আশরাফুল ইসলাম সুমন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২২ জুন ২০২৫ ০১:২২ এএম
বিজয়নগরে গলাকাটা যুবকের পরিচয় মিলেছে, গ্রেপ্তার ৩
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে সিমনা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়কের পাশে কুড়িল বিলের পাড়ে গলাকাটা অবস্থায় উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাত যুবকের পরিচয় মিলেছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে বিজয়নগর থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—তৌহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া (৩১), ছামির খান (২৫) এবং সিয়াম ভূঁইয়া (১৬)। তারা সবাই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার আড়াইসিধা ইউনিয়নের দগরিসা গ্রামের বাসিন্দা।
নিহত মজিবুর রহমান (৩৫) ময়মনসিংহ জেলার ঘুষটা কাউরাপাড়া গ্রামের মৃত বিল্লাল হোসেনের ছেলে। তিনি বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার চর চারতলা গ্রামের আলাউদ্দিন সরকারের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন এবং পেশায় সিএনজি চালক ছিলেন। তাঁর স্ত্রী ও দুটি সন্তান রয়েছে।
পুলিশ জানায়, গত ২০ জুন সকালে বিজয়নগর উপজেলার টানমনিপুর এলাকার গোদারা ঘাটের রাস্তার নিচে কুড়িল বিলপাড়ে এক ব্যক্তির গলাকাটা মরদেহ পড়ে থাকার খবর পায় পুলিশ। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহের সুরতহাল শেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
পরিচয় শনাক্তে পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা নেয় এবং নিহতের নাম-পরিচয় নিশ্চিত হয়। এরপরই পুলিশ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে তদন্তে নামে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের মিডিয়া সেল শনিবার (২১ জুন) রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, আশুগঞ্জ থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে কোড্ডা এলাকা থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা সুইচ গিয়ার (চাকু), রক্তমাখা কাপড়, ভিকটিমের মোবাইল এবং লুন্ঠিত সিএনজি উদ্ধার করা হয়।
নিহত মজিবুর রহমানের স্ত্রী বাদী হয়ে শনিবার বিজয়নগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর গ্রেপ্তার তিন আসামিকে আদালতে হাজির করা হলে একজন আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, সিএনজি ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদুল ইসলাম জানান, “ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।”
ভোরের আকাশ//হ.র