টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩০ মে ২০২৫ ০৬:৪৮ পিএম
ঘুর্ণিঝড়ের প্রভাবে নুয়ে পড়েছে কৃষকের পাকা ধান
বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপে সৃষ্ট ঘুর্ণিঝড় শক্তির প্রভাব সারাদেশের মতো টাঙ্গাইলেও ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। নুয়ে পড়েছে কৃষকের জমির পাকা ধান । নষ্ট হচ্ছে গরুর খড়। ফলে চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে কৃষক।
শুক্রবার (৩০ মে) দুপুরে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ঘুর্ণিঝড় শক্তির প্রভাবে গুঁড়িগুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া মুষলধারে বৃষ্টি ও ঝড় বাতাসে কৃষকের জমির পাকা ধান নুয়ে গেছে। নষ্ট হয়েছে গরুর খড়। ধান কাটার শ্রমিকরা কাজ করতে পারছেন না। শ্রমিক ও কৃষকদের বৃষ্টির জন্য ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
কুঁড়িগ্রাম থেকে আসা ধান কাটার শ্রমিক মুহাম্মদ আলী বলেন, বাসাইলে ১২ দিন ধরে এসেছি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। বেলা বাড়ার সাথে বৃষ্টির পরিমাণ বৃদ্ধি পাই। শুক্রবারও গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে মাঠে কাজ করতে পারছি না। কাজ বাদ দিয়ে বসে আছি।
শেরপুর থেকে আসা শ্রমিক জাহিরুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টির জন্য কাজ করতে পারছি না। কাজ বন্ধ করে বসে আছি।কাজ করতে পারলে টাকা পাব, না করলে পাব না। আজ দুইদিন ধরে আমাদের কাজ বন্ধ। এক হাজার টাকা চুক্তিতে কাজ করতে এসেছি। ১০ দিন ধরে ধান কাটার কাজ করতে এসেছি। আমাদের বসেই দিন কাটতেছে।
কৃষক লাল মাহমুদ বলেন, আমার প্রায় ৩০ শতাংশ জমির পাকা ধান নুয়ে পড়েছে। নুয়ে পড়া ধান কাটা কষ্ট হয়ে যাবে। এই ধান কাটতে সময় লাগে বেশি। শ্রমিক লাগে বেশি ও খরচ হয় দ্বিগুন। শুধু আমার না অনেক কৃষকের ধান নুয়ে পড়েছে।অনেকের ধান ও গরুর খড় শুকাতে পারে নাই।বৃষ্টির জন্য আমাদের অনেক ক্ষতি হয়ে গেল।
আরেক কৃষক ননী গোপাল সরকার বলেন, বৃষ্টির আগে কিছু জমির ধান কেটে ছিলাম। আরও প্রায় দুই বিঘা জমির ধান কাটতে পারি নাই। সেই দুই বিঘা জমির পাকা ধান ধমকা হাওয়ায় ও বৃষ্টিতে পড়ে গেছে। গরুর খড় শুকিয়ে উঠানে নিয়ে আসতে পারি নাই। ধান শুকাতেও পারি নাই। শ্রমিক দিয়ে নুয়ে পড়া ধান কাটতে গেলে আমার দ্বিগুন খরচ হয়ে যাবে। এই বৃষ্টি ও ঝড়ে আমার অনেক ক্ষতি হয়ে গেল।
বাসাইল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহজাহান আলী বলেন, বাসাইলে ৮০ থেকে ৯০ ভাগ ধান কাটা হয়েছে। যে ধান গুলো কৃষকের মাঠে রয়েছে তা কাটার যোগ্য। হঠাৎ আচমকা বৃষ্টি ও বাতাসে ধান নুয়ে পড়েছে। বৃষ্টি চলে গেলে ধান কাটার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ভোররে আকাশ/এসআই