জাপান সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে দেশে ফিরেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শনিবার দিবাগত রাতে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়, রাত ১২টা ১৫ মিনিটে ফ্লাইটটি ঢাকায় পৌঁছায়।
জাপান সফরে বিভিন্ন উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন অধ্যাপক ইউনূস। সফরকালে দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষরিত হয়। এছাড়াও জাপানে বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়।
সফরের অংশ হিসেবে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন ড. ইউনূস। ওই বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে ৬টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। পাশাপাশি বাংলাদেশকে বাজেট সহায়তা এবং রেল খাতে ১.০৬৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দেয় জাপান সরকার।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার (২৭ মে) চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকা ত্যাগ করেন প্রধান উপদেষ্টা।
ভোরের আকাশ//হ.র
সংশ্লিষ্ট
ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঈদযাত্রা ও পশুর হাট কেন্দ্রিক ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে একগুচ্ছ ট্রাফিক নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। সোমবার (২ জুন) দুপুরে ডিএমপি কমিশনার শেখ মোহাম্মদ সাজ্জাদ আলী স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা জানানো হয়।গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঈদযাত্রা নিরাপদ, সুগম ও নির্বিঘ্ন করার জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে।এমতাবস্থায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে গণপরিবহন মালিক-শ্রমিক ও যাত্রী সাধারণকে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো মেনে চলার জন্য অনুরোধ করা হলো।গণপরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের জন্য নির্দেশনা১. নির্ধারিত সিডিউল অনুযায়ী বাস ছেড়ে দিতে হবে।২. নির্ধারিত টার্মিনালের বাইরে কোথাও যাত্রী ওঠানো যাবে না।৩. বাস টার্মিনালে অনধিকৃত যাত্রী ওঠানো-নামানো যাবে না।৪. হকার ও ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়িকে টার্মিনালে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না।৫. অনুমোদনহীন পরিবহন টার্মিনালে প্রবেশ করতে পারবে না।৬. বৈধ কাগজপত্র ছাড়া কোনও গাড়ি টার্মিনালে প্রবেশ করতে পারবে না।৭. অনুমোদনহীন চালক ও হেলপার দিয়ে গাড়ি চালানো যাবে না।৮. মালিকদের কাছে বৈধ কাগজপত্র না থাকলে গ্যারেজ থেকে গাড়ি ছাড়ার অনুমতি দেওয়া হবে না।৯. একাধিক পরিবহন সংস্থার বাস একত্রে চলতে পারবে না।১০. গাড়িতে অতিরিক্ত ভাড়া বা মালামাল আদায় করা যাবে না।১১. ছাদে যাত্রী তোলা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।১২. চালকদের মাদকের প্রভাব মুক্ত থাকতে হবে।১৩. চালক-সহকারীর মধ্যে ঝগড়া বা অসদাচরণ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।১৪. নির্ধারিত সময়ের বাইরে বাস ছাড়তে পারবে না।যাত্রীদের জন্য নির্দেশনা১. নির্ধারিত টার্মিনাল/স্টপেজ থেকে বাসে উঠুন।২. বাসের ছাদে উঠবেন না ও উঠতে কাউকে উৎসাহ দেবেন না।৩. বাসে উঠার সময় হেলপার বা চালকের সঙ্গে ঝগড়া না করার অনুরোধ।৪. বাসে নিজের মালামাল নিজ দায়িত্বে রাখবেন।৫. অপরিচিত কাউকে মালামাল দেখার দায়িত্ব না দেওয়ার পরামর্শ।৬. মূল্যবান জিনিস সাবধানে রাখবেন।পথচারীদের জন্য নির্দেশনা১. রাস্তায় দাঁড়িয়ে গাড়িতে ওঠা/নামা করা যাবে না।২. ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার বাধ্যতামূলক।৩. যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং না করার অনুরোধ।৪. সন্দেহজনক ব্যক্তি বা বস্তু দেখলে ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমে (০১৩২০০৮০৮৯৭) জানানোর আহ্বান।বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন যাত্রা নিশ্চিত করতে এসব নির্দেশনার প্রতি সবার সর্বোচ্চ সহযোগিতা প্রত্যাশা করে ডিএমপি।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ভোক্তা পর্যায়ে জুন মাসের জন্য এলপিজি গ্যাসের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।সোমবার (২ জুন) নতুন এ মূল্য ঘোষণা করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। যা আজ সন্ধ্যা থেকে কার্যকর হবে।জুন মাসের জন্য ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ৪৩১ টাকা থেকে ২৮ টাকা কমে ১ হাজার ৪০৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।এছাড়া প্রতি লিটার অটোগ্যাসের দাম ১ টাকা ২৭ পয়সা কমিয়ে ৬৪ টাকা ৩০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।এর আগে মে মাসের জন্য প্রতি ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ১৯ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৪৩১ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া অটোগ্যাসের মূল্য নির্ধারণ করা হয় ৬৫ টাকা ৫৭ পয়সা।ভোরের আকাশ/এসএইচ
‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে আজও সচিবালয়ে বিক্ষোভ করছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।সোমবার (২ জুন) বেলা ১১টার দিকে সচিবালয়ের ৪ নম্বর ভবনের সামনে থেকে কর্মচারীরা বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। বিক্ষোভ মিছিলে- ‘আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, সচিবালয় জেগেছে’, ‘মানি না মানবো না, ফ্যাসিবাদী কালো আইন’, ‘মানি না মানবো না, অবৈধ কালো আইন’, ‘ফ্যাসিবাদের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘১৮ লাখ কর্মচারী, এক হও লড়াই করো’ স্লোগান দেওয়া হচ্ছে।সোমবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়; যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার কাছে অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে স্মারকলিপি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কর্মচারীরা।এর আগে, গতকাল রোববার তারা খাদ্য ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের কাছে স্মারকলিপি দেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
টানা পঞ্চম দিনের মতো চিকিৎসাসেবা বন্ধ রয়েছে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন রোগীরা। ফিরে যাচ্ছেন চিকিৎসা নিতে আসা শত শত রোগী। বেশি কষ্ট পোহাতে হচ্ছে ঢাকার বাইরে থেকে আসা এবং অস্ত্রোপচারের অপেক্ষায় থাকা রোগীদের। হাসপাতালের সেবা কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও ভেতরে রয়েছেন জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ৫৫ জনসহ ৮০ জন রোগী। সহসাই চালু হচ্ছে না হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এর মধ্যে গত শনিবার সেবা নিতে আসা রোগীদের আশপাশের হাসপাতালের চক্ষু বিভাগ থেকে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।গতকাল রোববার হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. জানে আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘গতকাল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিউটের সেবা বন্ধ থাকবে। রোগীদের অন্য জায়গায় সেবা নিতে বলা হয়েছে। তবে হাসপাতাল কবে চালু হবে তা স্পষ্ট করে কিছুই বলা যাচ্ছে না।’চিকিৎসক ও কর্মচারীদের সঙ্গে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতের মারামারি ও সংঘর্ষের ঘটনায় গত বুধবার সকাল থেকেই বন্ধ রয়েছে চক্ষু হাসপাতালের জরুরি বিভাগসহ সব ধরনের চিকিৎসাসেবা। গতকাল রোববার সকালে সরেজমিন দেখা যায়, হাসপাতালে কোনো চিকিৎসক ও নার্স নেই। সকাল থেকেই হাসপাতালের সামনে চিকিৎসা নিতে আসা অনেককে জড়ো হতে দেখা যায়। বিভিন্ন স্থান থেকে আসা নতুন রোগীরা চিকিৎসা না পেয়ে ফেরত যাচ্ছেন।এছাড়াও আগে যেসব রোগী হাসপাতাল থেকে আগে চিকিৎসা নিয়েছেন, তাদের অনেকে ফলোআপের জন্য এসেছেন। আবার অনেকে আসছেন অপারেশনের জন্য। হাসপাতাল বন্ধ থাকায় সেবা না পেয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা রোগীরা।হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, বর্তমানে ৫০ জন জুলাই যোদ্ধা হাসপাতালে ভর্তি। আত্মহত্যার চেষ্টা করা চারজন সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং একজন সিএমএইচে ভর্তি আছেন। এ ছাড়া প্রায় ১৫০ জন সাধারণ রোগী ছিলেন, যারা নিরাপত্তার অভাবে হাসপাতাল ছেড়ে গেছেন।জুলাই ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল আকবর কামাল বলেন, ‘উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলছি। হাসপাতাল বন্ধ থাকায় সাধারণ মানুষের যে কষ্ট হচ্ছে, সেটিও আমরা বোঝাচ্ছি।’তিনি আরও বলেন, জুলাইযোদ্ধারা হাসপাতালের ৮ থেকে ১০ কর্মচারীর একটি তালিকা দিয়েছে। তারা বলছে, ওই কয়েকজন বাদে বাকিরা হাসপাতালে এসে সেবা দিতে কোনো বাধা নেই। আমরাও তাদের বোঝানোর চেষ্টা করছি, হাসপাতালটি বন্ধ থাকায় মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে।হাসপাতাল কবে চালু হচ্ছে- এ বিষয়ে জানতে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান বলেন, আমরা আলাদাভাবে কিছু বলতে চাচ্ছি না। এ মুহূর্তে করণীয় প্রসঙ্গে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি আকারে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।এদিকে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাসেবা বন্ধ থাকার জন্য চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের চরম নিরাপত্তাহীনতাকে দায়ী করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়।গত শনিবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আহতদের প্রতি সম্মান রেখে সীমিত পর্যায়ে সেবাদান অব্যাহত থাকলেও সার্বিক চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ২৯ মে চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যকর্মীরা হাসপাতালের অভ্যন্তরে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। ফলে ওই দিন থেকেই হাসপাতালের নিয়মিত কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে হাসপাতালে শুধু জুলাই অভ্যুত্থানে আহতরা অবস্থান করছেন। সারাদেশ থেকে আসা অন্য চক্ষু রোগীরা চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। এ পরিস্থিতিতে মন্ত্রণালয় দুঃখ প্রকাশ করছে।হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. জানে আলম গত শনিবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত চিকিৎসকরা কাজে ফিরতে রাজি নন। আমরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। চিকিৎসাসেবা দ্রুত চালুর ব্যাপারে চেষ্টা করছি। অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা যেন আর না ঘটে, সে ব্যাপারে আমরা সতর্ক।’ অচলাবস্থা কাটাতে গত শুক্রবার হাসপাতালের কয়েকজন সচিব, হাসপাতাল প্রতিনিধি, ছাত্র প্রতিনিধিসহ বৈঠক হলেও সিদ্ধান্তে আসতে পারেননি তারা।হাসপাতালটির চিকিৎসাধীন জুলাই যোদ্ধা রোহান আহমেদ বলেন, আমি হাসপাতালেই আছি। সব ধরনের সেবা কার্যক্রম বন্ধ আছে। আমাদের খাবার ও ওষুধ বাইরে থেকে নিয়ে আসা হচ্ছে। দুপুরে চিকিৎসা চালুর বিষয়ে বৈঠক হলেও কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।গত বুধবারও আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠক হয়। বৈঠকে বেশ কয়েকজন উপদেষ্টাসহ এনসিপির নেতা নাহিদ ইসলাম, হাসনাত আবদুল্লাহ ও আবু বকর উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে আহত ৮-১০ জন জুলাই যোদ্ধাকে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট থেকে অন্যত্র স্থানান্তর করার বিষয়ে তারা সম্মত হয়েছেন।হাসপাতাল সূত্র জানায়, পুরো সেবা কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়েছে। কর্মচারীরা নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগ করছেন। তাদের ভাষ্য, হাসপাতালের ভেতর জুলাই যোদ্ধাদের কিছু অংশ সহিংস আচরণ করেছে। ভাঙচুর ও হামলার ঘটনা ঘটেছে বারবার। এতে আতঙ্কে রয়েছেন চিকিৎসক ও স্টাফরা।হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. জানে আলম বলেন, ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত চিকিৎসক ও কর্মীরা কাজে ফিরতে অনিচ্ছুক।’যে ঘটনার জেরে অচলাবস্থাহাসপাতালের একাধিক সূত্র জানায়, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত চার রোগী সঠিক চিকিৎসা না পাওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগে গত ২৫ মে বিষপান করলে উত্তেজনার সূত্রপাত ঘটে। এরপর ২৭ মে পরিচালকের কক্ষে গিয়ে আরেক আহত শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এতে উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়; তৈরি হয় অবিশ্বাসের আবহ। এরপর গত বুধবার বেলা ১১টার দিকে পরিস্থিতি ভয়াবহ অবস্থায় যায়। হাসপাতালে ভর্তি জুলাই যোদ্ধা, কর্মচারী এবং রোগীদের সঙ্গে থাকা স্বজনদের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়।হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, হাসপাতালটিতে প্রতিদিন গড়ে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ জন রোগী বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। চিকিৎসাসেবা বন্ধ থাকায় এসব রোগীকে এখন অন্যান্য হাসপাতালে ছুটতে হচ্ছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ