৬ মে দেশে ফিরছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া
যুক্তরাজ্যের লন্ডনে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার তারিখ একদিন পিছিয়েছে। পূর্বঘোষিত ৫ মে’র পরিবর্তে তিনি ৬ মে মঙ্গলবার দেশে ফিরবেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান। তিনি জানান, চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, বিএনপি মহাসচিবের নির্দেশে জানিয়েছেন যে, খালেদা জিয়া ৫ মে লন্ডন থেকে যাত্রা শুরু করে ৬ মে ঢাকায় পৌঁছাবেন।
জানা গেছে, কাতারের একটি বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তিনি লন্ডন ত্যাগ করবেন এবং পরদিন বাংলাদেশে পৌঁছাবেন।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে তিনি পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন। পরবর্তীতে করোনা মহামারির সময়ে সরকার তাকে বিশেষ বিবেচনায় মুক্তি দিলেও তিনি কার্যত গৃহবন্দি অবস্থায় ছিলেন।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের এক আদেশে খালেদা জিয়া মুক্তি পান। এরপর তিনি যে দুটি দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত ছিলেন, সেগুলোর রায় আদালত বাতিল করে।
চিকিৎসার জন্য চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি তাকে লন্ডনে নেওয়া হয়, যেখানে তিনি টানা ১৭ দিন একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা গ্রহণ করেন। পরে ২৫ জানুয়ারি তাকে তারেক রহমানের বাসভবনে স্থানান্তর করা হয়। দীর্ঘদিন পর এবারই প্রথম তিনি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করেন।
ভোরের আকাশ//র.ন
সংশ্লিষ্ট
বহুল আকাঙ্ক্ষিত ‘জাতীয় জুলাই সনদ, ২০২৫’ এর স্বাক্ষর অনুষ্ঠান আগামীকাল শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় এদিন বিকেল ৪টায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই আয়োজনে সশরীরে উপস্থিত থাকবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেইসঙ্গে এ আয়োজনে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে বেশ কয়েকজন উপদেষ্টা ও উচ্চপর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তার। জুলাই সনদ স্বাক্ষর ঘিরে ঐতিহাসিক এ আয়োজনকে কেন্দ্র করে এ সময় কোনোপ্রকার ড্রোন না ওড়ানোর জন্য নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এ তথ্য জানিয়েছে। প্রেস উইং বলছে, আগামীকাল (শুক্রবার) জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ সই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। সংসদ এলাকায় এ সময় কোনোপ্রকার ড্রোন ওড়ানোর বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। নির্দেশনা মেনে চলার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করা হলো।ভোরের আকাশ/এসএইচ
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশের খসড়া না দেখে সনদে স্বাক্ষর করবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। তরুণদের দিয়ে গড়া দলটির এমন সিদ্ধান্তকে ‘দুঃখজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) জাতীয় সংসদে স্থাপিত কমিশনের কার্যালয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমরা বুঝতে পারি, এটা তাদের একটি রাজনৈতিক অবস্থান। তবে এখনো আমরা আশাবাদী, সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে তারা (এনসিপি) সনদে স্বাক্ষর করবে।’এর আগে এনসিপির পক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জুলাই সনদের বিষয়ে তিনটি দাবি তুলে ধরেন আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। সেগুলো হলো—জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশের ‘টেক্সট’ এবং গণভোটের প্রশ্নটি চূড়ান্ত করে আগেই জনগণের কাছে প্রকাশ করতে হবে; জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশের খসড়া জনগণের সার্বভৌম অভিপ্রায়ের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস জারি করবেন; গণভোটের মাধ্যমে জনগণ যদি জুলাই সনদে রায় দেয়, তবে ‘নোট অব ডিসেন্ট’-এর কোনো কার্যকারিতা থাকবে না। গণভোটের রায় অনুযায়ী আগামী নির্বাচিত সংসদ তাদের ওপর প্রদত্ত সাংবিধানিক ক্ষমতাবলে সংবিধান সংস্কার করবে। সংস্কার সংবিধানের নাম হবে ‘বাংলাদেশ সংবিধান-২০২৬’।আলী রীয়াজ বলেন, ‘কমিশন আগেই বলেছে সনদ স্বাক্ষরের পর বাস্তবায়নের সুপারিশ যত দ্রুত সম্ভব সরকারকে দেবে। আমরা আশা করি, তারা সনদে স্বাক্ষর করবে।’জুলাই জাতীয় সনদের ৮৪টি প্রস্তাবের মধ্যে মাত্র একটিতে এনসিপির ‘নোট অব ডিসেন্ট’ রয়েছে। তাদের এই অবস্থানকে ইতিবাচক বলে মনে করে কমিশন। কারণ, দলটি চায় আগামী নির্বাচনে ১৫ শতাংশ আসনে নারীদের সরাসরি নির্বাচন, যেখানে কমিশনের প্রস্তাবে ৫ শতাংশ আসনে সরাসরি নির্বাচনের প্রস্তাব করা হয়েছে।আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমাদের প্রস্তাবে যেসব সংস্কারের কথা বলা হয়েছে, সেগুলো নিয়ে তাদের ভিন্নমত নেই। এটা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে তারা একটা রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে কাজ করবে।’ভোরের আকাশ/এসএইচ
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের (ইউএনও) জন্য নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শুরু হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের পাঠানো চিঠির প্রেক্ষিতে ইউএনওদের এই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য অনুমতি দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব নুসরাত আজমেরী হকের সই করা চিঠি নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিবের কাছে পাঠানো হয়।চিঠিতে জানানো হয়, আগামী ২০ অক্টোবর থেকে প্রশিক্ষণ শুরু করা হবে, যা চলবে আগামী ১১ নভেম্বর (সম্ভাব্য) পর্যন্ত। প্রশিক্ষণটি হবে ১২টি সেশনে দুই দিনব্যাপী। ২টি করে ব্যাচে মোট ৫০ জন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (প্রতি ব্যাচে ২৫ জন) অংশগ্রহণ করবেন।চিঠিতে সংযুক্ত তালিকা অনুযায়ী নির্ধারিত তারিখ ও সময়ে নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, ঢাকায় ব্যাচভিত্তিক প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের নির্দেশক্রমে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উপজেলা পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ এই কর্মকর্তারা নির্বাচন ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন দিক সম্পর্কে প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজেদের প্রস্তুত করতে পারবেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেছেন, এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় এবারের ফলাফল সবাইকে বিস্মিত করেছে। ফলাফল কেন খারাপ হলো তা পর্যালোচনা করে কারণ খুঁজে বের করা হবে।বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সচিবালয়ে এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, এবারের ফলাফল সবাইকে বিস্মিত করেছে। এতদিন ফলাফল ভালো দেখাতে গিয়ে শিক্ষার প্রকৃত সংকট আড়াল করা হয়েছে। এই ফলাফলের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় কোনোভাবেই দায়িত্ব এড়াতে পারে না। আমরা ফলাফলকে আত্মসমালোচনার সুযোগ হিসেবে দেখছি। ফলাফল কেন খারাপ হলো তা পর্যালোচনা করে খুঁজে বের করা হবে। শিক্ষার্থীদের মঙ্গলের জন্য এবার প্রাপ্য নম্বরই দেয়া হয়েছে।এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকার শিক্ষকদের শতাংশভিত্তিক বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছে। এছাড়া সাত কলেজের বিষয়ে সব পক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে আইনের খসড়া আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।এদিকে বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. খন্দোকার এহসানুল কবির জানিয়েছেন, এবারের এইচএসসির ফলাফলে বাস্তব চিত্র সামনে এসেছে। শিক্ষার্থীরা এখন পড়ার টেবিল থেকে দূরে সরে গেছে। বিষয়টি নিয়ে অভিভাবকদেরও ভাবতে হবে।তিনি জানান, চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষায় সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী ইংরেজি ও আইসিটি বিষয়ে ফেল করেছে। বোর্ডের হিসাব অনুযায়ী ইংরেজিতে পাসের হার নেমে এসেছে ৭৭ শতাংশ থেকে ৫৮ শতাংশে, যা গত ২ দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন।উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় একযোগে দেশের ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডসহ মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এ বছর এইচএসসিতে পাশের হার ৫৮ দশমিক ৮৩। এছাড়া জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৯৭ জন। যেখানে গত বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন শিক্ষার্থী। এই হিসাবে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৭৬ হাজার ৮১৪ জন।অন্যদিকে চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ৩৪৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছেন। যেখানে গত বছর এইচএসসিতে ১ হাজার ৩৮৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছিল। এছাড়া চলতি বছর ২০২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কেউ পাস করেনি। যেখানে গত বছর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ৬৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একজনও পাস করেনি।ভোরের আকাশ/তা.কা