জামালপুরে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস পালিত
দুগ্ধের অপার শক্তিতে মেতে উঠে একসাথে এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জামালপুরে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (১ জুন) সকালে জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের আয়োজনে জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক হাছিনা বেগম।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোঃ সানোয়ার হোসেনের সভাপতিতে অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন টেবিল সার্জন ডাক্তার আজিজুল হক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইয়াহিয়া আল মামুন, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ জাকিয়া সুলতানা, অতিরিক্ত জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার রোকনুজ্জামান, জামালপুর জেলা প্রেসক্লাব সভাপতি ফজলে এলাহী মাকাম সহ আরো অনেকে।
এ সময় বক্তারা গরুর দুধের উপকারিতা সম্পর্কে সকলকে সচেতন করে দুগ্ধ উৎপাদন সম্পর্কে খামারিদের উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি গরু পালনে বিশেষ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নিজেদের অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে করার আহ্বান জানান।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
রাজবাড়ীতে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের বিশেষ অভিযানে একটি দেশীয় তৈরি ওয়ান শুটার গান ও দুই রাউন্ড তাজা কার্তুজসহ সুমি খাতুন (২৫) নামের এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে।রবিবার (২ জুন) রাত পৌনে ৮টার দিকে জেলা গোয়েন্দা শাখার একটি দল সদর উপজেলার ভবানীপুর লালমিয়া সড়কে অভিযান চালায়। এ সময় তারা পলাতক আসামি আনোয়ার হোসেনের বাড়ির ভেতরে থাকা সুমি খাতুনকে আটক করে।গ্রেপ্তারকৃত সুমি খাতুন ভবানীপুর এলাকার মির আ. রাজ্জাকের মেয়ে। তার নিজ ঘর থেকে উদ্ধার করা হয় একটি দেশীয় তৈরি ওয়ান শুটার গান ও দুটি তাজা কার্তুজ।এ বিষয়ে জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মফিজুল ইসলাম বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা অভিযান পরিচালনা করি। পলাতক আসামি আনোয়ার হোসেনের বাড়ি থেকে সুমি খাতুনকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে তার বিরুদ্ধে অস্ত্র রাখার সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া গেছে। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, পলাতক আসামি আনোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে এবং এই ঘটনায় জড়িত অন্যদের বিষয়েও তদন্ত চলছে।উল্লেখ্য, জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নিয়মিত অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে জেলা গোয়েন্দা শাখা।ভোরের আকাশ/আজাসা
পাবনার ঈশ্বরদীস্থ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের (আরএনপিপি) প্রকল্পের প্রথম ইউনিটের সঞ্চালন লাইন পূর্ণ সক্ষমতায় চালু হয়েছে। এর মাধ্যমে পারমাণবিক কেন্দ্রের বিদ্যুৎ বাংলাদেশের জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিডে সঞ্চালনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করলো। সোমবার (২ জুন) বিকেলে ‘রূপপুর-গোপালগঞ্জ ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন’ সফলভাবে চালু হয়।রূপপুর-গোপালগঞ্জ ৪০০ কেভি লাইনের দৈর্ঘ্য প্রায় ১৫৮ কিলোমিটার। টাওয়ার সংখ্যা ৪১৪টি। এর আগে প্রথম ইউনিটের ফিজিক্যাল স্টার্টআপের জন্য আরও দুটি হাইভোল্টেজ লাইন প্রস্তুত করা হয়েছিল।২০২২ সালের ৩০ জুন ‘রূপপুর-বাঘাবাড়ি ২৩০ কেভি সঞ্চালন লাইন’ এবং ২০২৪ সালের ৩০ এপ্রিল ‘রূপপুর-বগুড়া ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন’ চালু করা হয়। রূপপুর-গোপালগঞ্জ লাইন চালুর মধ্য দিয়ে মোট তিনটি লাইন প্রস্তুত হলো। যার প্রতিটির সঞ্চালন সক্ষমতা ২০০০ মেগাওয়াট।পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (পিজিসিবি) ঈশ্বরদীর জয়নগরস্থ প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী এনায়েত করিম জানান, রুপপুর-গোপালগঞ্জ সঞ্চালন লাইনটির আজ সফলভাবে চালু হয়েছে। এতে রুপপুর প্রকল্পের প্রথম ইউনিট চালু হলেই এই সঞ্চালন লাইন দিয়ে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ যোগ হবে।ভোরের আকাশ/আজাসা
নাটোরে চাকা ফেটে বিকল হওয়া পিকআপে নতুন চাকা লাগানোর সময় পেছন থেকে আরেকটি পিকআপের ধাক্কায় এক চালক ও এক আম ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ওসি মাহবুর রহমান।সোমবার (২ জুন) রাত সাড়ে ১১টার দিকে শহরের চকবৈদ্যনাথ এলাকায় এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।নিহত আম ব্যবসায়ী আব্দুল মজিদ (৭০) পাবনা জেলার বেড়া উপজেলার বাসিন্দা ও পিকআপ চালক রনি (৩৫) একই এলাকার বাসিন্দা।এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, আব্দুল মজিদ চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাট থেকে আম কিনে পিকআপে পাবনার বেড়ায় যাচ্ছিলেন। পথে রাত সাড়ে ১১টার দিকে নাটোর শহরে চকবৈদ্যনাথ এলাকায় পিকআপের টায়ার ফেটে যায়। চালক রনি ও আম ব্যবসায়ী আব্দুল মজিদ পিকআপটির পেছনে বেঁধে রাখা অতিরিক্ত চাকা খুলতে পেছনে আসেন। এ সময় পেছন থেকে আরেকটি পিকআপ তাদের ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হন। নাটোর ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার এনায়েতুল হক বলেন, দুজনের মরদেহ নাটোর জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে নিহত দুজনের বাড়ি পাবনার বেড়ায় বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। অজ্ঞাত পিকআপটির সন্ধ্যানসহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।ভোরের আকাশ/আজাসা
ময়মনসিংহের নান্দাইলে মো. সুজন মিয়া (২৮) নামে এক কৃষককে হত্যার পর মরদেহ আম গাছে ঝুলিয়ে রেখেছে দুর্বৃত্তরা। রক্তাক্ত অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।সোমবার (২ জুন) দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার খারুয়া ইউনিয়নের চর মহেশকুর গ্রামে আশ্রয়ণ প্রকল্পের পাশ থেকে সুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।জানা গেছে, নিহত মো. সুজন মিয়া কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার চর জামাইল গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে। তিনি কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।বিষয়টি নিশ্চিত করেন নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, রোববার রাতের কোনো এক সময় সুজন মিয়াকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়। এরপর হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মরদেহটি চর মহেশকুর গ্রামে আশ্রয়ণ প্রকল্পের পাশে নিয়ে এসে আম গাছের ডালে ঝুলিয়ে রাখা হয়।সোমবার বেলা ১১টার দিকে মরদেহটি দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে দুপুর দেড়টার দিকে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।ওসি আরও বলেন, নিহত সুজন মিয়ার মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার মরদেহ রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যার রহস্য উদঘাটনে তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা প্রক্রিয়াধীন।ভোরের আকাশ/এসএইচ