ছবি: ভোরের আকাশ
টাইফয়েড ভ্যাকসিন ক্যাম্পেইন উপলক্ষে জনমনে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে বরিশাল জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে লোক সংগীতানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
বরিশাল জেলা তথ্য অফিসের নিয়মিত প্রচারের অংশ হিসেবে শিশু, কিশোর-কিশোরী ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রম শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এবং উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ইউনিসেপের আর্থিক সহযোগিতায় টাইফয়েড ক্যাম্পেইন উপলক্ষে লোক সংগীতনুষ্ঠান সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকালে গৌরনদী টরকী বন্দর ভিক্টোরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়।
লোক সংগীতানুষ্ঠানে টরকী বন্দর ভিক্টোরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক আনছার উদ্দিন, সহকারী শিক্ষক বিপ্লব কুমার চক্রবর্তসহ বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক শিক্ষার্থী ও স্থানীয় নানা শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
লোকসংগীত অনুষ্ঠানে বরিশাল জেলা তথ্য অফিসের পরিচালক মোহাম্মদ ওমর ফারুক দেওয়ান এর টাইফয়েড নিয়ে রচিত সংগীত পরিবেশন করা হয়। লোক সংগীতের মাধ্যমে উপস্থিত জনসাধারণকে জানানো হয়, টাইফয়েড টিকা হালাল ও নিরাপদ।
মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়াসহ বিশ্বের অনেক মুসলিম দেশ এই টিকা গ্রহণ করেছে। এই টিকা টাইফয়েড জ্বর প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকর। তাই টিকা নিয়ে কোন প্রকার গুজব নয়। টাইফয়েড টিকা অত্যন্ত নিরাপদ ও কার্যকর। টাইফয়েড টিকা গ্রহণে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। এই টিকা গর্ভকালীন জটিলতা, প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস কিংবা সন্তান ধারণে কোন প্রকার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে না বরং এটি টাইফয়েড জ্বর হতে সুরক্ষিত রাখে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর আওয়ামী সন্ত্রাসী বাহিনী লগি-বৈঠা দিয়ে জামাত শিবির নেতাকর্মীদের নৃশংস হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে ও খুনিদের বিচারের দাবিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজবাড়ী বালিয়াকান্দি উপজেলাতে জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে বালিয়াকান্দি উপজেলা জামায়াতের আয়োজনে দলীয় কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয় পরে সামাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপজেলা জামায়াতের আমীর মো আবদুল হাই জোয়াদ্দার এর সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন, উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান, জামায়াতের জেলা ইউনিট সদস্য খোন্দকার মনির আজম মুন্নু, বালিয়াকান্দি বাজার বণিক সমিতির সভাপতি ও জামায়াত নেতা ওসমান গনি মানিক, জামায়াত বালিয়াকান্দি সদর ইউনিয়ন সভাপতি মাও. রফিকুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্র শিবির সভাপতি আবু তালহা প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি এ্যাড. মো আবদুর রাজ্জাক।সমাবেশে বক্তারা, ২০০৬ সালে ২৮ অক্টোবর আওয়ামী সন্ত্রাস বাহিনীর কতৃক নিরিহ জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের হত্যাকারীদের শাস্তির দাবি জানান। এছাড়া পিআর পদ্ধতিতে আগামী নির্বাচন, জুলাই হত্যাকারীদের বিচার, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড, আ.লীগ ও তাদের শরিকদের সকল কার্যক্রমের নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো হয়।এ সময় উপজেলা জামায়াত ও সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
যশোরের বেনাপোলে ‘রাইটস যশোরের’ উদ্যোগে মানব পাচার প্রতিরোধে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টিতে আলোচনা সভা, নাটক ও জারি গান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) বিকালে বেনাপোল পোর্ট থানার গয়ড়া গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বন্দর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হকের সভাপতিত্বে ও যশোর রাইটসের তথ্য অনুসন্ধান কর্মকর্তা তৌফিকুজ্জামান এর সঞ্চালনায় মানব পাচার প্রতিরোধে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টিতে নাটক ও জারি গান শুরু হয়।এ মানব পাচার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সমাজসেবা অফিসার তৌহিদুল ইসলাম, বেনাপোল পোর্ট থানার ওসির দায়িত্বে থাকা উপ পরিদর্শক মানিক কুমার সাহা, বেনাপোল ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক মো. নাজমুল হোসেন, শার্শা উপজেলা বিএনপির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মো. সহিদ আলী, বেনাপোল বন্দর প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুর রহমানসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী ও সামাজিক এবং সাংবাদিক ব্যক্তিবর্গ।অনুষ্ঠানে মানব পাচারের বর্তমান ধরন ও কৌশল, পাচারের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিতকরণ, প্রতিরোধে কার্যকর কৌশল নির্ধারণ এবং মানব পাচারের শিকার ভিকটিমদের সুরক্ষা ও সেবা প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।অনুষ্ঠানে বক্তরা বলেন, যেসব সারভাইভারকে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে তাদেরকে সমাজের মূল ধারায় ফিরিয়ে দিতে স্বাবলম্বী করতে হবে। এ জন্য তাদেরকে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ দিতে হবে। যদিও অনেক সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা এই বিষয়ে কাজ করছে। তবে, কাজটি যাতে ফলপ্রশু হয় সেদিকে সচেষ্ট হতে হবে। তা না হলে মানব পাচার প্রতিরোধের বিষয়টি সঠিকতা পাবে না।এ বিষয়ে অভিভাবকদের সচেতন হতে বলেন। ১৮ বছরের আগে যেন কোন ছেলে মেয়ে কোন অপরিচিত লোকের সাথে না মেশে সে বিষয়ে সচেতন করা হয়। এছাড়া বৃহৎ সীমান্তের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সকল সদস্যদেরও পাচাররোধে সচেতন হওয়ার জন্য আহবান জানান।ভোরের আকাশ/জাআ
পিরোজপুরের কাউখালীতে জমে উঠেছে সুপারির বাজার। কাউখালীতে দক্ষিণ অঞ্চলের অন্যতম বৃহত্তম সুপারি বাজারটি কালের বিবর্তনে লাভজনক কৃষিপণ্য হিসেবে এখনো টিকে আছে। এখানকার সুপারি মান ভালো হওয়ায় প্রতিবছর সুপারি মৌসুমে বাজার বেশ জমে ওঠে। এই অঞ্চলের প্রতিটি পরিবারে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির ক্ষেত্রে সুপারি আয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ধানের পরই এর স্থান। সুপারি গাছ নেই এমন কোন বাড়ি এ অঞ্চলে খুঁজে পাওয়া যাবে না। এ বছর সুপারির বাম্পার ফলন হয়েছে বলে স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছেন। বর্তমানে এই অঞ্চলে হাটবাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণে সুপারি উঠছে। আপদকালীন সুপারি বিক্রি করে সংসারের চাহিদা মিটছে অনেক কৃষকের। প্রতিবছর কোটি কোটি টাকার পাকা ও শুকনো সুপারি বেচাকেনা হয় কাউখালীতে। দক্ষিণ অঞ্চলের ১৫/২০টি উপজেলা থেকে ব্যবসায়ীরা সুপারি নিয়ে বিক্রির জন্য কাউখালীতে আসে। এখানে সপ্তাহে শুক্র ও সোম এই দুইদিন বৃহত্তম সুপারির হাট বসে।এছাড়া উপজেলার ১০/১২টি ছোট বড় হাটে সারা বছরই সুপারি কেনাবেচা হয়। তবে শুকনো সুপারি মৌসুম ফাল্গুন থেকে আষাঢ় মাস এবং পাকা সুপারির মৌসুম শ্রাবণ থেকে অগ্রহায়ণ মাস পর্যন্ত। স্থানীয় ব্যবসায়ীসহ ও বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ব্যবসায়ীরা সুপারি কিনে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল সহ ভারতে পাঠান। বর্তমানে প্রতি কুড়ি (২১০টি) সুপারি শ্রেণী ভেদে ৫০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে যা গত বছরের তুলনায় মূল্য ভালো।সুপারি ব্যবসায়ী নাজমুল হোসেন ও আফজাল জানান, এ বছর সুপারির ফলন গত বছরে তুলনায় ভালো। দামও বেশ ভালো।সুপারি বাগানের মালিক মানিক মৃধা বলেন, এ বছর আমার সুপারি বাগানটি ৪ লক্ষ টাকায় বিক্রি করেছি। গত বছর ফলন কম হওয়ায় ২ লক্ষ টাকায় বাগান বিক্রি করেছিলাম।এ ব্যাপারে কাউখালী উপজেলা কৃষি অফিসার সোমা রানী দাস বলেন, এখানকার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সুপারির ফলন ভালো হয়। আমাদের কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও চাষীদের পরিশ্রমে সুপারির ফলন ভালো হয়। আমরা কৃষকদের পরামর্শ ও বিভিন্ন প্রকার প্রশিক্ষণসহ সহযোগিতা করে থাকি।ভোরের আকাশ/জাআ
যশোরের অভয়নগর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ সমাবেশ (২৮ অক্টোবর) বিকালে নওয়াপাড়া বাস স্ট্যান্ডে অনুষ্ঠিত হয়েছে।জামায়াতে ইসলামীর অভয়নগর উপজেলা শাখার সভাপতি অধ্যাপক সরদার শরীফ হোসেনের সভাপতিত্বে জামায়াতে ইসলামীর উপজেলা সাঃ সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক মহিউল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ৮৮ যশোর ৪ আসনের জামায়াতে ইসলামী জাতীয় সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অধ্যাপক গোলাম রসুল ।বক্তব্যে তিনি বলেন, আজ সেই ঐতিহাসিক ২৮ শে অক্টোবর লগি-বৈঠা বাহিনীর নির্মমতার শিকার জামায়াত কর্মী লালবাগের শহীদ জসিম উদ্দিন। লগি-বৈঠাধারী সন্ত্রাসীরা তাকে শুধু সাপের মতো পিটিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, লাশের ওপর উঠে পৈশাচিক নৃত্য উল্লাস করেছে। অপরাধ কি ছিল জসিমের? কেন তাকে মরতে হলো? এ প্রশ্নের জবাব আজও খুঁজে পায়নি তার বাবা-মা।বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ থেকে দেখা যায়, লগি-বৈঠা বাহিনী জামায়াত কর্মী জসিম উদ্দিনকে দীর্ঘক্ষণ ধরে পিটায়। পুরো শরীর রক্তাক্ত হয়ে যায়। এক পর্যায়ে লগি-বৈঠা দিয়ে তাকে পিটানোর পর মৃত্যু নিশ্চিত হলে লাশের ওপর উঠে নৃত্য করতে থাকে। এ দৃশ্য স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলের বদৌলতে প্রচারিত হওয়ার পর হতবাক হয়ে যায় বিশ্বের মানুষ। তিনি আরো বলেন এই লগি বৈঠা সন্ত্রাসী বাহিনীর বিচার এই বাংলার মাটিতেই করতে হবে। আমরা হত্যাকারীদের বিচার চাই। নির্বাচনের পূর্বে সকল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদেরকে গ্রেফতার করতে হবে, নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে। বাংলার মানুষ দীর্ঘ ১৫ বছর ভোট বঞ্চিতদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হলে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রয়োজন।অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন যশোর জেলা সুরা সদস্য ও নির্বাচন পরিচালক সহকারী অধ্যাপক মশিউর রহমান। সমাবেশ শেষে এক বিক্ষোভ মিছিল নওপাড়ার বাস স্ট্যান্ড থেকে খুলনা যশোর মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে।ভোরের আকাশ/জাআ