গরমে অস্থির প্রাণীকুল
তীব্র দাবদাহ আর ভ্যাপ্সা গরমে দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে জনজীবন। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যেন বেড়েই চলছে। দুদিনের মানুষ ছাড়াও গৃহপালিত ও বন্য পশু পাখিরাও হাসফাঁস গরমে অস্থির।
সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত একটানা সূর্যের দহনে স্থবিরতা নেমে এসেছে কর্মজীবনে। তীব্র গরম ও কাঠফাটা রোদের তাপের কারণে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন শ্রমিক, দিনমজুর, ভ্যান ও রিকশাচালকরা। বাসা-বাড়ি, অফিস কিংবা ব্যবসা-প্রতিষ্ঠন সবখানেই চলছে অস্থিরতা। শান্তি মিলছে না কোথাও। বাইরে আগুনে পোড়া গরমে জীবন দুর্বিষহ হয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে মানুষ। সব মিলিয়ে গরমে প্রভাব ফেলছে জীবনযাত্রায়। যাদের দিন আয়ে দিন চালাতে হয় তারা কাজ না করতে পেরে বেগ পেতে হচ্ছে বেশ।
শ্রমজীবিরা বলেন, প্রচণ্ড গরমে কাজে নামতে পারছে না, কাজ পেলেও আগের মতো করতে পারে না বলে মজুরিও কম পাচ্ছে।
সাহেবের চর এলাকার কৃষি শ্রমিক রুকন বলেন, আমাদের মতো গরিবদের আর গরম, মরলেই কি? বাঁচলেইবা কি? জীবিকার তাগিদে মাঠে মাঠে কাজ করতেই হয়। উপজেলার রিকশাচালক, ভ্যানচালক, দিনমজুরসহ নিম্ন আয়ের মানুষদের মন্তব্য প্রায় একই।
শিশু ও বৃদ্ধদের কাছে গরম এখন অসহনীয় অবস্থায়। আবার ঘরের ভেতরেও শান্তি নেই, গরমের কারণে সবাই ঘামছে, পানিশূন্যতা দেখা দিয়ে অনেকেই অসুস্থ বোধ করছেন। কোথাও একটু ছায়া পাওয়া গেলে মানুষ বিশ্রাম নিচ্ছে, আবার কেউ কেউ স্বস্তি পেতে ঠান্ডা শরবত বা ডাব খাচ্ছে।
কিশোরগঞ্জ জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকগন জানিয়েছেন, গরমে অতিরিক্ত ঘামের কারণে শরীরে পানিশূন্যতা তৈরি হয়। বেড়ে যায় তাপমাত্রা। এ পরিস্থিতিতে হিটস্ট্রোক হওয়ার আশঙ্কা থাকে, বিশেষ করে যারা শারীরিকভাবে অসুস্থ, যাদের হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপ আছে তাদের। এমন আবহাওয়ায় জ্বর, সর্দি, চর্মরোগসহ শ্বাসকষ্ট, হিট ষ্ট্রোক ও ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব বেশি থাকে। বর্তমানে এই অঞ্চলে যে আবহাওয়া বিরাজ করছে তা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। এই বৈরী আবহাওয়ায় রোগ-বালাইয়ের হাত থেকে রক্ষায় সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
তাদের মতে, এই গরমে যতটা পারা যায় ছায়ায় অবস্থান এবং বেশি বেশি পানি পান করতে হবে।
ভোরের আকাশ/এসআই
সংশ্লিষ্ট
পিরোজপুর জেলায় শুরু হয়েছে টাইফয়েড প্রতিরোধী টিকাদান কার্যক্রম। জেলার সব উপজেলায় একযোগে ৩ লাখ ২৯ হাজার শিশুকে টাইফয়েডের টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন।জেলার বিভিন্ন স্কুলভিত্তিক ক্যাম্পগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, উৎসবমুখর পরিবেশে জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে টিকাদান কার্যক্রম চলছে। শিশুরা উৎসবমুখর পরিবেশে টিকাদান কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে। অনেক জায়গায় অভিভাবকরাও উপস্থিত থেকে শিশুদের উৎসাহ দিচ্ছেন। সংশ্লিষ্ট শিক্ষক, অভিভাবক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সহযোগিতায় কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও ভবিষ্যৎ ঝুঁকি কমাতে এই টিকাদান কর্মসূচিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। টাইফয়েডের প্রকোপ রোধে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।১২ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই মাসব্যাপী কার্যক্রমের আওতায় প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী এবং ৯ মাস বয়স থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী সব শিশুকে একটি করে ডোজ দেওয়া হচ্ছে। পিরোজপুরে ১২ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত স্কুল পর্যায়ে টিকা দেওয়া হবে। আগামী ১ নভেম্বর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত টিকা দেওয়া হবে কমিউনিটি পর্যায়ে। ১২ থেকে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত ৪৭ হাজার ৮২ জনকে ঠিকা দেওয়া হয়েছে।এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. মতিউর রহমান বলেন, শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য টাইফয়েডের টিকা দেওয়া অত্যন্ত জরুরি। ১২ অক্টোবর থেকে টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে শিশুদেরও বেশ সাড়া পাওয়া গেছে।জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের আশা নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই লক্ষ্যমাত্রার সব শিশুদের মধ্যে টিকা প্রদান সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। জনসচেতনতা ও সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে এই কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় দিনাজপুরে শুরু হয়েছে আগাম আলু চাষ। কৃষকেরা হালচাষ, বীজ বপন ও পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, জেলায় প্রায় ১১ হাজার হেক্টর জমিতে এবার আগাম জাতের আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধারণা করা হচ্ছে।তবে চাষের শুরুতেই সার সিন্ডিকেটের খপ্পরে পড়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। আলু বীজের দাম অস্বাভাবিকভাবে কমে যাওয়ায় কৃষকের সাময়িক সুবিধা হলেও, সার ও কীটনাশক সরকার-নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে কিনতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।জানা যায়, কৃষকেরা এবার বিনা-৭, সানসাইন ও স্টারিজের মতো আগাম জাতের আলুর বীজ বপন করছেন। বিগত বছরগুলোতে যে আলুবীজ জাতভেদে ৫৭ টাকা থেকে ৬৬ টাকা পর্যন্ত সরকার মূল্য নির্ধারণ করলেও কৃষককে কিনতে হতো ৮০ টাকা থেকে ১১০ টাকা কেজিতে, সেই বীজ এবার বাজারে বিক্রি হচ্ছে মাত্র ১৫ থেকে ১৬ টাকা কেজি দরে।চাষিরা জানিয়েছেন, সামনে এই দাম আরও কমতে পারে। বীজের এই অবিশ্বাস্য কম দাম আলু চাষের খরচ কিছুটা কমালেও, সারের ক্ষেত্রে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ উল্টো।কৃষকদের অভিযোগ, ডিলাররা সরকার-নির্ধারিত মূল্যের তোয়াক্কা না করে ইচ্ছেমতো দামে সার বিক্রি করছেন। সারের মূল্যে অতিরিক্ত মুনাফার স্পষ্ট চিত্র তুলে ধরেছেন কৃষকরা: টিএসপি: সরকারি মূল্য ১২৫০ টাকা, বিক্রি হচ্ছে ১৩৫০ টাকায়। ডিএপি: সরকারি মূল্য ৯৫০ টাকা, বিক্রি হচ্ছে ১০৫০ টাকায়। এমওপি: সরকারি মূল্য ৯০০ টাকা, বিক্রি হচ্ছে ১০০০ টাকায়। ইউরিয়া: সরকারি মূল্য ১২৫০ টাকা, বিক্রি হচ্ছে ১৩৫০ টাকায়। এ ছাড়াও, বিদেশি সার যেমন তিউনেশিয়ার টিএসপি ২০০০ টাকা, দেশি টিএসপি ২৪০০ টাকা; মরক্কোর ডিএপি ১৭০০-১৮০০ টাকা, দেশি ডিএপি ২০০০ টাকা; কানাডার এমওপি ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।আরও মারাত্মক অভিযোগ হলো, কৃষকেরা সরকারি মূল্যের চেয়ে বেশি দামে সার কিনলেও ডিলাররা কোনো ভাউচার দিচ্ছেন না। সদর উপজেলার ঘুঘুডাঙ্গা গ্রামের কৃষক জুয়েল ইসলাম ক্ষোভের সঙ্গে জানান, ডিলাররা সরকারি মূল্যের চেয়ে অনেক বেশি দামে সার বিক্রি করছেন। আবার রশিদ চাইলে সার নেই বলে ফেরত দেন। তাই বাধ্য হয়ে রশিদ ছাড়াই বেশি দামে সার কিনছি। এর ফলে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে সার কিনেও কৃষকদের কাছে কোনো আইনি প্রমাণ থাকছে না।তবে আশার কথা, মজুরের দাম গত বছরের মতোই রয়েছে। কৃষকেরা আশা করছেন, ৫০-৫৫ দিনের মধ্যে তাদের ফলন ঘরে উঠবে এবং একরপ্রতি ১৪০-১৫০ মণ আলু উৎপাদন হতে পারে। অগ্রহায়ণ মাসের মূল মৌসুমের আগেই আশ্বিন মাসে আগাম চাষের মূল কারণ প্রথম দিকের ফসলের ভালো দাম পাওয়া।এ ব্যাপারে ডিলারদের কেউ প্রকাশ্যে কথা বলতে রাজি হননি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএডিসি বীজ ও সার ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক এক নেতা স্বীকার করেন, আলু বীজের দাম এবার বাজারে অনেক কম। তবে একটি সিন্ডিকেট আছে, যে কারণে সার বেশি দামে বিক্রি হয়। ইচ্ছে করলেও কেউ একা কিছু করতে পারে না।এদিকে, সার বরাদ্দ ও বেশি দামে বিক্রির বিষয়ে যুগ্ম পরিচালক (সার) মো. জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আফজাল হোসেন জানিয়েছেন, যদি বেশি দামে সার বিক্রি হয়ে থাকে, তাহলে খবর নিয়ে তদন্ত করে ডিলারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মাঠে আমাদের তদারকি টিম কাজ করছে।কৃষকদের প্রশ্ন, সরকার নির্ধারিত মূল্যে সার কেনা গেলে যেখানে আলু উৎপাদনের খরচ আরও কমত, সেখানে সার সিন্ডিকেটের কবলে পড়ে কেন তারা লোকসানের ঝুঁকিতে পড়বেন? সরকারের উচিত দ্রুত এই সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে কৃষকের স্বার্থ রক্ষা করা।ভোরের আকাশ/মো.আ.
বাগেরহাটে ডেঙ্গু পরিস্থিতি দিন দিন জটিল আকার ধারণ করছে। জেলার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর চাপ আগের তুলনায় দ্বিগুণ বেড়েছে। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ১৩ জন ডেঙ্গু রোগী।হাসপাতালে সাধারণ রোগীদের সঙ্গে একই ওয়ার্ডে ডেঙ্গু রোগীদের রাখায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে অন্যান্য রোগী ও তাদের স্বজনদের মাঝে। ডেঙ্গু আক্রান্তরা মশারি ব্যবহার না করায় সংক্রমণের আশঙ্কা আরও বাড়ছে বলে জানিয়েছেন তারা।এদিকে বাগেরহাট পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় ড্রেন, খোলা জায়গা ও বর্জ্য ফেলার স্থানে জমে থাকা পানিতে মশার প্রজনন ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। অপরিকল্পিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও দুর্বল ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে ডেঙ্গুর ঝুঁকি বাড়ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।মো. ইউনুস বলেন, ডেঙ্গু রোগীদের আলাদা না রেখে আমাদের সঙ্গে একই ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। তারা মশারি ব্যবহার করছেন না। এর ফলে আমরা সবাই আতঙ্কে রয়েছি। আমাদের স্বাভাবিকভাবে চিকিৎসা নেওয়া এবং নিরাপদে থাকা পর্যন্ত উদ্বিগ্ন থাকতে হচ্ছে। আশা করছি কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে যেন আমাদের এই ভয় ও ঝুঁকি কমে।মো. আল আমিন, বর্তমানে বাগেরহাট ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ডেঙ্গু নিয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি বলেন, আমি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। শুরুতে অবস্থা খুব খারাপ ছিল, শরীর ভীষণ দুর্বল হয়ে পড়েছিল। তবে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকে নিয়মিত চিকিৎসা ও সেবার কারণে এখন অনেকটা সুস্থ বোধ করছি। ডাক্তার ও নার্সরা খুব মনোযোগ দিয়ে চিকিৎসা দিচ্ছেন। আগের তুলনায় অনেক ভালো আছি, আশা করি শিগগিরই পুরোপুরি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরতে পারব।পৌরসভার বাসিন্দা মো. জাহিদ হাসান পলাশ অভিযোগ করে বলেন, পৌর কর্তৃপক্ষ নিয়মিত মশা নিধন ও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না নেওয়ায় পুরো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। শহরের বিভিন্ন স্থানে জমে থাকা পানি ও অপরিকল্পিত বর্জ্য মশার প্রজনন বাড়াচ্ছে, যার ফলে ডেঙ্গু সংক্রমণের ঝুঁকি ক্রমশ বেড়ে যাচ্ছে। আমরা দাবি করছি, জরুরি ভিত্তিতে মশা নিধন কার্যক্রম জোরদার করা হোক এবং হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগীদের সাধারণ রোগীদের থেকে আলাদা রাখা হোক, যাতে সাধারণ মানুষ নিরাপদে চিকিৎসা নিতে পারে।২৫০ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসীম কুমার সমদ্দার বলেন, বর্তমানে হাসপাতালে ১৩ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন। গত দুই-তিন দিনের মধ্যে রোগীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। আমরা পরিস্থিতি মনিটরিং করছি এবং সতর্কতার সঙ্গে রোগীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। হাসপাতালের মেডিকেল টিম সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত রয়েছে যেন রোগীরা সময়মতো সেবা পেতে পারেন এবং সুস্থ হয়ে ফিরে যেতে পারেন।চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়েছেন, ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকতে হবে। মশার প্রজননস্থল ধ্বংস ও বাসাবাড়ি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার মাধ্যমে ডেঙ্গু প্রতিরোধ করা সম্ভব।ভোরের আকাশ/তা.কা
বরিশালে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এর আয়োজনে পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। (১৪ অক্টোবর) মঙ্গলবার বিকাল ৪ টায় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এর আয়োজনে পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে।চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জহির উদ্দিন এর সভাপতিত্বে পুলিশ -ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্সটি অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার বেল্লাল হোসাইন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুফল চন্দ্র গোলদার, স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট রুবায়া আমেনা, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুরুন নাজনীন, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদিক আহমেদ, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত গাজী মোহাম্মদ অহিদুল ইসলাম অহিদ, পুলিশ পরিদর্শক পিবি আই হুমায়ুন কবির, মোঃ মশিউর রহমান পুলিশ পরিদর্শক সিআইডি, সিভিল সার্জন পরিচালক ডাঃএস.এম.মন্জুর এ এলাহী, শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সহকারী পরিচালক ( প্রশাসন) ডা: মোঃ মাহামুদ হাসান, শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এর ফরেনসিক প্রভাষক ডা:অনিক নিলয় দে,জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সাদিকুর রহমান লিংকন, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মির্জা মোহাম্মদ রিয়াজ হোসেন, বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার আনন্দ কুমার শীল, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক তানভীর হোসেন, বরিশাল কোতোয়ালি থানার অফিসার্স ইনচার্জ মিজানুর রহমান, কাউনিয়া থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ ইসমাইল হোসেন, বিমানবন্দর থানার অফিসার্স ইনচার্জ আল মামুন উল ইসলাম, বন্দর থানা অফিসার্স ইনচার্জ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম।ছবি: ভোরের আকাশকনফারেন্সের শুরুতে চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোঃ জহির উদ্দিন বলেন ন্যায়বিচার প্রাপ্তির ক্ষেত্রে যে সব প্রতিবন্ধকতা আছে, সেগুলো দূর করতে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ও সংশ্লিষ্ট থানাগুলোকে নির্দেশ দেন। তিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) তদন্ত করার সময় বিভিন্ন মামলার আলামত যথাযথভাবে জব্দ করার জন্যেও নির্দেশ দেন।তদন্তকারী কর্মকর্তাদের আরও প্রশিক্ষণের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট। দ্রুত ও দক্ষতার সঙ্গে প্রতিবেদন দাখিলের পাশাপাশি সাক্ষী উপস্থাপন নিশ্চিত করে তাদের নিরাপত্তা দিতেও সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দেন তিনি। এ সময় মতামত ও প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।সভায় চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কয়েদিদের খাবারের জন্য যে বরাদ্দ হয় সেটা সঠিকভাবে কয়েদিরা পান কিনা সে ব্যাপারে তদারকি করেন, এবং যেদিন তাকে আদালতে আনা হয় ঐদিন যাতে কয়েদির জন্য যেটা বরাদ্দ খাবার থাকে তাকে সেই খাবারটা জেল থেকে সরবরাহ করার ব্যাপারে নির্দেশনা প্রদান করেন চীফ পেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জহির উদ্দিন। এতে করে কোর্ট পুলিশের বিরম্বনা পোহাতে হবে না, এবং পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন তদন্তের ব্যাপারে আরো সুসংগঠিত হতে হবে এ ব্যাপারে নির্দেশনা প্রদান করেন।কনফারেন্সের পরিশেষে চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এর ডাকে সাড়া দিয়ে সবাই ম্যাজিস্ট্রেসি প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছেন এবং তিনি উক্ত প্রোগ্রামে যে আলোচনা করেছেন সেটা দেশের সমাজের ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য বলেছেন এবং কাজ করতে গিয়ে কোন প্রকার প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হলে তার দরজা সব সময় খোলা আছে এমনটাই তিনি পরিশেষে ব্যক্ত করেছেন।ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্সটি সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ভারপাপ্ত নাজির মোঃ কামরুল ইসলাম।ভোরের আকাশ/তা.কা