সংগৃহীত ছবি
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও এনসিপিসহ চারটি রাজনৈতিক দল।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ চার দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
দলগুলো জানায়, সবাই আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে বলেছি যে, আমরা অবশ্যই সরকারের পাশে অতীতেও ছিলাম, এখনো আছি, সামনেও ইনশাআল্লাহ এই সরকারের পাশে থাকব।
বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী; জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ; জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেন এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন ও যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান অংশ নিয়েছেন।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব (চুক্তিভিত্তিক) সিদ্দিক জুবায়েরকে প্রত্যাহার করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।বুধবার (২৩ জুলাই) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, তাকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সংযুক্ত করা হয়েছে।এর আগে মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্তে তাকে প্রত্যাহার করা হয় বলে জানিয়েছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।এরপর আজ বুধবার দুপুরে শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার সাংবাদিকদের জানান, সরকারের ঊর্ধ্বতন কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিবকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।মাইলস্টোন কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় অভিযোগ রয়েছে, শিক্ষা সচিব সিদ্দিক জোবায়ের পরীক্ষা স্থগিতের পক্ষে ছিলেন না। যদিও দাবির মুখে সেদিনই মধ্যরাতের পর পরীক্ষা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।ভোরের আকাশ/জাআ
বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) চেয়ারম্যানের ছবি ও ভুয়া মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে একটি প্রতারক চক্র বিভিন্ন ব্যক্তিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।সম্প্রতি এক বিজ্ঞপ্তিতে বেবিচকের জনসংযোগ বিভাগ জানায়, প্রতারক চক্রটি চেয়ারম্যানের নাম, ছবি এবং ভুয়া নম্বর ব্যবহার করে বিভিন্নজনের সঙ্গে যোগাযোগ করছে এবং প্রতারণামূলক তৎপরতায় জড়াচ্ছে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষ অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে।বেবিচক বলছে, ‘সবার উদ্দেশ্যে জানানো যাচ্ছে যে, এ ধরনের ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর যোগাযোগ থেকে সতর্ক থাকুন এবং প্রতারণার শিকার হবেন না।যদি কেউ এমন কোনো ফোন কল বা বার্তা পান, তা হলে তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে জানান।’সকলকে বিভ্রান্তি থেকে বিরত থাকার এবং প্রতারণার শিকার না হওয়ার জন্য আন্তরিকভাবে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।ভোরের আকাশ/জাআ
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য নীতিমালা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এতে বলা হয়েছে, ভোটের দিন সাংবাদিকেরা যাতায়াতে মোটরসাইকেল ব্যবহারের অনুমোদন পাবেন। তারা সরাসরি ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন। তবে কোনোভাবেই গোপনকক্ষের ছবি তুলতে পারবেন না।বুধবার নির্বাচন কমিশনার (ইসি) সচিব আখতার আহমেদের সই করা ‘নির্বাচনী সংবাদ সংগ্রহে সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য নীতিমালা, ২০২৫’ জারি করা হয়।নীতিমালা অনুযায়ী, ভোটকক্ষ থেকে সাংবাদিকদের সরাসরি সম্প্রচার ও গোপনকক্ষের ভেতরে ছবি তোলায় মানা রয়েছে। নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে আবেদনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের সাংবাদিক পাস কার্ড, গাড়ি ও মোটরসাইকেলের স্টিকার দেবে ইসি সচিবালয় ও রিটার্নিং কর্মকর্তা।সংসদ ও স্থানীয় নির্বাচনের জন্য এ নীতিমালা অনুযায়ী অনুমোদিত প্রিন্ট, টেলিভিশন, অনলাইন নিউজ পোর্টাল, আইপিটিভি, ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক, আন্তর্জাতিক সংস্থা, বিদেশি সাংবাদিকদের কার্ড ও গাড়ির স্টিকার দেওয়া হবে।ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এ নীতিমালা জারি করা হলেও স্থানীয় সরকারের জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন, পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনেও একই নীতিমালা প্রযোজ্য হবে।কী করা যাবে, কী করা যাবে না—ভোটের সময় বৈধ কার্ডধারী সাংবাদিক সরাসরি ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন।পরে প্রিজাইডিং অফিসারকে অবহিত করে তথ্য, ছবি ও ভিডিও নেবেন।গোপনকক্ষের ছবি তোলায় বারণ।একসঙ্গে দুটির বেশি প্রতিষ্ঠানের কর্মী ভোটকক্ষে যাবেন না।১০ মিনিটের বেশি থাকতে পারবেন না।ভোটকক্ষে সাক্ষাৎকার নেওয়া যাবে না।ভোটকক্ষের ভেতর থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা যাবে না।ভোটকেন্দ্রে সরাসরি সম্প্রচার করতে হলে ভোটকক্ষ থেকে নিরাপদ দূরত্বে করতে হবে।ভোট গণনার সময় থাকতে পারবে, ছবি তোলা যাবে; কিন্তু সরাসরি সম্প্রচার করা যাবে না।ভোটকক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা যাবে না।ভোরের আকাশ/জাআ
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, বড় বড় দুর্যোগ নিয়ে রিপোর্ট করা এমন একজন হিসেবে আমি বলে দিতে পারি যে, বাংলাদেশে হতাহতের সংখ্যা গোপন করা কার্যত অসম্ভব।বুধবার (২৩ জুলাই) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে একথা জানান তিনি।পোস্টে প্রেস সচিব আরও উল্লেখ করেন, ২০০২ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে অসংখ্য বড় বড় দুর্যোগ নিয়ে রিপোর্ট করা এমন একজন হিসেবে আমি বলে দিতে পারি যে, বাংলাদেশে হতাহতের সংখ্যা গোপন করা কার্যত অসম্ভব। প্রাথমিকভাবে, পরিবারগুলো তাদের প্রিয়জনদের নিখোঁজ হিসেবে রিপোর্ট করে, তবে হাসপাতাল এবং কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তথ্য পাওয়া গেলে তারা সাধারণত তাদের আত্মীয়দের শনাক্ত করতে পারে। এক্ষেত্রে মাইলস্টোন কলেজ প্রতিদিনের উপস্থিতির রেকর্ড ক্রস-রেফারেন্স করে হিসাব বহির্ভূতদের শনাক্ত করতে পারে।পোস্টে তিনি জানান, গতকাল স্কুল পরিদর্শনের সময় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে দুজন উপদেষ্টা স্কুল ক্যাম্পাসে একটি কন্ট্রোল রুম স্থাপনের নির্দেশ দেন। এই সুবিধাটি আহত এবং মৃতদের সংখ্যা সম্পর্কে নিয়মিত আপডেট সরবরাহ করবে, স্কুলের রেজিস্ট্রারের সঙ্গে পরিসংখ্যান মিলাবে। গুরুত্বপূর্ণভাবে, উপদেষ্টারা কন্ট্রোল রুমের কার্যক্রমে বর্তমান শিক্ষার্থী এবং প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করেছিলেন। আমরা আশা করছি আজ এটি পুরোপুরি কার্যকর হবে।তিনি আরও জানান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ও বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণকারীদের অবস্থা সম্পর্কে নিয়মিত আপডেট সরবরাহ করছে এবং সেনাবাহিনী এই প্রচেষ্টায় অবদান রাখছে। আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে পারি যে হতাহতের পরিসংখ্যানকে খাটো করে দেখার কোনও কারণ সরকারের নেই।তিনি উল্লেখ করেন, গতকাল আমরা ৯ ঘণ্টা স্কুলে ছিলাম। যদিও আমরা আরও আগে চলে আসতে পারতাম, উপদেষ্টারা শক্তি প্রয়োগ ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে পরিস্থিতি সমাধানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলেন। তারা যতদিন প্রয়োজন ততদিন থাকার জন্য প্রস্তুত ছিল এবং যখন উপযুক্ত সময় হতো তখনই আমরা রওনা হতাম। প্রাণ হারানো শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের জন্য আমাদের সমবেদনা। এটি একটি জাতীয় ট্র্যাজেডি এবং তারা সবাই শহীদ। আসুন, আমরা ভবিষ্যতের ট্র্যাজেডি রোধে আমাদের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করতে একসঙ্গে কাজ করি। সরকার জাতীয় নিরাপত্তা উন্নত করতে এবং বিমান সম্পর্কিত বিপর্যয় রোধ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।ভোরের আকাশ/জাআ