাজস্ব আদায়ে কোনো প্রভাব পড়বে না। এ পর্যন্ত এরই মধ্যে রাজস্ব আদায় গতবারের তুলনায় ২ শতাংশ বেশি হয়েছে। খুব হতাশাব্যঞ্জক না, আমি আরও আশা করছি। অ্যাটলিস্ট গতবারের তুলনায় কম হবে না।রাজস্ব বোর্ড বিভক্ত করা নিয়ে ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, সব দেশেই এটি আলাদা থাকে। কারণ পলিসি ডিভিশনটা প্রফেশনাল লোক দিয়ে কাজ করতে হয়ে। অর্থনীতি, পরিসংখ্যান, দেশের জিডিপি এগুলো সম্পর্কে ধারণা থাকতে হয়। আর এনবিআর করবে এটা ইমপ্লিমেন্ট। এখন এনবিআর যদি পলিসিও করে, মানে যাদের কাজ কেবল আদায় করা এটা একটা কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট থাকে। আমি পলিসি করলাম, আমি আবার লোক দিয়ে আদায় করলাম।ক্রয় কমিটির বৈঠক নিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আমাদের তেলের একটু ঘাটতি আছে। আমরা রাইস ব্রান অয়েল আনার বিষয়ে কথা বলেছি। বেশির ভাগ প্রস্তাব পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের, ছয়টি প্রজেক্ট। বাকিগুলো খাদ্য গুদাম নিয়ে। আর এলএনজি আনার বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়েছে।ভোরের আকাশ/আজাসা
রপ্তানির আড়ালে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা অর্থ পাচার করেছে তৈরি পোশাক খাতের প্রতিষ্ঠান ফ্যাশন কমফোর্ট লিমিটেড। কোটি টাকা অর্থ পাচারে সহযোগিতার দায়ে ইসলামী ধারার এক্সিম ব্যাংককে জরিমানা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। জরিমানার অর্থ পরিশোধে ব্যাংকটি এগিয়ে না আসায় বাংলাদেশ ব্যাংকে রক্ষিত রিজার্ভ একাউন্ট থেকে টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা পরিদর্শন বিভাগ এক বিশেষ পরিদর্শনে এক্সিম ব্যাংকের মতিঝিল শাখার মাধ্যমে অর্থ পাচারের বিষয়টি সম্প্রতি উদ্ঘাটন করেছে। তবে প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হলেও ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানা যায়নি।পরিদর্শন প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এক্সিম ব্যাংকের মতিঝিল শাখার মাধ্যমে ২০১৯ সাল থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ফ্যাশন কমফোর্ট লিমিটেড ৪৬টি বিক্রয় চুক্তির আওতায় ১৬১টি রপ্তানি কার্যক্রম চালিয়েছে। এই সময়ে জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের কাছে ২৮ লাখ ২৯ হাজার মার্কিন ডলার মূল্যের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে।এসব রপ্তানিতে প্রতি ইউনিট তৈরি পোশাকের দাম দেখানো হয়েছে ২৮ থেকে ৭৮ টাকা। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুসন্ধানে বেড়িয়ে আসে, এসব পোশাকের দাম ছিল প্রদর্শিত মূল্যের চেয়ে ১০ থেকে ১২ গুণ বেশি। এই রপ্তানিগুলোর মাধ্যমে ৩ কোটি ৪০ ডলার দেশে আসার কথা থাকলেও এসেছে মাত্র ২৮ লাখ ২৯ হাজার ডলার। পণ্যের দাম কম দেখিয়ে ফ্যাশন কমফোর্ট লিমিটেড পাচার করেছে প্রায় ৩ কোটি ১২ লাখ ডলার।বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৩শ ৮১ কোটি টাকা। শুধু রপ্তানি মূল্য কম দেখিয়েই নয়, রপ্তানি পণ্যের ওজন বেশি দেখিয়েও (ওভার শিপমেন্ট) তৈরি পোশাকের সঙ্গে অন্য কোনো পণ্য রপ্তানি করেছে ফ্যাশন কমফোর্ট। বৈদেশিক মুদ্রা পরিদর্শন বিভাগের প্রতিবেদন বলছে, রপ্তানির সময় প্রতিটি গার্মেন্টস পণ্যের ওজন ৯৮০ গ্রাম দেখিয়েছে পাচারকারী প্রতিষ্ঠানটি।কিন্তু সরেজমিন এসব পণ্যের ওজন ৩ থেকে ৪ গুণ কম পেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শক দল। অর্থাৎ, একটি পণ্যের বিপরীতে আরও তিন থেকে চারটি পণ্য বেশি রপ্তানি করেছে ফ্যাশন কমফোর্ট। এই হিসাবে রপ্তানির আড়ালে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে ফ্যাশন কমফোর্ট লিমিটেড।রপ্তানির আড়ালে বিপুল অংকের অর্থ পাচারের বিষয়টি এক্সিম ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ) অবহিত করেনি বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। এ কারণে এক্সিম ব্যাংককে চলতি বছরের ১৮ মার্চ দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছে বৈদেশিক মুদ্রা পরিদর্শন বিভাগ।জরিমানার অর্থ জমা দেওয়ার জন্য ওইদিন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে চিঠি দেওয়া হলেও এক মাসেও উত্তর দেয়নি এক্সিম ব্যাংক। এর প্রেক্ষিতে গত ১৮ এপ্রিল ব্যাংকটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সংরক্ষিত রিজার্ভ একাউন্ট থেকে জরিমানার অর্থ কেটে নিয়েছে।অর্থ পাচারে সহায়তাকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা জানতে এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম স্বপন ও অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আখতার হোসাইনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তাদেরকে একাধিকবার ফোন ও ক্ষুদে বার্তা দেওয়া হলেও তারা সাড়া দেননি।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধাবস্থার কারণে অনিশ্চয়তায় পড়েছে বাংলাদেশের পাকিস্তান সফর। তবে পরিস্থিতি সামাল দিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) নতুন করে সূচি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি)। পূর্বঘোষিত ২১ মে থেকে সিরিজ শুরুর কথা থাকলেও এখন সেটা সম্ভব হচ্ছে না।পিসিবির পাঠানো নতুন প্রস্তাবনায় সিরিজ শুরু হবে ২৭ মে। এরপর বাকি ম্যাচগুলো হবে ২৯ মে, ১ জুন, ৩ জুন এবং ৫ জুন। ভেন্যু হিসেবে ফয়সালাবাদ ও লাহোর রাখা হলেও বিকল্প হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে রাওয়ালপিন্ডিকেও।পিএসএলের স্থগিত ৮টি ম্যাচ পুনরায় আয়োজনের কারণে বদলেছে এই সূচি। ১৭ মে শুরু হয়ে ২৫ মে পর্যন্ত চলবে পাকিস্তান সুপার লিগ। পূর্বের পরিকল্পনা অনুযায়ী ২৫ মে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজ মাঠে গড়ানোর কথা ছিল, যা এখন আর সম্ভব নয়।এদিকে পাকিস্তানি ক্রীড়া সাংবাদিক সানাউল্লাহ জানিয়েছেন, “পাকিস্তানের বর্তমান অবস্থা স্বাভাবিক। বাংলাদেশ দলকে রাজকীয়ভাবে অভ্যর্থনা জানানো হবে।” তিনি আরও যোগ করেন, “পাকিস্তানের মানুষ বাংলাদেশকে সম্মান করে, তারা যেন নিজেদের ঘরের মাঠেই খেলছে—এমন অনুভব হবে টাইগারদের।”তবে বিসিবির সামনে এখনো কিছু বড় প্রশ্নের উত্তর মেলেনি। প্রথমত, নিরাপত্তা নিয়ে কোনো ছাড় দিতে রাজি নয় বিসিবি। দ্বিতীয়ত, পাকিস্তান সফরের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সরকার ও বিসিবির যৌথ আলোচনা শেষে। ফলে অপেক্ষা করতে হবে আরও কয়েকদিন।নাহিদ রানা ও রিশাদ হোসেনের অনাপত্তিপত্র নিয়েও বিসিবিকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, যদিও তাদের আবার পিএসএল খেলার সম্ভাবনা ক্ষীণ।এদিকে পাকিস্তান সফরের আগে ১৭ ও ১৯ মে আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। পাকিস্তান সফর চূড়ান্ত হলে দুবাইয়ে ২৪ মে পর্যন্ত অনুশীলন ক্যাম্প করবে লিটন দাসের নেতৃত্বাধীন দল। ভোরের আকাশ/হ.র
বহুল আলোচিত রাজধানীর রমনার বটমূলে ২০০১ সালের পহেলা বৈশাখে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাত আসামির সাজা কমিয়ে রায় ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। এই সাত আসামির সাজা কমিয়ে একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং বাকি ছয়জনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত চার আসামির মধ্যে একজনের দণ্ড বহাল এবং তিন জনের সাজা কমিয়ে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে এই মামলায় দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৯ জনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিলেন হাইকোর্ট।মঙ্গলবার (১৩ মে) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন। নিম্ন আদালত থেকে পাঠানো ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) ও কারাবন্দি আসামিদের করা আপিলের ওপর শুনানি শেষে এই রায় দেওয়া হলো। নিম্ন আদালত ৮ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিলেও একজনের ফাঁসি আগেই কার্যকর হওয়ায় সাতজনের বিষয়ে রায় দিয়েছেন। আর নিম্ন আদালত ৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিলেও বিচারকালে দুইজন মৃত্যুবরণ করায় ৪ জনের বিষয়ে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।গত ৮ মে এই মামলায় রায় ঘোষণা শুরু করেন হাইকোর্ট বেঞ্চ। ওইদিন রায় ঘোষণা অসমাপ্ত থাকায় বাকি রায় ঘোষণার জন্য ১৩ মে পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়। মঙ্গলবার নির্ধারিত দিনে মূল রায় দেওয়া হয়। আদালতে আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট এস এম শাহজাহান, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির, সরওয়ার আহমেদ ও যায়েদ বিন আমজাদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আক্তার ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসিফ ইমরান। হাইকোর্ট সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুর ভাই মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মাওলানা মো. তাজউদ্দিনের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। আর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মাওলানা আকবর হোসেন, মাওলানা আরিফ হাসান সুমন, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, মাওলানা আবু বকর ওরফে হাফেজ সেলিম হাওলাদার, আবদুল হাই ও শফিকুর রহমানের সাজা কমিয়ে তাদের প্রত্যেককে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এই মামলায় মামলার প্রধান আসামি মুফতি হান্নানের ফাঁসি সিলেটের একটি মামলায় (ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা মামলা) ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল রাতে কার্যকর হওয়ায় এই মামলায় হাইকোর্টে তার আর বিচার হয়নি। আর নিম্ন আদালতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে শাহাদাত উল্লাহ জুয়েলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রাখা হয়েছে। আর মাওলানা সাব্বির ওরফে আব্দুল হান্নান সাব্বির, মাওলানা শওকত ওসমান ওরফে শেখ ফরিদ ও হাফেজ মাওলানা আবু তাহেরের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড কমিয়ে তাদের প্রত্যেককে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। নিম্ন আদালতে মাওলানা আব্দুর রউফ ও মাওলানা ইয়াহিয়া কারাবন্দি অবস্থায় মৃত্যুবরণ করায় হাইকোর্টে তাদের বিচার হয়নি। চব্বিশ বছর আগে ২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলায় ১০ জন নিহত হয়। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ২৯ নভেম্বর মুফতি হান্নানসহ ১৪ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। একইবছরের ১৬ এপ্রিল অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার শুরু হয়। মামলায় বিচার শেষে ২০১৪ সালের ২৩ জুন ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত রায় দেন। রায়ে মুফতি হান্নানসহ আটজনকে মৃত্যুদণ্ড ও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একইবছরের ২৬ জুন ফাঁসির রায় অনুমোদনের জন্য ঢাকার আদালত থেকে হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স পাঠানো হয়। কারাবন্দি আসামিরাও আপিল করেন। এরপর প্রধান বিচারপতির নির্দেশে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পেপারবুক প্রস্তুত করা হয়। এরপর শুনানির জন্য কার্যতালিকায় আসে। মামলাটিতে ২০১৬ সালের ৭ এপ্রিল বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়। এ আদালতে মামলাটি যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের পর্যায়ে থাকলে আদালতের এখতিয়ার পরিবর্তন হওয়ায় মামলাটির শুনানি বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে মামলাটি হাইকোর্টের আরো কয়েকটি বেঞ্চের কার্যতালিকায় থাকলেও আদালতের এখতিয়ার পরিবর্তন, বেঞ্চের বিচারক পরিবর্তন হওয়ায় এবং করোনা ভাইরাসের সংক্রমনের প্রেক্ষাপটে আর শুনানি হয়নি। শেষ পর্যন্ত গত বছর ৮ ডিসেম্বর বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়। আর ১৮ ফেব্রুয়ারি শুনানি সম্পন্ন হয়। এদিন হাইকোর্ট মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন। এরপর ৩০ এপ্রিল বিষয়টি আদেশের জন্য আদালতের কার্যতালিকায় ওঠে। সেদিন আদালত রায়ের জন্য ৮ মে দিন নির্ধারণ করেন। সে অনুসারে নির্ধারিত দিনে ৮ মে রায় ঘোষণা শুরু হয়। ভোরের আকাশ/ আমর
তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে সারাদেশ। জনজীবন একদম অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেছে। কোথাও যেন একটু স্বস্তি নেই। এরই মধ্যে ঘুমাতে গেলে বারবার ঘুম ভেঙে যায়। গরমে বারবার ঘুম ভেঙে যাওয়া, ঘুম না আসা এখনকার নিত্যদিনের দুর্ভোগ। কিন্তু শরীর যেন নিদ্রাহীনতার কোনো অজুহাতই মানে না! যতই গরম পড়ুক না কেন, নির্দিষ্ট মাত্রার ঘুম আমাদের লাগবেই।কোন দিবানিদ্রা নয়: গরম আবহাওয়ায় দিনের বেলা এমনিতেই সব সময়ই কেমন যেন আলসেমি ভাব থাকে। এর কারণ হচ্ছে, দেহের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা ঠিক রাখতেই আমাদের বেশি শক্তি খরচ করতে হয়। কিন্তু রাতের বেলা যদি ভালোভাবে ঘুম না হয় তাহলে দিনের বেলা মোটেও একটু ঘুমিয়ে নেয়ার কথা ভাবা যাবে না। গরম আবহাওয়ায় বেশি সময় ধরে ঘুম হয় না। বরং ওই সময়টুকু রাতের জন্য রেখে দেয়াটাই ভালো।সময়: গরম আবহাওয়ার কারণে প্রতিদিনের অভ্যাসে বদলের প্রবণতা তৈরি হতে পারে। তবে এটা করা যাবে না। কারণ দৈনন্দিন অভ্যাস বদলালে সেটি ঘুমে সমস্যা তৈরি করতে পারে। আর সেজন্যই নিয়মিত সময়ে ঘুমাতে যেতে হবে। আর ঘুমাতে যাওয়ার আগে যে কাজগুলো আপনি করে অভ্যস্ত সেগুলো নিয়ম করেই করতে হবে।শীতল পরিবেশ তৈরি করা: এই গরমে স্বস্তিদায়ক ঘুমের জন্য ঘর ঠান্ডা বেশ জরুরি। ঘর ঠান্ডা করার বিভিন্ন কৌশল প্রয়োগ করতে হবে। তা সে এয়ারকন্ডিশনার হোক বা এয়ার কুলার, অথবা ফ্যান। বিদ্যুৎ খরচের কথা মাথায় রেখে শীতাতপ নিয়ন্ত্রক যন্ত্রের ব্যবহার করতে হবে। ঘুমানোর কিছুক্ষণ আগে প্রয়োজন অনুযায়ী ঘরে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে।ফ্যানের ব্যবহার: এসি বা এয়ারকুলার সাধ্যের বাইরে হলে ফ্যানের ব্যবহারেই ঘর ঠান্ডা করতে হবে। সিলিং ফ্যানের পাশাপাশি টেবিল বা স্ট্যান্ড ফ্যান রাখলে তাপমাত্রা আরও একটু কমতে পারে। সঙ্গে যদি টেবিল বা স্ট্যান্ড ফ্যানের সামনে ভেজা কাপড় ঝুলিয়ে দেওয়া যায়, তা হলে সেটি খানিক কুলারের কাজ করবে।পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খাওয়া: ঘর ঠান্ডার পাশাপাশি শরীর ঠান্ডা রাখাও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। গরমে প্রবল ঘামের কারণে শরীর থেকে পানি বেরিয়ে যেতে থাকে। তাই রাতে ঘুমোনোর সময়ে হাতের কাছে পানির বোতল রাখবেন। যাতে বেরিয়ে যাওয়া পানির ঘাটতি পূরণ করতে বেশি খাটতে না হয়। ঘন ঘন পানি না খেলে শরীর শুষ্ক হয়ে গিয়ে অন্য সমস্যা দেখা দেয়।আরামদায়ক কাপড় বেছে নিন: রাতে ঘুমাতে যাওয়ার সময় চেষ্টা করুন হালকা কাপড় পরতে। এতে শরীরে অতিরিক্ত গরম অনুভূত হবে না, ফলে ঘামও কম তৈরি হবে। এছাড়াও বিছানার চাদর হিসেবে বেছে নিন হালকা রঙের সুতির চাদর। এ ধরনের চাদরে আলো সহজে প্রতিফলিত হয় বলে তাপ ধরে রাখে না। তাই ঘুমের সময়ও আরাম দেয়।বিছানা: বিছানায় ঘুমানোর জিনিসপত্র যেমন অতিরিক্ত বালিশ, কাঁথা এগুলো যতটা সম্ভব কমিয়ে আনতে হবে। পাতলা সুতি কাপড় বিছানার চাদর হিসেবে ব্যবহার করলে তা শরীরের ঘাম দ্রুত শুষে নেয়। তবে গরমে ঘরের পরিবেশ গরম থাকলে মানুষের শরীরের তাপমাত্রা নিচে নেমে যায়। যার কারণে মাঝে মাঝে শীত লাগতে পারে। সে ক্ষেত্রে পাতলা কাঁথা রাখা যেতে পারে।ঘরের আলো কমিয়ে নেওয়া: গ্রীষ্মে ঘরে যত কম সূর্যের আলো প্রবেশ করানো যায়, ততই ভালো। যে কারণে চেষ্টা করবেন দিনের শুরুতেই ঘরের পর্দা টেনে দিতে। এছাড়াও ঘুমাতে যাওয়ার আগে কিছুক্ষণ অন্ধকার ঘরে বসে থাকুন, শরীরকে অন্ধকারে রাখলে যে মেলাটোনিন উৎপন্ন হয়, তা দ্রুত ঘুম পারাতে সাহায্য করে। কোমল পানীয়ের বিষয়ে সতর্ক থাকুন: কোমল পানীয় পান করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ কিছু কিছু কোমল পানীয়তে বেশি মাত্রায় ক্যাফেইন থাকে। এতে মানুষের মূল স্নায়ুতন্ত্রে উদ্দীপনা সৃষ্টি করার কারণে ঘুম আসে না। সেই সাথে অতিমাত্রায় অ্যালকোহল পান করা থেকেও বিরত থাকতে হবে। কারণ অ্যালকোহল ঘুম পাড়িয়ে দিতে সাহায্য করলেও শেষ রাতে ঘুম ভাঙার প্রবণতা তৈরি করে এবং সর্বোপরি ঘুমের মান কমিয়ে দেয়।শান্ত থাকুন: ঘুম হচ্ছে না বলে উত্তেজিত হয়ে পড়লে ঘুম আরো দূরে চলে যাবে। তার চেয়ে এ ধরণের পরিস্থিতিতে শান্ত থাকার চেষ্টা করুন। বই পড়া, লেখা এমনকি মোজা ভাঁজ করার মতো কাজও এ সময়ে শান্ত থাকতে সহায়তা করতে পারে। তবে কোন ভাবেই মোবাইল ফোন ব্যবহার বা ভিডিও গেম খেলা যাবে না। কারণ নীল আলো ঘুমের সহায়ক নয় এবং এ ধরণের কর্মকাণ্ড উত্তেজক হিসেবে কাজ করে। আর ঘুম আসলে সঙ্গে সঙ্গে বিছানায় চলে যেতে হবে।শিশুদের দিকে খেয়াল রাখুন: বলা হয় যে, সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ ঘুম হয় শিশুদের। তবে পরিবারের মধ্যে ছোট কিছুর পরিবর্তনও তাদের মধ্যে নিদ্রাহীনতা তৈরি করতে পারে। তাই তাদের ঘুমাতে যাওয়ার এবং গোসল করার সময় ও অভ্যাসের দিকে খেয়াল রাখুন। গরমের কারণে খুব বেশি ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসল করানো যাবে না তাদের। কারণ এটি রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে শরীরের তাপমাত্রায় পরিবর্তন আনে। ঘুমাতে যাওয়ার আগে কুসুম গরম পানিতে গোসল খুব ভালো ঘুমে সহায়ক। শিশুরা যেহেতু বলতে পারে না তাই শিশু ঘুমালে তার কপাল, পিঠ এবং পেটে হাত দিয়ে দেখতে হবে যে সে অতিরিক্ত গরম অনুভব করছে কিনা।ঘুম নিয়ে দুশ্চিন্তা বন্ধ করুন: বেশিরভাগ মানুষেরই ঠিকঠাক ভাবে কাজ করতে হলে প্রতি রাতে সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুম দরকার হয়। কিন্তু ঘুম না হলে এটি নিয়ে দুশ্চিন্তা করে লাভ হবে না। মনে রাখতে হবে যে, পর পর এক-দুই রাত ঠিকভাবে ঘুম না হলেও বেশ ভালোভাবেই দৈনন্দিন কাজ করতে পারে মানুষ। এর কারণে দিনে দু-একবার হাই তুলতে হলেও তা আসলে স্বাস্থ্যের উপর তেমন প্রভাব ফেলে না। ভোরের আকাশ/এসআই
ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যে ভেজাল মদ্যপানের কারণে অন্তত ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরও ১০ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মঙ্গলবার (১৩ মে) ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি স্থানীয় প্রশাসনের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানায়।পুলিশ জানিয়েছে, বিষাক্ত মদ বিক্রির অভিযোগে এখন পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই চোলাই মদে বিপজ্জনক মাত্রায় মিথানল মেশানো হয়েছিল, যা মৃত্যুর অন্যতম কারণ হতে পারে।সর্বশেষ সোমবার ভোরে অমৃতসর জেলার কয়েকটি গ্রামে ভেজাল মদ পান করার পর স্থানীয়রা অসুস্থ হয়ে পড়েন। দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলেও ২১ জনের মৃত্যু হয়। গুরুতর অবস্থায় ভর্তি আছেন আরও অন্তত ১০ জন।স্থানীয় এক কর্মকর্তা জানান, মৃতদের মধ্যে অধিকাংশই নিম্ন আয়ের দিনমজুর শ্রেণির মানুষ। তারা অল্প দামে পাওয়া এসব অবৈধ চোলাই মদ কিনে পান করেছিলেন।পুলিশ বলেছে, চোরাকারবারিরা কর ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে এসব মদ তৈরি ও বাজারজাত করে থাকে। অধিক মুনাফার আশায় এসব মদে ক্ষতিকর রাসায়নিক, বিশেষ করে মিথানল মেশানো হয়, যা অন্ধত্ব, অঙ্গহানি এমনকি মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়।পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান বলেছেন, “এই ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের খুঁজে বের করে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।” তিনি জানান, পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে এবং দোষীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হবে।উল্লেখ্য, ভারতে প্রায় প্রতি বছরই ভেজাল মদ্যপানের ঘটনায় বহু মানুষের মৃত্যু হয়। গত বছর তামিলনাড়ুতে ৫৩ জন এবং তার আগের বছর বিহারে ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ২০০২ সালে গুজরাটেও একই ধরনের ঘটনায় প্রাণ হারান ২৮ জন। ভোরের আকাশ/হ.র
১২ ঘণ্টা আগে