পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে মিছিল নিয়ে সচিবালয়ে প্রবেশের চেষ্টা করে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) নিয়োগপ্রত্যাশীরা। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ পাঁচটির বেশি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে, করা হয় লাঠিচার্জও। তবে আন্দোলনকারীরা ব্যারিকেডের সামনে অবস্থান ধরে রেখেছেন।রোববার (১৫ জুন) বেলা দেড়টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাব এলাকায় এ ঘটনার সূত্রপাত হয়।প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ সচিবালয় এবং প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় যেকোনো প্রকার সভা-সমাবেশ, গণজমায়েত, মিছিল ও শোভাযাত্রা ইত্যাদি নিষিদ্ধ করে গত ৮ জুন গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘এতদ্বারা সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, জনশৃঙ্খলা এবং প্রধান উপদেষ্টার নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্স (অর্ডিন্যান্স নং-III/৭৬) এর ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে আগামী ৯ জুন ২০২৫ খ্রি., সোমবার হতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ সচিবালয় এবং প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় (হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়, কাকরাইল মসজিদ মোড়, অফিসার্স ক্লাব মোড়, মিন্টু রোড) যেকোনো প্রকার সভা-সমাবেশ, গণজমায়েত, মিছিল ও শোভাযাত্রা ইত্যাদি নিষিদ্ধ করা হলো।’ভোরের আকাশ/আজাসা
গণফোরামের সভাপতি মোস্তফা মহসিন মন্টু মারা গেছেন ((ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। রোববার বিকেল ৫টা ১০মিনিটে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। তিনি বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় ভুগছিলেন। মোস্তফা মহসিনের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তারা শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।ভোরের আকাশ/আজাসা
গাজীপুরে চুরির অপবাদ দিয়ে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের চাপুলিয়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম শাহরিয়ার রহমান হ্যাভেন (৩৪) ।রোববার (১৫ জুন) সকালে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। নিহত শাহরিয়ার রহমান হ্যাভেন চাপুলিয়া এলাকার হুমায়ূন কবিরের ছেলে।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শাহরিয়ার রহমান হ্যাভেনের পরিবারের সঙ্গে জমি জমা নিয়ে প্রতিপক্ষের সঙ্গে পূর্ব বিরোধ ছিল। শনিবার সন্ধ্যায় প্রতিপক্ষের লোকজন বাড়ি থেকে নিয়ে যায় এবং চুরির অপবাদ দিয়ে হাত পা বেঁধে বেধড়ক মারপিট করে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। এক পর্যায়ে ভোরে মারা যান হ্যাভেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রোববার সকাল ৭ টার দিকে ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে।জিএমপির সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান বলেন, হ্যাভেনের বিরুদ্ধে থানায় চুরিসহ বিভিন্ন অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে। সকালে তার হাত পা বাঁধা অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতের পাসহ সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে, স্বজনদের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলাসহ পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন। এদুটি দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত আরও ৮ জন। রবিবার (১৫ জুন) বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে উপজেলার মগটুলা ও মাইজবাগ ইউনিয়নের মধ্যবর্তী গালাহার নামক এলাকায় পিকাপভ্যান ও ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকের সংঘর্ষ হয়।অপরদিকে একইদিনে ৪ ঘণ্টার ব্যবধানে বিকেল আনুমানিক সাড়ে ৩ টার দিকে ঈশ্বরগঞ্জ পৌর শহরের শিমরাইল ১ নম্বর মোড়ে ট্রাক ও বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ দুটি দুর্ঘটনায় আহতদের ফায়ার সার্ভিস-পুলিশ ও স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে।প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানায়, ময়মনসিংহ থেকে ছেড়ে আসা দুটি বাস বেপরোয়া গতিতে ওভারটেক করতে গিয়ে শতাব্দী ট্রান্সপোর্ট নামের একটি বাস বিপরীত দিক থেকে আসা ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ট্রাকের সামনের অংশ দুমড়েমুড়রে যায় এবং ট্রাক চালক গুরুত্বর আহত হন। এছাড়া বাসের আরও তিন যাত্রী আহত হন।পিকাপভ্যান ও ইজিবাইকের সংঘর্ষের ঘটনায় মো. লিটন মিয়া (৫০) নামে এক ইজিবাইক যাত্রী নিহত হয়েছেন। নিহত লিটন মিয়া উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়নের সাটিহারী গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে। এ-ঘটনায় অন্তত আরও ৪ যাত্রী আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে মাইজবাগ ইউনিয়নের তারাটি গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে মো. রায়হান মিয়া(২৫) ও রওশন আরা(৫৫) নামে এক বৃদ্ধার পরিয়চ মিলেছে। বাকী ২ জনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।অন্যদিকে বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ট্রাকচালক সাইদুল ইসলাম(৫৩)-কে গুরুত্বর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। ট্রাকচালকের বাড়ি ময়মনসিংহ সদরে। এ নিয়ে পৃথক দুটি সড়ক মোট ৯ যাত্রী আহত হয়েছেন।ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) প্রজিত কুমার দাস বলেন,'খবর পেয়ে দুটি দুর্ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতের মরদেহের সুরতহাল করতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পৃথক দুইটি ঘটনার দুমড়েমুড়রে যাওয়া বাস,ট্রাক-পিকাপভ্যান আটক করা হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।ভোরের আকাশ/আজাসা
জামালপুরে গ্রাম্য সালিসিতে ৫০ হাজার টাকা ‘ঘুষ’ না পেয়ে ঢাকঢোল পিটিয়ে ও মাইকে ঘোষণা দিয়ে ৭ পরিবারকে সমাজচ্যুত করা হয়েছে। এ ঘটনায় শনিবার (১৪ জুন) জামালপুর সদর থানায় অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) জানা যায় গত শুক্রবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে মাইকে ঘোষণা দিয়ে তাদের সমাজচ্যুত করা হয়।অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার জামালপুর পৌর শহরে দাপুনিয়া এলাকার মো. মন্টু মিয়া (৪২) ও একই এলাকার আহাম্মদ আলীর ছেলে মো. মুনছুর মিয়ার (৪৫) বিদ্যুতের লাইন নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এরপর গত শুক্রবার জুমার নামাজ পর উভয় পক্ষের মধ্যে আবারো হাতাহতির ঘটনা ঘটে। শুক্রবার রাত ৮টার দিকে দাপুনিয়া পশ্চিমপাড়া বকুলতলা মোড়ে সালিসী বৈঠকের আয়োজন করে। সালিসে বিষয়টি মিমাংসার জন্য স্থানীয় শামিম আহমেদ ও আমিনুল ইসলামসহ কয়েকজন মুনছুর মিয়ার কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। ৫০ হাজার টাকা না দিলে মুনছুর মিয়াসহ ৭ পরিবারকে সমাজচ্যুত করা হবে বল জানান শামিম আহমেদ ও আমিনুল ইসলাম। পরে মুনছুর মিয়া দাবীকৃত ৫০হাজার টাকা না দিলে ওই দিন রাত ১১টায় দিকে ঢাকঢোল পিটিয়ে ও মাইকিং করে ৭ পরিবারের নাম উল্লেখ করে তাদেরকে সমাজচ্যুত করা হয়। মাইকে আরও বলা হয় ওই ৭ পরিবারের সঙ্গে যদি সমাজের কোনো মানুষ ওঠা-বসা করে তাহলে তাদেরকেও সমাজচ্যুত করা হবে। মসজিদ, দোকান, স্কুল, বাজার, ও প্রকাশ্যে রাস্তা ঘাটে চলাফেরা করতে দেখলে ওই ৭ পরিবারের মানুষ ও ঘরবাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেয়া হয়।ইসমাইল মৌলবীর ছেলে মৌকির হোসেন জানান, মন্টু মিয়ার সঙ্গে মুনছুর মিয়ার ঝামেলা হইছে। আমরা তাদের গোষ্টিগত লোক হওয়ার কারনে অযথা আমাদেরকে সমাজচ্যুত করা হয়েছে। আমরা ভয়ে কোথাও যেতে পারছিনা।ভুক্তভোগী জহুরুল ইসলাম আনন্দ বলেন, মাইকে ঘোষণা দেয়ার পর থেকে দোকানদাররা আমাদের কাছে কোন কিছু বিক্রি করছে না। ছোট বাচ্চারা দোকানে গেলেও তাদের কোন খাবার কিনতে দেয়া হচ্ছে না। এখনো বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেয়া হচ্ছে।থানায় অভিযোগকারী ইসমাইল মৌলবী বলেন, ‘ঘুষের’ টাকা না দেওয়ায় আমাদের ৭ পরিবারকে মাইকে ঘোষণা দিয়ে সমাজচ্যুত করেছে। তারা মাইকে বলেছে, ৭ পরিবারের মানুষ মসজিদ, দোকান, স্কুল, বাজার, ও প্রকাশ্যে রাস্তা ঘাটে চলা ফেরা করতে দেখলে মানুষ ও ঘরবাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিবে।এঘটনায় অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাদের পাওয়া যায়নি।এ বিষয়ে জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত বলেন, অভিযোগ পেয়ে ওই এলাকায় পুলিশ পাঠানো হয়েছে। উভয় পক্ষ একই এলাকার। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।ভোরের আকাশ/আজাসা
আখাউড়ায় সীমান্তে আটক গরুগুলো ফেরত দিলো বিএসএফ। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় সীমান্ত এলাকা থেকে বাংলাদেশি ৬-৭টি গরু ধরে নিয়ে প্রায় ৩ ঘণ্টা আটকে রাখার পর ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।রোববার (১৫ জুন) দুপুর ১টার দিকে বিজিবির কাছে গরুগুলো হস্তান্তর করেন বিএসএফ। একই সঙ্গে সীমান্তের ভারতীয় অংশে যেন গরু না চড়ানো হয়, সে বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।বিজিবি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার সকাল ৯টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার কালিকাপুর এলাকায় কাঁটাতারের কাছাকাছি ঘাস খাওয়ানোর জন্য স্থানীয়রা গরু চড়ান। এ সময় কয়েকটি গরু সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের অংশে ঢুকে পড়ে। বিষয়টি দেখে সীমান্তে টহলরত বিএসএফ সদস্যরা স্থানীয়দের সর্তক করেন এবং একপর্যায়ে সকাল ১০টার দিকে গরুগুলো ধরে নিয়ে গিয়ে কাঁটাতারের কাছে বেঁধে রাখেন। খবর ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিষয়টি উঠে আসে। এ ঘটনার পর বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) আখাউড়া সীমান্ত ফাঁড়ির সদস্যরা গরুগুলো ফেরত আনার জন্য বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে দুপুর ১টার দিকে আলোচনার মাধ্যমে গরুগুলো ফেরত আনা হয়।বিজিবির ৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. জিয়াউর রহমান জানান, শূন্যরেখার কাছে গরু চড়ানোর কারণে সম্প্রতি প্রায়ই গরু ভারতের অংশে ঢুকে পড়ছে। বিষয়টি নিয়ে বিএসএফের পক্ষ থেকে আগেও সতর্ক করা হয়েছিল। আজও একই কারণে কিছু গরু ভারতীয় এলাকায় ঢুকে পড়ায় বিএসএফ তা আটকে রেখেছিল। পরে আলোচনা করে গরুগুলো উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। গরু পাওয়ার খবর পেয়ে স্থানীয়রা দুষ্টুমি করে বলাবলি করছেন, "গরু তো আর পাসপোর্ট, ভিসা, কাঁটাতার বুঝে না; ভারত-বাংলাদেশ দুই দেশই তাদের কাছে সমান, তাই চলে গেছে ওখানে"!ভোরের আকাশ/এসএইচ
নতুন করে আরও চারটি তৈরি পোশাক ও বস্ত্র কারখানা পরিবেশবান্ধব সনদ পেয়েছে। এতে দেশে পরিবেশবান্ধব কারখানার সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৪৮টি। পরিবেশবান্ধব সনদ পাওয়া নতুন কারখানাগুলো হচ্ছে মানিকগঞ্জের অ্যাডভান্স অ্যাটায়ার, নরসিংদীর আমানত শাহ ফেব্রিকস (ওভেন কম্পোজিট), গাজীপুরের কটন ফিলড বিডি (প্রোডাকশন বিল্ডিং), ঢাকার উত্তরখানের কেএম অ্যাপারেল নিট।যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) থেকে এই পরিবেশবান্ধব সনদ পেয়েছে চারটি কারখানা। এ সনদ পাওয়ার জন্য কিছু শর্ত পরিপালন করতে হয়। মোট ১০০ নম্বরের মধ্যে কোনো কারখানা ৮০-এর বেশি পেলে ‘লিড প্লাটিনাম’, ৬০-৭৯ পেলে ‘লিড গোল্ড’, ৫০-৫৯ নম্বর পেলে ‘লিড সিলভার’ ও ৪০-৪৯ নম্বর পেলে ‘লিড সার্টিফায়েড’ সনদ দেওয়া হয়।নতুন সনদ পাওয়া চারটির কারখানার মধ্যে তিনটি লিড প্লাটিনাম পেয়েছে। সেগুলো হচ্ছে অ্যাডভান্স অ্যাটায়ার, আমানত শাহ ফেব্রিকস ও কটন ফিলড বিডি। অন্যদিকে কেএম অ্যাপারেল নিট লিড গোল্ড সনদ পেয়েছে। বাংলাদেশের যে ২৪৮টি কারখানা এখন পর্যন্ত পরিবেশবান্ধব কারখানার স্বীকৃতি পেয়েছে, তার মধ্যে ১০৫টি কারখানা প্লাটিনাম সনদ, ১২৯টি গোল্ড সনদ পেয়েছে। অর্থাৎ বাংলাদেশের কারখানাগুলো সর্বোচ্চ মানের পরিবেশবান্ধব কারখানার শর্ত পূরণ করতে পারছে। বাকি ১৪টি কারখানার মধ্যে সিলভার সনদপ্রাপ্ত কারখানা ১০টি এবং সার্টিফায়েড সনদপ্রাপ্ত কারখানা ৪টি।তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল ভোরের আকাশকে বলেন, বিশ্বের শীর্ষ ১০০টি পরিবেশবান্ধব কারখানার মধ্যে ৬৮টি কারখানাই এখন বাংলাদেশের।ভোরের আকাশ/এসএইচ
অনুমিতভাবেই বড় হচ্ছে দেশের মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ। বেড়িয়ে আসছে দেশের আর্থিক খাতের প্রকৃত চিত্র। চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়ে ৪ লাখ ২০ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। এটি বিতরণ করা মোট ঋণের ২৪ শতাংশের বেশি।বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আর্থিক খাতে বেপরোয়া লুটপাটের ক্ষতচিহ্ন হচ্ছে এই বিপুল খেলাপি ঋণ। বিগত দিনে নানা কৌশলে এগুলো লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে এগুলো প্রকাশ পাচ্ছে। আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে খেলাপি ঋণের পরিমাণ মোট বিতরণকৃত ঋণের এক তৃতীয়াংশে পৌঁছাতে পারে বলে আশঙ্কা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের।তথ্য বলছে, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের সময় খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ২২ হাজার ৪৮১ কোটি টাকা। বিগত সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে প্রায় ১৯ গুণ বেড়েছে খেলাপি ঋণের পরিমাণ। গতকাল রোববার মার্চভিত্তিক খেলাপি ঋণের তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। স্বাভাবিকভাবে এই তথ্য মে মাসে প্রকাশ করার রেওয়াজ থাকলেও বেশ কয়েকটি ব্যাংকের খেলাপির হিসাব পেতে দেরি হওয়ায় প্রতিবেদন প্রকাশে দেরি হয়েছে বলে জানা গেছে।এর আগে ডিসেম্বরভিত্তিক যে তথ্য প্রকাশিত হয়েছিল তাতে মোট খেলাপির পরিমাণ ছিল ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা। এই হিসেবে তিন মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৭৪ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা, শতাংশীয় হিসেবে যা ২২ শতাংশের কাছাকাছি। এ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে মোট নতুন খেলাপি হলো প্রায় ২ লাখ ৯ হাজার কোটি টাকা।এদিকে বিগত সরকারের সময় নেওয়া অনেক বড় বড় ঋণই দিন দিন খেলাপি হয়ে পড়ছে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত খেলাপি ঋণের পরিমাণ বাড়বে বলে ধারণা বাংলাদেশ ব্যাংকের। তখনই মূলত আর্থিক খাতের প্রকৃত চিত্র প্রকাশ পাবে। এরপর থেকেই ধীরে ধীরে খেলাপি ঋণ কমে আসবে বলে সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ঋণের নামে ব্যাংক লুট হয়েছে ও লুটের টাকা পাচার হয়েছে। এগুলো এখন খেলাপি হয়ে পড়ছে। এসব ঋণের অনেকগুলোরই জামানত না থাকায় কিংবা অপর্যাপ্ত জামানত থাকায় এগুলো সরাসরি কু-ঋণে পরিণত হচ্ছে। এতেই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে খেলাপি ঋণ। আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়তে থাকবে। কারণ, বিগত সরকারের একবারে শেষ সময়েও যে ঋণ নেওয়া হয়েছে সেগুলোর খেলাপি হওয়ার মেয়াদ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই পূর্ণ হয়ে যাবে। ওই সময় আর্থিক খাতের আসল চিত্র পাওয়া যাবে।কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মার্চ শেষে মোট বিতরণকৃত ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৪১ হাজার ৯৯২ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ২০ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা, যা বিতরণ করা মোট ঋণের ২৪ দশমিক ১৩ শতাংশ।এদিকে ২০২৪ সালের মার্চ শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৮২ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা, যা তৎকালীন বিতরণকৃত ঋণের ১১ দশমিক ১১ শতাংশ। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ২ লাখ ৩৮ হাজার ৪০ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়ে দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে।সাবেক সরকারের আমলে ব্যাংক থেকে প্রভাবশালীদের বড় অঙ্কের ঋণ দিতে নানা সুবিধা দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি খেলাপি ঋণ কাগজে-কলমে কম দেখাতে নেওয়া হয়েছিল একের পর এক নীতি। সরকার পরিবর্তনের পর সেই নীতি থেকে সরে এসেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যে কারণে খেলাপি ঋণ বাড়ছে বলে জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা। বাংলাদেশ ব্যাংক পূর্বের নীতি থেকে সরে আসায় ইসলামী ব্যাংকে খেলাপি ঋণ সবচেয়ে বেশি বেড়েছে।একইভাবে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের খেলাপি ঋণও বেশ বেড়েছে। পাশাপাশি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের মালিকানাধীন বেক্সিমকো গ্রুপ, বসুন্ধরা গ্রুপ, এস আলমসহ আরও কিছু বড় ব্যবসায়ী গোষ্ঠী ঋণখেলাপি হয়ে পড়েছে। এতেও বেড়েছে খেলাপি ঋণ।পাঁচ ব্যাংকের খেলাপি বেড়েছে ৮৫ হাজার কোটি টাকা : সমস্যাগ্রস্ত পাঁচটি ইসলামী ব্যাংক এতদিন নিয়মিত দেখিয়ে আসছিল এমন প্রায় ৮৫ হাজার কোটি টাকার খেলাপি ঋণের তথ্য উদ্ঘাটিত হয়েছে। সবমিলিয়ে পাঁচটি ব্যাংকের মোট খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ১ লাখ ৪৭ হাজার কোটি টাকা। মোট ঋণের যা প্রায় ৭৭ শতাংশ। বিপুল অঙ্কের খেলাপি ঋণের কারণে ব্যাংকগুলোর প্রভিশন বা নিরাপত্তা সঞ্চিতির ঘাটতি দেখা দিয়েছে ৭৪ হাজার ৫০১ কোটি টাকা।ভোরের আকাশ/এসএইচ
চলতি জুন মাসের প্রথম ১৪ দিনে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ১১৪ কোটি ৯০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। বর্তমান বাজারমূল্য (প্রতি ডলার ১২৩ টাকা ধরে) অনুযায়ী এর পরিমাণ প্রায় ১৪ হাজার ১৩৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ৮ কোটি ২১ লাখ ডলার।রোববার (১৫ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, “গত বছরের জুন মাসের একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৬৪ কোটি ৪০ লাখ ডলার। সেই তুলনায় চলতি বছরে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমেছে প্রায় ৩০ দশমিক ১০ শতাংশ।”বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, শুধুমাত্র ১৪ জুন (শনিবার) একদিনেই দেশে ৮ কোটি ৫০ লাখ ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এছাড়া চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত (জুলাই-জুন) দেশে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ৮৬৫ কোটি ৬০ লাখ ডলার। দেশের ইতিহাসে এটি এক অর্থবছরে প্রাপ্ত সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রবাহ।তুলনামূলকভাবে গত অর্থবছরের একই সময়ে দেশে এসেছিল ২ হাজার ৩০১ কোটি ৮০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। সেই হিসেবে রেমিট্যান্স প্রবাহে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৪ দশমিক ৫০ শতাংশ।বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, সার্বিকভাবে রেমিট্যান্স প্রবাহ ইতিবাচক থাকলেও মাসওয়ারি ভিত্তিতে ভিন্নতা দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে জুন মাসে কিছুটা কমতি থাকলেও গোটা অর্থবছরে এটি রেকর্ড পরিমাণ পৌঁছেছে।ভোরের আকাশ//হ.র
বাংলাদেশের বিপক্ষে ঘরের মাঠে আসন্ন টেস্ট সিরিজকে সামনে রেখে ১৮ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড (এসএলসি)। দলের নেতৃত্বে থাকছেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। আগামী ১৭ জুন গলে শুরু হতে যাওয়া প্রথম টেস্টে এই স্কোয়াড নিয়েই মাঠে নামবে লঙ্কানরা।দলে জায়গা পেয়েছেন বেশ কয়েকজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার, একইসঙ্গে আছেন উদীয়মান তরুণরাও। বর্ষীয়ান অ্যাঞ্জেলো ম্যাথ্যুস এই ম্যাচের মাধ্যমেই টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় বলবেন। স্কোয়াডে আরও রয়েছেন দিনেশ চান্দিমাল, কুশল মেন্ডিস, ওশাদা ফার্নান্দো, এবং পাথুম নিশাঙ্কার মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা।নতুন মুখ হিসেবে সুযোগ পেয়েছেন সোনাল দিনুশা, পবন রত্নায়েকে, থারিন্দু রত্নায়েকে, মিলান রত্নায়েকে এবং ইসিথা বিজয়সুন্দরার মতো তরুণ প্রতিভাবান ক্রিকেটাররা।স্পিন বিভাগে আছেন প্রভাত জয়াসুরিয়া, আকিলা ধনঞ্জয়া এবং থারিন্দু রত্নায়েকে। পেস আক্রমণে থাকছেন আসিথা ফার্নান্দো, কাসুন রাজিথা ও ইসিথা বিজয়সুন্দারা।শ্রীলঙ্কার ঘোষিত স্কোয়াড:ধনঞ্জয়া ডি সিলভা (অধিনায়ক), পাথুম নিশাঙ্কা, ওশাদা ফার্নান্দো, লাহিরু উদারা, দিনেশ চান্দিমাল, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথ্যুস, কুশল মেন্ডিস, কামিন্দু মেন্ডিস, পাসিন্দু সূর্যবন্দারা, সোনাল দিনুশা, পবন রত্নায়েকে, প্রভাত জয়াসুরিয়া, থারিন্দু রত্নায়েকে, আকিলা ধনঞ্জয়া, মিলান রত্নায়েকে, আসিথা ফার্নান্দো, কাসুন রাজিথা, ইসিথা বিজয়সুন্দারা।উল্লেখ্য, বাংলাদেশ এই সফরে দুটি টেস্ট খেলবে। প্রথমটি শুরু হবে ১৭ জুন গলে আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে। চট্টগ্রামে টাইগারদের ব্যাটিং প্রস্তুতি ও সাম্প্রতিক টেস্ট অভিজ্ঞতার প্রেক্ষাপটে, এই সফর হবে তরুণদের জন্য নিজেকে প্রমাণ করার একটি বড় মঞ্চ।ভোরের আকাশ//হ.র
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় গুলিতে সোহেল রানা নামে এক ব্যক্তিকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ২২২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।শুক্রবার (১৩ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সেফাতুল্লাহর আদালতে মামলাটির এজাহার আসে। পরে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে আগামী ২০ জুলাই প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন, সাবেক মন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ, কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম ও অভিনেত্রী শমী কায়সার।মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ৫ আগস্ট দুপুর আড়াইটার দিকে মোহাম্মদপুর থানাধীন তিন রাস্তার মোড়ে ময়ূর ভিলার সামনে মিছিলে অংশ নেন সোহেল রানা।এ সময় শেখ হাসিনা সরকারের নির্দেশে হামলা চালান পুলিশ ও আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। তাদের ছোড়া গুলিতে আহত হন সোহেল। পরে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হন তিনি। তবে দীর্ঘদিন হাসপাতালে থাকায় মামলা করতে দেরি হওয়ার কথা এজাহারে তুলে ধরেন এই ভুক্তভোগী।ভোরের আকাশ/এসএইচ
গরমের দিনে রোদের তীব্রতা যেমন বাড়ে, তেমনি বাড়ে হাত-পায়ের ত্বকে কালচে দাগ পড়ার সম্ভাবনাও। অতিরিক্ত সূর্যের আলো, ধুলাবালি এবং মৃত ত্বকের স্তরের কারণে হাত-পা হয়ে পড়ে বিবর্ণ ও রুক্ষ। সময়মতো যত্ন না নিলে এটি স্থায়ী দাগে পরিণত হতে পারে। তবে চিন্তার কিছু নেই। ঘরেই তৈরি করে নিতে পারেন প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি ডি-ট্যান বডি ওয়াশ।উপাদান যা লাগবেএই ঘরোয়া বডি ওয়াশ তৈরি করতে প্রয়োজন হবে—কফিমধুচিনির গুঁড়াভাজা হলুদের গুঁড়ানারকেল তেলরাসায়নিকমুক্ত বডি ওয়াশ (ইচ্ছামতো)কীভাবে তৈরি করবেনপ্রথমে একটি খালি প্যানে অল্প গরম করে তাতে হলুদের গুঁড়া দিন। ভালোভাবে ভাজুন যতক্ষণ না হলুদের রং হালকা বাদামি হয়ে আসে। এরপর তা একটি প্লেটে ঠান্ডা হতে দিন।এবার একটি পরিষ্কার পাত্রে কফি, মধু, চিনির গুঁড়া, ভাজা হলুদের গুঁড়া এবং নারকেল তেল একসঙ্গে নিন। উপকরণগুলো ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। যদি চিনির গুঁড়া আলাদা করে না থাকে, তবে ঘরের চিনি ব্লেন্ড করে গুঁড়া করে নিতে পারেন। এরপর মিশ্রণে যোগ করুন রাসায়নিকমুক্ত বডি ওয়াশ। সব উপকরণ ভালোভাবে মিশিয়ে একটি এয়ারটাইট কন্টেইনারে সংরক্ষণ করুন।ব্যবহারের নিয়মপ্রতিদিন গোসলের সময় এই বডি ওয়াশ ব্যবহার করুন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক থেকে ট্যানিং দূর হবে, ত্বক হবে মসৃণ ও উজ্জ্বল।সতর্কতাএই প্রাকৃতিক বডি ওয়াশ ব্যবহারের আগে অবশ্যই হাত বা পায়ের একটি ছোট অংশে প্যাচ টেস্ট করুন। যদি কোনো অ্যালার্জি বা লালচে ভাব, চুলকানি দেখা দেয়, তাহলে ব্যবহার না করাই ভালো।পরামর্শবাইরে বের হওয়ার সময় সানস্ক্রিন ব্যবহার এবং হাত-পা ঢেকে রাখা ট্যানিং প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে। পাশাপাশি ত্বকের যত্নে নিয়মিত পানিও পান করুন।আপনার হাত-পায়ের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে এখন আর পার্লারে যাওয়ার দরকার নেই, ঘরেই তৈরি করে নিতে পারেন কার্যকর বডি ওয়াশ!ভোরের আকাশ//হ.র
ইরানের ছোড়া মিসাইল সরাসরি আঘাত হেনেছে ইসরায়েলের বন্দরনগরী হাইফার একটি আবাসিক ভবনে। এ ঘটনায় অন্তত চারজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি জরুরি সেবা সংস্থা।রবিবার (১৫ জুন) রাতে হাইফা শহরে এই হামলা ঘটে। আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, শহরটির আকাশে বিস্ফোরণের দৃশ্য তাদের ক্যামেরায় ধরা পড়ে এবং আকাশ থেকে ঘন ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠতে দেখা যায়।ইসরায়েলি উদ্ধারকারী সংস্থা জাকা জানায়, হামলায় একটি আবাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং আহতদের উদ্ধার কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।ইসরায়েলের ফায়ার ও রেসকিউ সার্ভিস নিশ্চিত করেছে যে, মিসাইলটি সরাসরি ভবনে আঘাত করেছে। তারা জানিয়েছে, জরুরি সেবা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে।এর আগে, ইরান একযোগে ইসরায়েলের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে বেশ কয়েক ডজন মিসাইল নিক্ষেপ করে। তবে এই হামলায় হাইফার মতো গুরুত্বপূর্ণ শহরে সরাসরি আঘাত নতুন মাত্রার উদ্বেগ তৈরি করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।উল্লেখ্য, ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যকার উত্তেজনা সম্প্রতি তীব্র আকার ধারণ করেছে। এরই মধ্যে এই হামলা দুই দেশের মধ্যে সরাসরি সামরিক সংঘর্ষের ইঙ্গিত বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।সূত্র: রয়টার্সভোরের আকাশ//হ.র
১২ ঘণ্টা আগে