ছবি: ভোরের আকাশ
মাদারীপুর জেলার শিবচরে তারেক রহমানের ৩১ দফা লিফলেট বিতরণকালে জয় বাংলার স্লোগান দিয়ে বিএনপির লোকজনের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। এসময় আহত হয়েছে অন্তত ২৫ জন।
সোমবার (১১ আগস্ট) রাত ৮ টার দিকে শিবচরের চরশ্যামাইল এলাকার পৌরভবন ২ এর কাছে এ হামলার ঘটনা ঘটে। জয়বাংলার স্লোগান দিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের লোকজন এ হামলা চালায় বলে জানান আহতরা।
আহতদের বেশিরভাগই উপজেলার পাঁচ্চর, মাদবরেচর ও কাঠালবাড়ি ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যার দিকে মাদারীপুর ১ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী বিএনপি নেতা সাজ্জাদ হোসেন লাভলু সিদ্দিকী সমর্থিত বিএনপির নেতাকর্মীরা তারেক রহমানের ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করতে বের হয়। শিবচর পৌরসভার চরশ্যামাইল এলাকায় কাজীর দোকান নামক স্থানে শিবচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাবুল ফকিরের ছেলে সুমন ফকিরের সাথে কথা কাটাকাটি হলে এক পর্যায়ে লিফলেট বিতরণকারীদের উপর হামলা চালায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।
এসময় বেশ কিছু মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। আহত হয় অন্তত ২৫ জন। আহতদের উদ্ধার করে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে কয়েকজনকে। খবর পেয়ে শিবচর থানা পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তিরত আহত একাধিক ব্যক্তি বলেন, তারেক রহমানের ৩১ দফা লিফলেট নিয়ে আমরা দত্তপাড়া হয়ে শিবচর আসতে থাকি। এসময় চরশ্যামাইল এলাকার কাজীর দোকান নামক স্থানে এলে শিবচর ইউনিয়ন পরিষদের (বর্তমানে পৌরসভা) চেয়ারম্যান বাবুল ফকিরের ছেলের নেতৃত্বে শতাধিক মানুষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। আমাদের অনেক লোকজন আহত হয়েছে। মোটরসাইকেল রেখে খাল-বিল সাঁতরে আমাদের অনেকে বেঁচে ফিরেছে। পরিস্থিতি ভয়ানক ছিল।
এদিকে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে শিবচর থানা পুলিশের টিম ঘটনাস্থলে গিয়েছে। আহতদের শিবচর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আমরা খোঁজ-খবর নিচ্ছি। ওই এলাকায় আমাদের টিম রয়েছে। বিস্তারিত পরে জানানো যাবে।
ভোরের আকাশ/মো.আ.
সংশ্লিষ্ট
চকরিয়ার মানিকপুর ও লামার ফাইতং এলাকায় সরকারি জমি ও পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ অভিযানে তিনটি অবৈধ ইটভাটার চুল্লি ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।রবিবার (১৬ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করেন চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. জমির উদ্দিন এবং ঢাকা পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম।অভিযানে লামা উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, র্যাব, ফাইতং ফাঁড়ি পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস এবং বনবিভাগের কর্মকর্তারা অংশ নেন। অভিযানকালে মো. গিয়াস উদ্দিনের মালিকানাধীন এ.এম.বি-১, এ.এম.বি-২ ও এ.এম.বি-৩ নামের তিনটি ইটভাটার চুল্লি ভেঙে ফেলা হয় এবং অবৈধ কাঠামো ধ্বংস করা হয়।স্থানীয়রা অভিযানের আগে ভাটা বন্ধ না করার দাবিতে মানববন্ধন ও পথসভা করেন। তারা জানান, ইটভাটাগুলো থেকে তাদের জীবিকা নির্বাহ হতো। তবে পরিবেশ অধিদপ্তর জানায়, সরকারি জমি ও জনস্বার্থ রক্ষার জন্য এ ধরনের অভিযান নিয়মিত চালানো হবে।পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. জমির উদ্দিন বলেন, অনুমোদনবিহীন ইটভাটা পরিচালনা পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। ধোঁয়া ও ধুলার কারণে আশপাশের এলাকার ফসল, ফলের বাগান এবং বসতঘরও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই অবৈধ কার্যক্রম প্রতিহত করতে অভিযান অব্যাহত থাকবে।স্থানীয় বনবিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, এসব ইটভাটার কারণে বনভূমি অবৈধভাবে দখল ও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর যৌথভাবে পাহাড়ি বন ও সরকারি জমি রক্ষা করতে নিয়মিত অভিযান চালাবে।পরিবেশ অধিদপ্তরের সূত্র জানা যায়, লামা-চকরিয়ার বিভিন্ন এলাকায় অনুমোদনবিহীন ইটভাটার বিরুদ্ধে আরও বড় ধরনের অভিযান পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এই অভিযানগুলো জনস্বার্থ ও পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি স্থানীয়দের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।স্থানীয় সমাজকর্মী ও পরিবেশবিদরা বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের এই অভিযান গুরুত্বপূর্ণ, কারণ অবৈধ ইটভাটা চালু থাকলে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ে। তবে স্থানীয়দের জীবিকার কথাও উপেক্ষা করা যাবে না। সরকারের উচিত বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা, যাতে কেউ অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হন।ভোরের আকাশ/জাআ
‘আবর্জনার মতো লাগে’ বলে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার বেলতলী এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভাজকে লাগানো অর্ধশত বকুলগাছ কেটে ফেলার ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁর নাম মো. আজমির হোসেন (৩৭)। তাঁর বিরুদ্ধে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ থানায় মামলা করেছে।শনিবার রাতে বেলতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে আজমির হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সেলিম। আজ রোববার তাঁকে কুমিল্লার আদালতে পাঠানো হবে।আজমিরের বাড়ি কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার সাওড়াতলী গ্রামে। তবে তিনি বেলতলী এলাকায় উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা ১০০ শয্যাবিশিষ্ট শিশু হাসপাতালের ফটকের পাশে থাকেন। সেখানে চা-বিস্কুট বিক্রি করেন।এ নিয়ে বিভিন্ন গনমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। পরে শনিবার রাতেই কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার পুলিশ এ ঘটনায় মামলা নিয়ে আজমির হোসেনকে গ্রেপ্তার করে।কেটে ফেলা বকুলগাছগুলো মহাসড়কের সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য লাগানো হয়েছিল সওজের উদ্যোগে। প্রতিটি গাছের বয়স ছিল ৯ বছরের বেশি। কুমিল্লা সওজের সড়ক ও জনপথ বিভাগের কার্যসহকারী রুহুল আমিন বাদী হয়ে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানায় মামলাটি করেন। তিনি বলেন, বেলতলীতে হাসপাতালের সামনেই একসঙ্গে ১৭টি বকুলগাছ কাটা হয়েছে। অন্য গাছগুলো আশপাশে কাটা হয়েছে।রোববার সকালে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ সেলিম বলেন, ‘গতকাল রাতে এ ঘটনায় আমরা মামলা গ্রহণ করেছি। পরে রাতেই অভিযান চালিয়ে আজমির হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’সওজ কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার গোলাম মোস্তফা জানিয়েছেন, যেসব স্থানে গাছগুলো কাটা হয়েছে, পরে সেখানে নতুন করে গাছ রোপণ করা হবে।মহাসড়কটি ২০১৬ সালে চার লেনে রূপান্তর করার পর সৌন্দর্য বর্ধনের পাশাপাশি এক লেনের গাড়ির হেডলাইটের আলো যাতে অন্য লেনের গাড়ির ওপর না পড়ে, সে জন্য বিভাজকের ওপর রোপণ করা হয়েছিল বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে চট্টগ্রাম সিটি গেট পর্যন্ত প্রায় ১৯২ কিলোমিটার এলাকায় মধ্যে মহাসড়কের প্রায় ১৪৩ কিলোমিটার এলাকায় বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগানো হয়েছে। তার মধ্যে আছে বকুল, কাঞ্চন, করবী, গন্ধরাজ, কুর্চি, রাধাচূড়া, হৈমন্তী, টগর, সোনালু, কৃষ্ণচূড়া, কদম, পলাশসহ নানা ফুলের গাছ। এ রকম ফুলের গাছ লাগানো হয়েছে ৫০ হাজারের বেশি। এ ছাড়া সড়কের পাশে এবং বিভিন্ন স্থানে বিভাজকের ওপর লাগানো হয়েছে জলপাই, অর্জুন, কাঁঠাল, মেহগণি, শিশু, আকাশমণি, নিম, একাশিয়া, হরীতকীসহ বিভিন্ন প্রজাতির ৪০ হাজারের বেশি গাছ। কুমিল্লার বেলতলী এলাকাটি বকুলগাছে সাজানো ছিল।ভোরের আকাশ/জাআ
রাজবাড়ী-১ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য মনোনীত প্রার্থী আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়মের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে ঢাকা-খুলনা ও রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন দলটির একাংশের নেতাকর্মীরা।রোববার (১৬ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে সদর উপজেলার গোয়ালন্দ মোড়ে আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়মের ছবি সংযুক্ত বয়কট লেখা ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে সড়ক অবরোধ করেন সহস্রাধিক নেকাকর্মী।এ সময় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়মের মনোননয়ন বাতিল করে কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহসভাপতি ও জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আসলাম মিয়াকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানান তারা।মহাসড়কের ওপর টায়ার জ্বালিয়েও বিক্ষোভ করেন নেতাকর্মীরা। পরে এক ঘন্টা পর বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে অবরোধ তুলে নেন তারা। সড়ক অবরোধের কারণে সড়কের উভয় পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রী ও যাহবাহনের চালকরা।উল্লেখ্য, গত ৩ নভেম্বর ২৩৭টি আসনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রাজবাড়ী সদর থানার ওসি মাহমুদুর রহমান বলেন, বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। পরে আমরা স্বাভাবিক পরিস্থিতি নিয়ে আসা হয়েছে। যানবাহন চলাচল এখন স্বাভাবিক রয়েছে।ভোরের আকাশ/জাআ
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি'র মোংলা পৌর সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র এবং মোংলা-রামপাল সংসদীয় আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী আলহাজ্ব মো. জুলফিকার আলী বলেন, বাংলাদেশের জনগণ দীর্ঘ ১৭ বছর ন্যায়-অধিকার থেকে বঞ্চিত। বিএনপি ক্ষমতায় এলে কৃষক, শ্রমিকসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে, বেকারত্ব দূর হবে।রবিবার (১৬ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৪টায় পৌর দিগরাজ বাজার এলাকায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ কালে ধানের শীষের মনোনয়নপ্রত্যাশী পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র আলহাজ্ব মো. জুলফিকার আলী একথা বলেন।তিনি আরও বলেন, বিএনপি ক্ষায়তায় এলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগর মাধ্যমে শিল্প কল-কারখানা আরও বৃদ্ধি করে এলাকার উন্নয়নে এলাকার মানুষের কর্মসংস্থান এবং জাতীয় অর্থনীতিতে মোংলা বন্দর গুরুত্বপূর্ণ আরও ভূমিকা রাখতে পারবে বলে সেটাকে আমরা আরও যুগোপযোগী করে গড়ে তুলবো। বাগেরহাট-৩ আসনের মানুষ পরিবর্তন চায়, তারা গণতন্ত্র চায়, নিরাপদ জীবন চায়। ধানের শীষ হচ্ছে সেই পরিবর্তনের প্রতীক। আমি বিশ্বাস করি, আপনাদের ভোটে আমরা এই এলাকার উন্নয়ন ফিরিয়ে আনতে পারব।তিনি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষে ভোট দেওয়ার জন্য তিনি জনগণকে আহ্বান জানান।এ সময় উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল মান্নান হাওলাদার, পৌর ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর আব্দুর রাজ্জাক সহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।ভোরের আকাশ/জাআ