শামীম সরকার, হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ)
প্রকাশ : ১৯ এপ্রিল ২০২৫ ০৩:২৮ এএম
গ্রামীণ সড়কে ভাঙা কালভার্ট, চলাচলে দুর্ভোগ
কিশোরগঞ্জের হোসনপুর উপজেলার একটি গ্রামীণ সড়কে কালভার্ট ভেঙে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। কালভার্টটির মাঝখানের অংশ ভেঙে পড়ায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন পথচারীরা। কালভার্টটি দ্রুত সংস্কার করা না হলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
জানা গেছে, উপজেলার ৪নং আড়াইবাড়ীয়া ইউনিয়নের সম্মুর দোকান-জগদল পাকা সড়ক থেকে নান্দানিয়ার দিকে একটি গ্রামীণ ইটের সলিংয়ের রাস্তা রয়েছে। পাকা সড়ক হতে ওই গ্রামীণ সড়কটির ১৫ গজ সামনেই একটি কালভার্ট রয়েছে। প্রায় ১৫ বছর আগে নির্মিত কালভার্টটি দীর্ঘদিনেও কোনো সংস্কার হয়নি। কিছুদিন ধরে কালভার্টটির মাঝে সামান্য ভাঙন দেখা দেয়। এতে ওই সড়ক দিয়ে যান চলাচল বিঘ্ন ঘটছে। পাশাপাশি তিন চাকার যান চলতে গিয়ে প্রায়ই আটকে পড়ছে। তাছাড়া রাতের বেলায় বাইক কিংবা অন্যান্য যানবাহন চলাচলে দুর্ঘটনা ঘটনার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সরেজমিন দেখা যায়, ধুলজুরী বোরহান উদ্দিন মামুর জামে মসজিদ সংলগ্ন গ্রামীণ সড়কের কালভার্টটি ভাঙা। আর সেখান দিয়ে প্রতিনিয়তই ঝুঁকি নিয়ে চলছেন শিক্ষার্থীসহ এলাকার সাধারণ মানুষ। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী জানায়, প্রায় ১৫ বছর আগে ফসলি জমির পানি নিষ্কাশনের জন্য এই স্থানে কালভার্ট আকারের ছোট ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। এরপর দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও কালভার্টটি আর সংস্কার করা হয়নি। আগে সামান্য ভাঙা থাকলেও কিছুদিন ধরে কালভার্টটির মাঝ বরাবর দুই তৃতীয়াংশ ভেঙে গেছে। এতে চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে।
মো. স্বপন মিয়া নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, এই রাস্তাটি দিয়ে বর্তমানে কয়েক গ্রামের মানুষ যাতায়াত করে। পাশাপাশি ফসলি জমির ধান এই রাস্তা দিয়েই নিতে হয়। কালভার্টির মাঝে কিছুটা ভেঙে যাওয়ায় যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। দ্রুত এই সমস্যা সমাধান করে গ্রামবাসীর একমাত্র চলার পথ সুগম করতে কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
ধূলজুরী গ্রামের বাসিন্দা মো. বিল্লাল মিয়া বলেন, দীর্ঘদিন ধরে কালভার্টটির বেহাল অবস্থা। বর্তমানে গ্রামবাসীর যোগাযোগের একমাত্র রাস্তাটির কালভার্টটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যাওয়ায় চলাচলে খুবই কষ্ট হচ্ছে। নতুন করে কালভার্টটি তৈরি করার জন্য সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করছি।
এ ব্যাপারে জানতে আড়াইবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. খুর্শিদ উদ্দিনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কালভার্টটি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে। আশা করছি, শীঘ্রই জনদুর্ভোগ কমে যাবে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ