পদ্মায় ২৮ কেজির কাতল ৫৩ হাজারে বিক্রি
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মা নদীতে জেলের জালে ধরা পড়েছে বিশাল আকৃতির একটি কাতল মাছ। মাছটির ওজন ২৮ কেজি। পরে এটি উন্মুক্ত নিলামে ১৮০০ টাকা কেজি ধরে ৫০ হাজার ৪০০ টাকায় কিনে নেন দৌলতদিয়া ৫ নং ফেরিঘাটের চাঁন্দু মোল্লা মৎস্য আড়তের মালিক চাঁন্দু মোল্লা। পরে মুঠোফোনে দেশের বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করে মাছটি তিনি ১৯০০ টাকা কেজি ধরে ৫৩ হাজার ২০০ টাকায় ঢাকার এক শিল্পপতির কাছে বিক্রি করেন। শনিবার (৩ মে) সকালে পদ্মা-যমুনা নদীর মোহনায়, পাবনা জেলার ঢালার চর এলাকার জেলে জামাল প্রামানিকের জালে মাছটি ধরা পড়ে।
জামাল বলেন, ভোররাত থেকে সঙ্গীদের নিয়ে পদ্মা নদীতে জাল ফেলেছিলেন। সকাল ৯টার দিকে জালে টান পড়লে সেটি তুলে দেখেন বিশাল আকৃতির একটি কাতল মাছ ধরা পড়েছে। পরে সকাল ১০টার দিকে মাছটি দৌলতদিয়া ঘাটের মোমিন মণ্ডলের মৎস্য আড়তে নিয়ে গেলে ওজন করে দেখা যায়, মাছটির ওজন ২৮ কেজি। এরপর মাছটি নিলামে ওঠানো হয়।
আড়তদার মোমিন মণ্ডল বলেন, নিলামে এক হাজার ৮০০ টাকা কেজি দরে মাছটি ৫০ হাজার ৪০০ টাকায় কিনে নেন চাঁন্দু মোল্লা। পরে তিনি ১৯০০ টাকা কেজি দরে ঢাকার এক শিল্পপতির কাছে ৫৩ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করেন।
চাঁন্দু মোল্লা বলেন, পদ্মার পানি কমে যাওয়ায় এখন মাঝেমধ্যেই বড় বড় মাছ ধরা পড়ছে। এতে জেলেদের মুখে হাসি ফুটছে।
গোয়ালন্দ উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. আনোয়ারুল ইসলাম পাইলট বলেন, নির্দিষ্ট সময়ে ইলিশ মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা থাকায় পদ্মায় এখন বড় মাছ পাওয়া যাচ্ছে। নদীতে নাব্যতা সংকট থাকায় এসব বড় মাছ জেলেদের জালে ধরা পড়ছে। তবে যথেষ্ট নাব্যতা থাকলে তারা গভীর পানিতে থেকে সহজে ধরা পড়ত না এবং স্বাভাবিকভাবে বংশবিস্তার করতে পারত।
তিনি আরও বলেন, নদীর পানি আরও কমে গেলে দেশীয় বড় প্রজাতির মাছ যেমন রুই, কাতলা, বোয়াল, পাঙাশ আরও বেশি ধরা পড়বে। তাই ভবিষ্যতের জন্য এই প্রজাতিগুলো সংরক্ষণে স্থায়ী অভয়াশ্রম গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। এসব বড় মাছ সাধারণত ফ্যাসন, কৌনা, কচাল ও চাকা ওয়ালা ঘাইলা ব্যার জালে ধরা পড়ে বলেও জানান তিনি।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
গ্রীষ্মের প্রখর তাপ আর বর্ষার অবিরাম বৃষ্টির পর শরৎ আসে এক স্নিগ্ধ, শান্ত রূপ নিয়ে। এই ঋতুর প্রধান আকর্ষণ হলো দিগন্ত বিস্তৃতি কাশফুলের সাদা সমারোহ। কাশফুল যেন শুভ্রতার প্রতীক, যা জানান দেয় শরতের আগমন। নদীর ধারে, খোলা মাঠে কাশফুলের বন বাতাসে দুলতে থাকে, যা দেখতে অত্যন্ত মনোরম। কাশফুল মানেই মেঘলা আকাশ,হালকা বাতাস আর কিছু না বলা আবেগটা শুধু হৃদয়ই বোঝে,ভাষা নয়। কাশফুলের সাদা সৌন্দর্যে লুকিয়ে থাকে এক নিঃশব্দ প্রেম,যেন প্রকৃতি নিজেই একটা কবিতা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।শরৎ মানেই কাশফুলের রাজ্যে হারিয়ে যাওয়া। দিগন্ত জোড়া সাদা ফুলের এই মেলা যেন প্রকৃতির এক অমূল্য উপহার। কাশফুলের স্নিগ্ধ পরশ আর নির্মল বাতাস এই দুটোই যথেষ্ট মনকে সতেজ করে তোলার জন্য। শরৎ সত্যিই অসাধারণ! কাশফুল তৃণভূমির নির্মল সৌন্দর্যে হারিয়ে যায় প্রকৃতির সবচেয়ে কোমল স্পর্শ, কাশফুলের সৌন্দর্য। কবি নির্মলেন্দু গুণ এর ইচ্ছা করে ডেকে বলি, “ওগো কাশের মেয়ে,আজকে আমার দেখা জুড়ালো,তোমার হাতে বন্দী আমার প্রেম কাশ-তাই আমি এই শরতে তোমার কৃতদাস।“কুড়িগ্রাম জেলায় ধরলা,তিস্তা,দুধকুমার, ব্রহ্মপুত্রসহ রয়েছে ১৬টি। এনসব নদ-নদীর অববাহিকায় ৪শ৫টি চর-দ্বীপচরে ফুটেছে কাশফুল। এই সব কাশফুলের বাগানে প্রতিদিন বন্ধুবান্ধব, পরিবার-পরিজন নিয়ে হাজার হাজার দর্শনার্থীরা আসছে। ভীড় জমাচ্ছে এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে। দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সময় কাটাচ্ছে। এদের কেউ কাশ বনের মাঝ দিয়ে নৌকায় ঘুরে বেড়ায়,কেউ কাশ বাগানে সেলফি তুলছে, কেউ ভিডিও করছেন, যার যার মত সবাই নিজেদের মতো করে সময় উপভোগ করছে। প্রকৃতির অপরুপ সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ সকলে। ওপরে নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা। আর এর মধ্যে নদীর বুক চিরে জেগে ওঠা চরের যেদিকেই চোখ যায়, কাশফুলের শুভ্র রঙের খেলা। লম্বা-চিরল সবুজ পাতার বুক থেকে বেরিয়ে আসা কাশফুল কোথাও থোকা থোকা, কোথাও ঠাস বোনা গুচ্ছ। হঠাৎ মনে হবে যেন সেখানে সাদা চাদর বিছানো। দোল খাওয়া কাশফুলের এই সৌন্দর্য এখানে আসা পর্যটকদের মনে দেয় প্রশান্তির ছোঁয়া। অপরূপ এই দৃশ্য দেখা যাচ্ছে নদ-নদীর প্রায় ৩ শতাধিক চর-দ্বীপচরে।কুড়িগ্রাম ধরলা পারের জয়স্বরস্বতির চর, জগমনের চর, পাংগার চর এলাকায় বিভিন্ন কাশফুল বাগানে আসা দর্শনাথী জানান,ধরলা নদীর তীওে এটি অসম্ভব সুন্দর একটি জায়গা। খুব ভাল লাগছে। এখানে প্রতিবছর কাশফুল ফোটে। যা আমাদের খুব ভাল লাগে।দর্শনাথী করিম, পিও, মুক্তা, জানান, জেলা এবং জেলার বাহিরে থেকে বিভিন্ন পর্যটক কাশফুল বাগানে আসে ছবি ও ভিডিও ক্লিপ নেয়ার জন্য। গ্রামীন পরিবেশ ও সূর্যাস্তের সময় বেশী মানুষ ঘুরতে আসে। আমাদের চর-দ্বীপ চরগুলি সৌন্দের্যের লীলা ভুমি হিসেবে পরিচিত হচ্ছে।ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান জানান, ধরলা নদীর পশ্চিম পারে শত শত একর জমিতে কাশফুলের বাগানে প্রতিদিন শত শত পর্যটক বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসে। দিনভর থাকে ছবি তোলে ভিডিও করে। এটি পর্যটন ক্ষেত্রে সম্ভাবনার দার হতে পারে। কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের উদ্ভিদ বিদ্যা বিভাগের প্রফেসর মীর্জা মো. নাসির উদ্দিন জানান, পরিবেশ বান্ধব কাশফুল দেশ ও দেশের বাইরে চাহিদা থাকায় এটি বাণিজ্যিক ভাবে প্রসারের জন্য উদ্যোগ নেয়া সম্ভব। এতে করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সাথে পরিবেশ ভারসাম্য রক্ষা করতে ভূমিকা রাখবে। তাই জেলার নদনদী শাসন করার উপর গুরুত্ব দেন এই পরিবেশবিদ।ভোরের আকাশ/জাআ
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় বিশ্ব শিক্ষক দিবস ও বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান উপলক্ষে শাহ্জালাল আইডিয়াল ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজে অনুষ্ঠিত হয়েছে এক বর্ণাঢ্য ও আনন্দঘন আয়োজন। দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানটি পরিণত হয় এক মিলনমেলায়।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ঝুমা রানী নাথ। যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন শিক্ষক নাইম হাসান ও শিউলি আক্তার। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেটিএফ টিচার্স ফোরাম কুলাউড়ার উপদেষ্টা সিরাজুল ইসলাম ও আবুল মনসুর, যিনি একইসঙ্গে সি বার্ড কেজি অ্যান্ড হাই স্কুলের প্রিন্সিপাল।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেটিএফ টিচার্স ফোরামের সভাপতি ও আনন্দ বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক জনাব সুজিত দেব, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ বাবুল হোসাইন, এবং কেটিএফ পরিবারের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ, অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা পরিবেশন করে মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক পরিবেশনা—গান, নৃত্য, নাটক, কবিতা আবৃত্তি ও বক্তৃতা। বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে শিক্ষার্থীরা আবেগঘনভাবে তাদের প্রিয় শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা প্রকাশ করে। অতিথিবৃন্দ তাদের বক্তব্যে শিক্ষকদের সমাজে অবদান, শিক্ষার্থীদের নৈতিক ও মানসিক গঠনে শিক্ষকের ভূমিকা এবং একটি আদর্শ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে অনুষ্ঠিত হয় বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ। বছরের বিভিন্ন খেলায় অংশগ্রহণকারী বিজয়ী শিক্ষার্থীদের হাতে ট্রফি ও সনদপত্র তুলে দেন অতিথিবৃন্দ। পুরস্কার গ্রহণের সময় শিক্ষার্থীদের চোখেমুখে ছিল আনন্দের ঝিলিক।অনুষ্ঠানে অতিথি ও শিক্ষকদের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। পাশাপাশি বিশেষ পারফরম্যান্সে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদেরও দেওয়া হয় উৎসাহমূলক পুরস্কার।দিনব্যাপী আয়োজনে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক ও স্থানীয় সুধীজনদের উপস্থিতিতে শাহ্জালাল আইডিয়াল ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজ প্রাঙ্গণ হয়ে ওঠে প্রাণবন্ত ও আনন্দময়।ভোরের আকাশ/এসএইচ
গাইবান্ধা সদর উপজেলার ঘাগোয়া ইউনিয়ন বিএনপির মেয়াদউত্তীর্ণ কমিটি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। এসময় ওই ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল আজিজ ও সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেনের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবাদ জানানো হয়।বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে ঘাগোয়া ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের আয়োজনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।এতে বক্তব্য রাখেন, ঘাগোয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা. শামসুল আলম, সাবেক সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক সাধারন সম্পাদক প্রভাষক কামরুল ইসলাম মিন্টু, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক ফারুকুল ইসলাম নিয়াজি, সদর উপজেলা মৎসজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা সহ অন্যরা।মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ঘাগোয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি করে আসছেন। ওই দুই নেতা দলের নিয়মকানুন না মেনে ফ্যাসিষ্ট সংগঠনের নেতাকর্মীদের দলে সদস্য করছেন। অবিলম্বে মেয়াদউর্ত্তীন ঘাগোয়া ইউনিয়ন কমিটি বাতিলের দাবি জানান তারা।ভোরের আকাশ/জাআ
পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় “হাত ধোয়ার নায়ক হোন” প্রতিপাদ্যে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস পালিত হয়েছে।বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলা প্রশাসন ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে ভাণ্ডারিয়া বন্দর সরকারি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র্যালি, হাত ধোয়া প্রদর্শনী ও সচেতনতামূলক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সঠিকভাবে হাত ধোয়ার পদ্ধতি শেখানো হয়। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেহেনা আক্তার বলেন, “সুস্থ থাকতে হলে ভালোভাবে হাত ধোয়ার বিকল্প নেই। শিশুদের ক্ষেত্রে এটি আরও গুরুত্বপূর্ণ, কারণ মাটি ও খেলাধুলার মাধ্যমে নানা রোগজীবাণু শরীরে প্রবেশ করতে পারে।” অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন উপজেলা জনস্বাস্থ্য সহকারী প্রকৌশলী মো. রুস্তম আলী। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবু নাসের, সহকারী শিক্ষক তারেক হোসেনসহ শিক্ষার্থী, গণমাধ্যমকর্মী ও জনস্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা।ভোরের আকাশ/এসএইচ