ছবি: ভোরের আকাশ
ভোলা-৪ (চরফ্যাশন-মনপুরা) আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী অধ্যাপক এ.এম.এম কামাল উদ্দিন বলেছেন, “দেশের গণতান্ত্রিক ধারা সুদৃঢ় করতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংস্কার করে পিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতিতে আয়োজন করা জরুরি। এতে জনগণ নিরাপদে ও স্বাধীনভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে।”
রোববার (১৯ জুলাই) রাতে চরফ্যাশন পৌর সদরের একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্টের সম্মেলন কক্ষে চরফ্যাশন প্রেসক্লাব ও রিপোর্টার্স ইউনিটির সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “আমি দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষাক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করেছি এবং দেশের বিভিন্ন সামাজিক ও নৈতিক সংকট নিয়ে কাজ করেছি। আমার বিশ্বাস, চরফ্যাশন ও মনপুরার জনগণ পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত। এই পরিবর্তন হতে হবে নৈতিকতা, জবাবদিহিতা ও ইসলামী মূল্যবোধের ভিত্তিতে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এসব মূলনীতিকে ধারণ করে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা ক্ষমতার লোভে নয়, বরং আদর্শিক আন্দোলনের মাধ্যমে জনগণের পাশে দাঁড়াতে চাই।”
অধ্যাপক কামাল উদ্দিন আরও বলেন, “আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমি চরফ্যাশন-মনপুরার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধানে মাঠে থাকবো। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও ইসলামী মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ। এই যাত্রায় গণমাধ্যমের সঠিক ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।” তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে সঠিক তথ্য পরিবেশন এবং ইতিবাচক সহযোগিতার আহ্বান জানান।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সুরা সদস্য ও ভোলা জেলা দক্ষিণ শাখার উপদেষ্টা হাজী আলাউদ্দিন তালুকদারের সভাপতিত্বে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন ভোলা দক্ষিন শাখার সহ-সভাপতি মাওলানা আবু ইউসুব, ভোলা দক্ষিণ শাখার সেক্রেটারী মাওলানা আব্বাস উদ্দিন প্রমুখ।
এছাড়াও ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন ভোলা দক্ষিণ শাখার সেক্রেটারী মাওলানা মাকসুদুর রহমান, ইসলামী যুব আন্দোলনের ভোলা দক্ষিণ শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সেলিম সিকদার, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা এমদাদসহ ইসলামী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন।
ভোরের আকাশ/জাআ
সংশ্লিষ্ট
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আইল্যান্ডে উঠে গেলো মাইক্রোবাস। এ ঘটনায় চালকসহ আহত হয়েছেন অন্তত ৭ জন।মঙ্গলবার (২২ জুলাই) বিকেলে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের সাদুল্লাপুর উপজেলার বত্রিশ মাইল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আবুল বাশার।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রংপুর থেকে ১০-১২ জন যাত্রী নিয়ে একটি মাইক্রোবাস সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার উদ্দেশে যাচ্ছিল। পথে বত্রিশ মাইল এলাকায় হঠাৎ চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে মাইক্রোবাসটি মহাসড়কের মাঝখানে থাকা আইল্যান্ডে উঠে পড়ে। এতে দুমড়ে-মুচড়ে যায় মাইক্রোবাসটি। পরে স্থানীয়রা মাইক্রোবাসে থাকা চালক-যাত্রীদের দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন বলে জানা যায়।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ সাপুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিভাবক সমাবেশ সোমবার (২১ জুলাই) অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. বাকি বিল্লাহ'র পক্ষ থেকে অভিভাবকদের মাঝে ছাতা বিতরণ করা হয়। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ফেনী জেলা শিক্ষা অফিসার মো. শফী উল্যাহ।ছবি : ভোরের আকাশবিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. বাকি বিল্লাহ'র সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা শিক্ষা অফিসের গবেষণা কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান, দাগনভূঞা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, সাপ্তাহিক কলকণ্ঠের সম্পাদক ও প্রকাশক অ্যাডভোকেট শহীদুল আলম ইমরান, হোপ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের অধ্যক্ষ মো. আলমগীর কবির, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সামছুল আরেফিন।সাপুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক সুরুজ্জামালের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন দীপ্ত টিভির ফেনী প্রতিবেদক প্রভাষক আবদুল্লাহ আল-মামুন, সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী দিদার মিয়াসহ অভিভাবকবৃন্দ। সভায় বিদ্যালয়ের শিক্ষক, অভিভাবকবৃন্দ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে অভিভাবকদের হাতে ছাতা তুলে দেন অতিথিবৃন্দ। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, অভিভাবকদের মধ্যে ছাতা বিতরণের এ কাজ আমার দেখা প্রথম। এর মধ্য দিয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতি সবাইকে এক ছাতার নিচে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। কারণ শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের সমন্বয়ে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত হয়। তিনি অভিভাবকদের বিদ্যালয়ের সার্বিক কল্যাণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। সবার সম্মিলিত প্রয়াসে সাপুয়া উচ্চ বিদ্যালয় উপজেলায় স্বনামধন্য বিদ্যাপীঠের স্থান ধরে রাখতে পারবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
২০২৪ সালের জুলাইয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার প্রতিবাদে মানিকগঞ্জে বিক্ষোভে হামলার অভিযোগে করা মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন একজন এমন ব্যক্তি, যিনি ঘটনার সময় পরিবারের সঙ্গে কক্সবাজার ভ্রমণে ছিলেন। ঘটনাটি ঘটেছে ২০২৪ সালের ১৮ জুলাই। সেদিন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাক অনুসারে মানিকগঞ্জ জেলা শহরের খালপাড় ব্রিজ এলাকায় বিক্ষোভ করছিলেন স্থানীয় ছাত্র-জনতা।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সেই বিক্ষোভে হামলা চালান আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। ঘটনায় বহু মানুষ আহত হন। এ ঘটনার প্রায় ১০ মাস পর, ২০২৫ সালের ৫ মে মানিকগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এ মামলা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা মেহেরাব হোসাইন (১৯)। সিআর মামলা নম্বর ৪৮৪। মামলায় নাম উল্লেখ করা হয় ২১৭ জনের। আরও ১০০ থেকে ১৫০ জনকে রাখা হয় অজ্ঞাতনামা আসামির তালিকায়। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।তবে মামলার এজাহার ঘেঁটে দেখা যায়, তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে একজন—এডভোকেট দেলোয়ার হোসেন—দুইবার আসামি হয়েছেন। তিনি মামলার ৪১ ও ৭৭ নম্বর আসামি। ৪১ নম্বরের তালিকায় তাঁর পিতার নাম দেওয়া হয়েছে আবদুল গফুর, ঠিকানা—মহেশখো, হরিরামপুর। আবার ৭৭ নম্বর তালিকায় পিতার নাম অজ্ঞাত, ঠিকানা—রনি মেনশন, মানিকগঞ্জ পৌরসভা।প্রশ্ন উঠেছে, একজন ব্যক্তি কীভাবে একই মামলায় দুবার আলাদা পরিচয়ে আসামি হতে পারেন?আরো বিস্ময়ের জন্ম দেয় এই যে, ঘটনার দিন এডভোকেট দেলোয়ার হোসেন পরিবারসহ কক্সবাজারে ছিলেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিনি স্ত্রী আফরোজা বেগম এবং দুই কন্যা এশা ও অরিশাকে নিয়ে ১৭ জুলাই কক্সবাজারে যান। তারা হোটেল সি ওয়াল্ডে তিন রাত অবস্থান করেন এবং ২০ জুলাই মানিকগঞ্জে ফেরেন।এই প্রতিবেদকের হাতে এসেছে হোটেল সি ওয়াল্ডের বিলের একটি অনুলিপি। তাতে দেখা যায়, ১৫ জুলাই বিকাশের মাধ্যমে ২ হাজার টাকা অগ্রিম পাঠিয়ে ১৭ জুলাই দুইটি রুম বুকিং দেন দেলোয়ার। পুরো থাকার জন্য ২১ হাজার টাকা বিল পরিশোধ করেন তিনি। এ ছাড়া দেলোয়ার হোসেনের কক্সবাজার সফরের বেশ কিছু ছবি পাওয়া গেছে, যেখানে তাকে স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গে বিভিন্ন পর্যটন স্থানে দেখা যাচ্ছে।মামলায় নিজের নাম থাকায় বিস্ময় প্রকাশ করে দেলোয়ার হোসেন বলেন, "ঘটনার আগের দিন থেকেই আমি কক্সবাজারে ছিলাম। পরিবার নিয়ে ঘুরতে গিয়েছিলাম। কিছুদিন আগে জানতে পারি, আমাকে ওই হামলার মামলায় আসামি করা হয়েছে। আমি নাকি ছাত্রদের ওপর হামলা করেছি! বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি।"তবে মামলার বাদী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা মেহেরাব হোসাইনের দাবি, এডভোকেট দেলোয়ার হোসেন ঘটনার দিন মানিকগঞ্জে ছিলেন। হরিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে থেকে তাঁর নেতৃত্বে দুই বাস কর্মী এনে হামলা চালানো হয়েছে।মানিকগঞ্জ সদর থানার ওসির সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আদালতের নির্দেশে তদন্ত শুরু হয়েছে। যেহেতু এটি সিআর মামলা, তাই আদালতের নির্দেশনার আলোকে যথাযথভাবে তদন্ত করা হবে। তদন্তে সত্যতা না থাকলে সে অনুযায়ী প্রতিবেদন দেওয়া হবে।”ভোরের আকাশ/এসএইচ
আগামী ২৪ জুলাই ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পদযাত্রা কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। ঢাকার উত্তরায় প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তে হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেন। এই উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির নেতারা জানিয়েছেন, পদযাত্রায় কোনো ধরনের বাধা আসলে তা প্রতিরোধের মাধ্যমে প্রতিহত করা হবে।মঙ্গলবার (২২ জুলাই) দুপুর ১২টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে জেলা এনসিপি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) মো: আতাউল্লাহ।লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, “গতকাল ঢাকার উত্তরা মাইলস্টোন স্কুল ক্যাম্পাসে প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান দুর্ঘটনায় কোমলমতি শিশুসহ অনেক মানুষের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় আমরা গভীরভাবে শোকাহত। আমরা নিহতদের আত্মার মাগফিরাত এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।”আসন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচি সম্পর্কে মো: আতাউল্লাহ বলেন, “আগামী ২৩ জুলাই কুমিল্লায় পদযাত্রা শেষ করে রাতে এনসিপি নেতৃবৃন্দ কসবা, আখাউড়া ও ধরখার হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রবেশ করবেন। পরদিন ২৪ জুলাই সকাল ১০টায় আমরা জেলায় গণঅভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করব এবং সকাল ১১টায় কাউতলি থেকে আমাদের পদযাত্রা শুরু হবে।”সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, "শেখ হাসিনার যে সময়কাল ছিল, এটা একটি কঠিন সময় ছিল, সেই সময় আমরা পিছুপা হই নাই। কারো ভয়ভীতি, হুমকি-ধামকি আমরা তোয়াক্কা করি নাই। আমরা যে ফ্যাসিবাদী রাজনীতির বিরোধিতা করছি, এটা তাদের জন্য হুমকি হয়ে যাচ্ছে। তারা তাদের রাজনীতি করতে পারছে না এবং তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে থ্রেড ফিল করছে। আমাদের যে গণজোয়ার তৈরি হয়েছে, যেখানে গ্রাম থেকে শহর পর্যন্ত নেতৃত্বদানকারীরা কোনো ধরনের হুমকি-ধামকি তোয়াক্কা না করে এগিয়ে যাবে। ২৪ তারিখ যদি কোনো বাধা আসে, তাহলে প্রতিরোধের সাথেই আমরা তা অতিক্রম করব।”সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রধান সমন্বয়কারী আজিজুর রহমান লিটন, কেন্দ্রীয় সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জিহান, জেলার জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সমন্বয়কারী এস এম মহিউদ্দিন, সদস্য মো: নাহিদুল ইসলাম, কবির আলম মাসুম, আশিকুল আলম, হাসান নাসিমুল রাসেল, জয়ন্তী বিশ্বাস, বিন ইয়ামিন ভুইয়া, আসাদ খোকন এবং সদর উপজেলা প্রধান সমন্বয়কারী আক্কাস মীরসহ দলের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।ভোরের আকাশ/এসএইচ