দেশের বাজারে ফের কমল সোনার দাম
দেশের বাজারে আবারও কমেছে সোনার দাম। এবার প্রতি ভরিতে ভালো মানের সোনার (২২ ক্যারেট) দামে কমেছে এক হাজার ৫০ টাকা। এখন থেকে দেশের বাজারে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের সোনা বিক্রি হবে এক লাখ ৭০ হাজার ৭৬২ টাকায়। রোববার থেকে সারা দেশে সোনার নতুন এ দর কার্যকর হবে।
শনিবার (১০ মে) রাতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোনার এ দাম হ্রাসের তথ্য জানায়। এতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী (পিওর গোল্ড) সোনার মূল্য হ্রাস পেয়েছে। সে কারণে সোনার দাম সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাজুস।
নতুন মূল্য অনুযায়ী, ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম কমিয়ে এক লাখ ৬৩ হাজার ৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক লাখ ৩৯ হাজার ৭১১ টাকা; আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম এক লাখ ১৫ হাজার ৫৩২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে অপরিবর্তিত আছে রুপার দাম।
দাম ২২ ক্যারেটের রুপার দাম ভরি দুই হাজার ৮৪৬ টাকা; ২১ ক্যারেটের রুপার দাম ভরি দুই হাজার ৭১৮ টাকা এবং ১৮ ক্যারেটের রুপার দাম ভরি দুই হাজার ৩৩৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম এক হাজার ৭৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
ভোরের আকাশ/এসআই
সংশ্লিষ্ট
চলতি অর্থবছরে বড় রাজস্ব ঘাটতির আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান। এনবিআর কর্মকর্তাদের আন্দোলনের কারণে রাজস্ব আদায় হোঁচট খাওয়ার কথাও বলেছেন তিনি।সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, প্রাথমিক হিসাবে ৩ লাখ ৬০ হাজার ৯২২ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। যদিও অর্থবছরের আজকের দিনের হিসাব এখনো বাদ আছে। অর্থবছরের শেষ দিনের পরিসংখ্যান যোগ করলে রাজস্ব আদায় ৪ লাখ কোটি টাকার কাছাকাছি হতে পারে বলে মনে করছেন এনবিআর চেয়ারম্যান। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তারপরও বড় ধরনের ঘাটতির মুখে পড়বে এবার রাজস্ব আদায়।গতকাল সোমবার রাজস্ব ভবনে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, সোমবার সকাল ১০টা পর্যন্ত আমাদের রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩ লাখ ৬০ হাজার ৯২২ কোটি টাকা। এরপর যেটা ট্রেজারিতে জমা হবে সেটার রিপোর্ট কাল মঙ্গলবার। এর বাইরে সরকারি প্রকল্পের কর বা মূসকের বিল থাকে; যেটা আদায় হয়, সেটা সমন্বয় করতে কিছুটা সময় লাগবে। নরমালি জুন ক্লোজিংয়ে একটু সময় লাগে। ২-৩ সপ্তাহ লেগে যাবে ফাইনাল ফিগার আসতে। সোমবার সব দপ্তর খোলা, ব্যাংক খোলা। আমার ধারণা অর্থবছরের শেষ দিনে ভালো পরিমাণ অর্থ জমা হবে। সরকারি বিলগুলো এডজাস্ট করলে গতবারের চেয়ে বেশি এটা নিশ্চিত।জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে এনবিআরকে লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছিল ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। তবে অর্থবছরের মাঝপথে এসে লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৫০০ কোটি করা হয়।কর্মকর্তাদের আন্দোলন প্রসঙ্গে মো. আবদুর রহমান খান বলেছেন, রাজস্ব আদায় এবার একটু হোঁচট খেয়েছে, তবে সবকিছু ভুলে গিয়ে দেশের স্বার্থে সবাই কাজ করব। তিনি বলেন, গতবারের চেয়ে রাজস্ব আদায় বেশি হবে এটা নিশ্চিত। কিন্তু যে রকম আশা করছিলাম, একটু তো হোঁচট খেয়েছি গত কয়দিনের কাজ-কর্মে। ব্যবসা-বাণিজ্য বিঘ্নিত হয়েছে। রাজস্ব আদায় হোঁচট খেয়েছে। যা কিছু হয়েছে সবকিছু ভুলে গিয়ে রাষ্ট্রীয় স্বার্থে, দেশের স্বার্থে আমরা সবাই কাজ করব। যে কাজগুলো আছে সেগুলোকে এগিয়ে নিয়ে যাব। আশা করি আমাদের আর এ ধরনের বড় সমস্যার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে না। অতীতে রেভিনিউ অফিসাররা যেভাবে দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেছেন, একইভাবে সামনেও তারা কাজ করবেন।তিনি বলেন, কাস্টমস হাউজগুলো রোববার বিকেল থেকেই কাজ শুরু করেছে। তারা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেছেন। এর ফলে সবার মধ্যে স্বস্তি বিরাজ করছে। বিশেষ করে ব্যবসায়ীদের মধ্যে ও নীতি নির্ধারকদের মধ্যে। সোমবার সকাল থেকেই আমাদের সব দপ্তরে কাজ শুরু হয়েছে। সম্পূর্ণ উপস্থিতি আছে। সব কাস্টমস হাউজ, আইসিডি, ভ্যাট ও কর অফিস সবাই কাজ করছে। ৩০ জুন আমাদের একটা বড় ড্রাইভ থাকে। রেভিনিউগুলো যেগুলো পাইপলাইনে আছে সেগুলো ট্রেজারিতে নিয়ে আসার একটা ক্রমাগত চেষ্টা থাকে। সেই চেষ্টা চলছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি ২৮ জুন ২০২৫ তারিখে ব্যাংকের উত্তরা শাখায় “আর্থিক খাতে অংশগ্রহণ নারীর অধিকার” শীর্ষক এক সেমিনারের আয়োজন করে।সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোসলেহ্ উদ্দীন আহমেদ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন ডিপার্টমেন্টের পরিচালক মো: ইকবাল মহসীন। সেমিনারে নারী উদ্যোক্তাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের প্রায় ৪০ জন অংশগ্রহণ করেন। বক্তারা নারীর আর্থিক শিক্ষা, অধিকার এবং ক্ষমতায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. এম. সাইফুল ইসলাম, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ইভিপি মো: আবু ছায়েম, উত্তরা শাখার ব্যবস্থাপক মো: আবু হানিফ, মীরপুর শাখার ব্যবস্থাপক নাজির আহমেদ, গরীব-ই-নেওয়াজ শাখার ব্যবস্থাপক মো: আসিফুল হক, উত্তরখান শাখার ব্যবস্থাপক এবিএম মাহফুজুল আলম, পল্লবী শাখার ব্যবস্থাপক সৈয়দ জানে আলম এবং টঙ্গী শাখার ব্যবস্থাপক (চলতি দায়িত্ব) শাহ আলম মিয়া।ভোরের আকাশ/এসএইচ
আধুনিক ব্যাংকিং সেবার পরিধিকে বিস্তৃত করার লক্ষ্যে সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসি. চট্টগ্রাম ইপিজেড এর কমার্শিয়াল কমপ্লেক্সের দ্বিতীয় তলায় ১৩৬ তম “চট্টগ্রাম ইপিজেড শাখার উদ্বোধন করেছে।সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসির পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার বদরুল হাসান উপস্থিত থেকে চট্টগ্রাম ইপিজেড শাখার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।সমৃদ্ধির পথে অগ্রযাত্রায় আর্থিক অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যাংকিং ধারাকে অব্যাহত রাখতে এবং দেশের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে সাউথইস্ট ব্যাংক সব সময়, সব খানে, সবার জন্য উন্মুক্ত করেছে আধুনিক ব্যাংকিং সেবা। তথ্য প্রযুক্তি সমৃদ্ধ প্রচলিত ব্যাংকিং সেবার পাশাপাশি ইসলামিক ব্যাংকিং এর সকল আধুনিক ও প্রযুক্তিভিত্তিক সেবা সমূহ এই শাখা থেকে প্রদান করা হবে।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসির উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাশেদুল আমিন, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স এবং সিএসআর বিভাগের প্রধান মোঃ মুশফিকুর রহমান, সম্মানিত গ্রাহকবৃন্দ, স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যবসায়ীবৃন্দ, পেশাজীবীবৃন্দ, শিক্ষাবিদ, ব্যাংকের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
এনআরবিসি ব্যাংকে গ্রাহকদের জমাকৃত আমানতের পরিমাণ ২০ হাজার কোটি টাকার মাইলফলক অতিক্রম করেছে।সোমবার (৩০ জুন) এনআরবিসি ব্যাংকের আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ১৪ কোটি টাকা। ব্যাংকের প্রতি গ্রাহকদের আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতিফলনের এই দিনটিকে উদযাপন করেছে এনআরবিসি ব্যাংক।ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এক অনাড়ম্বর উদযাপন অনুষ্ঠানে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মো. তৌহিদুল আলম খান, ডিএমডি কবীর আহমেদ ও হারুনুর রশীদসহ বিভাগীয় প্রধান এবং শাখা-উপশাখার ব্যবস্থাপকরা উপস্থিত ছিলেন।ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ড. মো. তৌহিদুল আলম খান বলেন, সারা দেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের ভিন্ন ভিন্ন আর্থিক প্রয়োজন পূরণ করে গ্রাহকদের সন্তুষ্টি ও আস্থা অর্জন করেছে এনআরবিসি ব্যাংক। আমানতের এই মাইলফলক অতিক্রম এনআরবিসি ব্যাংকের প্রতি গ্রাহকদের সেই আস্থার প্রতিফলন। গ্রাহকরা তাদের কষ্টার্জিত অর্থের নিরাপদ স্থান হিসেবে এনআরবিসি ব্যাংককে বেঁছে নিয়েছেন। ব্যাংকের সব পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দ্রুত ও সহজ সেবার মাধ্যমে গ্রাহকদের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। এই অর্জনের জন্য সম্মানিত গ্রাহকরা, নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর, উদ্যোক্তা, শেয়ারহোল্ডার এবং ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। উল্লেখ্য, এনআরবিসি ব্যাংক সারা দেশে ১০৯টি শাখা এবং ৪১৩টি উপশাখার মাধ্যমে সব শ্রেণি-পেশার মানুষদের প্রয়োজন মাফিক ব্যাংকিং সেবা প্রদান করছে। প্রথাগত ব্যাংকিংয়ের পাশাপাশি শরীয়াহভিত্তিক ইসলামী ব্যাংকিং সেবাও প্রদান করছে এনআরবিসি ব্যাংক। ভোরের আকাশ/এসএইচ