রাজবাড়ী প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৭ জুলাই ২০২৫ ০৮:৪৭ এএম
সংগৃহীত ছবি
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে প্রায় দেড়মাস সংসার করার পর স্ত্রী সম্পর্কে জানা গেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রেম করে বিয়ে করা সামিয়া একজন পুরুষ। সে তথ্য গোপন রেখে স্বামীর বাড়িতে অবস্থান করেন তিনি।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) সন্ধ্যায় বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পরে শনিবার তাকে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শান্ত রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার ছোটভাকলা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের হাউলি কেউটিল গ্রামের মো. বাদল খানের ছেলে। তার কথিত স্ত্রী সামিয়া ওরফে শাহিনুর রহমান চট্টগ্রামের আমতলা ঈদগাহ বৌ বাজার এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে।
ফেসবুকে পরিচয় ও প্রেমের সূত্র ধরে চলতি বছরের ৭ জুন শান্তর বাড়ি গোয়ালন্দে চলে আসেন সামিয়া। পরিবারের সম্মতিতে স্থানীয় ইমামকে দিয়ে তাদের মধ্যে বিয়ে করিয়ে দেন স্থানীয়রা। এরপর থেকে নববধূ হিসেবে শান্তর পরিবারে বসবাস করতে থাকেন সামিয়া। সম্প্রতি নানা কারণে সম্প্রতি শান্ত ও তার পরিবারের অন্য সদস্যদের মধ্যে তাকে নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়। একপর্যায়ে শুক্রবার বিকালে পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা নিশ্চিত হয় নববধূ একজন ছেলে।
এ বিষয়ে মাহমুদুল হাসান শান্ত জানান, সামিয়ার জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় বিয়েতে কাবিন রেজিস্ট্রি করা সম্ভব হয়নি। বিয়ের পর থেকে তার স্ত্রী রহস্যজনক আচরণ করতে থাকে। তাকে কাছে পেতে চাইলেই তিনি বলতেন, আমি এখন অসুস্থ, ডাক্তার আপাতত কাছে আসতে নিষেধ করেছে।
শান্তর মা মোছা. সোহাগী বেগম জানান, একজন ছেলে মানুষ আমাদের পরিবারে এতদিন বউ হয়েছিল। আমরা টের পাইনি। নানাভাবে আমাদের সবার মন জয় করে নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এসব যে তার অভিনয় ছিল, তা আমরা বুঝতে পারিনি। বিষয়টি জানাজানি হলে তাকে আমরা তার বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
এ প্রসঙ্গে শাহিনুর রহমান ওরফে সামিয়া মোবাইলে বলেন, শান্তর সঙ্গে আমি যা করেছি, সেটা অন্যায় করেছি। এটা করা ঠিক হয়নি।
তিনি জানান, তার হরমোন জাতীয় শারীরিক সমস্যা আছে, তাই নিজেকে মেয়ে ভাবতে ভালো লাগে।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। বিষয়টি নিয়ে এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ