নিখিল মানখিন
প্রকাশ : ১৬ অক্টোবর ২০২৫ ০৮:৪৯ পিএম
ছবি- সংগৃহীত
পাসের হার বিবেচনায় দুই দশকের মধ্যে বড় বিপর্যয়ে পড়েছে বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) প্রকাশিত এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল। কমেছে জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের সংখ্যা। রেকর্ড সংখ্যক শিক্ষার্থী ইংরেজীতে ফেল করেছে। শিক্ষাবিদ ও শিক্ষাবোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, ফল বিপর্যয়ের পেছনে বেশ কিছু ফ্যাক্টর রয়েছে। করোনাকালে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের পাঁচ বছর পর পূর্ণ সিলেবাস, পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ের পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা মানিয়ে নিতে পারেনি। ছিল না গ্রেস মার্কস সুবিধা। বছরজুড়ে রাজনৈতিক অস্থিরতায় স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম ও শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতি চরমভাবে ব্যাহত হয়। বিভিন্ন আন্দোলনে সম্পৃক্ত হয়ে পড়েন অসংখ্য শিক্ষার্থী।
২০২০ সালে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। ফলে সে বছর ফরম পূরণ করা সব শিক্ষার্থীকে পাস করিয়ে দেওয়া হয়, যেটিকে অটোপাস বলা হয়ে থাকে। অর্থাৎ, ২০২০ সালে পাসের হার হয় ১০০ শতাংশ। করোনার কারণে এরপর কয়েক বছর কখনো সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে, কখনো চার বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই ২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষা হয়। সে বছর পাসের হার ছিল ৯৫ দশমিক ২৬ শতাংশ, ২০২২ সালে ৮৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ, ২০২৩ সালে ৭৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
সবশেষ ২০২৪ সালে পূর্ণ নম্বর, পূর্ণ সিলেবাস ও পূর্ণ সময়ে ফেরে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা। তবে কয়েকটি পরীক্ষা হওয়ার পর শুরু হয় কোটা সংস্কার আন্দোলন। এতে পরীক্ষা স্থগিত হয়ে যায়। এ আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। সরকার পরিবর্তনের পর আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দাবি করে পরীক্ষা আর না নেওয়ার জন্য শুরু হয় আন্দোলন। তাতে বাধ্য হয়ে অন্তর্বর্তী সরকার বাকি বিষয়গুলোর পরীক্ষা বাতিল করে। ওই বিষয়গুলোর পরীক্ষা না নিয়ে এসএসসির ফলাফল বিবেচনা করে সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ে ফল প্রকাশ করা হয়। বছরজুড়ে, এমনকি পরীক্ষার সময়েও দেশের অস্থির আন্দোলন, মারামারি, খুনাখুনিসহ অরাজক পরিস্থিতি প্রত্যক্ষ করেন ২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা, যাদের ফলাফল বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়েছে।
২০ বছরের তুলনামূলক পাসের হার
গত ২০ বছরের এইচএসসি পরীক্ষার পদ্ধতি ও ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ২০০২ সাল পর্যন্ত ডিভিশন পদ্ধতি অর্থাৎ, প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগ ছিল। ২০০৩ সাল থেকে জিপিএ পদ্ধতিতে ফল প্রকাশ করা হয়, যেখানে পাঁচটি স্কেলে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হয়। নতুন এ পদ্ধতি চালুর পর শিক্ষার্থীদের বুঝে উঠতে কিছুটা সময় লাগে। জিপিএ পদ্ধতি চালুর প্রভাব পড়ে ২০০৩ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলে। সে বছর পাসের হার ছিল ৩৮ দশমিক ৪৩ শতাংশ। ২০০৪ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৪৭ দশমিক ৭৪ শতাংশে। এরপর থেকে পাসের হার ক্রমেই বাড়তে থাকে।
২০০৫ সালে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাস করেছিলেন ৫৯ দশমিক ১৬ শতাংশ শিক্ষার্থী। এছাড়া ২০০৬ সালে পাসের হার ছিল ৬৫ দশমিক ৬৫, ২০০৭ সালে ৬৫ দশমিক ৬০, ২০০৮ সালে ৭৬ দশমিক ১৯, ২০০৯ সালে ৭২ দশমিক ৭৮, ২০১০ সালে ৭৪ দশমিক ২৮, ২০১১ সালে ৭৫ দশমিক ০৮, ২০১২ সালে ৭৮ দশমিক ৬৭, ২০১৩ সালে ৭৪ দশমিক ৩০, ২০১৫ সালে ৬৯ দশমিক ৬০ শতাংশ। এরপর ২০১৬ সালে পাসের হার ছিল ৭৪ দশমিক ৭০ শতাংশ, ২০১৭ সালে ৬৮ দশমিক ৯২ শতাংশ, ২০১৮ সালে ৬৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ, ২০১৯ সালে ছিল ৭৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ।
বিপর্যয়ের ক্যাটাগরি
এবারের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলে ধস দেখা দিয়েছে। বিগত ২০ বছরের মধ্যে এবার পাসের হার সর্বনিম্ন। ফেল করেছেন পাঁচ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী। আবার জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যাও ব্যাপক হারে কমেছে। ভয়াবহ এ ফল বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ ছিল ইংরেজিতে ফেল হওয়ার রেকর্ড। এবার অধিকাংশ শিক্ষা বোর্ডে ইংরেজিতে পাসের হার ৬০ শতাংশের মধ্যে। শুধু ঢাকা ও বরিশাল বোর্ডের শিক্ষার্থীদের ইংরেজিতে পাসের হার ৭০ শতাংশের ঘরে।
প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, এবছর গড় পাসের হার ৫৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ, অর্থাৎ ফেল করেছেন ৪১ দশমিক ১৭ শতাংশ। মোট জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৯৭ জন শিক্ষার্থী। দেশের ২০২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কেউ পাস করেনি। অর্থাৎ এসব প্রতিষ্ঠান থেকে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের পাসের হার শূন্য। গত বছর শতভাগ ফেল করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ৬৫টি।
সরকারের প্রতিনিধিদের ভাষ্য: চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল কেন খারাপ হলো তা পর্যালোচনা করে খুঁজে বের করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমনটা জানান তিনি।
ড. আবরার জানান, এ বছর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল অনেককেই বিস্মিত করেছে। পাশের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় কম। এর উত্তর জটিল নয় অস্বস্তিকর।
তিনি বলেন, দেশের শিক্ষার মূল সংকট প্রাথমিক স্তর থেকেই শুরু হয়। সেই ঘাটতি বছরের পর বছর জমা হয়। দীর্ঘদিন আমরা সেই বাস্তবতার মুখোমুখি হইনি। আমরা এমন এক সংস্কৃতি গড়ে তুলেছি যেখানে সংখ্যাই সত্য হয়ে উঠেছে। পাশের হার সেখানে সাফল্যের প্রতীক আর জিপিএ-৫ এর সংখ্যা তৃপ্তির মানদণ্ড।
তিনি আরও বলেন, ‘ভালো’ ফলাফল দেখাতে গিয়ে আমরা অজান্তেই শেখার প্রকৃত সংকট আড়াল করেছি। সেই সংস্কৃতির পরিবর্তন চাই। আমি চাই, শিক্ষা ব্যবস্থা আবারও বাস্তবতাকে প্রতিফলিত করুক।
বৃহস্পতিবার আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল কবির বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা পড়ালেখার ব্যাপারে অনেকটাই বিমুখ। তারা অনেকটাই পড়ার টেবিল থেকে দূরে ছিলো বলে আমাদের ধারণা।’
অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল কবির বলেন, ‘ইংরেজিতে শিক্ষার্থীরা খারাপ করেছে। বিশেষ করে যশোর বোর্ডে ইংরেজিতে সবচেয়ে বেশি ফেল করেছে। সেখানে ইংরেজিতে ফেলের হার ৪৫ শতাংশের বেশি। ঢাকা ও বরিশাল ইংরেজিতে কিছুটা ভালো করলেও অন্য বোর্ডগুলোতে খারাপ করায় গড় ফলাফলে পিছিয়ে গিয়েছি আমরা।’
তিনি বলেন, ‘এবার আমরা স্বাভাবিক পরীক্ষার ধারায় ফিরেছি। পূর্ণ সিলেবাস, পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ের ওপর পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। এতে হয়তো শিক্ষার্থীরা মানিয়ে নিতে পারেনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেখুন, আমরা কিন্তু চাই না একজন পরীক্ষার্থীও ফেল করুক। তবে শিক্ষার মান যে তলানিতে নেমেছে; অতিরঞ্জিত যে ফলাফল বিগত বছরগুলোতে দেখানো হয়েছিল, তাতে ক্ষতি হয়ে গেছে। সেখান থেকে ফিরে আসতে তো হবে। এটা করতে গেলে কোথাও না কোথাও আপনাকে থামতেই হবে।’
যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর আব্দুল মতিন বলেছেন, জুলাই আন্দোলনের কারণে শিক্ষার্থীদের কিছুটা ঘাটতি ছিল। পাশাপাশি এবার শিক্ষার্থীদের খাতার যথার্থ মূল্যায়ন হয়েছে। আমরা অসুস্থ প্রতিযোগিতা থেকে বেড়িয়ে আসার কারণে পাসের হার কমেছে।
বিশেষজ্ঞদের বিশ্লেষণ
পরীক্ষার ফলাফল পর্যালোচনা করতে গিয়ে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও গণসাক্ষরতা অভিযানের প্রধান নির্বাহী রাশেদা কে চৌধূরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘স্বাভাবিক ধারায় পরীক্ষা ফিরলেও স্বাভাবিক প্রস্তুতি কেন শিক্ষার্থীদের নেওয়া সম্ভব হয়নি, সেই প্রশ্নের উত্তরও খুঁজতে হবে। আমি পরীক্ষার সিলেবাস, প্রশ্নপত্র, নম্বর দেওয়ার ধরন আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিচ্ছি, তাহলে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে পাঠদানের ধরনেও তো সেই স্বাভাবিক ধারা আনতে হবে। আমার কেন যেন মনে হচ্ছে, সেটা করা হয়নি। সেখানে গলদ রয়েছে।’
সাবেক রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ও সরকারি আজিজুল হক কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. দীপকেন্দ্র নাথ দাস বলেন, এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় এবার ভয়াবহ ফল বিপর্যয় ঘটেছে। তবে এর কারণ সাম্প্রতিক এক-দুই বছরের সিদ্ধান্ত বা পরিস্থিতি নয়। দীর্ঘমেয়াদে দেশের শিক্ষা বোর্ডগুলোতে রাজনৈতিক বিবেচনায় অযোগ্য ব্যক্তিদের পদায়ন করা হয়। তারা সঠিক পলিসি বা নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না। এ কারণে এসএসসি ও এইচএসসির মতো পাবলিক পরীক্ষায় ফল বিপর্যয় ঘটছে। সামনে এ পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে মনে করেন।
তিনি বলেন, গত দুই বছর আন্দোলন-সংগ্রামসহ নানা কিছুর প্রভাব পড়েছে শিক্ষায়। যেটার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে এসএসসি ও এইচএসসির ফলাফলে। বর্তমানে বেসরকারি স্কুল-কলেজের শিক্ষকরা ক্লাস ঠিকমতো নেন না। সরকারি কলেজেও চলছে স্বেচ্ছাচারিতা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. সিদ্দিকুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, আগের সময়ে সম্ভবত খাতা মূল্যায়নের ক্ষেত্রে কিছুটা নমনীয় নির্দেশনা ছিল, যার ফলে ভালো ফলাফল দেখা গিয়েছিল। তেমন নির্দেশনা থাকলে তা জাতির জন্য ক্ষতিকর ছিল। আগে অনেকেই ৩০ বা ৩১ নম্বর পেলে বিশেষ বিবেচনায় পাশ করিয়ে দেওয়ার রীতি ছিল, ফলে পাশের হার বেশি হতো। এখন যে ফলাফল এসেছে, সেটাই বাস্তব ফল। তবে পাশের হারে এত বড় পার্থক্যের কারণ নিয়ে গবেষণা করা জরুরি।
রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক দীপক দাস বলেন, গত দুই বছরের আন্দোলন-সংগ্রামসহ নানা ঘটনার প্রভাব পড়েছে শিক্ষায়। তার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে এইচএসসির ফলাফলে। এছাড়া বর্তমানে বেসরকারি স্কুল-কলেজের শিক্ষকরা ঠিকভাবে ক্লাস নেন না, আর সরকারি কলেজে স্বেচ্ছাচারিতার কারণে পড়াশোনার মান কমে গেছে। এসবের সামগ্রিক প্রভাব পড়েছে এইচএসসির ফলাফলে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের বক্তব্য
এ বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলে পাসের হার কমলেও প্রকৃত মেধার মূল্যায়ন হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মাজেদা বেগম। বৃহস্পতিবার এইচএসসির ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, সরকার এ বছর চেয়েছে, যেন মেধার মূল্যায়ন হয়। তাই প্রশ্ন ও খাতা দেখার ধারা পরিবর্তন করা হয়েছে। যার ফলে সামগ্রিক ফলাফল খারাপ হলেও প্রকৃত মেধার মূল্যায়ন হয়েছে। প্রশ্নের ধরন বুঝতে একটু সমস্যা হয়েছে। তবে, আগে থেকে জানালে শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতি নিতে আরও সহজ হতো। এ সময় ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ফলাফল সন্তোষজনক হওয়ায় আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানান তিনি।
ফলাফল নিয়ে খুশি বলে জানিয়েছেন নটরডেম কলেজের অধ্যক্ষ ড. ফাদার হেমন্ত পিউস রোজারিও। তিনি বলেন, ‘আমাদের রেজাল্ট অন্যান্য বছরের মতো এবারও বেশ ভালো হয়েছে। এবার পাসের হার কম, এর প্রভাব কমবেশি সব কলেজেই পড়বে। আমাদের কলেজে খুব কম সংখ্যক শিক্ষার্থী ফেল করেছে। আমাদের কলেজের আট জন শিক্ষার্থী অসুস্থতাসহ বিভিন্ন কারণে পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিল।’
ভোরের আকাশ/এসএইচ