ছবি: সংগৃহীত
কক্সবাজারের চকরিয়ায় পুলিশের কাছ থেকে আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় থানার এক উপপরিদর্শককে (এসআই) প্রত্যাহার করা হয়েছে। সোমবার (৭ জুলাই) তাঁকে কক্সবাজার জেলা পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, রোববার রাতে পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালিয়ে আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় এসআই সঞ্জীব পাল বাদী হয়ে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও চার পাঁচজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করেন। এ ঘটনায় তাঁকেই প্রত্যাহার করা হয়েছে।
থানা পুলিশ জানায়, রোববার রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার মালুমঘাট বাজার এলাকা থেকে একটি মামলার আসামি সাজ্জাদ হোসেনকে (২৫) গ্রেপ্তার করেন এসআই সঞ্জীব পাল। সাজ্জাদ উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের দক্ষিণ পাহাড় এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারের পর সাজ্জাদকে থানার সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তোলার সময় তাঁর স্বজনেরা অতর্কিতে পুলিশের ওপর হামলা চালান। এ সময় তাঁরা সাজ্জাদকে ছিনিয়ে নেন।
ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়া এবং পুলিশের ওপর হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। তবে সোমবার রাত ১০টা পর্যন্ত কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
প্রত্যাহার হওয়া এসআই সঞ্জীব পাল বলেন, সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার করে অটোরিকশায় তোলার সময় হঠাৎ তাঁর স্বজনেরা হামলা চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নেয়। ঘটনার পর আমাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
গাজীপুরের 'কাপাসিয়া উপজেলা সদরে অবস্থিত কাপাসিয়া রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে' শিক্ষার মানোন্নয়নে বর্ণাঢ্য আয়োজনে 'মা সমাবেশ' অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১২ জুলাই) সকালে বিদ্যালয় মিলনায়তনে শিক্ষার্থীদের বিপুল সংখ্যক মায়ের শতস্ফুর্ত উপস্থিতিতে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি রীমা ভূঁইয়ার ভার্চুয়ালি সভাপতিত্বে উদ্বোধন করেন প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক মনিরা ভুঁইয়া। প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক লাকি আক্তারের পরিচালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কাপাসিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির উপদেষ্টা এফ এম কামাল হোসেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত এবং গীতা পাঠ করা হয়। পরে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শিক্ষক মন্ডলী সমবেত শিক্ষার্থীদের 'মা'দের ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।মা সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসাবে দিকনির্দেশনা মূলক বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক মোঃ মাসুদ সরকার। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অভিভাবক প্রতিনিধি ও দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ পত্রিকার সাংবাদিক মো. আকরাম হোসেন রিপন, প্রতিষ্ঠানের উপাধ্যক্ষ এস এম শাহাদুল্লাহ শুভ্র, সিনিয়র শিক্ষক হাবিবুল হাসান শাকিল, মারুফ খান প্রমুখ।প্রধান অতিথি এফ এম কামাল হোসেন মা সমাবেশে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মান উন্নয়ন, বিদ্যালয়ে শিশুদের উপস্থিতির হার বৃদ্ধি, এবং অভিভাবকদের সচেতনতা বৃদ্ধি, শিক্ষকগণ মায়েদের সাথে সন্তানের শিক্ষা, আচরণ এবং ভবিষ্যৎ জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোকপাত করেন। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া, যা মায়েদের সাথে বিদ্যালয়ের সম্পর্ক সুদৃঢ় করবে এবং শিক্ষার্থীদের একটি উন্নত ভবিষ্যৎ গড়তে সহায়তা করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।মা সমাবেশে শিক্ষকের বক্তব্যে শিক্ষকগণ মায়েদের বোঝান যে, বিদ্যালয়ে তাদের সন্তানদের নিয়মিত উপস্থিতি কতখানি জরুরি। নিয়মিত ক্লাসে না আসলে, শিশুরা পিছিয়ে পড়তে পারে এবং তাদের শিক্ষার মান কমে যেতে পারে। শিক্ষকরা মায়েদের তাদের সন্তানের বিদ্যালয়ে এবং বাড়ির আচরণ সম্পর্কে অবগত করেন। তারা মায়েদের বলেন, সন্তানের ভালো আচরণ, বিদ্যালয়ে মনোযোগ এবং পড়াশোনায় আগ্রহ বাড়াতে তারা কি করতে পারেন। শিক্ষকরা মায়েদের তাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ লক্ষ্য নির্ধারণে উৎসাহিত করেন। তারা বিভিন্ন পেশা এবং শিক্ষার সুযোগ সম্পর্কে তথ্য দেন, যা তাদের সন্তানদের ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতি নিতে সাহায্য করবে।শিক্ষকরা মায়েদের মনে করিয়ে দেন যে, তারা তাদের সন্তানদের জীবনে প্রথম শিক্ষক এবং তাদের সন্তানের ভবিষ্যৎ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মা সমাবেশ একটি সেতু বন্ধন তৈরি করে, যেখানে শিক্ষক এবং অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে একসাথে কাজ করতে পারেন।প্রধান আলোচক প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মোঃ মাসুদ সরকার তার বক্তব্যে মায়েদের সন্তানকে বই পড়তে উৎসাহিত করা, ঘরের কাজে তাদের সহায়তা করা, খেলাধুলা এবং অন্যান্য সৃজনশীল কাজে তাদের উৎসাহিত করতে পারেন। মায়েরা তাদের ভালো বন্ধু হতে এবং তাদের সমস্যা সমাধানে সহায়তা করতে পারেন। 'মা সমাবেশ' একটি ফলপ্রসূ প্রক্রিয়া, যা বিদ্যালয়ে শিশুদের শিক্ষার মান উন্নত করতে এবং তাদের একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়তে সহায়তা করে।শিক্ষা বিষয়ক ওয়েবসাইট অনুযায়ী, মায়েদের সাথে শিক্ষকের এই ধরনের আলোচনা শিশুদের মানসিক এবং সামাজিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সর্বোপরি মায়েরা তাদের সন্তানদের নীতি নৈতিকতা ও আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারেন।প্রতিষ্ঠানে প্রথমবারের মতো ২০২৫-২৬ শিক্ষা বর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির ব্যাপারে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের জন্য প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে 'অভিভাবক ও মা'দের প্রতি আহ্বান জানান।ভোরের আকাশ/এসএইচ
কুড়িগ্রামের সদর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী যাত্রাপুর নৌকা ঘাটে অতিরিক্ত অর্থ আদায় বন্ধের দাবীতে এলাকাবাসীদের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।শনিবার (১২ জুলাই) দুপুরে সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের যাত্রাপুর নৌকা ঘাটে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে চরের শত শত মানুষ অংশ নেন।মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, যাত্রাপুর হাটের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নজরুল আর্মি, যাত্রাপুর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান রহিমুদ্দিন হায়দার রিপন, ইউপি সদস্য আবু রায়হান, আব্দুস সালাম সহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।বক্তারা বলেন, চরের লাখো মানুষ এই যাত্রাপুর হাটে শনিবার ও মঙ্গলবার হাট করতে আসেন। এসব মানুষদের কাছ থেকে ঘাটে নির্ধারিত খাজনার চেয়েও অতিরিক্ত খাজনা আদায় করছে ঘাট ইজারাদার।এছাড়াও চরাঞ্চলের মানুষ কৃষি পন্য হাটে বিক্রি করতে আসলে খাজনা হিসেবে অতিরিক্ত টাকা গুনতে হয়। ফলে চরাঞ্চলের মানুষ অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পরছে। অতিরিক্ত অর্থ আদায় বন্ধে প্রসাশনের দৃষ্টি কামনা করেন চরের বাসিন্দারা।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে রাসেল (১৬) নামে এক বাংলাদেশি কিশোর নিহত হয়েছে।শনিবার (১২ জুলাই) ভোর রাতে উপজেলার মিনাপুর সীমান্তে ৩৫৩ মেইন পিলারের তিনুয়া মাদারী সীমান্তের কাছে ভারতের অভ্যন্তরে এই ঘটনা ঘটে। আসকর আলী রাসেল ৫ নং হরিপুর ইউনিয়নের হরিপুর সদর উপজেলার রাজবাড়ী এলাকার নিয়াজ উদ্দিনের ছেলে।বিজিবি ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রাসেলের কয়েকজন বন্ধু মিলে কাজের সন্ধানে অবৈধভাবে ভারতের পাঞ্জাবের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। শনিবার ভোর আনুমানিক ৩টা ৩০ মিনিটে মিনাপুর সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া কেটে ভিতরে প্রবেশ করলে ভারতের কিষাণগঞ্জ ব্যাটেলিয়ানের সদস্যরা তাদেরকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে এতে রাসেল গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যায়। রাসেলের মরদেহ ২০০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে পড়েছিল। পরে বিএসএফ তার মরদেহ নিয়ে যায়।বাংলাদেশ (বিজিবি) দিনাজপুর ৪২ ব্যাটেলিয়ানের অধিনায়ক লে.কর্ণেল আব্দুল্লাহ আল মঈন হাসানকে মুঠোফোনে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান, তারা ঘটনাটি সম্পর্কে অবগত আছেন। বিএসএফের সাথে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বাংলাদেশে লাশ ফেরত আনার প্রক্রিয়া চলমান।ভোরের আকাশ/এসএইচ
বাগেরহাটে টানা ভারী বর্ষণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় প্লাবিত হয়েছে ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিস্তীর্ণ ফসলি জমি ও মাছের ঘের। বিশেষ করে মৎস্য চাষে খ্যাত এই অঞ্চলে তলিয়ে গেছে ৯ শতাধিক মৎস্য ঘেরেরও বেশি। এতে অর্ধকোটি টাকার মাছ ভেসে গিয়ে চাষিরা মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছেন।মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এবারের বৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গলদা চিংড়ি উৎপাদনের অন্যতম এলাকা জেলার মোংলা, রামপাল, বাগেরহাট সদর ও মোরেলগঞ্জ এর সাথে ফকিরহাট, চিতলমারী ও মোল্লাহাট উপজেলার চাষিদের ক্ষতির পরিমাণও কম নয়। চাষিদের দাবি কয়েকশ কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে এই পানিতে।ফকিরহাট উপজেলার ফলতিতা এলাকার সবুজ রায় বলেন, বৃষ্টির পানিতে ঘের ডুবে একাকার হয়ে গেছে। ঘেরের পারের উপর হাঁটু পানি। নেট, কচুরিপানা ও ঘাষ দিয়ে মাছ ভেসে যাওয়া ঠেকানোর চেষ্টা করেছি, কিন্তু কতদূর আছে জানি না।চিতলমারীর সালাম নামের আরেক চাষি বলেন, এখন আসলে মাছ ধরার সময় আমাদের। কিন্তু হঠাৎ দুর্যোগ আমাদের পথে বসিয়ে গেল। আমার ৩টি ঘেরের প্রায় ১০ লাখ টাকার মাছ ভেসে গেছে। ঘেরের পাড়ের সবজি গাছও মরে যাবে পানি টানার সাথে সাথে।স্থানীয় মৎস্য চাষিরা জানান, হঠাৎ করেই পানি বাড়তে শুরু করে। মাত্র এক রাতেই ঘেরগুলো ডুবে যায়। মাছ বের করে নেওয়ার কোনো সুযোগই পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় অনেকেই নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন।মোরেলগঞ্জ উপজেলার চাষি রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি ৭ বিঘা জমিতে রুই, কাতলা, পাঙাস ও তেলাপিয়া মাছের চাষ করেছিলাম। কয়েক দিনের মধ্যে বিক্রি করার কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ পানি বেড়ে সব ভেসে গেছে। প্রায় ৭ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।বাগেরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. মো. আবুল কালাম আজদ বলেন, বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে ৯০০টির বেশি ঘের পানির নিচে চলে গেছে। ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৪৫ লাখ টাকা।ভোরের আকাশ/এসএইচ