জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে রাজধানীর হাতিরঝিলে ড্রোন শো’র আয়োজন করেছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এজন্য জনগণের নিরাপত্তা ও যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে হাতিরঝিলে আজ বিকেল ৪টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর (ডিএমপি) পুলিশের ট্রাফিক-গুলশান বিভাগ।শুক্রবার (১৮ জুলাই) ট্রাফিক-গুলশান বিভাগ জানায়, ‘জুলাই পুনর্জাগরণ ২০২৫’ উপলক্ষে হাতিরঝিল অ্যাম্ফিথিয়েটারে শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ড্রোন শো রয়েছে। এ অবস্থায় জনগণের নিরাপত্তা ও যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে হাতিরঝিলে বিকেল ৪টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে।এসময় নাগরিকদের হাতিরঝিল ব্যবহার না করে বিকল্প সড়ক ব্যবহারের অনুরোধ করা হয়েছে।বিকল্প সড়ক১. হাতিরঝিল হয়ে গুলশান, বারিধারা, নিকেতন, মহাখালী, আড়ং, রামপুরা, বনশ্রীগামী গাড়িগুলো রেইনবো ক্রসিং থেকে উত্তরগামী সাতরাস্তা, লাভ রোড, তিব্বত ক্রসিং হয়ে গুলশান, রামপুরা, বনশ্রীতে প্রবেশ করবে।২. গুলশান থেকে আগত গাড়িগুলো পুলিশ প্লাজা হয়ে হাতিরঝিল দিয়ে রেইনবো ক্রসিং হয়ে চলে যাবে।ড্রোন শো শেষ হওয়া মাত্রই হাতিরঝিলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হবে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।ভোরের আকাশ/জাআ
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাত দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আজ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জাতীয় সমাবেশ। রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই সমাবেশ দুপুর ২টা থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও গতকাল শুক্রবার (১৮ জুলাই) সন্ধ্যা থেকেই নেতাকর্মীরা উদ্যানে জড়ো হতে শুরু করেছেন।এদিকে, আজ সকালেও খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসছেন তারা। নেতাকর্মীদের মিছিল নারায়ে তাকভীর ধ্বনিতে মুখরিত ঢাকার রাজপথ। সমাবেশস্থলে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বাইরেও অবস্থান করছেন হাজার হাজার নেতাকর্মী।দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বাস, ট্রেন ও লঞ্চে করে আসা নেতাকর্মীরা রাজধানীতে এসে মিছিল সহকারে সমাবেশস্থলে প্রবেশ করছেন। নেতাকর্মীদের অনেকের হাতে তাদের দলীয় প্রতীক দাাঁড়িপাল্লা শোভা পাচ্ছে। দাঁড়িপাল্লা ও দলীয় মনোগ্রাম সম্বলিত টি-শার্ট, পাঞ্জাবি পরে এসেছে অধিকাংশ নেতাকর্মী।জামায়াতের এই সমাবেশ সফল করতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকায় দায়িত্ব পালন করছে ২০ হাজারের মতো স্বেচ্ছাসেবক। ভোর থেকে থেকে সমাবেশ স্থলের আশপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিভিন্ন স্থানে স্বেচ্ছাসেবকরা দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন।শনিবার ভোর থেকেই যাত্রাবাড়ি, সায়দাবাদ, টিকাটুলি, বঙ্গভবন, পল্টন থেকে হাইকোর্ট হয়ে শাহবাগ এলাকার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা গেছে, স্বেচ্ছাসেবকরা সবাই একই ধরনের পোশাক পরে বিভিন্ন স্পটে অবস্থান নিয়েছেন। তারা দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত নেতাকর্মীদের সহযোগিতা করছেন। কোন অঞ্চলের মানুষ কোন গেট দিয়ে প্রবেশ করবেন তা বুঝিয়ে দিচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবকরা।রাজধানী ঘুরে দেখা গেছে, নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যাবার পথে পথিমধ্যে বিভিন্ন পাবলিক পরিবহন- বাস, সিএনজিসহ প্রাইভেট গাড়িকে সাইড দিচ্ছে এবং সারিবদ্ধভাবে মিছিল নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।জামায়াত যে সাত দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে জাতীয় সমাবেশের আয়োজন করেছে সেগুলো হলো- অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতকরণ, সব গণহত্যার বিচার, প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার, ‘জুলাই সনদ’ ও ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন, জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারের পুনর্বাসন, সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন ও এক কোটিরও বেশি প্রবাসী ভোটারদের ভোটাধিকার নিশ্চিতকরণ।জানা গেছে, বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এককভাবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সমাবেশ করছে জামায়াতে ইসলামী। এর আগে কখানোই দলটি এভাবে সমাবেশ করার সুযোগ পায়নি।ভোরের আকাশ/জাআ
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া সীমান্ত এলাকায় মাছ ধরার সময় তিন যুবককে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। শুক্রবার (১৮ জুলাই) এ তথ্য জানিয়েছে তাদের পরিবার। ঘটনার সময় বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) মধ্যরাতে উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের লালারচক বিওপির হরিপুর এলাকা থেকে তাদের আটক করে বিএসএফ সদস্যরা।আটককৃতরা হলেন: সোহাগ মিয়া (২৩), পিতা আনু মিয়া, সঞ্জরপুর গ্রাম, মাসুক রহমান মন্টুরি (২০), পিতা জালাল মিয়া, হরিপুর গ্রাম, সিপার আহমদ (২২), পিতা তৈয়ব আলী ডাগা মিয়া ।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতের দিকে ওই তিন যুবক বাংলাদেশ অংশের হরিপুর এলাকায় মাছ ধরছিলেন। এ সময় ১৫-২০ জন বিএসএফ সদস্য সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশ অংশে প্রবেশ করে তাদের চোরাকারবারি সন্দেহে আটক করে ভারতের ভেতরে নিয়ে যায়। ঘটনার সময় এলাকায় বিদ্যুৎ না থাকায় অনেকে কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাদের ধরে নিয়ে যায়।আটক মাসুক রহমানের ভাই ময়নুল মিয়া বলেন, ‘আমার ভাইসহ তারা তিনজন বাংলাদেশ সীমানার ভেতরে মাছ ধরছিল। হঠাৎ বিএসএফ এসে ধরে নিয়ে যায়। আমরা সঙ্গে সঙ্গে বিজিবিকে জানাই।’শরীফপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হারুন মিয়া বলেন, ‘ওরা মাছ ধরতে গিয়েছিল বলে শুনেছি। এরপর বিএসএফ এসে ধরে নিয়ে গেছে। বিজিবিকে জানানো হয়েছে।’কুলাউড়া থানার ওসি মো. ওমর ফারুক বলেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়েছি। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।বিজিবির ৪৬ ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক ফিরোজ আহমদ বলেন, শরীফপুর সীমান্ত থেকে তিন যুবককে বিএসএফ ধরে নিয়ে গেছে, বিষয়টি আমরা জেনেছি। স্থানীয় বিজিবি ক্যাম্প বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। ভোরের আকাশ/হ.র
গাইবান্ধার ফুলছড়িতে ব্রহ্মপুত্র নদে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাত যুবকের পরিচয় মিলেছে। নিহতের নাম মোরসালিন (২৫)। তিনি সাদুল্লাপুর উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের বদলখাঁ গ্রামের রশিদুল ইসলামের ছেলে।শুক্রবার (১৮ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের ময়নাতদন্ত শেষে মোরসালিনের মরদেহ নিজ গ্রামে আনা হয়। এসময় তাকে একনজর দেখতে ভিড় করেন আশপাশের লোকজন।এরআগে গতকাল বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) বিকেলে ফুলছড়ি উপজেলার উড়িয়া ইউনিয়নের কাটাদ্বারা এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে বালাসীঘাটে নদীতে সাঁতার কাটতে গিয়ে নিখোঁজ হন তিনি।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মোরসালিন বারবার নদীতে নেমে সাঁতার কাটছিলেন। আশপাশের লোকজন তাকে নিষেধ করলেও তিনি শুনছিলেন না। এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে নিখোঁজ হন। পরদিন বিকেলে তার মরদেহ ভেসে ওঠে।নিহতের পরিবার ও প্রতিবেশীরা জানান, মোরসালিন দীর্ঘদিন ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। পাবনা মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে চলতি বছরের ৩ জুলাই তাকে বাড়িতে আনা হয়। তিনি এসএসসি পাস করেছিলেন এবং পরিবারের বড় সন্তান ছিলেন। তার বাবা রশিদুল ইসলাম ঢাকায় সিএনজি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন।মোরসালিনের দাদা চাঁন মিয়া বলেন, 'মানসিক সমস্যার কারণে সে এমনটি করেছে। কয়েকদিন আগে দেখা হলে বলেছিল ভালো আছে, এমনকি বিয়ের কথাও বলেছিল।বাদ মাগরিব জানাজা শেষে নিজ বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় মোরসালিনকে।'ফুলছড়ি থানার ওসি হাফিজুর রহমান জানান, নদী থেকে মরদেহ উদ্ধারের পর পরই ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তা বালাসীঘাট নৌ ফাঁড়ি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। পরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। শনাক্তের পর আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ভোরের আকাশ/হ.র
গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার বারিষাব ইউনিয়নের সেলদিয়া গ্রামের মাদকাসক্ত যুবক মো. নূরুল আমীনের (১৯) অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে ১৮ জুলাই শুক্রবার দুপুরে তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে সহোদর বড় ভাই বনি আমীন। তারা দুজন ওই গ্রামের মো.শাহজাহানের ছেলে।উপজেলার বারিষাব ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ বাবুল হোসেন জানান, সেলদিয়া গ্রামের হতদরিদ্র শাহজাহানের (৬০) ভিটা-মাটি ছাড়া আর তেমন কোনো জায়গা-জমি নেই। তিনি ও তার স্ত্রী আশপাশের কয়েক গ্রামের লোকজনের মাটি কেটে জীবিকা নির্বাহ করেন। অনেক কষ্টে টাকা জোগাড় করে কয়েক বছর আগে বড় ছেলে বনি আমীনকে সৌদি আরবে শ্রমিক ভিসায় পাঠিয়েছিলন। গত দুই মাস আগে তিনি ছুটিতে দেশে আসেন। আর ছোট ছেলে নূরুল আমীন গত কয়েক বছর ধরে মাদকাসক্ত হয়ে পরিবারের সব জিনিস ও কাপর চোপরও বিক্রি করে দিত এবং লোকজনের সাথে দুর্ব্যবহার করতো। বিশেষ করে তার নেশা ধরলে পিতার কাছে টাকা চেয়ে না পেলে সবকিছু ভাংচুর করত এবং তার পিতা মাতাকেও মারধর করতো।নিহতের পিতা মোঃ শাহজাহান জানান, তার মাদকাসক্ত ছেলে নূরুল আমীনকে ভালো করতে দুই দফায় প্রায় তিনমাস মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে রেখে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা খরচ করেছেন। সব খরচই তার প্রবাসী বড় ছেলের পাঠানো টাকা থেকে হয়েছে। কিন্তু বাড়ি ফিরে এসেই আবার মাদক সেবন শুরু করে। শুক্রবার সকালেও নূরুল আমীন তার কাছে মাদক কিনতে দুই হাজার টাকা দাবি করলে তিনি তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এ সময় সে বাড়িতে ভাংচুর শুরু করলে তিনি ভয়ে বাড়ি থেকে চলে যান। পরে সে তার মায়ের কাছে টাকা দাবি করে গালিগালাজ করতে থাকলে বড় ভাই এসে তাকে বেধরক পিটুনি দিয়ে ঘরে আটকে রাখে। পরে দুপুরের দিকে ঘরে গিয়ে তাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।কাপাসিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জয়নাল আবেদীন মন্ডল জানান, পারিবারিক কলহের জেরে বড় ভাইয়ের আঘাতে ছোট ভাই নিহত হয়েছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পিতা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন। ভোরের আকাশ/হ.র
ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঐতিহাসিক মহা সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে চলো চলো ঢাকা চলো শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত করে কাপাসিয়া উপজেলা জামায়াতে ইসলামী ব্যাপক শোডাউন করেছে।আগামীকাল ১৯ জুলাই শনিবার দিনব্যাপী ঢাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আহূত কেন্দ্রীয় সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে গত দুই দিন ধরে বিভিন্ন ইউনিয়নে বিশাল গণ মিছিল, র্যালি ও আলোচনা সভা করেছে উপজেলা জামায়াতে ইসলামী।এরই ধারাবাহিকতায় আজ শুক্রবার বিকালে কাপাসিয়া উপজেলা সদরে বিশাল শোভাযাত্রার মাধ্যমে ব্যাপক শোডাউন করেছে কাপাসিয়া উপজেলা জামায়াতে ইসলামী।ফকির মজনু শাহ সেতুর পশ্চিম পাশে শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ চত্বর থেকে গণ মিছিল ও শোভাযাত্রা শুরু হয়ে উপজেলা সদরের ডাকবাংলো মোড়, পুরাতন বাসস্ট্যান্ড, কলেজ রোর্ড, থানার মোড়, কাপাসিয়া বাজারের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সংক্ষিপ্ত সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ,বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও গাজীপুর -৪ (কাপাসিয়া) সংসদীয় আসনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য পদ প্রার্থী অধ্যক্ষ সালাউদ্দিন আইউবী, গাজীপুর জেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর বিশিষ্ট আলেমেদ্বীন মাওলানা শেফাউল হক, কাপাসিয়া উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা ফরহাদ হোসেন মোল্লা, সেক্রেটারি মাওলানা তোফাজ্জল হোসেন,এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মাওলানা আবুল ফাত্তাহ, মাওলানা ইমতিয়াজ হোসেন প্রমূখ। নেতৃবৃন্দ আগামীকালের ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঐতিহাসিক মহা সমাবেশ সফল করার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। ভোরের আকাশ/হ.র
তৈরি পোশাক খাতে ব্যবহৃত তুলাসহ একাধিক কাঁচামালে উৎসে কর (ট্যাক্স অ্যাট সোর্স) তুলে নিয়েছে সরকার। এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। প্রজ্ঞাপনটি স্বাক্ষর করেন এনবিআরের করনীতি সদস্য এ কে এম বদিউল আলম।প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আয়কর আইন, ২০২৩ অনুযায়ী এবং উৎসে কর বিধিমালা ২০২৪ এর সংশ্লিষ্ট বিধির আওতায় আমদানিকৃত নির্দিষ্ট পণ্যের ওপর উৎসে কর হার শূন্য শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ এসব পণ্যে এখন আর আগাম আয়কর (এআইটি) প্রযোজ্য হবে না।করমুক্ত সুবিধাপ্রাপ্ত পণ্যের তালিকায় রয়েছে বাছাইকৃত ও আঁচড়ানো তুলা, সিনথেটিক স্ট্যাপল ফাইবার, অ্যাক্রেলিক ও আর্টিফিশিয়াল স্ট্যাপল ফাইবারসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাঁচামাল। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের শুরুতে তুলা আমদানিতে দুই শতাংশ এআইটি আরোপ করে এনবিআর, যা নিয়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছিল।বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ)-এর তথ্যমতে, দেশে ১,৮৫৮টি সুতাকল, উইভিং, ডাইং, প্রিন্টিং ও ফিনিশিং কারখানা রয়েছে এবং এ খাতে বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তৈরি পোশাক শিল্পে ব্যবহৃত সুতা ও কাপড়ের প্রায় ৭০ শতাংশই আসে স্থানীয় বস্ত্র খাত থেকে।নতুন এই সিদ্ধান্তে দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হয়েছে বলে জানাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। তাঁদের মতে, আগাম কর আরোপের কারণে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি শিল্প খাতের প্রতিযোগিতা সক্ষমতাও হ্রাস পাচ্ছিল। কর প্রত্যাহার কার্যকর হলে টেক্সটাইল ও স্পিনিং মিলগুলোর মূলধনের ওপর চাপ কমবে এবং তারল্য পরিস্থিতির উন্নতি হবে।এনভয় টেক্সটাইলসের প্রতিষ্ঠাতা কুতুবউদ্দিন আহমেদ বিষয়টিকে সময়োপযোগী পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, এটি শিল্পকে আরও প্রতিযোগিতামূলক করে তুলবে। একই ধরনের অভিমত দিয়েছেন এসএমএসি অ্যাডভাইজরি সার্ভিসেস লিমিটেডের পরিচালক স্নেহাশীষ বড়ুয়া। তিনি বলেন, এটি শুধুমাত্র একটি কর ছাড় নয়, বরং একটি কৌশলগত পদক্ষেপ—যা দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে এবং টেকসই শিল্প গড়ে তুলতে সহায়ক হবে।উল্লেখযোগ্য যে, প্রজ্ঞাপনে ৫২০১ থেকে ৫৫০৭ পর্যন্ত এইচএস কোডসমূহকে ছাড়ের আওতায় আনা হয়েছে। এসব কোডের অধীনে থাকা তুলা ও সিনথেটিক ফাইবার গার্মেন্টস শিল্পে স্পিনিং কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এনবিআরের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এ সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হবে।বিটিএমএ দীর্ঘদিন ধরেই এই কর অব্যাহতির দাবি জানিয়ে আসছিল। তাদের বক্তব্য, রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো কর অব্যাহতির আওতায় থাকায় আগাম করের কারণে ইনপুট ও প্রকৃত আয়ের মধ্যে বৈষম্য তৈরি হচ্ছিল। নতুন সিদ্ধান্তে এই অসামঞ্জস্য অনেকটাই দূর হবে বলে মনে করছে খাত সংশ্লিষ্ট মহল। ভোরের আকাশ/হ.র
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ের প্রথম ১৬ দিনেই দেশে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৪২ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার। টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ প্রায় ১৭ হাজার ১৯৪ কোটি ১০ লাখ (প্রতি ডলার ১২১ টাকা ধরে)। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের এই সময়ে রেমিট্যান্স প্রবাহ গত বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।২০২৪ সালের একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৩১ কোটি ৯০ লাখ ডলার। সে হিসেবে এবার এসেছে প্রায় ১০ কোটি ২০ লাখ ডলার বা এক হাজার ২৩৪ কোটি টাকা বেশি। এর আগে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুন মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে প্রায় ২৮১ কোটি ৮০ লাখ ডলার, যা দিনে গড়ে ৯ কোটি ৪০ লাখ ডলারের মতো। এটি ছিল ওই অর্থবছরের একক মাসের হিসেবে তৃতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রবাহ। আর মে মাসে এসেছিল ২৯৭ কোটি ডলার, যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে মার্চ মাসে—৩২৯ কোটি ডলার। ২০২৪-২৫ অর্থবছরজুড়ে (জুলাই-জুন) দেশে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ৩০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার। আগের বছর একই সময়ে রেমিট্যান্স ছিল ২৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার। ফলে বছরে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে প্রায় ২৬ দশমিক ৮ শতাংশ। মাসভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ওই অর্থবছরে জুলাইয়ে এসেছিল ১৯১ কোটি ৩৮ লাখ ডলার, আগস্টে ২২২ কোটি ১৩ লাখ, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ, নভেম্বরে ২২০ কোটি, ডিসেম্বরে ২৬৪ কোটি, জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি, ফেব্রুয়ারিতে ২৫৩ কোটি, মার্চে ৩২৯ কোটি, এপ্রিলে ২৭৫ কোটি, মে মাসে ২৯৭ কোটি এবং সর্বশেষ জুনে এসেছে ২৮২ কোটি মার্কিন ডলার। প্রবাসী আয়ের এ ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি অর্থবছরেও রেমিট্যান্স প্রবাহ নতুন উচ্চতায় পৌঁছাতে পারে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদ ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। ভোরের আকাশ/হ.র
জুলাই অভ্যুত্থান স্মরণে মাসব্যাপী ফরেন রেমিট্যান্স সেবা মাস শুরু করেছে জনতা ব্যাংক পিএলসি.।বুধবার ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর ভার্চুয়ালি রেমিট্যান্স সেবা মাসের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।উক্ত সভায় সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের মান্যবর রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ, জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান মুহ. ফজলুর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মজিবর রহমান, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম মরতুজা, মো. নজরুল ইসলাম, আশরাফুল আলম এবং প্রধান কার্যালয়ের মহাব্যবস্থাপকবৃন্দসহ ঊর্ধ্বতন নির্বাহী ও কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।এ সময় গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর প্রবাসীরা যেন ঘরে বসেই মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠাতে পারেন এ ধনের সুবিধা চালু করার জন্য বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর প্রতি আহ্বান জানান।তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে প্রবাসীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। রেমিটেন্স প্রেরণের ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা দেয়ারও আহ্বান জানান।প্রসঙ্গত, এ সুবিধার আওতায় সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থানরত প্রবাসীরা জনতা ব্যাংকের মাধ্যমে সর্বোচ্চ এক হাজার ৫০০ দিরহাম বিনা মাসুলে দেশে পাঠাতে পারবেন।ভোরের আকাশ/জাআ
ভারতের ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই) বছরে প্রায় ১০ হাজার কোটি রুপি আয় করছে, যার বড় অংশই আসছে আইপিএল থেকে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বোর্ডের মোট আয়ের ৫৯.১০ শতাংশই এসেছে এই জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ থেকে।এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, বিসিসিআইয়ের এ বছরের মোট আয় ৯,৭৪২ কোটি রুপি, যার মধ্যে শুধু আইপিএল থেকেই এসেছে ৫,৭৬১ কোটি রুপি।এছাড়া, নারী আইপিএল (ডব্লিউপিএল), আন্তর্জাতিক ম্যাচের সম্প্রচার স্বত্ব এবং বিভিন্ন স্পনসরশিপ থেকেও বোর্ডের আয় হয়েছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে। আন্তর্জাতিক ম্যাচ থেকে আয় হয়েছে ৩৬১ কোটি রুপি এবং আইসিসি থেকে এসেছে ১,০৪২ কোটি রুপি—যা মোট আয়ের প্রায় ১০.৭০ শতাংশ।বোর্ডের আর্থিক ভিত্তিও অত্যন্ত শক্তিশালী। বিসিসিআইয়ের স্থায়ী আমানতের পরিমাণ প্রায় ৩০ হাজার কোটি রুপি, যেখান থেকে সুদের মাধ্যমে বছরে প্রায় এক হাজার কোটি রুপি আয় হয়।অর্থনীতিবিদদের ধারণা, আইপিএল থেকে বিসিসিআইয়ের আয় প্রতিবছর গড়ে ১০ থেকে ১২ শতাংশ হারে বাড়তে পারে। ফলে এই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ এখন কেবল বোর্ডের নয়, বরং গোটা ক্রিকেট অর্থনীতির জন্যই একটি নির্ভরযোগ্য স্তম্ভে পরিণত হয়েছে। আইসিসির অর্থনৈতিক নির্ভরশীলতাও দিন দিন বাড়ছে ভারতীয় বোর্ডের ওপর। ভোরের আকাশ/হ.র
রাজধানীর পুরান ঢাকায় মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে মো. সোহাগ হত্যা মামলায় তিন আসামি আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) ঢাকার পৃথক তিনটি মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন।এর আগে গত ৯ জুলাই রাজধানীর মিডফোর্ডে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে কুপিয়ে, পিটিয়ে ও পাথর দিয়ে থেঁতলে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার বড় বোন বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।আর এই ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন তিন আসামি। আসামিরা হলেন- টিটন গাজী, মো. আলমগীর ও মনির ওরফে লম্বা মনির।এ সময় তারা স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করতে আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুল ইসলাম, মোহাম্মদ এহসানুল ইসলাম ও আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জোনাইদের আদালত তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।এ মামলায় গ্রেপ্তাররা হলেন মাহমুদুল হাসান মহিন, টিটন গাজী, মো. আলমগীর, মনির ওরফে লম্বা মনির, তারেক রহমান রবিন, সজীব ব্যাপারী, মো. রাজিব ব্যাপারী, নান্নু কাজী, রিজওয়ান উদ্দীন ওরফে অভিজিৎ বসু। ভোরের আকাশ/জাআ
সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে পানি খাওয়া শরীরের জন্য খুবই উপকারি। তবে কতটুকু পানি একবারে পান করা উচিত, তা নিয়ে নানা মত থাকলেও বিশেষজ্ঞরা পরিমিত ও সঠিক পরিমাণের পানি পান করার পরামর্শ দেন।সকালে ঘুম থেকে উঠে ১ থেকে ২ গ্লাস হালকা গরম পানি খাওয়া স্বাস্থ্যকর।একবারে বেশি পরিমাণে পানি (যেমন ১ লিটার বা তার বেশি) খাওয়া ঠিক নয়, কারণ এতে কিডনির ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়তে পারে।রাতে ঘুমানোর আগে ও খাবারের আগে-পরেও পরিমাণমতো পানি পান করা উচিত।পানি খাওয়ার সঠিক নিয়ম:ঘুম থেকে উঠে ২ গ্লাস পানি পান করুন।প্রতিবার খাবারের আগে ১ গ্লাস পানি খান।খাবারের আধা ঘণ্টা পর ১ গ্লাস পানি পান করা ভালো।রাতে ঘুমানোর আগে ১ গ্লাস হালকা গরম পানি পান করুন।সারাদিনে মোট ৩ লিটার পানি পান করা উচিত, কিন্তু তা ভাগ করে নিয়মিত পান করতে হবে।ঘুমানোর সময় শরীর পানিশূন্যতায় ভুগে। সকালে পানি পান করলে অন্ত্র পরিষ্কার হয়, বিপাক ত্বরান্বিত হয় এবং শরীর থেকে টক্সিন বের হয়। তাই দিনে সুস্থ ও সতেজ থাকতে খালি পেটে পানি পান অত্যন্ত উপকারী।যারা কিডনি বা হৃদরোগের সমস্যায় ভুগছেন, তাদের অতিরিক্ত পানি পান থেকে বিরত থাকা উচিত।একবারে অতিরিক্ত পানি পান কিডনির ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর।সুতরাং, সুস্থতা বজায় রাখতে সকালে ঘুম থেকে উঠে ধীরে ধীরে ১-২ গ্লাস হালকা গরম পানি পান করুন এবং সারাদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি ভাগ করে ভাগ করে পান করুন। ভোরের আকাশ/হ.র
ইসরাইল ও সিরিয়া যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের তুরস্কে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ও সিরিয়া বিষয়ক বিশেষ দূত টম ব্যারাক।স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৮ জুলাই) এক্সে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে তিনি এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।তিনি জানান, এই চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে তুরস্ক, জর্ডান এবং অন্যান্য প্রতিবেশী দেশগুলো। খবর সিএনএনের।এ চুক্তিকে বলা হচ্ছে একটি কূটনৈতিক মাইলফলক, যা মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান অস্থিরতা এবং সিরিয়ার অভ্যন্তরীণ বিভাজন নিরসনের লক্ষ্যে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে পারে।যুক্তরাষ্ট্রের দূত ব্যারাক বলেন, আমরা ড্রুজ, বেদুইন এবং সুন্নি সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি—আপনারা অস্ত্র নামিয়ে রাখুন এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের সঙ্গে একত্রে শান্তি ও সম্প্রীতির পথে একটি নতুন এবং ঐক্যবদ্ধ সিরিয়া গড়ে তুলুন।ইসরাইল গত বুধবার সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে বিমান হামলা চালায়, যার লক্ষ্য ছিল সরকারি স্থাপনাসমূহ। দখলদারদের দাবি করে, তারা এই হামলা চালিয়েছে ড্রুজ সম্প্রদায়কে রক্ষা করার উদ্দেশ্যে, যারা আরব ধর্মীয় সংখ্যালঘু এবং দীর্ঘদিন ধরে সিরিয়ায় বসবাস করছে।সিরিয়ায় দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদের পতনের পর অঞ্চলটিতে নতুন ক্ষমতাকাঠামো প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যার ফলে সরকারপন্থি বাহিনী ও ড্রুজদের মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষে এ পর্যন্ত দশকের পর দশক ধরে চাপা থাকা জাতিগত বিভাজন আবারও সামনে চলে এসেছে।বুধবারের ইসরাইলি হামলায় কমপক্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন বলে সিরিয়ান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। দামেস্কে অবস্থিত প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ভবনে আঘাত হানার একটি মুহূর্ত সরাসরি সম্প্রচারিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, যেখানে স্টুডিওতে থাকা উপস্থাপক হামলার শব্দে আতঙ্কিত হয়ে নিচু হয়ে যান।সিরিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা বুধবার রাতের এক জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে বলেন, সরকারি বাহিনী সুয়েইদা থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু করেছে।শারা সরকার ড্রুজ গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে পৃথক একটি যুদ্ধবিরতিতেও সম্মত হয়েছে, যা বোঝায় যে সিরিয়ার অভ্যন্তরীণ সংঘাতও ধীরে ধীরে সংলাপের দিকে এগোচ্ছে।তবে একই ভাষণে শারা অভিযোগ করেন, ইসরাইল আমাদের জনগণের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে চায় এবং সিরিয়াকে একটি অস্থির যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করতে চায়।ভোরের আকাশ/জাআ
১২ ঘণ্টা আগে