কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৮ মে ২০২৫ ১০:২০ এএম
রামু ও উখিয়ায় করাতকল উচ্ছেদ, সরকারি জমি উদ্ধার
কক্সবাজারের উখিয়া ও রামু উপজেলা প্রশাসন ও বনবিভাগের তিনদিনব্যাপী বিভিন্নস্থানে যৌথ অভিযান চালিয়ে ১০টি অবৈধ করাতকল উচ্ছেদ,বালি ভর্তি ডাম্পার জব্দ ও সরকারি খাস জমি উদ্ধার করে সাইনবোর্ড টাঙানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ১৫-মে থেকে ১৭ মে শনিবার পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালিত হয়।
উখিয়া উপজেলা প্রশাসন ও বন বিভাগ উখিয়া রেঞ্জের থাইংখালী বাজার সংলগ্ন ১ টি, পালংখালী বাজার সংলগ্ন ১টি মোছার খোলা বিটের হোয়াইকং ব্রিজ সংলগ্ন ১ টি, পালংখালী বাজার সংলগ্ন ১ টি মোট ৪ টি করাত-কল উচ্ছেদ করা হয়েছে। তাছাড়াও ভালুকিয়া বিটের রত্নাপালং এলাকায় আদালত এর একটি রায়কে অবজ্ঞা করে চালিয়ে আসা একটি করাত-কলকে বন বিভাগের নোটিশের যথাযথ উত্তর না দেয়ার কারণে মিলটি খুলে ফেলা হয়েছে।
উখিয়াতে অভিযানে অংশগ্রহণ করেন, সহকারী কমিশনার ( ভূমি) যারীন তাসনিম তাসিন, উখিয়া রেঞ্জের সহকারী বন রক্ষক ও রেঞ্জার শাহিনুল ইসলাম, বিভিন্ন বিটের কর্মকর্তাগণ, উখিয়া পুলিশের একটি দল ও বনকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে রামু উপজেলা প্রশাসন ও বনবিভাগের যৌথ উদ্দ্যোগে বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত অবৈধ করাত কলের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়। রামু উপজেলার রাজারকূল বিটের আওতাধীন শিকল ঘাটা নামক স্থানে অভিযান চালিয়ে তিনটি অবৈধ করাতকল জব্দ ও উচ্ছেদ করা হয়,উমখালীতে একটি বালিভর্তি ডাম্পার জব্দ করেন এবং দক্ষিণ মিটাছড়ির কাটিরমাথা এলাকায় সরকারী খাস জমিতে নির্মিত স্থাপনা উচ্ছেদ করে জমি অবমুক্ত করে সাইনবোর্ড টাঙানো হয়েছে।
অভিযানে অংশগ্রহণ করেন রামু উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) সাজ্জাদ জাহিদ রাতুল, সহকারী বন সংরক্ষক ও রেঞ্জ কর্মকর্তা রাজারকুল রেঞ্জকর্মকর্তা মো. অভিউজ্জামান .পানেরছড়া রেঞ্জকর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম. বিট কর্মকর্তা মোঃ ইসরাইল হোসেন কুমার সাহা, আপার রেজু বিট কর্মকর্তা আমজাদ হোসেন পানের ছড়া বিট কর্মকরতা মোস্তফা বিদ্যুৎ সহ রাজারকুল রেঞ্জের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
প্রশাসন ও বনবিভাগের এ অভিযান কে স্বাগত জানিয়ে পরিবেশ যোদ্ধা কক্সবাজার ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা)র সভাপতি ফজলুল কাদের চৌধুরী বলেন, এমনিতে উখিয়ায় রোহিঙ্গাদের বসবাসের স্থান ও বিভিন্ন এনজিও সংস্থার অফিস, লজিস্টিক সাপোর্টের জন্য হাজার হাজার বনভুমি উজাড় করতে হয়েছে।
তাছাড়া কক্সবাজার দক্ষিণ বনভুমিতে বনদস্যুদের অত্যাচারে কোনভাবেই বনভুমি, পাহাড়, বালিমহল সংরক্ষণ করা যাচ্ছিল না। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের হস্তক্ষেপে সাঁড়াশি অভিযানকে স্বাগত জানাই। এরুপ অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে।
রামু উখিয়ার দুই সহকারী কমিশনার ভূমি) সহকারী বনসংরক্ষক ও রেঞ্জ কর্মকর্তা রাজারকুল ও উখিয়া সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, অবৈধ করাতকল, পাহাড় খেকো ও বনভুমি খেকোদের বিরুদ্ধে চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে। আজকের অভিযানে অবৈধ করাতকলের সাথে যারা জড়িত রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
শুধুতাই নয়, এভাবে অবৈধ করাতকল, পাহাড় ও বনভুমি ধ্বংসকারীসহ অবৈধ বালি মহলের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করা হবে। সবাইকে তাদের এই অভিযানকে সহযোগিতা করার আহবান জানান।
ভোরের আকাশ/আজাসা