আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতনিধি
প্রকাশ : ১৭ জুন ২০২৫ ০৬:১০ পিএম
ছবি-ভোরের আকাশ
মৌসুমের শুরু থেকেই বাজারে কাঁচা মরিচের দাম অস্বাভাবিকভাবে কমেছে। এতে চরম বিপাকে মরিচচাষিরা। প্রতি কেজি মরিচ মাঠ থেকে উঠাতে দিতে হচ্ছে ১০ থেকে ১২ টাকা। অন্যদিকে, পরিবহন খরচ ও খাজনার হিসেব করলে কৃষককের নিজের পকেট থেকে ক্ষতি গুণতে হচ্ছে। এভাবে ক্রমাগত মরিচের দাম কমায় কৃষকরা ক্ষোভ জানিয়েছে। আর ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহ বেশি এবং চাহিদা কম থাকায় দাম কমেছে এই পণ্যটির।
গত সাতদিনের ব্যবধানে পাইকারি বাজারে দেশি কাঁচা মরিচের দাম কমেছে কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত। সোমবার উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম বাজারে একই মানের মরিচ বিক্রি হয়েছে কেজিতে ১৫ থেকে ১৮ টাকায়। প্রকারভেদে ওইমানের মরিচ মঙ্গলবার বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৩ টাকা কেজি দরে।
আজ সকালে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার পাইকারি কাঁচা বাজারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে এই নিত্যপণ্যটি বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৩ টাকা কেজি দরে। আর খুচরা বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা কেজি দরে।
‘দাম কম হওয়াতে নিয়মিত মরিচ উঠানো হয়না। অতিরিক্ত মরিচের ভারে গাছের ডাল মাটিতে ঢলে গেছে। বাধ্য হয়ে মরিচ বাজারে নিয়ে এসেছি। বাজারে আসার ভাড়া আর মরিচ উঠানোর টাকা দিলে আমার কাছে বাড়ি ফেরার টাকাও থাকছেনা।’
ক্ষোভে এসব কথাগুলো বলছিলেন, ছাতিয়ানগ্রাম ইউনিয়নের অন্তাহার গ্রাম থেকে আদমদীঘি বাজারে মরিচ বিক্রি করতে আসা মরিচচাষি খেলু।
তিনি জানান, ‘আজ ছাতিয়ানগ্রাম হাটে এই মরিচ ১৮ টাকা কেজিতে বিক্রি করেছি। লাভের আশায় আজ আদমদীঘি এসেছি। কিন্তু বাজারে সেই মরিচের দাম বলছে ১২ টাকা কেজি। পরিবহন এবং খাজনা খরচ বাদ দিলে নিজের পকেট থেকে টাকা দিতে হবে মরিচ তোলনিদের। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হব আমি।’
ওই ইউনিয়নের কোমারপুর গ্রামের কৃষক পিন্টু জানায়, ‘সকালে কোমারপুর চার মাথায় এই মরিচের দাম বলেছিল ১৬ টাকা কেজি। আমিও লাভের আশায় বাজারে আসি মরিচ বিক্রি করতে। এখন দাম বলছে ১৩ টাকা কেজি।’
আদমদীঘি খুচরা বাজারের সবজি ব্যবসায়ী মুন্না হাসান বলেন, ‘কাঁচা মরিচের দাম কম। আজ ১২ টাকা দরে পাইকারি কিনে তা ১৫ থেকে ১৭ টাকায় বিক্রি করছি।’
মরিচ ব্যবসায়ী আব্দুস সালাম, হাকিম এবং শামসুদ্দিন জানান, ‘বাজারে মরিচের আমদানি বেড়েছে কিন্তু চাহিদা কমেছে। কাঁচা বাজার আজকে মরিচে পরিপূর্ণ। এজন্য কমেছে দাম।’
ভোরের আকাশ/এসএইচ