কাস্টমস কর্মকর্তাদের কর্মবিরতিতে স্থবির আমদানি-রপ্তানি, চট্টগ্রাম বন্দরে বাড়ছে কন্টেইনার জট
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্ত ঘোষণা করায় বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সকাল থেকে কর্মবিরতি শুরু করেছেন চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কর্মকর্তারা। এই কর্মবিরতির কারণে স্থবির হয়ে পড়েছে চট্টগ্রাম বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম। পণ্য খালাস, শুল্কায়ন এবং অন্যান্য দাপ্তরিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।বন্দরের ইয়ার্ডে আটকা পড়েছে শত শত কনটেইনার। এরফলে বন্দরে বাড়ছে কন্টেইনার জট।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিবহন বিভাগের সহকারী টার্মিনাল ম্যানেজার (কন্ট্রোল) রাজীব চৌধুরী বলেন, কাস্টমস অফিসারদের কর্মবিরতির কারণে জাহাজ থেকে পণ্য খালাস এবং ডেলিভারি দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। অন্যদিকে প্রাইমমুভারদের কর্মবিরতিতে খালাস হওয়া কনটেইনারও বের হচ্ছে না। তাই বন্দরে কনটেইনার জট সৃষ্টি হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কাস্টমস কর্মকর্তা বলেন, প্রতিদিন গড়ে প্রায় সাত হাজার বিল অব এন্ট্রি ও বিল অব এক্সপোর্ট দাখিল হয়। এরমধ্যে প্রায় দুই হাজার ডকুমেন্ট থাকে আমদানি সংক্রান্ত এবং পাঁচ হাজারের মতো থাকে রপ্তানি সংক্রান্ত। তবে কর্মবিরতির কারণে কোনো কার্যক্রমই চলছে না। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের সাথে একাত্মতা করে এ কর্মবিরতি পালন করা হচ্ছে। তাই কখন এটি শেষ হবে তা জানি না।
এই আকস্মিক কর্মবিরতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রাহমান বলেন, কাস্টমসের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় পণ্য আটকে রয়েছে। সময়মতো ডেলিভারি দিতে না পারলে আমরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবো।
ভোরের আকাশ/এসআই
সংশ্লিষ্ট
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সূত্রাপুর এলাকায় স্কয়ার ফার্মার উৎপাদন ব্যবস্থা দেখে প্রশংসা করলেন জাম্বিয়ার ব্যবসা, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী সচিব ক্রুসিভিয়া সি. হিচিকুম্বা।বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সকালে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সূত্রাপুর এলাকায় স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের কারখানা পরিদর্শন করেন তিনি।কারখানা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সূত্রাপুর এলাকায় স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের কারখানা ও উৎপাদন ব্যবস্থা পরিদর্শনে জাম্বিয়ার কমার্স, ট্রেড ও ইন্ডাস্ট্রি (ব্যবসা, বাণিজ্য ও শিল্প) মন্ত্রণালয়ের ১৪ জনের একটি প্রতিনিধি দল। পার্মানেন্ট সেক্রেটারি ক্রুসিভিয়া সি. হিচিকুম্বার (CRUSIVIA C. HICHIKUMBA) ১৪ সদস্যের প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানান স্কয়ার ফার্মার নির্বাহী পরিচালক, টেকনিক্যাল অপারেশনস নওয়াবুর রহমান, মানবসম্পদ বিভাগের সহকারী মহাব্যবস্থাপক সুরজিৎ মুখার্জী ও ব্যবস্থাপক মো. আব্দুল্লাহ্ আল মামুন। জাম্বিয়ার প্রতিনিধি দলের সঙ্গে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাষ্ট্রদূত শাহ আহমেদ শফি, জাম্বিয়ার শিল্প মন্ত্রণালয়ের পরিচালক মুসোকুতোওয়ানে সিচিজুয়ে (MUSOKOTOWANE SICHIZUWE) সহ অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। পরে কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘুরে ঘুরে প্রতিনিধিদলকে পুরো কারখানার উৎপাদন ও কারিগরি কার্যক্রম দেখান।স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের এসএফআরএল অ্যামেনিটি ভবনের সভাকক্ষে কোম্পানির সামগ্রিক বিষয়ে জাম্বিয়ার শিল্প মন্ত্রণালয়ের পার্মানেন্ট সেক্রেটারি ও তাঁর সঙ্গে থাকা প্রতিনিধিদলকে প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জানান স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যালসের নির্বাহী পরিচালক টেকনিক্যাল অপারেশনস নওয়াবুর রহমান।পরে নওয়াবুর রহমান বলেন, জাম্বিয়ার প্রতিনিধি দলের স্কয়ার ফার্মা পরিদর্শন বাংলাদেশকে বিদেশে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে একটা বড় সুযোগ। এভাবে বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের ওষুধ রপ্তানির একটি বড় ক্ষেত্র সৃষ্টি হচ্ছে। ভোরের আকাশ/এসআই
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্ত ঘোষণা করায় বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সকাল থেকে কর্মবিরতি শুরু করেছেন চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কর্মকর্তারা। এই কর্মবিরতির কারণে স্থবির হয়ে পড়েছে চট্টগ্রাম বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম। পণ্য খালাস, শুল্কায়ন এবং অন্যান্য দাপ্তরিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।বন্দরের ইয়ার্ডে আটকা পড়েছে শত শত কনটেইনার। এরফলে বন্দরে বাড়ছে কন্টেইনার জট।চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিবহন বিভাগের সহকারী টার্মিনাল ম্যানেজার (কন্ট্রোল) রাজীব চৌধুরী বলেন, কাস্টমস অফিসারদের কর্মবিরতির কারণে জাহাজ থেকে পণ্য খালাস এবং ডেলিভারি দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। অন্যদিকে প্রাইমমুভারদের কর্মবিরতিতে খালাস হওয়া কনটেইনারও বের হচ্ছে না। তাই বন্দরে কনটেইনার জট সৃষ্টি হচ্ছে।এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কাস্টমস কর্মকর্তা বলেন, প্রতিদিন গড়ে প্রায় সাত হাজার বিল অব এন্ট্রি ও বিল অব এক্সপোর্ট দাখিল হয়। এরমধ্যে প্রায় দুই হাজার ডকুমেন্ট থাকে আমদানি সংক্রান্ত এবং পাঁচ হাজারের মতো থাকে রপ্তানি সংক্রান্ত। তবে কর্মবিরতির কারণে কোনো কার্যক্রমই চলছে না। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের সাথে একাত্মতা করে এ কর্মবিরতি পালন করা হচ্ছে। তাই কখন এটি শেষ হবে তা জানি না।এই আকস্মিক কর্মবিরতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রাহমান বলেন, কাস্টমসের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় পণ্য আটকে রয়েছে। সময়মতো ডেলিভারি দিতে না পারলে আমরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবো।ভোরের আকাশ/এসআই
এবারের জাতীয় বাজেটকে দেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে দেশের শীর্ষ গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি এক্সচেঞ্জের এক গোলটেবিল আলোচনায়।এসময় বক্তারা বলেছেন, আগামী বাজেটে দেশীয় সম্পদ সংগ্রহ জোরদার করা, অর্থ বরাদ্দের ক্ষেত্রে মূল বিবেচ্য বিষয়গুলো পুনর্নিধারণ করা এবং সম্পদের কার্যকর বণ্টন নিশ্চিত করতে হবে।‘কার্যকর বাজেট পরিকল্পনার মাধ্যমে বেসরকারি খাতের প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিতকরণ: বাজেট ২০২৫-২৬ এর অগ্রাধিকার’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকের সঞ্চালনা করেন পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও সিইও ড. এম. মাসরুর রিয়াজ। বৈঠকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারাসহ অর্থনীতিবিদ, বিশ্লেষক, বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও এনজিও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনায় দেশে ব্যাপক পরিমাণ উন্নয়ন নিশ্চিত করতে কৌশলগত পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়নের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে।বৈঠকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য মোহাম্মদ বেলাল হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘ভ্যাট আদায়ে আমরা হয়রানি কমাতে ও অনুমোদন ব্যবস্থা উন্নত করতে অটোমেশন নিয়ে কাজ করছি। আমাদের সহযোগিতা প্রয়োজন এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর আমাদেরকে অবৈধ বাণিজ্য সম্পর্কে যথাযথ তথ্য জানাতে হবে। আর্থিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সহযোগিতামূলক পদ্ধতি প্রয়োজনীয় ভূমিকা রাখবে।’কর ব্যবস্থার কাঠামোগত চ্যালেঞ্জ প্রসঙ্গে এনবিআরের সংশোধনী কমিটির সদস্য ফরিদ উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের করের ৮০ শতাংশই পরোক্ষভাবে আসে এবং এই সিস্টেমটি উচ্চাকাক্সক্ষী উন্নয়নশীল অর্থনীতির জন্য উপযুক্ত নয়। পর্যায়ক্রমে পরিবর্তন না করে মৌলিক সংস্কার প্রয়োজন। উচ্চ টিডিএস ও বহুস্তর ভ্যাট হারের মতো সমস্যা দূর করতে রাজনৈতিক অঙ্গীকার অপরিহার্য। আমি একটি ন্যায়সঙ্গত কর ব্যবস্থা গঠনে প্রয়োজনীয় সংস্কারের আহ্বান জানাচ্ছি।’বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) ডিরেক্টর জেনারেল মো. আরিফুল হক বলেন, ‘রাজস্ব ও বিনিয়োগ একই মুদ্রার দুটি দিক। আমরা অটোমেশনের পাশাপাশি নীতিমালা যেন সংগতিপূর্ণ হয় সে জন্য চাপ দিচ্ছি, কিন্তু আমলাতান্ত্রিক মানসিকতার রূপান্তরও এখানে গুরুত্বপূর্ণ। ভূমি, শক্তি ও কর নীতিমালা একত্রিত করে সংস্কার করতে হবে এবং নীতি সংস্কারে একটি সামগ্রিক পদ্ধতি প্রয়োজন।’জেটি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স ও কমিউনিকেশন বিভাগের ডিরেক্টর গিনতাউতাস দিরগেলা বলেন, ‘এবছর জানুয়ারিতে অফ-সাইকেল কর বৃদ্ধির পর কর্তৃপক্ষের সাথে আমাদের খোলামেলা আলোচনা হয়েছে। একটি দায়িত্বশীল সংস্থা হিসেবে আমরা অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকারের রাজস্ব সংগ্রহের প্রচেষ্টাকে সম্পূর্ণরূপে সমর্থন করি, যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে পুনরায় শক্তিশালী করতে ও সামাজিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করবে। আমরা ধারাবাহিক কর বৃদ্ধির আন্তর্জাতিক সেরা অনুশীলনগুলো শেয়ার করেছি, যা কালোবাজারের সুযোগ বৃদ্ধি না করেই রাজস্ব বৃদ্ধি করবে। তামাক খাত থেকে আগত রাজস্বকে সময়ের সাথে সাথে দৃঢ়, পূর্বানুমানযোগ্য এবং টেকসই বা স্থিতিশীল হতে হবে।’খাত-নির্দিষ্ট ঝুঁকি ইঙ্গিত করে ডিবিএল গ্রুপের চিফ সাস্টেইনেবিলিটি অফিসার মোহাম্মদ জাহিদুল্লাহ বলেন, ‘পোশাক শিল্প জ্বালানি সংকট ও কার্বন কর থেকে অস্তিত্বগত হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। নবায়নযোগ্য শক্তি অংশীদারিত্ব ও পরিবেশ-বান্ধব কারখানার জন্য কর প্রণোদনা ব্যতীত অর্ডারগুলো ভিয়েতনাম বা ভারতে স্থানান্তরিত হয়ে যাবে।’গ্রামীণফোন লিমিটেডের করপোরেট অ্যাফেয়ার্স বিভাগের সিনিয়র ডিরেক্টর হোসেন সাদাত বলেন, ‘একজন ভোক্তা ১০০ টাকা রিচার্জ করলে ৩৯ টাকা কর দেয়, যা ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তিকে বাধাগ্রস্ত করছে। তাই খাতের প্রবৃদ্ধি ও রাজস্ব স্থিতিশীলতার জন্য ভ্যাট ও এসডি যুক্তিসঙ্গত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তিকে উৎসাহিত করতে আরও ভারসাম্যপূর্ণ কর নীতি চালু করা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।’নেসলে বাংলাদেশ-এর সিনিয়র ম্যানেজার রেজাউল করিম বলেন, ‘মুদ্রাস্ফীতি ভোক্তা চাহিদা কমিয়ে দিয়েছে। ভ্যাট রিটার্ন সহজকরণ ও কর্পোরেট করের হার কমিয়ে আনলে তা ব্যবসার খরচ কমাতে, ভোক্তার ব্যয় উৎসাহিত করতে এবং রাজস্ব বাড়াতে সহায়তা করতে পারে।’পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ-এর (পিআরআই) প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. আশিকুর রহমান বলেন, ‘বিগত দশক ধরে আমরা কম-কর নেট, পরোক্ষ করের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করে আসছি। সাহসী সংস্কার ছাড়া আমাদের আর্থিক ঘাটতি বেসরকারি বিনিয়োগকে ক্রমাগতভাবে বাধাগ্রস্ত করবে।’এসএমএসির ম্যানেজিং পার্টনার স্নেহাশিস বড়ূয়া বলেন, ‘এসএমই ও বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রে একই কর কোড প্রযোজ্য হওয়া উচিত নয়। আমাদের পৃথক এসএমই কর ব্যবস্থা এবং কম টিডিএস হার প্রয়োজন, যাতে কমপ্লায়েন্ট করদাতাদের শাস্তি দেওয়া বন্ধ করা যায়।’এফআইসিসিআই-এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর টি.আই.এম. নূরুল কবির বলেন, ‘বিনিয়োগকারীদের অনুমানযোগ্যতা প্রয়োজন। তাৎক্ষণিক লক্ষ্য দ্বারা নয়, বরং প্রভাব মূল্যায়ন করে বাজেটগুলো পরিচালিত হতে হবে। এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন সামনে রেখে বাংলাদেশ অসামঞ্জস্যপূর্ণ নীতি গ্রহণ করতে পারে না। আমরা চাই সঙ্গত ও সঠিক তথ্যভিত্তিক নীতি চালু হোক।’ ড. এম. মাসরুর রিয়াজের সংক্ষিপ্তসার দিয়ে গোলটেবিল বৈঠকটি শেষ হয়। তিনি বলেন, ‘এই সংলাপের মাধ্যমে নতুন দিনের সূচনা হচ্ছে। আমরা এনবিআর ও বিডা’র জন্য প্রস্তাবনাগুলো সংকলন করবো এবং আজকের আলোচ্য বিষয়গুলো ২০২৫-২৬ বাজেটে উত্থাপিত করার চেষ্টা করবো।’ তিনি গোলটেবিলের অন্তর্দৃষ্টিগুলোকে কার্যকর নীতি সুপারিশে অনুবাদ করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্তির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনের মতো কলমবিরতি পালন করছেন কর, শুল্ক ও ভ্যাট বিভাগে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সকাল ১০টা থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন কর অঞ্চল, ভ্যাট ও কাস্টমস অফিসে একযোগে এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে, যা চলবে বিকেল ৩টা পর্যন্ত।আজ সকাল ১০টায় অফিস যথারীতি শুরু হলেও সব ধরনের কার্যক্রম আসলে বন্ধ রয়েছে। তবে কর্মকর্তা-কর্মচারী সকলেই অফিস উপস্থিত রয়েছেন।রাজধানী ঢাকার বিমানবন্দরের কাস্টম হাউজ, কমলাপুরের আইসিটিতে অ্যাসেসমেন্ট বন্ধ রয়েছে। তবে, আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা, রপ্তানি কার্যক্রম এবং এনবিআরের জাতীয় বাজেট প্রণয়ন কার্যক্রম এই কর্মসূচির আওতা বহির্ভূত রয়েছে। আগামী ১৭ মে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্তও একইভাবে কলমবিরতি কর্মসূচি চলবে। গতকাল বুধবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কলম বিরতি কর্মসূচি পালিত হয়।প্রসঙ্গত, গত সোমবার রাতে সরকার একটি অধ্যাদেশ জারি করে এনবিআর ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) বিলুপ্ত ঘোষণা করে। এর পরিবর্তে ‘রাজস্ব নীতি বিভাগ’ ও ‘রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ’ নামে দুটি নতুন বিভাগ গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়। এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেই এনবিআর কর্মকর্তারা কর্মসূচি পালন করছেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ