শ্রীমঙ্গলে বজ্রপাতের শব্দে হৃদরোগে চা শ্রমিকের মৃত্যু
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে বজ্রপাতের ভয়ঙ্কর শব্দে হৃদরোগে (হার্ট অ্যাটাক) আক্রান্ত হয়ে চিনু তাঁতী (৩৫) নামের এক চা শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ মে) বিকেলে উপজেলার সাতগাঁও ইউনিয়নের আমরাইল ছড়া চা বাগানের বয়েলটিলা এলাকায় এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। নিহত চিনু তাঁতী ওই এলাকার যজো তাঁতীর ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিকেল ৩টার দিকে চিনু তাঁতী তার স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে বাগান থেকে লাকড়ি সংগ্রহ করে বাড়ি ফিরছিলেন। হঠাৎ আকাশে মেঘ করে ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয় এবং সঙ্গে প্রচণ্ড বজ্রপাতের শব্দ হয়। বজ্রপাতের তীব্র শব্দে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন চিনু তাঁতী।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে আমরাইল ছড়া চা বাগানের স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে এবং পরে কালিঘাট চা বাগান হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ৯ নম্বর সাতগাঁও ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য বিকাশ দত্ত বলেন, "বজ্রপাতের কোনো আঘাতের চিহ্ন তার শরীরে পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে বজ্রপাতের ভয়ংকর শব্দে আতঙ্কিত হয়ে তার হৃদরোগে মৃত্যু হয়েছে।"
কালিঘাট চা বাগান হাসপাতাল সূত্র জানায়, "চিনু তাঁতীর শরীরে বজ্রপাতের কোনো বাহ্যিক ক্ষত ছিল না। সম্ভবত আতঙ্ক থেকে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা গেছেন।"
নিহতের মৃত্যুর খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। স্থানীয়দের দাবি, ঝড়-বজ্রপাতের সময় বাগানকর্মীদের নিরাপত্তায় আরও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।
ভোরের আকাশ/হ.র
সংশ্লিষ্ট
নাটোরের লালপুরে পৌর আওয়ামী লীগ নেতা ও লালপুর নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলের শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মনজুর রহমান মঞ্জু হত্যার প্রধান আসামি হাসান আলী টুমনকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ।রবিবার (১৫ জুন) ঢাকার মোহাম্মদপুরের একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে সোমবার (১৬ জুন) দুপুরে তাকে আদালতে তোলা হয়।গ্রেফতারকৃত হাসান আলী টুমন লালপুরের শিবপুর খাঁপাড়া গ্রামের মোজাফফর আলীর ছেলে।পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আমজাদ হোসাইন জানান, গত বছরের ৩০ মে রাত দশটার দিকে নাটোরের লালপুর উপজেলার আজিম নগর রেলস্টেশনের পাশে একটি চায়ের স্টলে আড্ডার সময় কয়েকজন দুর্বৃত্ত মনজুর রহমান মঞ্জুর মাথায় এবং পেটে পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করে হত্যা করে।পরে ওই বছরের ২ মে নিহত মুনজুর রহমানের ভাই ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাসুদ রানা বাদী হয়ে ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যামামলা দায়ের করেন।মামলার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেফতার করলেও প্রধান আসামি টুমন পালিয়ে ছিল। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে।ভোরের আকাশ/জাআ
কক্সবাজারের টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কথা কাটাকাটির জেরে আলমগীর (১৮) নামের এক যুবককে গুলি করে হত্যা করেছে এক রোহিঙ্গা ডাকাত। সোমবার (১৬ জুন) বিকেলে টেকনাফের নয়াপাড়া রেজিস্টার্ড ক্যাম্পের ডি ব্লকে এ ঘটনা ঘটে।এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন নয়াপাড়া এপিবিএন ক্যাম্পের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক নূরে আযম। নিহত আলমগীর ওই ক্যাম্পের ডি ব্লকের মৃত মোহাম্মদ হারেছের ছেলে।জানা গেছে, আলমগীরের সঙ্গে সি ব্লকের রোহিঙ্গা ডাকাত নুরুল আলমের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে নুরুল আলম তার হাতে থাকা ওয়ান শুটার গান দিয়ে আলমগীরের বুকে গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে তাকে ক্যাম্পসংলগ্ন জিকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।টেকনাফ থানার ওসি মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। অপরাধীকে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।ভোরের আকাশ/জাআ
ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার সহনাটী ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক হুমায়ুন কবীর (২২) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করেছেন নিহতের বাবা খাইয়ুম মিয়া (কাইয়ুম)। সোমবার (১৬ জুন) গৌরীপুর থানায় এ মামলা দায়ের করা হয়।হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সোনাকান্দি গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে মো. সোহাগ মিয়াকে (৩০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. দিদারুল ইসলাম। তিনি জানান, মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা নেওয়া হচ্ছে।ছাত্রদল নেতা হুমায়ুন কবীরকে হত্যার ঘটনার বিষয়ে সহনাটী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আব্দুল্লাহ আল আমিন রতন জানান, গত শুক্রবার (১৩ জুন) সন্ধ্যা ৬টার দিকে হুমায়ুন ও সোহাগ মিয়া বাড়ি থেকে পাছার বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। পথিমধ্যে রানা ও বাদল তাদের গতিরোধ করে। হুমায়ুন দৌড়ে তারা মিয়ার চায়ের দোকানে আশ্রয় নিলে সেখানে তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে গৌরীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে সোনাকান্দি গ্রামের আব্দুল কদ্দুছের ছেলে মো. বাদল মিয়াকে (তোতা মিয়া, ২১)। এছাড়া রাশিদুল ইসলাম রানা ওরফে রাসুসহ (২২) আরও ১১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৫–৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার আগের দিন (বৃহস্পতিবার) রাত ১১টার দিকে সহনাটী ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এক দোকানে পানের ১০ টাকা বিল নিয়ে বাদল ও রানা ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়ে। হুমায়ুন সেই ঝগড়া মিটিয়ে নিজে বিল পরিশোধ করে দেন। এ ঘটনায় তারা হুমায়ুনের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।অন্য একটি সূত্র জানায়, হুমায়ুন মাদক ব্যবসা ও সেবনের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। এর জের ধরেই তাকে টার্গেট করে হত্যা করা হয়।শনিবার নিহত হুমায়ুনের জানাজায় হাজারো মানুষের উপস্থিতি দেখা যায়। সেখানে বক্তব্য দেন গৌরীপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আহাম্মদ তায়েবুর রহমান হিরণ, সদস্য সচিব হাফেজ আজিজুল হক এবং ময়মনসিংহ উত্তর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নুরুজ্জামান সোহেল।এ ছাড়া রোববার ময়মনসিংহ উত্তর জেলা ছাত্রদলের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। একই দাবিতে গৌরীপুর উপজেলা ছাত্রদলও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে।ভোরের আকাশ//হ.র
সাভারে যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযানে দেশীয় অস্ত্রসহ কুখ্যাত পাঁচ ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল রাত থেকে আজ রাত পর্যন্ত একটানা অভিযান চালিয়ে সাভারের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।গ্রেফতারকৃতরা হলেন—সোহেল, সম্রাট, সুমন, দুর্জয় ও সমর। যৌথ বাহিনী জানায়, এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভার থেকে নবীনগর পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে ছিনতাই চালিয়ে আসছিল। মহাসড়কে যাত্রীদের দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তারা নগদ টাকা, মোবাইল ফোনসহ মূল্যবান সামগ্রী ছিনিয়ে নিত।যৌথ বাহিনীর তথ্যমতে, গ্রেফতার হওয়া সোহেল একজন হত্যা মামলার আসামি। অভিযানে তাদের কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্র, সুইস গিয়ার চাকু ও নগদ টাকাও উদ্ধার করা হয়েছে।এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন নবম পদাতিক ডিভিশনের ৮১ পদাতিক বিগ্রেডের অধীনস্থ ২৭ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আসিফ রহমান। তার সঙ্গে মেজর মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, ক্যাপ্টেন শামীম ও সাভার ও আশুলিয়া থানা পুলিশের সদস্যরাও অংশ নেন।অভিযান শেষে আটককৃতদের আশুলিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। যৌথ বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, মহাসড়কে যাত্রীদের নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন চলাচল নিশ্চিত করতে ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।স্থানীয়দের মতে, কুখ্যাত এই ছিনতাইকারী চক্রের গ্রেফতারে এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।ভোরের আকাশ//হ.র