ভোরের আকাশ ডেস্ক
প্রকাশ : ১৯ জুন ২০২৫ ১১:১১ পিএম
সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশের অর্থ জমা ৩৩ গুণের বেশি বেড়েছে
সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশের নামে জমা অর্থের পরিমাণ গত এক বছরে আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। ২০২৪ সালে এ জমা ৩৩ গুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছে সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক (এসএনবি)।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালের শেষে সুইস ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশের নামে মোট পাওনার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫৯ কোটি ৮২ লাখ সুইস ফ্রাঁ, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৮ হাজার ৯৭২ কোটি টাকা (প্রতি ফ্রাঁ ১৫০ টাকা ধরে)। এর আগের বছর, ২০২৩ সালের শেষে এই পরিমাণ ছিল মাত্র ১ কোটি ৭৭ লাখ ১৩ হাজার ফ্রাঁ।
এসএনবির তথ্য অনুযায়ী, এই অর্থের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর দাবি, আমানতকারীদের অর্থ এবং পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগ। বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাখ্যায়, মোট জমার প্রায় ৯৫ শতাংশই বাণিজ্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংক দাবির অংশ হিসেবে বিবেচিত।
তবে, বিশ্লেষকদের মতে, সুইস ব্যাংকে জমা এই অর্থের একটি অংশ অবৈধ অর্থপাচার থেকেও আসতে পারে। যদিও সুইস কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে এখনও কোনো নির্দিষ্ট তথ্য প্রকাশ করেনি। অর্থ পাচারসংক্রান্ত তথ্য জানতে বাংলাদেশের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট (বিএফআইইউ) একাধিকবার সুইজারল্যান্ডের এফআইইউর সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তবে কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের তালিকা এখনও পাওয়া যায়নি।
সুইস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অবৈধ অর্থ স্থানান্তরের সুনির্দিষ্ট প্রমাণ উপস্থাপন করা হলে তারা তদন্তে সহযোগিতা করবে। উল্লেখ্য, অনেক সময় বাংলাদেশি কেউ অন্য দেশের নাগরিক পরিচয়ে সুইস ব্যাংকে অর্থ রাখলে তা এ পরিসংখ্যানে বাংলাদেশের হিসাবে যুক্ত হয় না।
তাছাড়া, সুইস ব্যাংকের ভল্টে রাখা মূল্যবান শিল্পকর্ম, স্বর্ণ বা অন্যান্য দুর্লভ সামগ্রীর আর্থিক মূল্যও এই হিসাবের অন্তর্ভুক্ত নয়। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ধনী ব্যক্তিদের অনেকেই নিরাপত্তার স্বার্থে সুইজারল্যান্ডে এসব মূল্যবান সম্পদ গচ্ছিত রাখেন বলে জানা যায়।
ভোরের আকাশ/হ.র