মানিকগঞ্জে ১০ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার
মানিকগঞ্জে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ১০ কেজি গাঁজাসহ নূর মোহাম্মদ (৪০) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শনিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের উচুটিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত নূর মোহাম্মদের বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া থানার খুনিরটেক গ্রামে। তার বাবার নাম মো. নয়া মিয়া এবং মায়ের নাম সখিনা বেগম।
মানিকগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম আমান উল্লাহর নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উচুটিয়া এলাকায় সাইফুল ইসলামের মালিকানাধীন "এসি অ্যান্ড ইলেকট্রিক সেন্টার" নামের দোকানের সামনে ফাঁকা জায়গায় তল্লাশি চালান। এসময় নূর মোহাম্মদকে আটক করা হয় এবং তার কাছে থাকা একটি ট্রাভেল ব্যাগ থেকে ১০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের তথ্যমতে, উদ্ধারকৃত গাঁজার বাজারমূল্য আনুমানিক সাত লক্ষ টাকা।
এ ঘটনায় মানিকগঞ্জ সদর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নম্বর ১। আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
ভোরের আকাশ/জাআ
সংশ্লিষ্ট
চট্টগ্রাম নগরীতে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) ইউনিফর্ম কাপড়সহ গাড়ি জব্দ করার ঘটনায় নানা নাটকীয়তা শেষে অবশেষে মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা, সাবেক সাংসদ ও সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুস ছালামের ছোট ভাই তারিকুল ইসলামসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে চান্দগাঁও থানা পুলিশ।সোমবার (২ জুন) রাত ৯টায় নগরীর কালুরঘাট বিসিক শিল্প এলাকার ওয়েল ফেব্রিক্স এন্ড ওয়েল কম্পোজিট নিট লিমিটেডের কারখানায় অভিযান চালায় পুলিশ। এসময় রোলিং করা কাপড়সহ গাড়ি জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় আবদুস ছালামের ভাই তারিকুলসহ চারজনকে আটক করে পুলিশ।গ্রেপ্তাররা হলেন- তারিকুল ইসলাম, তৌহিদুল ইসলাম, জামালুল ইসলাম ও মো. আতিকুর রহমান। তারিকুল ইসলামকে ওয়েল ফেব্রিক্স এন্ড ওয়েল কম্পোজিট নিট লিমিটেডের পরিচালক এবং তৌহিদুল ইসলাম একই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা। জানা যায়, ওয়েল ফেব্রিক্স এন্ড ওয়েল কম্পোজিট নিট লিমিটেডের কারখানা আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুস ছালামের মালিকানাধীন।এদিকে পুলিশ শুরুতে কেএনএফের কাপড় উদ্ধার ও ৪ জনকে আটকের বিষয়টি স্বীকার করলেও তাদের নাম জানায়নি।এ বিষয়ে চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফতাব উদ্দিন জানান, কেএনএফের ইউনিফর্ম তৈরির জন্য কাপড় সরবরাহের তথ্য নিশ্চিত হওয়ার পর ওয়েল ফেব্রিক্স এন্ড ওয়েল কম্পোজিট নিট লিমিটেডের কারখানায় অভিযান চালানো হয়। এসময় রোলিং করা কাপড়সহ একটি গাড়ি জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় ৪ জনকে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।এর আগে গত ১৭ মে রাতে চট্টগ্রাম নগরীর ‘রিংভো অ্যাপারেলস’ নামের একটি পোশাক কারখানা থেকে ২০ হাজার ৩০০ পিস কেএনএফের ইউনিফর্ম জব্দ করে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। এসময় কারখানার মালিক সাহেদুল ইসলাম গোলাম আজম ও নিয়াজ হায়দার তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গোলাম ও নিয়াম ইউনিফর্ম তৈরির অর্ডারদাতা।এরপর মঙ্গলবার (২৭ মে) আরও ১১ হাজার ইউনিফর্ম উদ্ধার করে পুলিশ। এছাড়া একইদিন রাতে নগরীর পাহাড়তলী থানার ডিটি রোডে অবস্থিত ‘নুর ফ্যাশন অ্যান্ড গার্মেন্টস’ থেকে আরও ১৫ হাজার ইউনিফর্ম জব্দ করে বায়েজিদ বোস্তামী থানা পুলিশ। এ ঘটনায় একটি গার্মেন্টস কারখানা মালিক মতিউর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়।ভোরের আকাশ/আজাসা
ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার সীমান্ত দিয়ে ১২ জনকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ । সোমবার রাত ১টার দিকে ১১৪১ এর ৮ এস পিলার মুন্সিপাড়া বিওপি এলাকায় তাদের পুশইন করা হয়। পরে তাদের মুন্সিপাড়া এলাকা থেকে আটক করে বিজিবি।আটককৃত ১২ জনের মধ্যে তিনজন নারী, আটজন পুরুষ একজন শিশু রয়েছে। তারা সবাই বাংলাদেশের নড়াইল ও খুলনা জেলার বাসিন্দা ছিলেন। কিন্তু ভারতে গিয়ে তারা দেশটির নাগরিকত্বও লাভ করেন।আটককৃতরা জানান, গত ২৪ মে গুজরাট থেকে সেখানকার পুলিশ তাদের আটক করে। এরপর বিভিন্ন সময় তাদের মারধর করা হয়। এমনকি, তাদের কাছ থেকে মোবাইল, আইডিকার্ড, আদার কার্ডসহ যাবতীয় মালামাল রেখে দেয়।তারা জানান, তাদের বাড়ি বাংলাদেশের নড়াইল ও খুলনা জেলায়। ২০০৪ সালে দালালের মাধ্যমে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতে চলে যান তারা। গুজরাটে তারা বিভিন্ন দোকানে কাজ ও ব্যবসা বাণিজ্য করেন। একপর্যায়ে ভারতীয় নাগরিকত্বও পান। তবে হুট করেই অভিযান চালিয়ে বস্তি ও বিভিন্ন দোকান থেকে তাদের আটক করে গুজরাট পুলিশ। কিছুদিন আটকে রেখে সোমবার রাতে মুন্সিপাড়া সীমান্ত দিয়ে তাদের বাংলাদেশে পুশইন করেছে। পরে বিজিবি তাদের আটক করে।এ ব্যাপারে বিজিবি- ৩১ ব্যাটালিয়নের সিইও কামরুজ্জামান বলেন, ‘রাতে খবর পেয়ে তাদের আটক করা হয়। তাদের থানায় হস্তান্তর করে পরিচয় শনাক্ত করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’ভোরের আকাশ/আজাসা
ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলায় ১৭ হাজার ৩৬টি কোরবানির পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে স্থানীয় চাহিদা ৮ হাজার ৬৯৬টি, ফলে প্রায় ৮ হাজার ৬৪০টি পশু উদ্বৃত্ত রয়েছে।উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, ঘোড়াঘাটে ২ হাজার ৫৪টি ছোট-বড় খামার ও গৃহস্থ পরিবারে এসব পশু লালন-পালন করা হচ্ছে। পশুগুলোর মধ্যে রয়েছে ষাঁড়: ৪৩৫২টি বলদ: ১২২৫টি গাভী: ১৩৬১টি মহিষ: ৮টি ছাগল: ৮৯৭০টি ভেড়া: ১৪১৪টি ঈদ সামনে রেখে খামারি ও কৃষকরা গরু, ছাগল, ভেড়া ও মহিষ মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন। খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে গমের ভুসি, ছোলা, মসুর ভুসি ও নেপিয়ার ঘাস। দেশীয় জাত ছাড়াও শাহীওয়াল ও ফ্রিজিয়ান জাতের গরু এবার ক্রেতাদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে। পশু বিক্রির জন্য উপজেলার রাণীগঞ্জ, বাগেরহাট, বলগাড়ী বাজার ও ডুগডুগীহাটে অস্থায়ী হাট বসানো হয়েছে। বড় খামারের পাশাপাশি গ্রামের কৃষক পরিবারগুলোতেও গড়ে ৩-৪টি করে পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। রাণীগঞ্জ বাজার এলাকার খামারি মো. জনি মিয়া বলেন, “দেশি জাতের মাঝারি মাপের ৭টি গরু লালন করছি, এখন পুরোদমে খাদ্য দিচ্ছি।” খামারি আব্দুল বাসার, জাহাঙ্গীর আলম, মাহবুব ও আবু সায়াদ জানান, কোরবানির প্রস্তুতির শেষ পর্যায়ে রয়েছেন তারা। হরিপাড়া গ্রামের সুজন মিয়া বলেন, “৫টি গরু লালন করছি, আশা করি ভালো দাম পাবো।”উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. রবিউল ইসলাম জানান, “কোরবানির উপযোগী পশুগুলোর ভ্যাকসিন নিশ্চিত করা হচ্ছে। খামারিদের নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচেছ যাতে সুস্থ-সবল পশু কোরবানি নিশ্চিত করা যায়।ভোরের আকাশ/আজাসা
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট রানীগঞ্জ বাজার গোহাটিতে যানবাহন থেকে অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলনের অভিযোগে চারজনকে আটক করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। সোমবার (২ জুন) বিকাল সাড়ে ৫ টায় তাদের আটক করা হয়।প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, আটককৃতরা নিজেদের শ্রমিক ইউনিয়নের লোক বলে হাটে পরিবহন চালকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে আসছিল। এমন অভিযোগ পেয়ে সেনাবাহিনী অভিযান চালায়। আটককৃতরা হলেন, উপজেলার সিংড়া ইউনিয়ানের নূরপুর এলাকার মামুনুর রশিদ (৫০) দুদু মিয়া (৫৫) আব্দুল হাকিম (৫৭) ও পালশা ইউনিয়ানের ভাতছালা প্রামের আজাহার আলী (৫৪)। ঘোড়াঘাট সেনা ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন মারজিউল হক সাফিন জানিয়েছেন, এটা আমাদের নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ, যা ঈদকে কেন্দ্র করে আরও জোরদার হয়েছে। এর অংশ হিসেবে রানীগঞ্জ বাজারে বিভিন্ন পেট্রোলের মাধ্যমে ঘোড়াঘাট থানা মাধ্যমে নজর দাড়িতে রাখছি চাঁদাবাজি করার সময় অভিযুক্তদের হাতেনাতে আটক করা হয়। পরবর্তীতে তাদেরকে ঘোড়াঘাট থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ভোরের আকাশ/আজাসা