ছবি : সংগৃহীত
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) দীর্ঘ প্রতীক্ষিত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেট প্রতিনিধি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ। এর মধ্য দিয়ে শেষ হচ্ছে টানা ৩৫ বছরের অপেক্ষা। নির্বাচনকে ঘিরে পুরো ক্যাম্পাসে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯টি একাডেমিক ভবনে স্থাপিত ১৭টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলবে। বিকেল পাঁচটা থেকে কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে কেন্দ্রীয়ভাবে ফল গণনা শুরু হবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা কামাল আকন্দ গতকাল বুধবার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “আমাদের লক্ষ্য একটি অংশগ্রহণমূলক, স্বচ্ছ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দেওয়া।” তিনি জানান, ২৮ হাজার ৯০১ জন ভোটার রাকসু নির্বাচনে ভোট দেবেন। এর মধ্যে নারী ৩৯.১০ শতাংশ, পুরুষ ৬০.৯০ শতাংশ।
রাকসুর ২৩টি পদে ৩০৫ জন, সিনেট প্রতিনিধি ৫টি পদে ৫৮ জন, আর ১৭টি হল সংসদের ২৫৫টি পদে ৫৫৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
ভিপি পদে মূল লড়াই
সহসভাপতি (ভিপি) পদে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে ছাত্রশিবির সমর্থিত মোস্তাকুর রহমান জাহিদ ও ছাত্রদল সমর্থিত শেখ নূর উদ্দীন আবীরের মধ্যে। এছাড়া বাম সমর্থিত ফুয়াদ রাতুল ও ছাত্র অধিকার প্যানেলের মেহেদী মারুফও আলোচনায় রয়েছেন।
জিএস পদে ত্রিমুখী লড়াই
সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন শিবিরের ফাহিম রেজা, ছাত্রদলের নাফিউল ইসলাম জীবন ও সাবেক সমন্বয়ক সালাউদ্দীন আম্মার।
এজিএস পদেও হাড্ডাহাড্ডি প্রতিযোগিতা
সহকারী সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ছাত্রদলের জাহীন বিশ্বাস এষা ও শিবিরের সালমান সাব্বির মুখোমুখি লড়াইয়ে রয়েছেন।
নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবেন ২১২ জন শিক্ষক, যাদের মধ্যে ১৭ জন প্রিসাইডিং ও বাকিরা সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা। এছাড়া ৯১ জন কর্মকর্তা পোলিং কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করবেন।
পুরো ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিশ্চিতে মোতায়েন করা হয়েছে দুই হাজার পুলিশ সদস্য, ছয় প্লাটুন বিজিবি ও ১২ প্লাটুন র্যাব। প্রতিটি কেন্দ্র সিসিটিভির আওতায় থাকবে এবং স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সে ভোটগ্রহণ হবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার জানান, “প্রত্যেক ভোটারকে ছয় পৃষ্ঠার ব্যালটে ভোট দিতে হবে। ভোট শেষ হওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যে গণনা শুরু করে ১৭ ঘণ্টার মধ্যে ফল ঘোষণা করার চেষ্টা করা হবে।”
তিনি আরও বলেন, “ব্যালট পেপার বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিজ্ঞ সংস্থার মাধ্যমে তৈরি হয়েছে, এতে আট স্তরের নিরাপত্তা চেক করা হয়েছে। মোট ভোটারের সমান— ২৮,৯০১টি ব্যালটই ছাপানো হয়েছে, একটিও বেশি বা কম নয়।”
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিন পর পুনরুজ্জীবিত হচ্ছে রাকসু নির্বাচনের গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য।
ভোরের আকাশ/মো.আ.
সংশ্লিষ্ট
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। ফল ঘোষণার ২০ দিন আগে, ২৭ সেপ্টেম্বর মামাবাড়ি বেড়াতে গিয়ে পানিতে ডুবে মারা যায় নটরডেম কলেজের শিক্ষার্থী জুনায়েদ আমিন।বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) ফল জানতে এসে ছেলের জিপিএ-৫ পাওয়ার খবর শুনে অঝরে কেঁদেন তার বাবা। এদিন সকালে নটরডেম কলেজে দেখা যায় এমনই এক হৃদয়বিদারক দৃশ্য। জুনায়েদ আমিনের বাবা মোরশেদুল আমিন পেশায় ব্যাংকার।কান্নাজড়িত কণ্ঠে মোরশেদুল আমিন বলেন, ‘আমার ছেলে মামাবাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল। বন্ধুদের সঙ্গে নৌকায় ঘুরতে গিয়ে নদীতে ডুবে মারা যায়। কেউ তাকে বাঁচাতে পারেনি। পড়াশোনায় সে খুব ভালো ছিল, কেউ তার সম্পর্কে খারাপ কিছু বলতে পারবে না। ইন্টারমিডিয়েট শেষ করে বিদেশে পড়তে যাওয়ার স্বপ্ন ছিল তার। এখন সে নেই—আমার সব শেষ হয়ে গেছে।’এসব কথা বলার সময় বারবার মুর্ছা যাচ্ছিলেন মোরশেদুল আমিন। নটরডেম কলেজের অধ্যক্ষ ড. ফাদার হেমন্ত পিউস রোজারিও ছাত্রের মৃত্যুতে শোক ও পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বলেন, ‘ছেলেটির মৃত্যুর খবর আমরা জানি। আমরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। আমরা সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সঙ্গে সহযোগিতা করেছি। সে খুব ভালো ছেলে ছিল, বাবা-মায়ের বাধ্য সন্তান ছিল এবং কলেজের ক্লাবে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিল। তার পরিবারের প্রতি আমাদের গভীর সমবেদনা রইলো।’এবারের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় মানবিক বিভাগ থেকে জিপিএ ৫ অর্জন করেছেন জুনায়েদ আমিন। তিনি কলেজের বিভিন্ন ক্লাব ও সামাজিক কার্যক্রমেও সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন।এবার এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নেন ১২ লাখ ৩৫ হাজার ৬৬১ জন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে পাস করেছেন ৭ লাখ ২৬ হাজার ৯৬০ জন শিক্ষার্থী। গড় পাসের হার ৫৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ। আর ফেল করেছেন ৫ লাখ ৮ হাজার ৭০১ জন। গড় ফেলের হার ৪১ দশমিক ১৭ শতাংশ।সারাদেশে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৯৭ জন। গত বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন এক লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন। সে হিসাবে এবার জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৭৬ হাজার ৮১৪ জন।পরীক্ষার ফলাফলে এবারও পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে সব দিক দিয়ে এগিয়ে ছাত্রীরা। এ বছর পাস করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রী ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৯৬ জন। আর ছাত্র ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৮৬৪ জন। ছাত্রীদের গড় পাসের হার ৬২.৯৭ শতাংশ এবং ছাত্রদের পাসের হার ৫৪.৬০ শতাংশ।জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতেও এগিয়ে রয়েছেন ছাত্রীরা। মোট জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ৬৯ হাজার ৯৭ জনের মধ্যে ছাত্রী ৩৭ হাজার ৪৪ জন এবং ছাত্র ৩২ হাজার ৫৩ জন।মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে চলতি বছরের আলিম পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে সারাদেশে গড় পাসের হার ৭৫ দশমিক ৬১ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৪ হাজার ২৬৮ জন।বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে চলতি বছরের এইচএসসি (ভোকেশনাল/বিএম/ডিপ্লোমা ইন কমার্স) পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে সারাদেশে গড় পাসের হার ৬২ দশমিক ৬৭ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ হাজার ৬১০ জন।ভোরের আকাশ/মো.আ.
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৪৮ দশমিক ৮৬ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২ হাজার ৭০৭ জন। পাস এবং জিপিএ-৫ এর হারে ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে মেয়েরা। এরমধ্যে মেয়ে পরীক্ষার্থী জিপিএ- ৫ পেয়েছে ১ হাজার ৭৪৯, ছেলেরা জিপিএ- ৫ পেয়েছে ৯৫৮ জন।বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকালে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর সামছুল আলম ফলাফল ঘোষণা করেন। এ বছর কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড থেকে ৯৯ হাজার ৫৭৬ জন পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে। এর মধ্যে মেয়ে পরীক্ষার্থী ৫৭ হাজার ৫২৪ জন এবং ছেলে পরীক্ষার্থী ৪২ হাজার ৫২ জন। পাশ করেছে মোট ৪৮ হাজার ৬৫৭ জন। মেয়ে পরীক্ষার্থী পাশ করে ৩০ হাজার ৭০১, ছেলে পরীক্ষার্থী পাশ করে ১৭ হাজার ৯৫৬ জন। মেয়েদের পাশের হার ৫৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ, ছেলেদের পাশ ৪২ দশমিক ৭০ শতাংশ। কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে পাঁচটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শতভাগ পাস করেছে, আর ৯টি প্রতিষ্ঠান থেকে একজনও পাশ করেনি।বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রকাশিত ফলাফল শিক্ষার্থীরা তিনভাবে জানতে পারবে। প্রথমত, অনলাইনে www.educationboardresults.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে বোর্ডের নাম, রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে ফলাফল দেখা যাবে। দ্বিতীয়ত, সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা পরীক্ষা কেন্দ্র থেকেও ফল জানা যাবে। তৃতীয় পদ্ধতিতে এসএমএসের মাধ্যমে ফলাফল জানা সম্ভব— এক্ষেত্রে মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে HSC <স্পেস> বোর্ডের প্রথম তিন অক্ষর <স্পেস> রোল <স্পেস> বছর লিখে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
মায়ের অসুস্থতার কারণে কেন্দ্রে দেরিতে আসায় পরীক্ষা দিতে না পারা সেই আনিসা আহমেদ এইচএসসি পরীক্ষায় ফেল করেছেন। তিনি বাংলা ও ইসলামের ইতিহাস বিষয়ে ফেল করেছেন।বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. আসাদুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর প্রথম দিনই (২৬ জুন) ঢাকা শিক্ষা বোর্ড ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরীক্ষার্থী আনিসা মায়ের অসুস্থতার কারণে সময়মতো পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছুতে পারেননি। দেরি হওয়ায় তাকে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেননি দায়িত্বরতরা। এসময় ওই ছাত্রী পরীক্ষাকেন্দ্রের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন। গেটের বাইরে দীর্ঘসময় অপেক্ষায় থেকে তিনি সেদিন ফিরে যান। ওই ছাত্রীর পরীক্ষাকেন্দ্র ছিল রাজধানীর সরকারি মিরপুর বাঙলা কলেজ।আনিসার কান্না-আকুতি তখন নাড়িয়ে দেন বহু মানুষের বিবেক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশ্ন উঠে—আইন কি মানবিক বিবেচনার ঊর্ধ্বে? নেটিজেনরা দাবি তোলেন—মানবিক বিবেচনায় হলেও তাকে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া উচিত।অন্তর্বর্তী সরকারও সেই দাবি আমলে নেয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে তখন শিক্ষা উপদেষ্টার বরাতে জানানো হয়, ‘পরীক্ষা দিতে না পারা আনিসার বিষয়টি বিশেষভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে।’ভোরের আকাশ/মো.আ.
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯টি ভবনের ১৭টি কেন্দ্রে এই ভোটগ্রহণ কার্যক্রম শুরু হয়। ভোটগ্রহণ চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।নির্বাচন কমিশন জানায়, এবারের রাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার ২৮ হাজার ৯০১ জন এবং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ৮৬০ জন। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯টি একাডেমিক ভবনে স্থাপিত ১৭টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে।বুধবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে রাকসু নির্বাচন কমিশন সর্বশেষ প্রস্তুতির বিষয় তুলে ধরে। কমিশন জানায়, ভোটাররা তিন ধাপের যাচাই শেষে ভোট দিতে পারবেন। প্রতিটি ধাপে রাখা হয়েছে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা।নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা কামাল আকন্দ বলেন, কারচুপি ঠেকাতে শুধু অমোচনীয় কালি নয়, আমরা থ্রিডি লেভেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। প্রথম ধাপে যাচাই করা হবে ভোটারের শিক্ষার্থী আইডি কার্ড, দ্বিতীয় ধাপে দেখা হবে ইউনিক আইডি নম্বর, এবং তৃতীয় ধাপে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা থেকে যাচাই শেষে ভোট দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে।তিনি আরও জানান, কোনো ধাপে সন্দেহ দেখা দিলে ভোটারের তথ্য বিশেষ কিউআর কোড স্ক্যান করে যাচাই করা হবে।প্রযুক্তিনির্ভর ভোটগ্রহণ ও গণনাভোটগ্রহণে ব্যবহার করা হচ্ছে ওএমআর মেশিন ও বিশেষ সফটওয়্যার। ছয়টি মেশিন ও সমপরিমাণ স্ক্যানারের মাধ্যমে ফলাফল প্রস্তুত করা হবে। নির্বাচন কমিশনের আশা, ভোটগ্রহণ শেষে সর্বোচ্চ ১৭ ঘণ্টার মধ্যে ফলাফল প্রকাশ সম্ভব হবে।প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক এফ নজরুল ইসলাম বলেন, "আমরা একটি অংশগ্রহণমূলক, স্বচ্ছ এবং বিতর্কমুক্ত নির্বাচন উপহার দিতে চাই। প্রযুক্তিনির্ভর নিরাপত্তা ব্যবস্থা আমাদের এই লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক হবে।"ব্যালট পেপার ছাপা ও নিরাপত্তানির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনুযায়ী ব্যালট পেপার ছাপানো হয়েছে। প্রতিটি ভোটারের জন্য পৃথক সিরিয়াল নম্বরযুক্ত ব্যালট প্রস্তুত করে তা গোপনীয়তা রক্ষা করে সংরক্ষণ করা হয়েছে এবং নির্ধারিত কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসারের মাধ্যমে পাঠানো হবে।প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, "ব্যালট পেপার মুদ্রণ থেকে বিতরণ পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে কঠোর গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা বজায় রাখা হয়েছে। অতিরিক্ত কোনো ব্যালট মুদ্রণ করা হয়নি।"নিরাপত্তা বলয়ে ঘেরা ভোটনির্বাচন উপলক্ষে ক্যাম্পাসজুড়ে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ভোটকেন্দ্র ও আশপাশে মোতায়েন করা হয়েছে ২,৩০০ পুলিশ সদস্য, ১২ প্লাটুন র্যাব ও ৬ প্লাটুন বিজিবি। সহায়তায় থাকবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি, রোভার স্কাউট ও স্টুডেন্ট কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের স্বেচ্ছাসেবক দল। ১০০টি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে স্থাপন করা হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা।বুধবার থেকেই শিক্ষার্থী পরিচয়পত্র বা পাসকোড ছাড়া কেউ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারছে না।রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আবু সুফিয়ান গতকাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পরিদর্শন করেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, "নিরাপত্তা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করে আমরা পরিকল্পনা করেছি। সাইবার জগতেও আমরা সজাগ রয়েছি, যাতে কোনো ধরনের অপপ্রচার বা বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো না হয়, সে জন্য আমাদের একটি আলাদা সাইবার টিম কাজ করছে।"তিনি আরও জানান, নির্বাচনের দিন সাতটি প্রবেশপথ খোলা থাকবে, যেখানেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। কেউ যদি পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করে, তবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।ভোট পরিচালনায় প্রশিক্ষিত কর্মকর্তারাভোট পরিচালনার দায়িত্বে থাকছেন ২১২ জন শিক্ষক, যাঁদের আগে থেকেই প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।ফলাফল প্রস্তুতিতে বিশেষ কমিটিভোটের ফলাফল তৈরিতে রয়েছে ৪৩ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি। নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা কামাল আকন্দ জানান, "আমরা ডাকসু ও জাকসুর অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়েছি। রাকসুতে সেই অভিজ্ঞতার আলোকে আরও সতর্ক হয়েছি। তাড়াহুড়ো করে ভুল বা অগ্রহণযোগ্য কোনো ফলাফল প্রকাশ করা হবে না।"পর্যবেক্ষণে প্রশাসনের কমিটিনির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে গঠিত হয়েছে ১০ সদস্যের একটি কমিটি। এই কমিটির সভাপতি অর্থনীতি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক এম রফিকুল ইসলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. ইফতিখারুল আলম মাসউদের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।উল্লেখ্য, রাকসু নির্বাচনের যাত্রা শুরু হয় ১৯৬২ সালে। গত ৬৩ বছরে মোট ১৪বার এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছিল ১৯৮৯ সালে।ভোরের আকাশ/মো.আ.