কিডনি আমাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, যা বিভিন্ন ধরনের দূষণ ও রোগ প্রতিরোধে কাজ করে। তবে পানি কম খাওয়া, প্রস্রাব দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখা এবং অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রার কারণে কিডনির সমস্যা বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে কিডনিতে পাথর জমে যাওয়ার সমস্যা অনেকেরই কষ্টের কারণ। চিকিৎসকরা বলছেন, কিডনি ভালো রাখতে পুষ্টিকর খাবার এবং ফলমূলের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গেছে, কিছু বিশেষ ফল নিয়মিত খেলে কিডনিতে পাথর জমার ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়। আসুন জেনে নিই সেই ফলগুলো সম্পর্কে-১. সাইট্রাস জাতীয় ফলকমলালেবু, আনারস, পাতিলেবু, স্ট্রবেরি—এই সাইট্রাস জাতীয় ফলগুলো ভিটামিন সি-তে সমৃদ্ধ। ভিটামিন সি কিডনির ক্ষতি রোধ করে এবং পাথর জমার সম্ভাবনা কমায়। এগুলোর অ্যাসিডিক উপাদান কিডনি সুরক্ষায় সহায়ক ভূমিকা পালন করে।২. বেদানাবেদানায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে, যা কিডনিকে নানা ধরনের সমস্যার হাত থেকে রক্ষা করে। কিডনির কার্যক্রম সুস্থ রাখতে বেদানা নিয়মিত ডায়েটে রাখা উচিত।৩. বেরি জাতীয় ফলস্ট্রবেরি ও ব্লুবেরিতে থাকা অক্সালেটস নামক অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট কিডনির সুরক্ষা বাড়ায় এবং কিডনি রোগের ঝুঁকি কমায়। অন্যান্য ফলের সঙ্গে মিশিয়ে বেরি নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ চিকিৎসকদের।কালের সমাজ//হ.র
৭ ঘন্টা আগে
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৩৯১ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ১২৮ জন বরিশাল বিভাগে। আর এই সময়ের মধ্যে মারা গেছেন ১ জন। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৫৫ জনের এবং হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৪ হাজার ৪৬০ জন। শনিবার (১২ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের দেওয়া তথ্য থেকে এসব জানা যায়।এতে বলা হয়েছে, হাসপাতালে নতুন ভর্তিদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১২৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৪১ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) ৩৯ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ২০ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৬৩ জন, খুলনা বিভাগে ৩০ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১১ জন, রাজশাহী বিভাগে ৫৭ জন এবং রংপুর বিভাগে ২ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন।এদিকে গত একদিনে সারাদেশে ৩৫৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছেন ১৩ হাজার ১০৩ জন।স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, এবছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সবমিলিয়ে ১৪ হাজার ৪৬০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৫৫ জনের।প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে একলাখ এক হাজার ২১৪ জন এবং ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যুবরণ করেছেন ৫৭৫ জন। এর আগে ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয় ও পাশাপাশি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন মোট তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
১৮ ঘন্টা আগে
গেল ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরে এই রোগে এখন পর্যন্ত ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য দেওয়া হয়েছে।এতে বলা হয়, এই সময়ে ডেঙ্গু নিয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৩৭ জন।এর আগে ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি রোগী ভর্তি হয় গত ৭ জুন। সেদিন ৪৯২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ডেঙ্গু নিয়ে।চলতি বছর হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১৩ হাজার ৯৩১ জনে।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি বলছে, আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া দুজনের মধ্যে একজন ঢাকায়, আরেকজন চট্টগ্রাম বিভাগের।চলতি মাসে ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। ১৯ জনের প্রাণ গেছে আগের মাসে। এছাড়া জানুয়ারিতে ১০ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩ জন, এপ্রিলে ৭ জন ও মে মাসে ৩ জন ডেঙ্গুতে মারা যান। ফেব্রুয়ারি মাসে কারো মৃত্যুর তথ্য দেয়নি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।ভোরের আকাশ/জাআ
২ দিন আগে
নারীদের জীবনে মাসিক বা ঋতুচক্র একটি স্বাভাবিক জৈবিক প্রক্রিয়া। সাধারণত ২১ থেকে ৩৫ দিন অন্তর নিয়মিত মাসিক হয়ে থাকে। তবে অনেক সময় এই চক্রে ব্যাঘাত ঘটতে পারে, যাকে অনিয়মিত মাসিক বলা হয়। এটি শুধু শারীরিক নয়, মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও প্রভাব ফেলতে পারে।এই বিষয়ে যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক সংগঠন ‘সহায় হেলথ’-এর সহপ্রতিষ্ঠাতা ডা. তাসনিম জারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিওতে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।অনিয়মিত মাসিকের সম্ভাব্য কারণ:অনিয়মিত মাসিকের পেছনে অনেকগুলো কারণ থাকতে পারে। কিছু কারণ সাময়িক এবং সহজে নিয়ন্ত্রণযোগ্য হলেও, কিছু ক্ষেত্রে এটি অন্তর্নিহিত স্বাস্থ্য জটিলতার ইঙ্গিতও হতে পারে।১. মানসিক চাপ:চিন্তা, উদ্বেগ বা মানসিক অস্থিরতা শরীরের হরমোনে প্রভাব ফেলে, যা মাসিক চক্রকে ব্যাহত করতে পারে।২. ওজনজনিত সমস্যা:অতিরিক্ত স্থূলতা কিংবা অতিরিক্ত কম ওজন—উভয়ই হরমোনের ভারসাম্যহীনতা তৈরি করে, যা মাসিক অনিয়মিত হওয়ার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।৩. অতিরিক্ত পরিশ্রম বা ব্যায়াম:বিশেষ করে পেশাদার অ্যাথলেট বা যারা প্রতিদিন অত্যধিক ব্যায়াম করেন, তাদের ক্ষেত্রে মাসিক বন্ধ হয়ে যেতে পারে বা অনিয়মিত হয়ে পড়ে।৪. অনিয়মিত বা অপুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস:হঠাৎ করে ডায়েট পরিবর্তন, পুষ্টিহীনতা বা অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাসও মাসিক চক্রকে প্রভাবিত করে।শারীরিক কিছু সমস্যাও অনিয়মিত মাসিকের কারণ হতে পারে:- হরমোনের ভারসাম্যহীনতা:ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরনের মাত্রা ওঠানামা করলে ঋতুচক্র বিঘ্নিত হয়। এটি বয়ঃসন্ধিকালে, সন্তান জন্মের পর এবং মেনোপজের আগে স্বাভাবিকভাবেই দেখা যায়।- পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম (PCOS):এই হরমোনজনিত সমস্যা ডিম্বাশয়ে ছোট ছোট সিস্ট তৈরি করে, যার ফলে মাসিক অনিয়মিত হয়ে পড়ে। এছাড়া ওজন বৃদ্ধি, ব্রণ এবং অতিরিক্ত লোমের সমস্যাও দেখা দেয়।- থাইরয়েড হরমোনের সমস্যা:থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্য কমে গেলে (হাইপোথাইরয়েডিজম) কিংবা বেড়ে গেলে (হাইপারথাইরয়েডিজম) তা মাসিক চক্রকে প্রভাবিত করতে পারে।- ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া:জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল, থাইরয়েড চিকিৎসার ওষুধ, মানসিক বিষণ্নতার ওষুধসহ কিছু নির্দিষ্ট ঔষধ মাসিক চক্রে প্রভাব ফেলতে পারে।- জরায়ু ফাইব্রয়েড:জরায়ুতে থাকা স্নেহাশক্ত টিউমার (ফাইব্রয়েড) অতিরিক্ত রক্তপাত বা অনিয়মিত মাসিকের কারণ হতে পারে।- জরায়ু বা ডিম্বাশয়ের রোগ:এন্ডোমেট্রিওসিস, সংক্রমণ বা কাঠামোগত কোনো অসঙ্গতিও মাসিক চক্রে বিঘ্ন ঘটাতে পারে। ভোরের আকাশ/হ.র
৩ দিন আগে