শিক্ষার্থীদের সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ বন্ধের নির্দেশ
দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে মিছিল-সমাবেশের নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া ছেড়ে মারধর-ভাঙচুরসহ নানা বিশৃঙ্খলায় জড়িয়ে পড়ছে। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা রোধে শিক্ষা-সংশ্লেষবিহীন মিছিল ও সমাবেশে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ বন্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
গতকাল মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের এমন নির্দেশনা দিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন। এছাড়াও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষামুখী বা শ্রেণিমুখী করতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের কো-কারিকুলার কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় স্কুল ও কলেজ পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা শিক্ষা সংশ্লেষবিহীন বিভিন্ন ইস্যুতে আয়োজিত সভা-সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ করছে। ফলে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ায় কোমলমতি শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাছাড়া, এ ধরনের অনাহত কার্যক্রম শিক্ষার্থীর পাশাপাশি অভিভাবকদের মাঝে নানা উৎকণ্ঠা ও উদ্বেগ সৃষ্টি করছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, এই পেক্ষাপটে শিক্ষার্থীদের শিক্ষামুখী ও শ্রেণিমুখী রাখা এবং বিভিন্ন ধরনের কো-কারিকুলার কার্যক্রমে ব্যাপকভাবে সম্পৃক্ত রাখতে হবে। কো-কারিকুলার কার্যযক্রমের ওপর একটি তালিকা নমুনা স্বরূপ সংযুক্ত করা হলো। এ লক্ষ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের মাধ্যমে অভিভাবকদের সম্পৃক্ত করে শ্রেণি কার্যক্রম ও কো-কারিকুলার কার্যক্রম জোরদার করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (আইইউবি) ক্যাম্পাসে নতুন উচ্চগতির ও নিরাপদ ওয়াইফাই ৭.০ প্রযুক্তির পূর্ণাঙ্গ নেটওয়ার্ক চালু করা হয়েছে। পুরনো ওয়াইফাই ৫.০ প্রযুক্তির পরিবর্তে এই আধুনিক নেটওয়ার্ক ক্যাম্পাসে ইন্টারনেট ব্যবহারে গতিশীলতা ও স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি করবে।রোববার (২৯ জুন) সন্ধ্যায় আইইউবির ডিএমকে লেকচার গ্যালারিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই প্রযুক্তির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যরা।নতুন ওয়াইফাই ৭.০ সিস্টেমে ক্যাম্পাসজুড়ে ব্যাপক সংখ্যক অ্যাকসেস পয়েন্ট ও শক্তিশালী ব্যাকবোন সংযোগ স্থাপন করা হয়েছে। এতে একসঙ্গে ২৫ হাজারের বেশি ডিভাইস সংযুক্ত থাকতে পারবে, যেখানে পূর্বের নেটওয়ার্কে মাত্র কয়েকশ ডিভাইসের বেশি সেবা দেওয়া যেত না। এই নেটওয়ার্ক ‘ফিউচার রেডি’ হিসেবে পরিচিত, অর্থাৎ ভবিষ্যতে যে কোনো আধুনিক প্রযুক্তি গ্রহণে সক্ষম হবে আইইউবি ক্যাম্পাস।আইইউবির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও ডিরেক্টর অব অটোমেশন ড. মাহাদী হাসান জানান, শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও বিভিন্ন আইওটি ডিভাইসের বাড়তি চাহিদা পূরণের জন্য এই অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। এটি জিরো-ট্রাস্ট সিকিউরিটি, স্মার্ট লার্নিং এনভায়রনমেন্ট এবং বিওয়াইওডি সুবিধাসহ ভবিষ্যতে সহজ সম্প্রসারণের সুযোগ নিশ্চিত করবে।উপাচার্য অধ্যাপক ম. তামিম বলেন, “দ্রুতগতির ও নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট শিক্ষার্থীদের জন্য অপরিহার্য। তাদের দীর্ঘদিনের দাবি আজ পূরণ হলো, যা আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের।”বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান দিদার এ হুসেইন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের চাহিদা বুঝে ধৈর্য ধারণের আহ্বান জানান এবং বলেন, “ধাপে ধাপে সব প্রয়োজন মেটানো হবে।”অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ট্রাস্টি তওহীদ সামাদ, রাশেদ চৌধুরী, আলতামাশ কবির, আশরাফ উদ্দিন আহমেদ, ড. হোসনে আরা আলি, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড্যানিয়েল ডব্লিউ. লুন্ড এবং কোষাধ্যক্ষ খন্দকার মো. ইফতেখার হায়দার।ভোরের আকাশ//হ.র
সমকামিতা, নারী শিক্ষার্থী হেনস্তা-সহ নানান অভিযোগের কারণে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে চাকরি থেকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন। ওই শিক্ষক হলেন- ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. হাফিজুল ইসলাম।সোমবার (৩০ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. মনজুরুল হক স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।তিনি বলেন, ‘সিন্ডিকেটে পাশ হওয়ার পর উপাচার্যের নির্দেশে প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করা হয়েছে। কখন কী করা লাগবে এবং বাকিটা ব্যাখ্যা দিতে পারবেন সিন্ডিকেট।’অফিস আদেশ সূত্রে, ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব মো. হাফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভাগের শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পর্যালোচনাপূর্বক গত ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ২৬৬ তম সভার ৪৪ নং প্রস্তাব ও সিদ্ধান্ত মোতাবেক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী দক্ষতা ও শৃঙ্খলা বিধির (4) i (b) ও (৫) ধারা মোতাবেক তাঁকে বাৎসরিক ০১ (এক) টি ইনক্রিমেন্ট/ধাপ বাতিল করা হয় এবং তাঁকে ১ (এক) বছরের বাধ্যতামূলক ছুটি প্রদান করা হয়।তবে উক্ত সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট হয়ে পুনর্বিবেচনার দাবি ওঠলে এবং বিভাগের সকল শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ২৬৭ তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিষয়টি পুনরায় ব্যাপক তদন্তের জন্য গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশক্রমে আবারও গত ৩১ মে ২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ২৬৮ তম (সাধারণ) সভার ০৭ নং সিদ্ধান্ত মোতাবেক পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী তদন্তের আলোকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও শৃঙ্খলার স্বার্থে তাঁর এহেন কর্মকান্ড ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী দক্ষতা ও শৃঙ্খলা বিধির চরম পরিপন্থি বলে প্রমাণিত হয়। পরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী দক্ষতা ও শৃঙ্খলা বিধির ৪(১) (F) ধারা মোতাবেক তাঁকে ৩১ মে ২০২৫ তারিখ থেকে চাকুরী হতে অপসারণ করা হয়।উল্লেখ্য, গত ২২ ডিসেম্বর তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হাফিজুল ইসলামের বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট বাতিল ও এক বছরের বাধ্যতামূলক ছুটির সিদ্ধান্ত নেয়। তবে শিক্ষার্থীরা এই শাস্তিকে অপ্রতুল দাবি করে তার স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে ২৮ জানুয়ারি উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন, যা প্রশাসনের আশ্বাসে সাময়িক স্থগিত হয়। পরে ১৬ মে উচ্চতর তদন্ত কমিটি এসে পুনরায় জবানবন্দি চাইলে শিক্ষার্থীরা তা প্রত্যাখ্যান করে প্রহসন বলে উল্লেখ করেন এবং উপাচার্যের সর্বোচ্চ শাস্তির আশ্বাসে কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন।ভোরের আকাশ/জাআ
আজ ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হচ্ছে। সোমবার (৩০ জুন) বিকেলের দিকে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) ওয়েবসাইটে এ ফল প্রকাশ করা হতে পারে।এদিকে, চূড়ান্ত ফলাফলে প্রায় ৪০০টি ক্যাডার পদ বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু করা হলেও শেষ পর্যন্ত তা বাড়ছে না। ফলে বিজ্ঞপ্তিতে থাকা শূন্য পদগুলোতে নিয়োগে সুপারিশ করবে।জানা গেছে, পিএসসি থেকে প্রায় চারশো ক্যাডার পদ বাড়িয়ে চূড়ান্ত সুপারিশ করার অনুমোদন চাওয়া হয়েছিল। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় হয়ে সেই প্রস্তাব উপদেষ্টা পরিষদে পাঠানো হয়। তবে উপদেষ্টা পরিষদ প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে। ফলে পদসংখ্যা বাড়ছে না।তারা জানান, উপদেষ্টা পরিষদ পদ না বাড়িয়ে নতুন বিসিএসে এ শূন্য পদগুলো যুক্ত করে বিজ্ঞপ্তি দিতে পরামর্শ দিয়েছে। ফলে ৪৯তম বিসিএসে পদসংখ্যা তুলনামূলক বেশি হতে পারে।ভোরের আকাশ/জাআ
যানজট ও জনদুর্ভোগ এড়াতে চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীদের সকাল ৮টা ৩০ মিনিট থেকে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড।শনিবার (২৮ জুন) ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের এক বিজ্ঞপ্তিতে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার এ তথ্য জানিয়েছেন।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চলমান এইচএসসি পরীক্ষা ২০২৫ সালের পরীক্ষাকেন্দ্রগুলোর আশপাশের যানজট ও জনদুর্ভোগ লাঘবের লক্ষ্যে শুধু পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে সকাল সাড়ে আটটা থেকে প্রবেশের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো। তবে পরীক্ষাকক্ষে প্রবেশসংক্রান্ত পূর্বের নির্দেশনা বহাল থাকবে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়।অনুলিপি জ্ঞাতার্থে ও প্রয়োজনীয় কার্যার্থে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার, ঢাকা বোর্ডের আওতাধীন সব জেলা প্রশাসক, সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ বিষয়ে অবহিতকরণ পত্র দেওয়া হয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ