মধ্যরাতে গ্রেপ্তার ‘সন্ত্রাসী’ সাজ্জাদের ভাই-ভাগ্নে
চট্টগ্রামের ‘সন্ত্রাসী’ আলী আকবর প্রকাশ ‘ঢাকাইয়া আকবর’কে গুলি করে খুনের মামলায় বিদেশে পালিয়ে থাকা ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ সাজ্জাদ আলী প্রকাশ বড় সাজ্জাদের ভাই ও ভাগনেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সোমবার (২৭ মে) রাত ১২ টার দিকে নগরের পাঁচলাইশ এলাকার ‘দি কিং অব চিটাগং’ কমিউনিটি সেন্টার থেকে পুলিশ ও র্যাবের অভিযানে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- ওসমান আলী সেগুন ও মো. আলভীন। তাদের মধ্যে ওসমান আলী বিদেশ পলাতক ও চট্টগ্রামের এইট মার্ডার মামলার আসামি সাজ্জাদ আলী ওরফে বড় সাজ্জাদের ভাই। আলভীন তাদের ভাগিনা।
র্যাব ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওসমান আলীকে গ্রেপ্তার করে পতেঙ্গা থানা-পুলিশ। মো. আলভিনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৭।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম ও র্যাব-৭ চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) এ আর এম মোজাফফর হোসেন।
গত শুক্রবার (২৪ মে) রাত সাড়ে আটটার দিকে পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত এলাকায় বসে একজন নারী এবং অন্য চারজন ছেলেসহ মোট ৬ জন ২৮ নম্বর দোকানে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন। । এসময় হঠাৎ ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল এসে এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকে আকবরকে লক্ষ্য করে। গুলিতে আকবর মাটিতে লুটিয়ে পড়লে অস্ত্রধারীরা পালিয়ে যায়। পরে গুলিবিদ্ধ আকবরকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। রোববার (২৫ মে) সকাল ৮টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় আকবরের স্ত্রী রূপালী বেগম বাদী হয়ে ১১ জনের বিরুদ্ধে পতেঙ্গা থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার এজাহারে ওসমান আলী ও আলভিনের নাম রয়েছে। বাকি ৯ আসামি হলেন- মোবারক হোসেন ইমন (২২), রায়হান (৩৫), খোরশেদ (৪৫), মোহাম্মদ (৩৫), বোরহান (২৭), মো. হজরত আলী (৩৫), মো. হেলাল (২৯), মো. মইনুদ্দিন ওরফে শাহাবুদ্দিন সাবু (৩৩) ও জয়নাল আবেদীন রনি (৩০)। এছাড়া মামলায় ২ থেকে ৩ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
ভোরের আকাশ/আজাসা
সংশ্লিষ্ট
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় চিকিৎসার নামে প্রতারণার অভিযোগে গোলাপ নামে এক ভুয়া চিকিৎসককে ১৪ দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই মামলায় তার বাবা লুৎফর রহমানকে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রাখা এবং বৈধ কাগজপত্র না থাকার দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।বুধবার (২ জুলাই) দুপুরে উপজেলার দরগ্রাম বাজার এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করেন সাটুরিয়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তানভীর আহমদ। অভিযানে সহায়তা করে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও জেলা ওষুধ প্রশাসন।জানা গেছে, গোলাপ ও তার বাবা লুৎফর রহমান কোনো ধরনের চিকিৎসা বিষয়ক ডিগ্রি না থাকলেও নিজেদের নামের আগে ‘ডাক্তার’ লিখে বহুদিন ধরে রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন। পাশাপাশি, তারা নিজেরাই প্রেসক্রিপশন লিখে ওষুধ বিক্রি করতেন।স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রশাসন অভিযান চালায়। অভিযানকালে তাদের দোকানে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ পাওয়া যায় এবং কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়। গোলাপকে ১৪ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয় এবং লুৎফর রহমানকে অর্থদণ্ড করা হয়।অভিযানে উপস্থিত ছিলেন মানিকগঞ্জ জেলা ওষুধ প্রশাসনের সহকারী পরিচালক সুলতানা রিফাত ফেরদৌস, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. মনিরুজ্জামানসহ স্বাস্থ্য বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তারা।স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, “গোলাপ ও তার বাবা দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষকে ভুল চিকিৎসা দিয়ে প্রতারণা করছিলেন। অনেক রোগীর অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। প্রশাসনের এমন উদ্যোগ প্রশংসনীয়। নিয়মিত এমন অভিযান চালানো প্রয়োজন।”উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অনিয়ম ও প্রতারণার অভিযোগে ভবিষ্যতেও এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।ভোরের আকাশ/জাআ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিজয়নগর থানা ও ডিবি পুলিশের যৌথ অভিযানে প্রায় আড়াই কোটি টাকা মূল্যের ভারতীয় অবৈধ মোবাইলের ডিসপ্লে এবং মাইক্রোবাস উদ্ধারসহ ১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।বুধবার (২ জুলাই) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশ সুপার এহতেশামুল হক এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে ১১ হাজার ৬০০ পিস ভারতীয় মোবাইল ফোন ডিসপ্লেসহ রাসেল মিয়া (২৯) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।আটক রাসেল কসবা উপজেলার কল্যাণ সাগর এলাকার বাসিন্দা। সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা গোয়েন্দা ও বিজয়নগর থানা পুলিশ চান্দুরা ইউনিয়নের সাতগাঁও এলাকায় একটি মাইক্রোবাস থামিয়ে তল্লাশি চালায়। এ সময় মাইক্রোবাসটি থেকে ৩৭টি বক্সে রাখা ১১ হাজার ৬০০ পিস ভারতীয় মোবাইল ফোন ডিসপ্লে জব্দ করা হয়। জব্দকৃত এসব পণ্যের বাজারমূল্য আনুমানিক দুই কোটি ৩২ লাখ টাকা। এ ছাড়া পাচারকাজে ব্যবহৃত হওয়ার অভিযোগে NOAH মাইক্রো, যার রেজিঃ নং- ঢাকা মেট্রো-চ-১৯-৩০১৯ বিধি মোতাবেক জব্দ করা হয়।প্রসঙ্গত, পিসি/পিআর যাচাই করে আসামীর বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া থানার মামলা নং-১, জিআর- ২৬২/১৯, ধারা-৩৬ (১) সারণির ১০ (ক) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইন ২০১৮ এর এজাহারে অভিযুক্ত মর্মে তথ্য পাওয়া যায়। গ্রেফতারকৃতের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও ঘটনায় জড়িত অন্যানাদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত থাকার কথা জানানো হয়।ভোরের আকাশ/জাআ
২০২৪-২৫ অর্থবছরে যশোরের বেনাপোল কাস্টমস হাউসে ৬,৭০৫ কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয়েছে ৭,০২১.৫১ কোটি টাকা। যা লক্ষমাত্রার চেয়ে ৩১৬ কোটি ৫১ লাখ টাকা বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে। নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪.৭২ শতাংশ বেশি।কাস্টমস সূত্র জানায়, আগের অর্থবছর ২০২৩-২৪ সালে বেনাপোল কাস্টমস হাউসে ৫,৯৪৮ কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত থাকলেও আদায় হয়েছিল ৬,১৬৭.৩৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ, সে বছরও ২১৯ কোটি ৮ লাখ টাকার অতিরিক্ত রাজস্ব আদায় হয়েছিল।রাজস্ব বেড়ে যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতা, রাজস্ব বোর্ডের কলম বিরতি ও শাটডাউনের মধ্যেও বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কর্মকর্তারা দফতরে উপস্থিত থেকে রাজস্ব আদায়ের তদারকি চালিয়ে গেছেন। তবে ব্যবসায়ীদের আরেকটি পক্ষ বলছে আরো বেশি রাজস্ব আহরনের কথা থাকলেও শুল্কফাঁকি দিয়ে আমদানি যোগ্যপণ্য পাচার বাড়ায় তা সম্ভব হয়নি।বাণিজ্যিক সংশিষ্টরা জানান, ভারত-বাংলাদেশ স্থলবাণিজ্যের প্রায় ৮০ শতাংশই বেনাপোল বন্দর দিয়ে সম্পন্ন হয়। এই বন্দরের মাধ্যমে বছরে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার পণ্য আমদানি হয় এবং সরকার সরাসরি ও পরোক্ষভাবে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব পেয়ে থাকে।চলতি অর্থবছরে (২০২৪-২৫) বেনাপোল বন্দর দিয়ে ১৫,৩৪,৩৪০.২১ মেট্রিক টন পণ্য আমদানি হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় কিছুটা কম হলেও রাজস্ব আদায় বেড়েছে। কাস্টমস কর্মকর্তাদের কঠোর নজরদারি, সঠিক শুল্কায়ন ও রাজস্ব ফাঁকি রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের ফলেই এই সাফল্য এসেছে বলে জানিয়েছেন কাস্টমস কমিশনার মো. কামরুজ্জামান।তিনি আরও বলেন, চলতি অর্থবছরে আমদানি পরিমাণে প্রায় ৮ শতাংশ হ্রাস পেলেও রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৩.৫১ শতাংশ। এটা বেনাপোল কাস্টমস হাউসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন।সাধারণ ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, আমদানিযোগ্য পণ্য শুর্কফাঁকি দিয়ে ল্যাগেজ ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে পাচার হচ্ছে। বৈধ আমদানি পণ্যের সাথেও দূনীতিবাজ ব্যবসায়ীরা মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে শুল্কফাঁকি দিচ্ছে। এসব অনিয়ম বন্ধ করতে পারলে লক্ষমাত্রার দ্বিগুণ রাজস্ব আদায় করা সম্ভব হবে।বেনাপোল আমদানি, রফতানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক জানান, পদ্মা সেতু পণ্য পরিবহন সহজ করে দেওয়ায় আমদানি সহজ করেছে। এছাড়া বৈশ্বিক মন্দার মধ্যেও বেশি শুল্ক আহরণ হয় এমন পণ্য আমদানি বেনাপোল বন্দর দিয়ে বেড়েছে। সঠিকভাবে শুল্ক আদায় স্বচ্ছতা বাড়ায় রাজস্ব আয় বেড়েছে। বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সামসুর রহমান জানান, প্রতিদিন গড়ে ৫০০-৬০০ ট্রাক পণ্য আমদানি এবং ১৫০-২০০ ট্রাক পণ্য রপ্তানি হচ্ছে বেনাপোল বন্দর দিয়ে। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ রাজস্ব ফাঁকি রোধে কঠোর অবস্থানে থাকায় অতিরিক্ত রাজস্ব আদায় সম্ভব হয়েছে।বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কমিশনার মো. কামরুজ্জামান গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, পূর্ববর্তী ২০২৩-২৪ ও ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশী রাজস্ব আদায় সম্ভব হয়েছে। বেনাপোল কাস্টম হাউসে সার্বিক আমদানির পরিমাণ ৮ শতাংশ কম হলেও রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধির হার বেড়েছে ১৩ দশমিক ৫১ শতাংশ ১৪ শতাংশ। এটি হাউজের উল্লেখযোগ্য অর্জন। এছাড়া রাজস্ব ফাঁকি রোধে এ বন্দরে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করায় শুল্ক ফাকির প্রবণতা কমে গেছে। কোনো অনিয়ম ধরা পড়লে রাজস্ব আদায়সহ কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।বেনাপোল বন্দরের পরিচালক শামিম হোসেন জানান, বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে, যা ভবিষ্যতে কার্যক্রম আরও গতিশীল এবং রাজস্ব আয় বাড়াতে ভুমিকা রাখবে।ভোরের আকাশ/জাআ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় স্ত্রীর দেওয়া অভিযোগে মাদকাসক্ত স্বামীকে ১ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।বুধবার (২ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পৌর এলাকার মসজিদ পাড়ায় উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফয়সল উদ্দিন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।দন্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি হলেন- মসজিদপাড়ার ইলিয়াস মিয়ার ছেলে মো. এরশাদ (৩৫)। মাদক সেবন করে তিনি স্ত্রীকে অত্যাচারের পাশাপাশি এলাকার শান্তি বিনষ্ট করতেন।নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: ফয়সল উদ্দিন জানান, এরশাদ মাদকাসক্ত। এ বিষয়ে তার স্ত্রীর কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়া যায়। এলাকায় গিয়ে জানা যায়, সে মাদক সেবন করে এলাকার শান্তি বিনষ্ট করছিলো। তাকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ এর ৩৬ (৫) ধারায় ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ২ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।ভোরের আকাশ/জাআ