বরিশালে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা
"দুগ্ধের অপার শক্তিতে, মেতে উঠি একসাথে"- এই স্লোগান নিয়ে আজ ১ জুন রবিবার সকাল ৯ টায় জেলা প্রশাসন ও জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর বরিশালের আয়োজনে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরী উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি) এর সহযোগিতায় বিডিএস সম্মেলন কক্ষে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস (২০২৫) উদযাপন উপলক্ষ্যে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুরুতে বিডিএস প্রাঙ্গণ থেকে বর্ণাঢ্য র্যালি শুরু হয়ে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিডিএস সম্মেলন কক্ষে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক বরিশাল মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বরিশাল ডাঃ মো. মোস্তাফিজুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বরিশাল মো. মাসুম বিল্লা।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রিন্সিপাল সায়েন্টিফিক অফিসার আঞ্চলিক প্রাণিরোগ অনুসন্ধান গবেষণাগার ডাঃ নুরুল আলম। পরিশেষে অতিথিরা দুগ্ধ দিবসের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে আলোচনা করেন।
ভোরের আকাশ/জাআ
সংশ্লিষ্ট
পাবনার ঈশ্বরদীস্থ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের (আরএনপিপি) প্রকল্পের প্রথম ইউনিটের সঞ্চালন লাইন পূর্ণ সক্ষমতায় চালু হয়েছে। এর মাধ্যমে পারমাণবিক কেন্দ্রের বিদ্যুৎ বাংলাদেশের জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিডে সঞ্চালনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করলো। সোমবার (২ জুন) বিকেলে ‘রূপপুর-গোপালগঞ্জ ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন’ সফলভাবে চালু হয়।রূপপুর-গোপালগঞ্জ ৪০০ কেভি লাইনের দৈর্ঘ্য প্রায় ১৫৮ কিলোমিটার। টাওয়ার সংখ্যা ৪১৪টি। এর আগে প্রথম ইউনিটের ফিজিক্যাল স্টার্টআপের জন্য আরও দুটি হাইভোল্টেজ লাইন প্রস্তুত করা হয়েছিল।২০২২ সালের ৩০ জুন ‘রূপপুর-বাঘাবাড়ি ২৩০ কেভি সঞ্চালন লাইন’ এবং ২০২৪ সালের ৩০ এপ্রিল ‘রূপপুর-বগুড়া ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন’ চালু করা হয়। রূপপুর-গোপালগঞ্জ লাইন চালুর মধ্য দিয়ে মোট তিনটি লাইন প্রস্তুত হলো। যার প্রতিটির সঞ্চালন সক্ষমতা ২০০০ মেগাওয়াট।পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (পিজিসিবি) ঈশ্বরদীর জয়নগরস্থ প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী এনায়েত করিম জানান, রুপপুর-গোপালগঞ্জ সঞ্চালন লাইনটির আজ সফলভাবে চালু হয়েছে। এতে রুপপুর প্রকল্পের প্রথম ইউনিট চালু হলেই এই সঞ্চালন লাইন দিয়ে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ যোগ হবে।ভোরের আকাশ/আজাসা
নাটোরে চাকা ফেটে বিকল হওয়া পিকআপে নতুন চাকা লাগানোর সময় পেছন থেকে আরেকটি পিকআপের ধাক্কায় এক চালক ও এক আম ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ওসি মাহবুর রহমান।সোমবার (২ জুন) রাত সাড়ে ১১টার দিকে শহরের চকবৈদ্যনাথ এলাকায় এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।নিহত আম ব্যবসায়ী আব্দুল মজিদ (৭০) পাবনা জেলার বেড়া উপজেলার বাসিন্দা ও পিকআপ চালক রনি (৩৫) একই এলাকার বাসিন্দা।এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, আব্দুল মজিদ চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাট থেকে আম কিনে পিকআপে পাবনার বেড়ায় যাচ্ছিলেন। পথে রাত সাড়ে ১১টার দিকে নাটোর শহরে চকবৈদ্যনাথ এলাকায় পিকআপের টায়ার ফেটে যায়। চালক রনি ও আম ব্যবসায়ী আব্দুল মজিদ পিকআপটির পেছনে বেঁধে রাখা অতিরিক্ত চাকা খুলতে পেছনে আসেন। এ সময় পেছন থেকে আরেকটি পিকআপ তাদের ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হন। নাটোর ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার এনায়েতুল হক বলেন, দুজনের মরদেহ নাটোর জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে নিহত দুজনের বাড়ি পাবনার বেড়ায় বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। অজ্ঞাত পিকআপটির সন্ধ্যানসহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।ভোরের আকাশ/আজাসা
ময়মনসিংহের নান্দাইলে মো. সুজন মিয়া (২৮) নামে এক কৃষককে হত্যার পর মরদেহ আম গাছে ঝুলিয়ে রেখেছে দুর্বৃত্তরা। রক্তাক্ত অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।সোমবার (২ জুন) দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার খারুয়া ইউনিয়নের চর মহেশকুর গ্রামে আশ্রয়ণ প্রকল্পের পাশ থেকে সুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।জানা গেছে, নিহত মো. সুজন মিয়া কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার চর জামাইল গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে। তিনি কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।বিষয়টি নিশ্চিত করেন নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, রোববার রাতের কোনো এক সময় সুজন মিয়াকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়। এরপর হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মরদেহটি চর মহেশকুর গ্রামে আশ্রয়ণ প্রকল্পের পাশে নিয়ে এসে আম গাছের ডালে ঝুলিয়ে রাখা হয়।সোমবার বেলা ১১টার দিকে মরদেহটি দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে দুপুর দেড়টার দিকে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।ওসি আরও বলেন, নিহত সুজন মিয়ার মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার মরদেহ রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যার রহস্য উদঘাটনে তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা প্রক্রিয়াধীন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
যশোরের চৌগাছায় তুচ্ছ বিষয় নিয়ে আপন বড় ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন শিহাব হোসেন (২১) নামে এক তরুণ।সোমবার (২ জুন) দুপুরে উপজেলার ধুলিয়ানী ইউনিয়নের শাহাজাদপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।নিহত শিহাব কাতারপ্রবাসী মহিদুল ইসলামের মেজো ছেলে। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত বড় ভাই সুমন হোসেন (২৫) পলাতক রয়েছে।পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, তিন ভাইয়ের মধ্যে শিহাব ছিলেন মেজো। সোমবার দুপুরে পার্শ্ববর্তী এক বাড়িতে দাওয়াতে যাওয়ার জন্য বড় ভাই সুমনের সাইকেল নিয়ে যান তিনি। দাওয়াত শেষ করে বাড়ি ফেরার পর সাইকেল ব্যবহার করা নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়।একপর্যায়ে উত্তেজিত সুমন কোমর থেকে ছুরি বের করে শিহাবের পিঠে আঘাত করেন।শিহাবের মা তারা বেগম বলেন, বাইসাইকেল নিয়ে ওদের মধ্যে ঝগড়া হচ্ছিল, দূর থেকেই টের পেয়েছিলাম। কথাগুলো বলতে বলতেই তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।নিহতের মামা শুকুর আলী বলেন, ঘটনার সময় বাড়ির উঠানে ছিলাম। হঠাৎ চিৎকার শুনে দৌড়ে গিয়ে দেখি শিহাব রক্তে ভেসে যাচ্ছে। তখন সে আমাকে বলল, ‘মামা, আমাকে হাসপাতালে নিয়ে চলো, নাহলে আমি বাঁচব না।’ দ্রুত স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই।চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আনোয়ারুল আবেদীন প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে শিহাবকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, নিহতের পিঠের বামদিকে ছুরির গভীর আঘাত ছিল, যা প্রাণঘাতী হয়ে দাঁড়ায়।ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, এ ঘটনায় অভিযুক্ত সুমন পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।এ ঘটনায় আইনগত প্রক্রিয়া প্রাথমিকভাবে শুরু হয়েছে, ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।ভোরের আকাশ/জাআ