সোমবার ১১ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়
গ্যাস পাইপলাইনের জরুরি স্থানান্তর কাজের জন্য আগামীকাল সোমবার (২ জুন) ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ জেলার বেশ কিছু এলাকায় ১১ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না।
রোববার (১ জুন) এক বার্তায় তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানায়।
তিতাস গ্যাস জানায়, সোমবার সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত টেংরা, বাহির টেংরা, হাজীনগর, আমতলা, বড়ভাঙ্গা, কোদালদোয়া, সানাড়পাড়, নিমাইকাশারি, নামা শ্যামপুর, জিয়া সরণি, জাপানি বাজার, তিতাস গ্যাস সড়ক, ছাপড়া মসজিদ, রূপসী বাংলা হাসপাতাল, শনির আখড়া, আরএস টাওয়ার সংলগ্ন এলাকা, গোবিন্দপুর, মাতুয়াইল, মৃধাবাড়ী এলাকার সব শ্রেণির গ্রাহকের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
ঈদের পর ট্রেনে ফিরতি যাত্রার টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। ঈদুল আজহার ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফেরা যাত্রীদের জন্য ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। মঙ্গলবার (৩ জুন) বিক্রি শুরু হয়েছে ১৩ জুন তারিখের আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট।রেলওয়ের নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী, আজ সকাল ৮টা থেকে পাওয়া যাবে পশ্চিমাঞ্চলগামী ট্রেনের টিকিট এবং দুপুর ২টা থেকে বিক্রি শুরু হবে পূর্বাঞ্চলগামী ট্রেনের টিকিটের। যাত্রীসেবায় স্বচ্ছতা ও সহজলভ্যতা নিশ্চিত করতে এবারও শতভাগ আসন অনলাইনে ছাড়া হচ্ছে।রেল কর্তৃপক্ষ জানায়, ঈদের পর সাত দিনের ফিরতি ট্রেন যাত্রার জন্য বিশেষভাবে অগ্রিম টিকিটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ৯ জুনের টিকিট ছাড়া হয়েছে ৩০ মে, ১০ জুনের ৩১ মে, ১১ জুনের ১ জুন, এবং ১২ জুনের টিকিট ছাড়া হয়েছে ২ জুন। এরপরের টিকিট—১৪ জুনেরটি বিক্রি হবে ৪ জুন এবং ১৫ জুনের জন্য ৫ জুন পাওয়া যাবে।এই বিশেষ ব্যবস্থার আওতায় নেওয়া টিকিট ফেরত দেওয়া যাবে না। একজন যাত্রী একবারে সর্বোচ্চ চারটি টিকিট কিনতে পারবেন, এবং একাধিক আসনের টিকিট কেনার ক্ষেত্রে সহযাত্রীদের নাম দিতে হবে।ভোরের আকাশ/আজাসা
অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন এবং চেয়ারম্যানের অপসারণসহ ৭ দফা দাবিতে মহাসমাবেশ করছেন আন্দোলনরত পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সোমবার সকাল থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জাড়ো হচ্ছেন দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।সরেজমিন শহীদ মিনার এলাকায় দেখা যায়, কয়েক হাজার কর্মী সমাবেশস্থলে জড়ো হয়েছেন। এসময় তারা ‘ন্যায্য দাবি মেনে নাও, নিতে হবে’, ‘চেয়ারম্যানের পদত্যাগ চাই’,‘চাকরি মোদের স্থায়ী চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।আন্দোলনরত পল্লী বিদ্যুতের কর্মীরা বলছেন, দাবি আদায়ে সোমবার ১৩তম দিনের মতো শহীদ মিনারে তারা অবস্থান করছেন। সরকার তাদের সঙ্গে কোনো রকম আলোচনা না করায় তারা আজ মহাসমাবেশ করছেন। আজকের সমাবেশে ১৩টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।এর আগে গত রোববার কর্মসূচির ঘোষণা দেন পল্লী বিদ্যুৎ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম। তিনি বলেছিলেন, সরকার দাবি মেনে না নেওয়ায় সোমবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। মহাসমাবেশে শুধু বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রগুলো চালু রেখে সব কর্মকর্তা কর্মচারী শহীদ মিনারে হাজির হবেন।তাদের উত্থাপিত ৭ দফা দাবিগুলো হলো-১. পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মীদের ফ্যাসিবাদী কায়দায় দমন-পীড়নের মাধ্যমে কর্মপরিবেশ অস্থিতিশীলকারী, অত্যাচারী আরইবি চেয়ারম্যানের অপসারণ।২. ‘এক ও অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়নের মাধ্যমে আরইবি-পবিস একীভূতকরণ’ অথবা দেশের অন্যান্য বিতরণ সংস্থার মতো পুনর্গঠন।৩. মিটার রিডার কাম মেসেঞ্জার, লাইন শ্রমিক এবং পোষ্য কর্মীদের চাকরি নিয়মিতকরণ।৪. মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারপূর্বক চাকরিচ্যুতদের স্বপদে পুনর্বহাল।৫. গ্রাহক সেবার স্বার্থে লাইনক্রুসহ সব হয়রানি ও শাস্তিমূলক বদলি আদেশ বাতিল এবং বরখাস্ত ও সংযুক্ত কর্মীদের অবিলম্বে পদায়ন।৬. জরুরি সেবায় নিয়োজিত কর্মীদের আন্তর্জাতিক নিয়মানুযায়ী নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা/শিফটিং ডিউটি বাস্তবায়নের জন্য অতিদ্রুত জনবলের ঘাটতি পূরণ করতে হবে।৭. পূর্ণাঙ্গ সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন বোর্ড গঠন করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ও পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড একীভূত করে অভিন্ন সার্ভিস কোড বাস্তবায়ন এবং অনিয়মিতদের নিয়মিতকরণসহ দুই দফা দাবিতে ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে আন্দোলনে নামেন সারাদেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৪৫ হাজার কর্মকর্তা কর্মচারী।ভোরের আকাশ/এসএইচ
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হতাহত ও তাদের পরিবারের জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে ৪০৫ কোটি ২০ লাখ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। সোমবার (২ জুন) বিকালে জাতির উদ্দেশে দেওয়া বাজেট বক্তৃতায় এ তথ্য তুলে ধরেন তিনি।অর্থ উপদেষ্টা বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাস ও স্মৃতি সংরক্ষণ, গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবার এবং আহত ছাত্র-জনতার পুনর্বাসনসহ গণঅভ্যুত্থানের আদর্শ ও চেতনা রাষ্ট্রীয় ও জাতীয় জীবনে সুপ্রতিষ্ঠিত করার উদ্দেশ্যে ইতোমধ্যে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। গণভবনকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’ হিসেবে প্রতিষ্ঠার কাজও চলমান। শিগগিরই জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ‘শহীদদের’ পরিবার এবং আহতদের ভাতা দেওয়ার নীতিমালা করা হবে। এছাড়া তাদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।উপদেষ্টা বলেন, আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ‘শহীদদের’ পরিবার ও আহতদের জন্য ৪০৫ কোটি ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করছি। সামাজিক নিরাপত্তা খাতের ব্যাপ্তি এবং গুরুত্ব বিবেচনায় আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ১ লাখ ১৬ হাজার ৭৩১ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব তুলে ধরে অর্থ উপদেষ্টা আরও বলেন, এক্ষেত্রে পেনশন ব্যতীত সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বরাদ্দের পরিমাণ দাঁড়াবে ৯১ হাজার ২৯৭ কোটি টাকা।এদিন বিকাল ৩টায় রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যমে এ বাজেট উপস্থাপন করেন সালেহউদ্দিন আহমেদ। অন্যান্য সংবাদমাধ্যমেও তা প্রচার হয়। এবার বাজেটের আকার ৭ লাখ ৮৯ হাজার ৯৯৯ কোটি টাকা।এর আগে, সকালে উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভায় অনুমোদন পায় ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট। জুলাই অভ্যুত্থানে বদলে যাওয়া বাংলাদেশের ভিন্ন বাস্তবতায় এবার সংসদের বাইরে বাজেট উপস্থাপন করা হয় ভিন্ন আঙ্গিকে। বাজেট প্রস্তাব পাস হবে ৩০ জুন; ১ জুলাই শুরু হবে নতুন অর্থবছর। সবশেষ সংসদের বাইরে বাজেট দেওয়া হয় ২০০৮ সালে। তখন ক্ষমতায় ছিল সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার।ভোরের আকাশ/এসএইচ
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মিটিং শুরু হয়েছে। মিটিংয়ে প্রধান উপদেষ্টা তার বক্তব্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রথম পর্বের বৈঠকের সমাপ্তি ঘোষণা করেছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, খুব দ্রুতই জুলাই চার্টার গৃহীত হবে।সোমবার (২ জুন) বিকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির সামনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন প্রেস সচিব। তখন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক চলছিল।শফিকুল আলম বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যে প্রধান উপদেষ্টা ৪ মিনিটের একটি বক্তব্য দিয়েছেন। প্রথম পর্বের বৈঠকের সমাপ্তি ঘোষণা করেছেন এবং দ্বিতীয় পর্বের বৈঠকের উদ্বোধন ঘোষণা করেছেন। সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন যে সবাই পার্টিসিপেট করেছেন। বাংলাদেশের মানুষের জন্য দেশের জন্য এটা ইম্পরট্যান্ট একটা ইভেন্ট। যে সব পলিটিক্যাল পার্টি এই ডায়ালগে যুক্ত হয়েছেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে প্রতিশ্রুতি আমরা জুলাই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে পেয়েছি। সেই মোতাবেক সবাই কাজ করছেন এজন্য প্রধান উপদেষ্টা সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।তিনি বলেন, বৈঠকে রাজনৈতিক দলের যারা আছেন সবাই কথা বলবেন। ২৮টি রাজনৈতিক দলের সবাই অলমোস্ট এসেছেন।তিনি আরও বলেন, যেসব জায়গায় রাজনৈতিক দলগুলো দ্বিমত পোষণ করছেন সে সব ইন্টেনসিভ জায়গাগুলো নিয়ে এখন আলোচনা হবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ