সংগৃহীত ছবি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, ইলেকশনের তারিখ তো আমি নিজেও জানি না। সকালে একবার বলেছি, আমি আপনাদের জানাবো। দুই মাস আগে জানাবো, পুরো ডিটেইলস জানিয়ে দেবো। কোন দিন ভোট হবে, কোন দিন নমিনেশন হবে, ডিটেইল জানিয়ে দেবো, ভোটের তারিখের আগে। সুতরাং এজন্য একটু ধৈর্য ধরেন। যথাসময়ে আপনারা জানতে পারবেন আর আমাদের প্রস্তুতির বিষয়ে আপনারা জানেন। ইলেকশনের তারিখ নিয়ে আর কথা বলবো না।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে আয়োজিত এক সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আমাদের প্রশাসন গার্ডারে তাদের যে, ইমেজ ক্ষুণ্ন হয়েছে, এদের ভাবমূর্তি সিরিয়াসলি এফেক্টেড হয়েছে। পুলিশের ভাবমূর্তি সিরিয়াসলি এফেক্টেড হয়েছে। এই ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের এটাই হচ্ছে সুযোগ। আমার সহকর্মীরা যারা এই ইলেকশনের সঙ্গে জড়িত থাকবেন, তাদের কাছে করজোড়ে আবেদন জানাবো যে, আপনারা মানুষের শ্রদ্ধা অর্জনের চেষ্টা করুন। ভাবমূর্তি যেটা নষ্ট হয়েছে, সেটা থেকে আমরা-আপনারা উঠে আসুন এবং আমরা প্রমাণ করতে চাই। আমরা পারি, সরকারি কর্মচারীরা পারে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পারে, যদি তারা সত্যিকার অর্থে আন্তরিক হয়।
তিনি আরও বলেন, আমি সেই মেসেজটা আপনাদের মাধ্যমে আমার সহকর্মীদের দিতে চাই। যারা বিশেষ করে ইলেকশনের সঙ্গে জড়িত থাকবে, তাদের কাছে এই মেসেজটা আমি দিতে চাই। আমি প্রমাণ করতে চাই বা আপনাদের মাধ্যমে তাদের কাছে আবেদন থাকবে। আসুন প্রমাণ করি আমরা ৯১-তে যেমন পেরেছি, ৯৬-তে যেমন পেরেছি, ২০০১-এ যেমন পেরেছি, এবারও ইনশাআল্লাহ সেভাবে প্রমাণ করে ছাড়বো।
সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, আপনারা সিরিয়াসলি এবং তারা প্রিপারেশন নিচ্ছে যাতে, একটা সুষ্ঠু নির্বাচন ও এক্সেপটেবল, ক্রেডিবল নির্বাচন যাতে আমরা উপহার দিতে পারি সেই মেসেজটা আপনারা দয়া করে দেবেন।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদের একটা চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য হয়ে গেছে, পজিটিভ একটা ক্যাপশন দিলে কেউ পড়তে চায় না। নেগেটিভ যদি কিছু একটা লেখেন এটা আগ্রহ করে দেখেন। সাংবাদিকদের আমরা পার্টনার করে আমাদের অ্যাওয়ারনেস রেজিং ক্যাম্পেইনের মধ্যে ইনভলভ করবো।
ভোরের আকাশ/জাআ
সংশ্লিষ্ট
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ঢাকা-কাঠমান্ডু ফ্লাইটে বোমা রয়েছে বলে অচেনা নম্বর থেকে ফোনকল করা হয়। বোমা থাকার আশঙ্কায় বিজি-৩৭৩ ফ্লাইটটিতে ৩ ঘণ্টার নিবিড় তল্লাশি চালানো হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিমানে কোনো বোমা পাওয়া যায়নি। ভুয়া তথ্য দিয়ে ফ্লাইটে আতঙ্ক ছড়ানোর ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।শনিবার (১২ জুলাই) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) একেএম শহিদুর রহমান।র্যাব ডিজি জানান, প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি এক ব্যক্তি তার পরকীয়া প্রেমিকাকে নিয়ে ওই ফ্লাইটে করে কাঠমান্ডু যাচ্ছিলেন। বিষয়টি তার স্ত্রী ও মা জানতে পারেন। পরে ওই ব্যক্তির এক বন্ধুর থেকে তথ্য নিয়ে ওই মা এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল ফোন করে বিমানে বোমা আছে এমন ভুয়া সংবাদ দেন। যাতে করে ছেলেকে তার পরকীয়া প্রেমিকাকে নিয়ে কাঠমান্ডু যেতে আটকাতে পারেন।তিনি বলেন, সম্প্রতি বোমা আছে এমন এক ফোনকলের মাধ্যমে ঢাকা থেকে কাঠমান্ডুগামী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হয়। পরে বিমানটি তল্লাশি করে বোমা পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় আমরা তিনজনকে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করেছি।এর আগে, শুক্রবার (১১ জুন) বিকেলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে বোমা রয়েছে বলে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কন্ট্রোল টাওয়ারে এমন বার্তা আসে। অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি ফোনে এ হুমকির তথ্য জানান। ততক্ষণে বিমানবন্দরের রানওয়েতে কাঠমান্ডুর উদ্দেশে উড্ডয়নের প্রস্তুতি নিচ্ছিল বিজি ৩৭৩ ফ্লাইটটি। ফ্লাইটে বোমা রাখার তথ্য পেয়ে নড়েচড়ে বসে নিরাপত্তা বিভাগ। ফ্লাইট বাতিল করে দ্রুত বিমান থেকে নিরাপদে নামিয়ে আনা হয় যাত্রী ও ক্রুদের।অবশ্য বম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের আড়াই ঘণ্টার তল্লাশির পর জানা যায়, বিমানে কোনো ধরনের বোমা বা বিস্ফোরকের অস্তিত্ব মেলেনি, ফোনকলটি ছিল ভুয়া। ফ্লাইটটি নিরাপদ ঘোষণার পর রাতে বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজটি কাঠমান্ডুর উদ্দেশে ছেড়ে যায়।ভোরের আকাশ/এসএইচ
রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের মূল ফটকের সামনে ব্যবসায়ী সোহাগকে কুপিয়ে এবং মাথায় বড় পাথর দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।শনিবার (১২ জুলাই) সকালে ঢাকা জেলা পুলিশ লাইন ও রিজার্ভ ফোর্স কার্যালয় পরিদর্শনকালে এ কথা বলেন তিনি।উপদেষ্টা বলেন, বিচার প্রক্রিয়া ধীরগতির দায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর না। তবে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নির্লিপ্ত ভূমিকা পালন করছে না। এ ছাড়াও আইন নিজের হাতে তুলে না নেওয়ার আহ্বানও জানান তিনি।তিনি বলেন, আমরা সবাইকে অনুরোধ করছি, কেউ যেন আইন নিজের হাতে তুলে না নেয়। কোনো ঘটনা ঘটলে সেটা যেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে জানানো হয়। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সেটার যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।অনেকে অভিযোগ করছেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এখনো কঠোর হচ্ছে না। এমন অভিযোগে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর না হলে পাঁচজনকে কীভাবে গ্রেপ্তার করা হলো? তিনি আরও বলেন, চাঁদপুরের ঘটনাতেও দোষীদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর এই অবস্থা মোটেও নির্লিপ্ততা নয়। অনেক সময় দু-এক জায়গায় হয়তো একটু দেরি হতে পারে। তবে এসব ঘটনায় আমরা সঙ্গে সঙ্গে অ্যাকশনে যাই।এর আগে, গত বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে মিটফোর্ড হাসপাতালের তিন নম্বর গেট-সংলগ্ন রজনী ঘোষ লেনে সোহাগকে কুপিয়ে এবং মাথায় বড় পাথর দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়। ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় নেটিজেনদের মাঝে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
অভিযানে গৌরবময় অবদান রাখায় প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের টাগ বোট ‘বিসিজিটি প্রমত্ত’ এবং এর সদস্যদের ‘প্রশংসাপত্র (Letters of Commendation)’ প্রদান করেছে আন্তর্জাতিক মেরিটাইম অর্গানাইজেশন (IMO)।শনিবার (১২ জুলাই) সকালে এক বিবৃতিতে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ এ তথ্য জানান।তিনি বলেন, গত ৫ অক্টোবর রাতের বেলায় চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের মালিকানাধীন ‘এমটি বাংলার সৌরভ’ নামক একটি তেলবাহী ট্যাংকারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিক ও কার্যকর অগ্নিনির্বাপণ এবং সামুদ্রিক পরিবেশগত বিপর্যয় প্রতিরোধে ‘বিসিজিটি প্রমত্ত’ সাহসিকতা ও দক্ষতার অনন্য উদাহরণ স্থাপন করে।এ ঘটনায় জাহাজটিতে প্রচণ্ড বিস্ফোরণ ও দাহ্য পদার্থের আগুন ছড়িয়ে পড়ে, যা সামুদ্রিক পরিবেশ ও প্রাণবৈচিত্র্যের জন্য গুরুতর হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। দুর্ঘটনার পরপরই বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড জরুরি উদ্ধার অভিযান শুরু করে, যেখানে বিসিজিটি প্রমত্ত ও এর দক্ষ সদস্যরা ঝুঁকি নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।উক্ত অভিযানে জাহাজের মোট ৪৮ জন ক্রু-কে উদ্ধার করা হয়। চরম বৈরী আবহাওয়া, প্রবল স্রোত ও অগ্নিকাণ্ডের মাঝেও তারা তেল ছড়িয়ে পড়া রোধে ব্যারিয়ার স্থাপন এবং বর্জ্য সংগ্রহ কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে গভীর সমুদ্রে দূষণ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।এই দৃষ্টান্তমূলক ও সাহসিকতাপূর্ণ অভিযানের জন্য IMO কর্তৃপক্ষ বিসিজিটি প্রমত্ত ও এর ক্রুদের “Letters of Commendation” প্রদান করে। তারা এ অভিযানে প্রদর্শিত পেশাদারিত্ব, পরিবেশ রক্ষায় সচেতনতা এবং আন্তর্জাতিক নৌনিরাপত্তা নীতিমালার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ-কে বিশেষভাবে মূল্যায়ন করেছে।বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথমবার IMO-এর পক্ষ থেকে পাওয়া এ স্বীকৃতি দেশের জন্য এক গর্বের মাইলফলক। এটি শুধু বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের দক্ষতা ও সাহসিকতার স্বীকৃতি নয়, বরং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের মর্যাদা বৃদ্ধির এক উজ্জ্বল প্রমাণ।লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ আরো জানান, “বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড সর্বদা দেশের সমুদ্রসীমায় নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, বিপদগ্রস্তদের উদ্ধার, পরিবেশ রক্ষা ও দূষণ প্রতিরোধে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। ভবিষ্যতেও বাহিনী আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী দায়িত্ব পালন ও দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে।”ভোরের আকাশ/জাআ