গাইবান্ধায় ঝড়ে বটগাছ ভেঙে স্ত্রীর মৃত্যু, বেঁচে গেলেন স্বামী
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঝড়ো বাতাস ও বৃষ্টির সময় একটি বটগাছ ভেঙে পড়ে চায়ের দোকানে থাকা শাপলা বেগম (৩৮) নামে এক নারী নিহত হয়েছেন। তবে ঘটনার সময় চা দোকানি স্বামী খোকা মিয়া (৫০) না থাকায় বেঁচে গেছেন।
শনিবার (১৭ মে) দিবাগত রাত ৯টার দিকে রাখালবুরুজ ইউনিয়নের পীরপল বাজারে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শাপলা বেগম পীরপল গ্রামের বাসিন্দা চা দোকানি খোকা মিয়ার দ্বিতীয় স্ত্রী।
স্থানীয়রা জানান, রাতে নিজেদের চা দোকানে কাজ করছিলেন শাপলা বেগম। এসময় তার স্বামী খোকা বাজারের বাইরে ছিলেন। হঠাৎ আকাশ খারাপ দেখে তাকে ফোন করে তাড়াতাড়ি আসতে বলেন শাপলা। এরপরই প্রচণ্ড বাতাস সঙ্গে বজ্রবৃষ্টি শুরু হয়। এক পর্যায়ে দোকানের উপরে থাকা একটি পুরনো বটগাছ ভেঙে পড়ে। এতে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় শাপলা বেগমের। পরে স্বামী খোকা এসে গাছের নিচে চাপা পড়া স্ত্রীকে মৃত্যু দেখতে পান।
এদিকে, দরিদ্র চা দোকানির স্ত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় পুরো পীরপল বাজার এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ, বাজারে বহুদিন ধরেই গাছটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ছিল। বারবার সতর্ক করা হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেয়নি, যার ফলে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পীরপল বাজারে ঘটনাস্থল যান গোবিন্দগঞ্জ থানার উপ-পরির্দশক (এসআই) হারুন অর রশীদ, রাখালবুরুজ ইউপি চেয়ারম্যান হাসানুল চৌধুরী ডিউক ও ইউপি সদস্য রেজাউল করীম।
ভোরের আকাশ/আজাসা
সংশ্লিষ্ট
আসন্ন ঈদুল আযহায় কোরবানির জন্য টাঙ্গাইলে পর্যাপ্ত পশু প্রস্তুত রয়েছে। বর্তমানে জেলার খামারিরা গরু মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন।জেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ঈদুল আজহা উপলক্ষে জেলায় এ বছর ২ লাখ ১১ হাজার ৯৭৪ কোরবানির পশুর চাহিদার বিপরীতে ইতোমধ্যে কোরবানিযোগ্য ২ লাখ ৩৬ হাজার ৯৭০টি পশু প্রস্তত করা হয়েছে। এর মধ্যে গরু রয়েছে ১ লাখ ৫০ হাজার ৭০টি। জেলার চাহিদা মিটিয়েও উদ্ধৃত্ত অতিরিক্ত ২৯ হাজার ৪৪৪ টি কোরবানির পশু প্রস্তুত রয়েছে। এসব পশু ঢাকা ও আশপাশের জেলার কোরবানির পশু হাটে বিক্রির জন্য প্রস্ততি নিচ্ছেন খামারিরা।জেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর আরও জানায়, জেলার ১২টি উপজেলায় ২৬ হাজার ২০৩ টি ছোট-বড় খামার রয়েছে। এ খামারগুলোতে প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণ করা হচ্ছে।খামারিরা জানায়, জেলার প্রায় সব খামারেই কোনো প্রকার ক্ষতিকারক ওষুধ ছাড়াই প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণ করা হয়ে থাকে।টাঙ্গাইল সদর উপজেলার মায়ের দোয়া গরুর খামারের মালিক জাহাঙ্গীর আলম জানান, আমি ১২ বছর যাবত গরু লালন পালন করি। বছরে ২ থেকে ৩ বার গরু বিক্রি করে থাকি। এবার শীতে ক্রস গরু বিক্রি করেছি । এ বছর ঈদুল আজহায় বিক্রির জন্য ২৫টি গরু মোটাতাজা করে প্রস্তুত করছি। এ বছর খাবারের দাম বেশি । জানি না গরু বিক্রি করে লাভবান হতে পারবো কিনা। আশায় আছি আল্লাহ যেন মুখ ফিরে চায় । একশত ডিসিমাল ঘাস বুনছি , কুড়া ভুষিও ভুট্রা সব মিক্সড করে সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে খাবার নিয়ে আমি গরু মোটাতাজাকরণ করছি।টাঙ্গাইল পৌরসভার সন্তোষ বালুচড়ার খামারি বুলবুল হোসেন বলেন, আমি কোরবানি ঈদের জন্য ২২টি গরু লালন পালন করছি কিন্তু খাদ্যর যে দাম সে তুলনায় লাভ হবে কিনা বলতে পারছি না। আমার দেশীয় জাতীয় ষাঁড় গরুগুলোর খাবারের তালিকায় রয়েছে- খৈল, ভূষি, খড়, সবুজ ঘাস, ভুট্টা, ছোলার মত প্রাকৃতিক খাবার।কালিহাতীর হরিপুর গ্রামের ভাই-বোন এগ্রো ফার্মের মালিক কামরুল হাসান হিরন জানান, তিনি গত ছয় বছর ধরে ফার্মে গরু মোটাতাজাকরণ করে কোরবানির ঈদে বিক্রি করে থাকেন। এ বছর তার ফার্মে কোরবানির জন্য ছোট-বড় ৯টি গরু প্রস্তুত করা হয়েছে। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে তিনি গরুগুলো মোটাতাজা করেছেন। তার ফার্মের সবচেয়ে ছোট গরুর ওজন সাড়ে ৫০০ কেজি এবং সবচেয়ে বড় গরুর ওজন প্রায় ১০০০ কেজি। তিনি গরুগুলো কোরবানির হাটে ওঠানোর চিন্তা করছেন। তবে কোনো গ্রাহক বাড়ি থেকে গরু কিনতে চাইলে তিনি হাটের চেয়ে অনেক কম দামে বিক্রি করবেন।আলহেরা এগ্রো ফার্মের দায়িত্বরত শহিদুল ইসলাম জানান, আলহেরা এগ্রো ফার্মটি সৈয়দ নাজমুল হাসান প্রতিষ্ঠা করেন। এ ফার্মটি জামিয়া আল হেরা মাদরাসার নামে ওয়াক্ফ করে দেওয়া হয়েছে। এ ফার্ম থেকে প্রতিবছর তাদের চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত গরুগুলো বিক্রি করে দেওয়া হয়।খামারি নজরুল ইসলাম জানান, তারা কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে প্রাকৃতিক উপায়ে খাবার খাইয়ে গরু মোটাতাজাকরণ করা হয়েছে। প্রতিবছর ঈদুল আজহায় দেশীয় গরুর চাহিদা বেশি থাকায় তারা প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে দেশীয় গরু বিক্রি করে থাকেন। জেলা প্রাণি সম্পদ অফিসার ডা. মোঃ মোস্তফিজুর রহমান জানান, এ বছরই জেলায় অতিরিক্ত প্রায় ২০ হাজার গরু মোটাতাজাকরণ করে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। জেলার কোরবানির চাহিদা মিটিয়েও পশু বাড়তি থাকবে। সুতরাং অহেতুক বা সিন্ডিকেট তৈরি করে দাম বাড়ানোর কোনো সুযোগ এবার থাকছে না।এ ছাড়া জেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তর থেকে বছর জুড়ে ছোট-বড় খামারীদের যাবতীয় তথ্য, পরামর্শ, ভ্যাকসিন এবং চিকিৎসা সেবা সহ সকল প্রকার সহযোগিতা প্রদান করা হয়েছে। অন্যদিকে গরু মোটাতাজাকরণের ক্ষেত্রে খামারীদের সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে ঘাস-খড়ের পাশাপাশি খৈলগুঁড়া ও ভুসি খাওয়ানোর পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে। ভোরের আকাশ/জাআ
ডুবোচরের কারণে নব্যতা সংকট দেখা দিয়েছে পিরোজপুর এলাকার কঁচা ও বলেশ্বর নদে। বাধাগ্রস্ত হচ্ছে ফেরিসহ অন্যান্য যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল। পণ্য পরিবহণেও বিপাকে পড়ছেন পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকানী উপজেলাসহ আশপাশের এলাকার ব্যবসায়ীরা। নৌপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা নিরাপদ রাখতে খননের দাবি তাদের। এক সময় দক্ষিণাঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে নদী দুটি। ক্রমান্বয়ে নাব্যতা হারাচ্ছে নদীর। প্রায় আট বছর ধরে শুষ্ক মৌসুমে এই রুটে নৌযান চলাচল কমে এসেছে। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে স্থানীয় অর্থনীতিতে। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, এ উপজেলায় টগড়া ফেরিঘাটের পশ্চিম পাশে কঁচা নদীতে জেগে উঠেছে প্রায় চার কিলোমিটার এলাকা জুড়ে চর। এছাড়া বলেশ্বর নদের ওপর নির্মিত শহীদ ফজলুল হক মনি সেতুর উত্তর প্রান্তে তীর ঘেঁষে প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকায় জেগে উঠেছে একটি চর। ফলে গত একমাস ধরে এখানে ফেরি চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ভাটার টানে পানি কমে গেলেই টগরা প্রান্তে ফেরি আটকে যায়। এতে ট্রলারে নদী পারাপার হতে গিয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হয় যাত্রীদের। এ নদীর সন্ন্যাসী পয়েন্টসহ একাধিক স্থানে ছোটবড় অসংখ্য ডুবোচর রয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌযান শ্রমিকরা। এমবি ফারহান নামে একটি নৌযান খুলনা-মোংলা-বরিশাল নৌপথে নিয়মিত পণ্য পরিবহন করে। ওই নৌযানের মাষ্টার তরিকুল ইসলাম জানান, ডুবোচরের কারণে সন্ন্যাসী পয়েন্টে নৌযান থামিয়ে রাখতে হয়। জোয়ারে পানি বাড়লে তবে চলা শুরু করতে হয়। টগড়া পয়েন্টে কঁচা নদীর অর্ধেকটা জুড়ে রয়েছে চর। ফলে মাঝে-মধ্যেই বাধার মুখে পড়তে হয় নৌযান চলাচল।স্থানীয়রা জানায়, যুগ যুগ ধরে এ উপজেলার বাসিন্দারা কঁচা ও বলেশ্বর নদ দিয়ে ঢাকা-মোংলা ও খুলনাগামী লঞ্চ,স্টিমার ও ট্রলারে যাতায়াত করে আসছেন। এ ছাড়া পণ্যবাহী দেশি-বিদেশি জাহাজ, কার্গো চলাচলও কওে এই নৌপথ ধরে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে নির্দিষ্ট পথ ছাড়া ভাটার সময় বড় জাহাজ চলাচল করতে পারে না। অসংখ্য ডুবোচরের কারণে নদী দুটির গতিপথও ধীরে ধীরে বদলে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। চর পড়ার কারণে খুলনা থেকে নৌপথে মালপত্র পরিবহনে সমস্যার কথা জানান ইন্দুরকানী বাজার সমিতির সভাপতি মো. হারুন অর রশিদ। তিনি বলেন, বাধ্য হয়ে সড়ক পথে মালপত্র আনছেন ব্যবসায়ীরা। এতে ব্যয় করতে হচ্ছে দ্বিগুণ অর্থ। কঁচা নদীর তীরে পড়েছে উপজেলার পাড়েরহাট ইউনিয়ন। এ ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান মো. আ. রাজ্জাক এই প্রতিবেদককে জানান, কঁচা নদীর টগড়া প্রান্তে অর্ধেকের বেশি এলাকাজুড়ে চর জেগেছে। এতে জোয়ারের সময় ছাড়া নৌযান চলতে বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে। একই সঙ্গে টগড়া-চরখালী রুটে ফেরি চলাচলেও সমস্যা হচ্ছে।বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিসি) বরিশাল ড্রেজিং বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুন উর রশীদ জানান, বর্ষা মৌসুম চলে আসায় খনন কাজ সম্ভব হচ্ছে না। আগামী অর্থ বছরের শুকনা মৌসুমে কঁচা ও বলেশ্বর নদের ডুবোচরের খনন কাজ শুরু করা হবে।ভোরের আকাশ/আজাসা
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঝড়ো বাতাস ও বৃষ্টির সময় একটি বটগাছ ভেঙে পড়ে চায়ের দোকানে থাকা শাপলা বেগম (৩৮) নামে এক নারী নিহত হয়েছেন। তবে ঘটনার সময় চা দোকানি স্বামী খোকা মিয়া (৫০) না থাকায় বেঁচে গেছেন। শনিবার (১৭ মে) দিবাগত রাত ৯টার দিকে রাখালবুরুজ ইউনিয়নের পীরপল বাজারে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শাপলা বেগম পীরপল গ্রামের বাসিন্দা চা দোকানি খোকা মিয়ার দ্বিতীয় স্ত্রী। স্থানীয়রা জানান, রাতে নিজেদের চা দোকানে কাজ করছিলেন শাপলা বেগম। এসময় তার স্বামী খোকা বাজারের বাইরে ছিলেন। হঠাৎ আকাশ খারাপ দেখে তাকে ফোন করে তাড়াতাড়ি আসতে বলেন শাপলা। এরপরই প্রচণ্ড বাতাস সঙ্গে বজ্রবৃষ্টি শুরু হয়। এক পর্যায়ে দোকানের উপরে থাকা একটি পুরনো বটগাছ ভেঙে পড়ে। এতে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় শাপলা বেগমের। পরে স্বামী খোকা এসে গাছের নিচে চাপা পড়া স্ত্রীকে মৃত্যু দেখতে পান।এদিকে, দরিদ্র চা দোকানির স্ত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় পুরো পীরপল বাজার এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ, বাজারে বহুদিন ধরেই গাছটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ছিল। বারবার সতর্ক করা হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেয়নি, যার ফলে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে।দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পীরপল বাজারে ঘটনাস্থল যান গোবিন্দগঞ্জ থানার উপ-পরির্দশক (এসআই) হারুন অর রশীদ, রাখালবুরুজ ইউপি চেয়ারম্যান হাসানুল চৌধুরী ডিউক ও ইউপি সদস্য রেজাউল করীম।ভোরের আকাশ/আজাসা
ঝড়-বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত এখন আতঙ্কের নাম। যখন-তখন বজ্রপাতে মানুষ বা যোকোনো প্রাণির প্রাণহনি ঘটে থাকে। প্রায় প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও বজ্রপাতে হতাহতের খবর পাওয়া যায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ দিনে কিশোরগঞ্জে জেলায় বজ্রপাতে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলায় বজ্রপাতে নিরোধ দাস (৫৫) নামে কৃষকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার (১৬ মে) বিকেলে উপজেলার ধনপুর ইউনিয়নের দৈলং নয়াহাটি এলাকায় মারা যান তিনি। ইটনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মারা যাওয়া নিরোধ দাস একই গ্রামের মৃত বিষ্ণু দয়াল দাসের ছেলে।নিহতের স্বজনরা জানান, আজ বিকেলে বাড়ির সামনে নিজেদের ধানের খলায় ধান সেদ্ধ করছিলেন নিরোধ দাস। এ সময় বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।গত ১১ মে কিশোরগঞ্জের ভৈরব ও কুলিয়ারচর উপজেলায় পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়। তারা হলেন, ভৈরবের সাদেকপুর ইউনিয়নের ফারুক মিয়া (৬৫), ফয়সাল মিয়া (২৮) এবং কুলিয়ারচরের হাজারীনগরের কবির হোসেন (২৫)।ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. উম্মে হাবিবা জুঁই তাদের মৃত্যু বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন।এর আগে, ৬ মে পাকুন্দিয়া ও মিঠামইন উপজেলায় বজ্রপাতে দুই স্কুল শিক্ষার্থী ও এক কৃষক মারা যান। পাকুন্দিয়ায় মারা যাওয়ারা হলেন- উপজেলার চরটেকী গ্রামের জালাল উদ্দিনের মেয়ে ইরিনা (১৫), বাদল মিয়ার মেয়ে প্রিয়া (১৫)। তারা সবাই চরটেকী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। মিঠামইন উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের চমকপুর গ্রামে মারা যাওয়া কৃষকের নাম মোহাম্মদ কটু মিয়া (৪০)। তিনি আব্দুল মুত্তালিবের ছেলে। পাকুন্দিয়া থানার ওসি মো. সাখাওয়াৎ হোসেন এবং মিঠামইন থানার ওসি শফিউল আলম মৃত্যুর তথ্য দিয়েছিলেন।গত মাসের ৩০ এপ্রিল ইটনায় মাঠ থেকে গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে এক কৃষকের মৃত্যু হয়। তার নাম নাম মোহাম্মদ অনোহল (৪৫)। তিনি উপজেলার এলংজুরী ইউনিয়নের কাকটেংগুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। ইটনা থানার ওসি মো. জাফর ইকবাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন।গত ২৮ এপ্রিল সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত জেলার অষ্টগ্রাম, মিঠামইন ও কটিয়াদী উপজেলায় বিভিন্ন হাওরে বজ্রপাতে নারীসহ চারজন মারা যান।অষ্টগ্রামে নিহত ইন্দ্রজীত দাস (৩৬) উপজেলার হালালপুর গ্রামের মৃত যতীন্দ্র দাসের ছেলে এবং স্বাধীন মিয়া (১৪) খয়েরপুর গ্রামের ইদ্রিস মিয়ার ছেলে। মিঠামইনে নিহত কৃষাণী ফুলেছা বেগম (৬৫) উপজেলার রাণীগঞ্জ কেওয়ারজোড় এলাকার মৃত আস্রব আলীর স্ত্রী। কটিয়াদী উপজেলার মুমুরদিয়া ইউনিয়নের ধনকিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আবু মিয়ার ছেলে শাহজাহান মিয়া (৪৫)।অষ্টগ্রাম থানার ওসি রুহুল আমিন, মিঠামইন থানার এসআই অর্পণ বিশ্বাস এবং কটিয়াদী থানার ওসি তরিকুল ইসলাম বজ্রপাতে মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছিলেন।গত ২১ এপ্রিল পাকুন্দিয়ায় বজ্রপাতে আবু তাহের মিয়া (৪৮) নামের এক কৃষক মারা যান। উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের চরকাওনা মইষাকান্দা এলাকায় তার মৃত্যু হয়। তিনি একই গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে। পাকুন্দিয়া থানার ওসি মো. সাখাওয়াত হোসেন বজ্রপাতে তাহের মিয়ার মৃত্যুর তথ্য জানান।ভোরের আকাশ/আজাসা