আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ১২ জুলাই ২০২৫ ০৬:১২ এএম
পরমাণু আলোচনায় ফিরতে যুক্তরাষ্ট্রকে শর্ত দিল ইরান
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনায় ফিরতে একাধিক শর্ত দিয়েছে ইরান। দেশটি জানিয়েছে, আলোচনার পূর্বশর্ত হিসেবে ওয়াশিংটনকে সামরিক হামলা থেকে বিরত থাকার নিশ্চয়তা দিতে হবে এবং আগের হামলার জন্য দায় স্বীকার করতে হবে।
শুক্রবার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি ফরাসি দৈনিক লে মঁদ-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব শর্তের কথা জানান। তেহরানভিত্তিক সংবাদ সংস্থা তাসনিম নিউজও বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
আরাগচি বলেন, “কূটনৈতিক যোগাযোগ সবসময়ই চলমান ছিল এবং এখন কিছু বন্ধু রাষ্ট্র ও মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে একটি হটলাইন স্থাপনের কাজ চলছে। তবে কূটনীতি কখনও একমুখী হতে পারে না।”
তিনি অভিযোগ করেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর মার্কিন হামলা দেশটির ক্ষতি করেছে এবং ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করে তা পূরণ করার অধিকার তেহরান সংরক্ষণ করে।
ইরানি মন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, “আমাদের পারমাণবিক কর্মসূচি আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (IAEA) তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয় এবং সেখানে সামরিক কার্যকলাপের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।”
তার ভাষায়, “এটি শুধু একটি কারিগরি প্রকল্প নয়, বরং এটি ইরানি জাতির দৃঢ় সংকল্প ও সার্বভৌম অধিকার রক্ষার প্রতীক।”
পশ্চিমা বিশ্বের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে আরাগচি বলেন, “IAEA-র তত্ত্বাবধানে পরিচালিত স্থাপনাগুলোর ওপর হামলা এবং পশ্চিমা বিশ্বের নীরবতা আন্তর্জাতিক আইনের ওপর সরাসরি আঘাত।”
তিনি ইউরোপের তিনটি দেশের পক্ষ থেকে ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তির আওতায় নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের হুমকি প্রসঙ্গে বলেন, “এটি কার্যত একটি সামরিক হুমকি এবং ইউরোপীয় কূটনীতির বিশ্বাসযোগ্যতা সম্পূর্ণভাবে হারিয়ে ফেলবে।”
আব্বাস আরাগচি আবারও ইরানের অবস্থান পরিষ্কার করে বলেন, “ইরান পরমাণু অস্ত্র চায় না এবং পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি (NPT) থেকে সরে যাওয়ার কোনো পরিকল্পনাও আমাদের নেই।”
তিনি আরও যোগ করেন, “আমাদের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির জারি করা ফতোয়া অনুযায়ী, গণবিধ্বংসী অস্ত্র তৈরি, মজুত বা ব্যবহার ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকেও নিষিদ্ধ।”
ভোরের আকাশ//হ.র