ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৯ জুন ২০২৫ ০৭:৪৭ পিএম
ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ১৪ বাংলাদেশি
দেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে গিয়ে আটক হওয়া ১৪ বাংলাদেশি নাগরিক কারাভোগ শেষে দেশে ফিরেছেন। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে দেশে ফেরেন তারা। বিভিন্ন সময় দালালের মাধ্যমে ভারতে পাচারের শিকার সে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়ে কারাভোগ করেছেন তারা।
পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার নরসিংগর ক্ষণস্থায়ী আটক কেন্দ্রে রাখা হয়। ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার আগরতলা থেকে আখাউড়া সীমান্তের চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরেন। প্রত্যেকে বিভিন্ন মেয়াদে ভারতে জেল খেটেছেন। আখাউড়া-আগরতলা স্থলবন্দরে তাদের ভারত থেকে গ্রহণ করার সময় ভারতের ত্রিপুরায় নিযুক্ত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের কর্মকর্তা, পাচার হওয়াদের স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনরা হলেন- ফেনীর মো. ইসমাইল ভূঁইয়া, হারুন মজুমদার, নারায়ণগঞ্জের মোছা: পাপিয়া আক্তার, গোপালগঞ্জের মোছা: লিজা খানম, নড়াইলের মোছা: লিজা খাতুন, চাঁদপুরের মোছা: আশা মনি, খুলনার মো. মাহফুজুল ইসলাম, তাহুরা বিবি, আঁখি ইসলাম, নেত্রকোনার সঞ্জয় দাস, স্বপন দাস, সুনামগঞ্জের বিপুল দাস, সুশেন দাস, যশু দাস। দীর্ঘদিন পর স্বজনদের ফিরে পেয়ে আখাউড়া স্থলবন্দরের শূন্য রেখায় এক আবেগঘণ পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
ভারত ফেরত খুলনার মো. মাহফজুল ইসলামের মা আম্বিয়া বেগম বলেন, 'আমার ছেলে, ছেলের বউ, নাতনি ১১ মাস আগে কাজের সন্ধানে বাড়ি থেকে বের হয় যায়। পরে খবর পাই ভারতে গিয়ে আটক হয়েছে। সরকারি প্রক্রিয়া শেষে আজকে ফিরে পেয়ে ভালো লাগছে।' ভারত ফেরত সুনামগঞ্জের স্বপন দাসের ভাই তপন দাস জানান, দালালের খপ্পড়ে পড়ে ভারতে ধান কাটতে গিয়েছিলেন তার ভাই। আজ আইনি প্রক্রিয়ার শেষে ভাইকে ফেরত পেয়ে ভালো লাগছে। আগরতলাস্থ বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের কনস্যুলার অ্যাসিস্টেন্ট ওমর শরীফ জানান, কাজের সন্ধানে অবৈধভাবে ভারত গিয়ে আটক হন ১৪ বাংলাদেশি। পরে আদালতের আদেশে কারাভোগ শেষে তাদেরকে দেশে ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়।
আগরতলায় ক্ষণস্থায়ী কারাগারে আটক আরও ৩৩ জন বাংলাদেশিকে ফেরত আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন- আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জি এম রাশেদুল ইসলাম, ইমিগ্রেশন ওসি আব্দুস সাত্তার, আখাউড়া আইসিপি ক্যাম্প কমান্ডার মো. আনোয়ার হোসেন, ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের ডেপুটি মেনেজার শায়লা শারমিন প্রমুখ। পরে ব্রাকের পক্ষ থেকে প্রত্যেককে নগদ ৩ হাজার টাকা ও খাবার বিতরণ করা হয়।
ভোরের আকাশ/আজাসা