জামালপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৩ মে ২০২৫ ০৪:৪৮ এএম
ইসলামপুরে বর্ষার আগেই শুরু হয়েছে নদী ভাঙ্গন
কালবৈশাখী ঝড়ের সাথে ভারি বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে জামালপুর জেলার ইসলামপুরে শুরু হয়েছে তীব্র নদী ভাঙ্গন। সাপধরী ইউনিয়নের কাশারীডোবা পয়েন্টে বর্ষার আগেই যমুনার একটি শাখা নদীতে ভাঙ্গন আতঙ্কে পাড়ের মানুষ।
জানা গেছে, ইসলামপুর উপজেলার সাপধরী ইউনিয়নের মাঝখান দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে যমুনার ছোট্ট একটি শাখা নদী। ইসলামপুরের বেলগাছা পয়েন্টে যমুনা নদী থেকে উৎপত্তি হয়ে সাপধরীর এই শাখা নদীটি শীলদহ, সিন্দুরতলী, প্রজাপতি, নন্দনের পাড়া, চরশিশুয়া, শিশুয়া, কাশারীডোবা, ইন্দুল্লামারী, আকন্দপাড়া, মন্ডলপাড়া, চেঙ্গানিয়া, টগার চর ও দৈলকের চর হয়ে সারিয়াকান্দির চালুয়াবাড়ী এলাকায় গিয়ে আবারো যমুনার মূলস্রোতে মিলিত হয়েছে। এই শাখা নদীটির দুই তীরের প্রজাপতি, কাশারীডোবা, আকন্দপাড়া ও মন্ডলপাড়া এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে গত ৫ বছর ধরে ভয়াবহ নদী ভাঙ্গন চলছে।
ঝড়ের সাথে ভারি বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা যমুনার ঢলে এ বছর বর্ষা মৌসুম শুরু হতে না হতেই সাপধরীর ওই শাখা নদীটির বাম তীরের কাশারীডোবা পয়েন্টে শুরু হয়েছে ভয়াবহ নদী ভাঙ্গন। নদীর ভাঙ্গনে এ বছরই নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার হুমকির মুখে পড়েছে কাশারীডোবা এলাকার পাঁচ শতাধিক বসতভিটা, দুইটি বাজার, তিনটি স্কুল, পাঁচটি মসজিদ এবং কয়েকশ একর ফসলি জমি।
কাশারী ডোবা গ্রামের বাসিন্দা সাংবাদিক আজিজুর রহমান চৌধুরী জানান, এলাকাবাসীর দাবীর প্রেক্ষিতে যমুনার এই ভয়াবহ নদী ভাঙ্গন রোধে কাশারী ডোবা পয়েন্টের উজানে ইসলামপুর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বাঁশের পাইলিং নির্মাণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এতদসত্বেও কাশারীডোবা পয়েন্টে এক হাজার মিটার এলাকা জুড়ে যমুনার বাম তীরে বালি ভর্তী জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হলে নদী ভাঙ্গনের কবল থেকে রক্ষা পাবে বিস্তীর্ণ জনপদ। এজন্য এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে কাশারীডোবা এলাকার নদী ভাঙ্গন রোধের জন্য জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী সহযোগীতা কামনা করছি।।
ভোরের আকাশ/এসআই