বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক রাখলেন ট্রাম্প
তিন মাস ধরে আলোচনার পর বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক নির্ধারণ করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।সোমবার (৭ জুলাই) নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এ ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।এছাড়া বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পণ্য প্রবেশের ক্ষেত্রে ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যা আগামী ১ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে।এর আগে, গত ২ এপ্রিল বিভিন্ন দেশের ওপর উচ্চ হারে পারস্পরিক বা পাল্টা শুল্ক (রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ) আরোপ করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সে সময় বাংলাদেশ পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল।এর আগে, দেশটিতে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর গড়ে ১৫ শতাংশ করে শুল্ক ছিল।ভোরের আকাশ/এসএইচ
০৮ জুলাই ২০২৫ ০৫:০৫ পিএম
গাজায় ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে রাজি ইসরায়েল: ট্রাম্প
ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ৬০ দিনের অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনীয় শর্তে রাজি হয়েছে দখলদার ইসরাইল। এই অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি চলাকালীন সব পক্ষের সঙ্গে কাজ করে স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।বুধবার (২ জুলাই) ভোরে এ তথ্য জানান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, প্রস্তাবিত ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির সময়ে, যুদ্ধের অবসান ঘটাতে সব পক্ষের সাথে কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র। গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় কঠোর পরিশ্রম করা কাতার ও মিশরীয় কর্মকর্তারা চূড়ান্ত প্রস্তাবটি উত্থাপন করবে বলেও জানান ট্রাম্প।গাজার পরিস্থিতি কেবল খারাপই হতে থাকবে উল্লেখ করে হামাস চুক্তিটিতে রাজি হবে বলে আশা প্রকাশ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।এর আগে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজায় হামলা বন্ধ করতে চান বলে জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা করে গাজার স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। এতে ১২০০ জনের প্রাণহানি হয়। ওইদিন থেকেই গাজায় ব্যাপক হামলা চালাতে শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে প্রাণহানি ৫৬ হাজার ছাড়িয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের কাছে ৫১০ মিলিয়ন ডলারের গাইডেড বোমা কিট ও সংশ্লিষ্ট সহায়তার বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে। এই অস্ত্র সরবরাহ ইসরায়েলের বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ হুমকি মোকাবিলায় সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর সোমবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।ডিফেন্স সিকিউরিটি কো-অপারেশন এজেন্সি (ডিএসসিএ) জানিয়েছে, ইসরায়েল ৩ হাজার ৮৪৫টি কেএমইউ-৫৫৮বি/বি জয়েন্ট ডাইরেক্ট অ্যাটাক মিনিশন (জেডিএএম) গাইডেন্স কিট পাবে, যা বিএলইউ-১০৯ বোমায় ব্যবহার হয়। এর পাশাপাশি ৩ হাজার ২৮০টি কেএমইউ-৫৭২ এফ/বি জেডিএএম কিটও ইসরায়েলের হাতে থাকবে, যা এমকে-৮২ বোমায় ব্যবহৃত হবে। এছাড়াও থাকবে প্রকৌশল, সরবরাহ ও প্রযুক্তিগত সহায়তা।মার্কিন কর্তৃপক্ষ বলেছে, “এই বিক্রয় প্রস্তাব ইসরায়েলকে তাদের সীমান্ত, গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো এবং জনবসতি রক্ষায় আরও কার্যকর করতে সাহায্য করবে।”তবে এই অনুমোদন আসে এমন এক সময় যখন ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় হামলা অব্যাহত রেখেছে। গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এপর্যন্ত ইসরায়েলের হামলায় ৫৬ হাজার ৫০০ এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু।শুধু সোমবার দিনেই ইসরায়েলি বিমান ও কামান হামলায় কমপক্ষে ৯৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও অনেকে। এই হামলার লক্ষ্য ছিল বাস্তুচ্যুতদের আশ্রয়স্থলসহ জনবহুল এলাকা।গাজার এই ভয়াবহ পরিস্থিতির মাঝেও মার্কিন সামরিক সহায়তা অব্যাহত রাখায় যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সমালোচনা তীব্র হচ্ছে। অনেক সমালোচক এই পদক্ষেপকে যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নৈতিক সংশ্লিষ্টতার সমতুল্য বলছেন।২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়ু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গাজায় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। একই সঙ্গে গাজার গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) একটি মামলা চলছে।ভোরের আকাশ//হ.র
০১ জুলাই ২০২৫ ১১:২৭ পিএম
টিকটকের জন্য ‘অত্যন্ত ধনী ক্রেতা’ খুঁজে পেয়েছেন ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, তিনি টিকটক বিক্রির জন্য ‘অত্যন্ত ধনী’ এক ক্রেতার সন্ধান পেয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।রোববার (৩০ জুন) ফক্স নিউজে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, “আমাদের কাছে টিকটকের জন্য একজন সম্ভাব্য ক্রেতা রয়েছে, তবে বিক্রি করতে হলে চীনের অনুমতি প্রয়োজন হবে। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং হয়তো সেই অনুমতি দেবেন।” তিনি আরও জানান, এই ক্রেতারা মূলত ধনী ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত একটি দল, তবে কোনো বড় প্রযুক্তি কোম্পানির নাম উল্লেখ করেননি।টিকটকের মার্কিন শাখার সম্ভাব্য বিক্রির পেছনে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উদ্বেগ, যা যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ২০২৪ সালে দ্বিদলীয় সমর্থনে একটি আইন পাস করার মাধ্যমে জোরালো করেছে। আইন অনুযায়ী, যদি চীনা প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্স টিকটকের মার্কিন অংশ বিক্রি না করে, তবে পুরো অ্যাপটি যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ করা হবে।মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে এই আইন বৈধ ঘোষণা করে। এরপর ট্রাম্প ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা আরও ৯০ দিন বাড়ান। বর্তমানে টিকটক যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ১৭ কোটি ব্যবহারকারীর সেবা প্রদান করছে।সূত্র: বার্তাসংস্থা আনাদোলুভোরের আকাশ//হ.র
০১ জুলাই ২০২৫ ০২:০৫ এএম
গাজায় যুদ্ধবিরতির চুক্তির আহ্বান ট্রাম্পের
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ২০ মাস ধরে চলমান সংঘাত বন্ধে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রোববার (২৯ জুন) সকালে নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ দেওয়া এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, “গাজায় চুক্তি করুন। জিম্মিদের ফিরিয়ে আনুন।”বিশ্লেষকদের ধারণা, ট্রাম্প এই বার্তার মাধ্যমে সরাসরি ইসরায়েল সরকারকে যুদ্ধ বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। পোস্টে তিনি স্পষ্টত বোঝাতে চেয়েছেন যে, গাজায় এখন একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি জরুরি।এর আগে এক জিম্মির মা অভিযোগ করেছিলেন, যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর অনড় অবস্থানের কারণেই এখনো চুক্তি সম্পন্ন হচ্ছে না।বার্তাসংস্থা এপি জানিয়েছে, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে একটি চুক্তি প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এমন একটি সময়ে ট্রাম্পের এই প্রকাশ্য আহ্বানকে গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।এপি’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইসরায়েলি এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর যুক্তরাষ্ট্র সফরের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। সফরের আলোচ্যসূচি প্রকাশ না করা হলেও ধারণা করা হচ্ছে, সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়েই আলোচনা হবে।এর আগে গত শুক্রবার ট্রাম্প মন্তব্য করেছিলেন, “হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে আগামী সপ্তাহের মধ্যেই একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হতে পারে।” এরপর থেকেই সম্ভাব্য সমঝোতার বিষয়ে আলোচনা আরও জোরদার হয়েছে।ভোরের আকাশ//হ.র
৩০ জুন ২০২৫ ০৪:২১ এএম
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ইঙ্গিত দিলেন ট্রাম্পের ছেলে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় ছেলে এরিক ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, হোয়াইট হাউসে তার বাবার দ্বিতীয় মেয়াদ শেষ হলে তিনি বা ট্রাম্প পরিবারের অন্য কোনো সদস্য প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন।ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান-এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। মূলত ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে এরিক ট্রাম্প তার ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক পরিকল্পনা নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন।যেখানে এরিক ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন যে- হোয়াইট হাউসে তার বাবার দ্বিতীয় মেয়াদ শেষ হলে তিনি অথবা ট্রাম্প পরিবারের অন্য কেউ রাষ্ট্রপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন।ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের সহ-নির্বাহী সহ-সভাপতি এরিক বলেছেন, যদি তিনি তার বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করার সিদ্ধান্ত নেন তবে হোয়াইট হাউসে যাওয়ার পথ সহজ হবে।এরিক ট্রাম্প বলেন, আমি যদি আমার বাবার পথ অনুসরণ করতে চাই, তাহলে হোয়াইট হাউসে যাওয়ার পথ আমার জন্য খুব কঠিন হবে না। তবে বড় প্রশ্ন হলো—আমি কি সত্যিই এই পথে হাঁটতে চাই? আমার সন্তানদেরও কি আমি একই রকম কঠিন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে দিতে চাই, যা আমি গত দশকে পেরিয়েছি? যদি এর উত্তর হয় “হ্যাঁ”, তাহলে রাজনীতিতে প্রবেশ আমার জন্য সহজ হবে।তিনি আরও বলেন, আমি জানি, শুধু আমি না আমাদের পরিবারের অন্য সদস্যরাও এই পথ বেছে নিতে পারেন।উল্লেখ্য, ট্রাম্প পরিবারের আরও দুই সদস্য-ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র এবং ইভাঙ্কা ট্রাম্প ইতোমধ্যে রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন। তবে এতদিন পারিবারিক ব্যবসা পরিচালনায় মনোযোগী ছিলেন এরিক। যদিও তার সাম্প্রতিক বক্তব্য থেকে স্পষ্ট—রাজনীতি থেকে তিনি পুরোপুরি দূরে ছিলেন না।ভোরের আকাশ/এসএইচ
২৯ জুন ২০২৫ ১১:৩১ এএম
ট্রাম্প প্রশাসন ইরানের পরমাণু খাতে বিশাল বিনিয়োগের পরিকল্পনায়
যুক্তরাষ্ট্র ইরানের বেসামরিক ও শান্তিপূর্ণ পরমাণু শক্তি প্রকল্পে বড় ধরনের বিনিয়োগ করতে চায়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন প্রশাসন ২ হাজার থেকে ৩ হাজার কোটি ডলারের বিনিয়োগের প্রস্তাব নিয়ে ইরানের সঙ্গে গোপন আলোচনা চালাচ্ছে।মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এর বৃহস্পতিবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি জুনের শুরু থেকে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যের মিত্র ও অংশীদারদের মধ্যে এই আলোচনা শুরু হয়। বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, ইসরায়েল-ইরান সংঘাতের আগেই এ আলোচনা গোপনে শুরু হয়েছিল।একাধিক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র চায় ইরান তার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি স্থায়ীভাবে বন্ধ করুক। অন্যদিকে তেহরান এটিকে নিজেদের ‘রেডলাইন’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। তবে ওয়াশিংটন তাদের লক্ষ্য থেকে সরে আসেনি এবং সমঝোতার জন্য বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে।যুক্তরাষ্ট্র এই বিনিয়োগের একটি অংশ সরবরাহ করবে, বাকিটা আসবে মধ্যপ্রাচ্যের মিত্র ও অংশীদারদের কাছ থেকে। ট্রাম্প প্রশাসন ইরানের বিদেশের বিভিন্ন ব্যাংকে জমা থাকা ৬০০ কোটি ডলারের ফ্রিজড হিসাবও খোলার প্রস্তাব দিয়েছে। পাশাপাশি ইরানের তেল রপ্তানির ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা শিথিলের ইঙ্গিতও দেওয়া হয়েছে।তবে এখনও নিশ্চিত নয় ইরান এই প্রস্তাবে সম্মত হয়ে চুক্তিতে আসবে কি না। একটি মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, “আমরা প্রস্তাব দিয়েছি, তেহরান এখনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি। আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাব।”উল্লেখ্য, গত মে থেকে ইরানের সঙ্গে ওয়াশিংটনের পরমাণু সংক্রান্ত সংলাপ চলছিল। কিন্তু ১২ জুন ইসরায়েল তেহরানসহ বিভিন্ন শহরে বিমান হামলা চালায়, যার জবাবে ইরান একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। ২৩ জুন মার্কিন বিমান বাহিনী ইরানের তিনটি পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালায়। এরপর ট্রাম্প যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেন।সূত্র: আরটি, সিএনএনভোরের আকাশ//হ.র
২৯ জুন ২০২৫ ০২:৪০ এএম
কানাডার সঙ্গে সব আলোচনা স্থগিত, ট্রাম্পের কঠোর বার্তা
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হঠাৎ করেই কানাডার সঙ্গে চলমান বাণিজ্য আলোচনা স্থগিত ঘোষণা করেছেন। শুক্রবার (স্থানীয় সময়) দেওয়া এক বিবৃতিতে ট্রাম্প কানাডার প্রযুক্তি সংস্থাগুলোর ওপর কর আরোপকে ‘প্রকাশ্য আক্রমণ’ আখ্যা দিয়ে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।এই পদক্ষেপে হঠাৎ করেই ফের উত্তেজনা দেখা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা সম্পর্কে। এর মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে—জুনের মাঝামাঝি জি৭ সম্মেলনে দুই দেশের মধ্যে কিছুটা স্থিতিশীলতা ফিরে এসেছিল। সেখানে ট্রাম্প এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি আগামী ৩০ দিনের মধ্যে একটি নতুন অর্থনৈতিক চুক্তিতে পৌঁছাতে সম্মত হয়েছিলেন।তবে সেই আলোচনা আর এগোচ্ছে না। ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে স্পষ্টভাবে লিখেছেন— “আমরা তাৎক্ষণিকভাবে কানাডার সঙ্গে বাণিজ্যসংক্রান্ত সব আলোচনা স্থগিত করব।”তিনি আরও জানান, আগামী সপ্তাহে কানাডার বিরুদ্ধে নতুন করে শুল্ক আরোপের ঘোষণাও আসতে পারে।মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট শুক্রবার দুপুরে এক বক্তব্যে আশাবাদ জানিয়ে বলেছিলেন, গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সরবরাহসহ চীনের সঙ্গে বেশ কিছু শুল্ক আলোচনায় অগ্রগতি হয়েছে। কিন্তু এর কিছু ঘণ্টার মধ্যেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঘোষণা বাজারে অনিশ্চয়তা তৈরি করে।ট্রাম্প দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় ফেরার পর থেকে আমদানি শুল্ক আরোপের কারণে একাধিকবার বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব সিদ্ধান্ত ক্রমেই মার্কিন অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি—ভোক্তা ব্যয়ে প্রভাব ফেলছে।বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের এই হঠাৎ সিদ্ধান্ত শুধু যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা সম্পর্কেই নয়, বরং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কাঠামোয়ও নতুন করে টানাপোড়েন তৈরি করতে পারে। কানাডার প্রতিক্রিয়া এখনো জানা না গেলেও, বিষয়টি ঘিরে দুই দেশের মধ্যে উত্তাপ বাড়তে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।সূত্র: এবিসি নিউজভোরের আকাশ//হ.র
২৯ জুন ২০২৫ ০২:১৫ এএম
পিতার পথেই ছেলে! প্রেসিডেন্ট পদে লড়ার ইঙ্গিত এরিক ট্রাম্পের
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় ছেলে এরিক ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, তার বাবার দ্বিতীয় মেয়াদ শেষে ট্রাম্প পরিবারের কেউ হোয়াইট হাউসের দৌড়ে নামতে পারেন। ফিনান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন সম্ভাবনার কথা জানান তিনি।৪১ বছর বয়সী এরিক বলেন, “যদি আমি বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করার সিদ্ধান্ত নিই, তবে হোয়াইট হাউসের পথ তুলনামূলকভাবে সহজ হবে।” তবে সঙ্গে যোগ করেন, “আসল প্রশ্ন হলো—আপনি কি চান আপনার প্রিয়জনরাও সেই অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে যাক, যেটা আমি গত এক দশকে পার করেছি? যদি উত্তর হয় হ্যাঁ, তাহলে আমি এটা করতে পারব এবং আমার বিশ্বাস, আমাদের পরিবারের অন্য সদস্যরাও পারবে।”উল্লেখ্য, ডোনাল্ড ট্রাম্পের বড় ছেলে ডোনাল্ড জুনিয়র ও মেয়ে ইভাঙ্কা রাজনীতিতে সক্রিয় থাকলেও এরিক ট্রাম্প এখনো প্রকাশ্যে কোনো রাজনৈতিক পদে অংশগ্রহণ করেননি। বরং ২০১৭ সালে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে পারিবারিক ব্যবসা পরিচালনায়ই মনোযোগী ছিলেন তিনি।তবে সাম্প্রতিক বক্তব্যে বোঝা যাচ্ছে, তিনি রাজনীতি থেকে পুরোপুরি দূরে ছিলেন না। এদিকে আগামীতে রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে জেডি ভ্যান্স ও মার্কো রুবিওর মতো নেতাদেরও সম্ভাব্য নাম হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।২০২৪ সালের নির্বাচন ট্রাম্প পরিবারের শেষ ব্যালট কি না, এমন প্রশ্নে এরিক বলেন, “আমি জানি না... সময়ই বলবে। তবে শুধু আমিই না, আরও অনেকে আছেন।”রাজনীতিতে ট্রাম্প পরিবারের আর্থিক লাভ নিয়ে প্রশ্ন উঠলে এরিক ট্রাম্প তা সরাসরি অস্বীকার করে বলেন, “যদি এমন কোনো পরিবার থাকে যারা রাজনীতি থেকে লাভবান হয়নি, তবে তা হলো ট্রাম্প পরিবার।”ভোরের আকাশ//হ.র
২৯ জুন ২০২৫ ০১:৪১ এএম
খামেনির প্রাণ বাঁচিয়েছি, ধন্যবাদ লাগবে না: ট্রাম্পের দাবি
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে ‘একটি ভয়াবহ ও অপমানজনক মৃত্যু’ থেকে বাঁচানোর দাবি করেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে এজন্য খামেনির কাছ থেকে ধন্যবাদ চান না বলেও জানিয়েছেন তিনি।শুক্রবার (২৭ জুন) ট্রুথ সোশ্যাল নামের নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, “আমি জানতাম তিনি (খামেনি) কোথায় লুকিয়ে ছিলেন। আমি ইসরায়েল বা যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্র বাহিনীকে তার জীবন শেষ করতে দেইনি।”তিনি আরও লেখেন, “আমি তাকে একটি ভয়ানক ও লজ্জাজনক মৃত্যু থেকে রক্ষা করেছি। আর এজন্য আমাকে ধন্যবাদ জানাতে হবে না!”এর আগের দিন বৃহস্পতিবার ইরানি টেলিভিশনে প্রচারিত এক ভাষণে খামেনি বলেছিলেন, “আমরা আমেরিকার মুখে একটি কঠিন চপেটাঘাত দিয়েছি।” এই মন্তব্যের পরপরই ট্রাম্পের পাল্টা প্রতিক্রিয়া সামনে আসে।এদিকে শনিবার (২৮ জুন) তেহরানের রাজপথে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হন ইসরায়েলি হামলায় নিহত ইরানি সেনা কর্মকর্তা ও পরমাণু বিজ্ঞানীদের জানাজায়। নিহতদের মধ্যে অন্তত ১৬ জন বিজ্ঞানী এবং ১০ জন ছিলেন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা।ইসরায়েলি হামলার প্রথম দিনেই প্রাণ হারান আইআরজিসি'র মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি, পরমাণু বিজ্ঞানী মোহাম্মদ মেহদি তেহরানচি এবং আইআরজিসির প্রভাবশালী কমান্ডার হোসেইন সালামি।জানাজায় অংশ নেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান, কুদস ফোর্সের প্রধান এসমাইল কানি এবং খামেনির উপদেষ্টা আলী শামখানি। উল্লেখযোগ্যভাবে, যুদ্ধে আহত হওয়ার পর এই প্রথমবার প্রকাশ্যে এসেছেন শামখানি। তাকে লাঠিতে ভর দিয়ে হাঁটতে দেখা যায়।ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চলমান সংঘাতে এখন পর্যন্ত ইরানে অন্তত ৬১০ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ১৩ জন শিশু ও ৪৯ জন নারী রয়েছেন। আহত হয়েছেন ৪ হাজার ৭০০ জনের বেশি মানুষ।অন্যদিকে, ইসরায়েলের হিসাব অনুযায়ী, এ সংঘাতে দেশটিতে ২৮ জন নিহত এবং ৩ হাজার ৩৪৩ জন আহত হয়েছেন।ভোরের আকাশ//হ.র
২৯ জুন ২০২৫ ০১:২৬ এএম
যুক্তরাষ্ট্র-ইরান বৈঠক আগামী সপ্তাহে, যুদ্ধ শেষ বলে ঘোষণা ট্রাম্পের
পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে আলোচনার জন্য আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার নেদারল্যান্ডসের হেগে ন্যাটো সম্মেলনের ফাঁকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই ঘোষণা দেন।ট্রাম্প বলেন, সাম্প্রতিক ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধের কারণে যে সংলাপ প্রক্রিয়া থমকে গিয়েছিল, সেটি আবার শুরু হতে যাচ্ছে। তিনি বলেন, “আমি তোমাদের একটা কথা বলি, আমরা আগামী সপ্তাহে ইরানের সঙ্গে কথা বলতে যাচ্ছি। আমরা হয়তো একটি চুক্তিও করতে পারি—তবে আমি জানি না।”যদিও তিনি ইরানের সঙ্গে আবার আলোচনা শুরু করতে আগ্রহী নন বলেও মন্তব্য করেন। তার দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি কার্যত ধ্বংস হয়েছে।ট্রাম্প বলেন, “আমার দৃষ্টিতে তারা যুদ্ধে লড়েছে, এবং যুদ্ধ শেষ হয়েছে।”সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের হামলার আগে ইরান পারমাণবিক সামগ্রী সরিয়ে নেওয়ার পর্যাপ্ত সময় পায়নি। তিনি বলেন, “এসব জিনিস খুবই ভারী, সরানো সহজ নয়।”সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেন, ট্রাম্প শান্তির পক্ষে অবস্থান নিচ্ছেন এবং যারা শান্তি চায়, তাদের সঙ্গে আলোচনার দরজা খোলা রাখতে চান।রুবিও জানান, আলোচনা শুরু হবে কি না, তা নির্ভর করবে ইরানের অংশগ্রহণের ইচ্ছার ওপর।অন্যদিকে ট্রাম্প বলেন, “আমি মনে করি না এটা খুব প্রয়োজনীয়। তারা একটি যুদ্ধে ছিল, তারা লড়েছে, এখন তারা নিজেদের পথে ফিরে গেছে। কোনও সমঝোতা হলো কি না, সেটা আমি খুব একটা পরোয়া করি না। আমরা শুধু তাদের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছি।”সূত্র: বিবিসি, আল জাজিরা।ভোরের আকাশ//হ.র