কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৪ জুন ২০২৫ ০৫:১০ পিএম
# কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে কাঁচা রাস্তায় ভোগান্তিতে কয়েক গ্রামের মানুষ।
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের বোয়ালিয়ার চর গ্রাম। এ গ্রামে প্রায় ৫ হাজার মানুষের বসবাস। গ্রীষ্ম বা বর্ষাকালে সামান্য বৃষ্টি হলেই এক হাঁটু কাঁদা জমে গ্রামের একমাত্র এই রাস্তাটিতে। তখন যানবাহন তো দূরের কথা, হেঁটে চলাচলও বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়ায়। অল্প বৃষ্টিতেও বড় ধরণের সমস্যায় পড়ে শিক্ষার্থী ও বয়স্করা।
দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি পাকা করার দাবি জানিয়ে আসছেন এলাকাবাসী। কিন্তু কর্ণপাত করেন না কেউ।
সরেজমিনে দেখা যায়, গোবিন্দপুর হাইস্কুল সংলগ্ন আলাদীন মেকানিকের দোকানের সামনে থেকে জামির হোসেনের বাড়ি হয়ে ফকির বাড়ী এলজিইডি রাস্তা পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার কাঁচা রাস্তায় এখনোও কোন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। নানা খানাখন্দে ভরপুর এই রাস্তায় প্রায় সময়ই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, বোয়ালিয়ার চর গ্রাম ও আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ চলাচল করে। ‘অথচ ইংরেজ আমলের এই রাস্তাটি আজও হয়নি পাকা। দেখেনি আলোর মুখ।’ এমন প্রতিক্রিয়াই জানান এলাকার বাসিন্দারা।
এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে হাজার হাজার মানুষকে।প্রতি বর্ষা মৌসুমে একটু বৃষ্টি হলে স্কুল, মাদরাসা ও কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের প্রায়ই কাঁদা ডিঙিয়ে গোবিন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও বিভিন্ন মাদরাসা কিংবা কলেজে যেতে হয়। রাস্তাটি পাকাকরণের দাবি এখন গণদাবিতে পরিণত হয়েছে।
স্থানীয় ইদ্রিস আলী (৫০) জানান,এই রাস্তাটি প্রতিদিন দুই তিন গ্রামের মানুষের গোবিন্দপুর ও গাংগাটিয়া বাজারে চলাচলের একমাত্র রাস্তা। তাছাড়াও বোয়ালিয়ারচর গ্রামের কোমলমুতি শিক্ষার্থী দের গোবিন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে যাওয়া আসার একমাত্র রাস্তা এটি।
স্থানীয় আলি নেওয়াজ (৬০) ও এলাকাবাসীরা আরো জানান, রাস্তাটি পাকাকরণ খুবই প্রয়োজন। তা না হলে ওই গ্রামের মানুষগুলোর চরম দুর্ভোগ ঘুচবে না। যানবাহন চলাচলের উপযোগীও আর থাকবে না। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে রাস্তা পাকাকরনের দাবি জানান তারা।
স্থানীয় ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রেজাউল করিম রশিদ জানান, বোয়ালিয়ার চর, উত্তর বোয়ালিয়ার চর, মধ্য বোয়ালিয়ার চর এবং দক্ষিণ বোয়ালিয়ার চর এলাকার লোকজন চরম ভোগান্তিতে আছে রাস্তাটির জন্য। তাই তিনি সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে রাস্তাটি দ্রুত পাকা করনের জন্য জোর দাবি জানান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী গালিব মুর্শেদ দ্রুতই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস প্রদান করেন।
ভোরের আকাশ/ আজাসা