পিরোজপুরে গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের জন্য জামায়াতের দোয়া অনুষ্ঠান
পিরোজপুরে জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ আহত ও পঙ্গুত্ব বরণকারীদের জন্য বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী পিরোজপুর জেলা শাখার আয়োজনে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১ জুলাই) বিকেলে জামায়াতে ইসলামীর জেলা কার্যালয়ে এ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
দোয়া মাহফিলে বক্তব্য রাখেন, জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর অধ্যক্ষ তাফাজ্জল হোসাইন ফরিদ, নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুর রব, জেলা সেক্রেটারি জহিরুল হক, জেলা সহকারী সেক্রেটারি শেখ আব্দুর রাজ্জাক, সদর উপজেলা আমির মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ।
আয়োজন শেষে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত, আহতদের সুস্থতা ও দেশের কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
ভোরের আকাশ/আজাসা
সংশ্লিষ্ট
গাইবান্ধায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রা থেকে এক পকেটমারকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১ জুলাই) বিকেলে পৌরপার্ক থেকে ওই যুবককে আটক করা হয়।পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, পৌরপার্কে পদযাত্রার সময় এনসিপির কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব আখতার হোসেনের সঙ্গে হেঁটে যাচ্ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গাইবান্ধার সংগঠক অতনু সাহা। ভিড়ের মধ্যে এসময় তার পকেট থেকে মোবাইল বের করে নেয় ওই পকেটমার। পরে পথচারীদের সহায়তায় তাকে আটক করে মোবাইলটি উদ্ধার করে ওই পকেটমারকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।ঘটনাস্থলে উপস্থিত গাইবান্ধা সদর থানার এসআই শাহীন বলেন, ওই পকেটমারকে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের পর পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম জুলাই আন্দোলনে হত্যাকাণ্ডের বিচার, সংস্কার ও নতুন সংবিধানের দাবি পুনরায় জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘একটি নতুন বাংলাদেশ গড়তে হলে আমাদের অবশ্যই বিচার, সংস্কার এবং গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সংবিধানের দিকে যেতে হবে।’জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মঙ্গলবার (১ জুলাই) থেকে এনসিপির আয়োজনে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রংপুরের পীরগঞ্জের বাবনপুর জাফরপাড়া গ্রামে শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারতের মাধ্যমে এ কর্মসূচি শুরু হয়। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্য সচিব আখতার হোসেন।জুলাই ঘোষণাপত্র ও জুলাই সনদ নিয়ে টালবাহানা শুরু হয়েছে মন্তব্য করে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘স্পষ্টভাবে আমরা হুঁশিয়ারি দিতে চাই, যদি সরকার বা অন্য কেউ মনে করে থাকেন হাজারো, লক্ষ মানুষ যারা রাজপথে নেমেছিলেন, তারা ঘরে ফিরে গেছেন, তাহলে আপনারা ভুল ভাবছেন। আমরা আবু সাঈদের কবর থেকে ঘোষণা করছি, আমরা বাংলার প্রতিটি পথে-প্রান্তরে যাব। আমরা বাংলার ছাত্র, জনতা, তরুণদের আবারও রাজপথে নেমে আসার আহ্বান জানাব।’জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বিচার এখনো সম্পন্ন না হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেন নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমাদের মধ্যে হতাশা রয়েছে। আমরা এখনো বিচারসম্পন্ন দেখতে পাইনি। আমাদের যে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ, আমাদের যে সংস্কার সেটিও সম্পূর্ণরূপে দেখতে পাইনি।’তিনি বলেন, ‘অনেকে মনে করেন, এটা সরকার পতনের আন্দোলন ছিল কেবল। আমরা মনে করি, এটা কেবল সরকার পতনের আন্দোলন ছিল না। এটি ছিল নতুন বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠার আন্দোলন। একটি দল পরিবর্তন বা ক্ষমতার হস্তান্তরের জন্যই গণ-অভ্যুত্থান ঘটেনি। গণ-অভ্যুত্থান ঘটেছিল গণতান্ত্রিক-বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠার জন্য।’আবু সাঈদ ও সব শহীদকে স্মরণবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের বন্দুকের সামনে বুক চিতিয়ে দেওয়া বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ অনুপ্রেরণা ছিলেন বলে মন্তব্য করেন এই প্ল্যাটফর্মটির তৎকালীন সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আবু সাঈদ, ওয়াসিম, মুগ্ধসহ সব শহীদ ও আহত ব্যক্তিদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। শহীদ আবু সাঈদের বাবা, মা ও পরিবারের সঙ্গে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা।রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার জাফরপাড়া এলাকায়নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘১৬ জুলাই শহীদ আবু সাঈদের মৃত্যুর ঘটনা যখন আমরা শুনতে পেয়েছিলাম শহীদ মিনার থেকে, বাংলাদেশ তখন শোকে কেঁপে উঠেছিল। ১৬ জুলাইয়ের পর থেকে এ আন্দোলন অন্য দিকে মোড় নেয়। লাখ লাখ তরুণ ছাত্ররা রাজপথে নেমে আসেন এবং সরকারের বিরুদ্ধে দাঁড়ান। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে তাদের যে প্রতিবাদ, যে নতুন বন্দোবস্তের আকাক্সক্ষা, তা ঘোষণা করেন।’‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি নিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা স্বৈরাচারী ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন ঘটিয়েছি। আমরা তার ব্যবস্থার বিলোপ চেয়েছি। একটি নতুন দেশ গড়ার জন্য যে উদ্যম দরকার, রাষ্ট্রগঠনের জন্য আমাদের কাজ করা দরকার, সেই রাষ্ট্র গঠনের জন্যই মূলত এই জুলাই পদযাত্রা। যেখানে আমরা ৬৪ জেলার মানুষের সঙ্গে কথা বলব, তাদের কথা শুনব। যারা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে প্রাণ দিয়েছেন, তাদের সেই স্বপ্ন, সেই আকাক্সক্ষা আমরা তাদের কাছে তুলে ধরব।’এনসিপির আহ্বায়ক ঘোষণা দেন, ৬৪ জেলায় পদযাত্রা শেষে ৩ আগস্ট ছাত্র, কৃষক, শ্রমিকদের নিয়ে ঢাকায় সমাবেশ করা হবে। ওই সমাবেশ থেকে তারা জুলাই ঘোষণাপত্র ও জুলাই সনদ আদায় করে ছাড়বেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, যারা গণহত্যা সংঘটিত করেছে এবং বাংলাদেশের ওপর মানবতাবিরোধী অপরাধ চাপিয়ে দিয়েছে তাদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। বাংলাদেশের পুরোনো যে সংবিধান এই মুজিববাদী সংবিধান ফেলে দিয়ে নতুন এক সংবিধান প্রণয়ন করতে গণপরিষদ নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে। এনসিপির নেতারা শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারত শেষে তার বাড়িতে যান। সেখানে আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন, মা মনোয়ারা বেগম, বড় ভাই আবু হোসেনসহ স্বজনদের সঙ্গে তারা কথা বলেন।এ সময় আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন ও মা মনোয়ারা বেগম এনসিপি নেতাদের কাছে তাদের ছেলে হত্যার দ্রুত বিচার ও শহীদ আবু সাঈদ দিবস পালন নিয়ে কথা বলেন। এ সময় এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেন আবু সাঈদের মা মনোয়ারা বেগমের সঙ্গে একান্তে কথা বলেন।আবু সাঈদের বড় ভাই আবু হোসেন বলেন, ‘সরকার ১৬ জুলাই আবু সাঈদ দিবস ঘোষণা করেছে। পরে আবার সেটিকে শহীদ দিবস করেছে। আমরা চাই, ১৬ জুলাই আবু সাঈদ দিবস হিসেবে পালন হোক; আর অন্য কোনো দিন শহীদ দিবস হিসেবে পালন করা হোক। এ বিষয়টি আমরা এনসিপি নেতাদেরও বলেছি।’এদিকে, জাতীয় নাগরিক পার্টির ৬৪ জেলা পদযাত্রার প্রথম দিন রংপুরের পীরগঞ্জে শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারত ও শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে গাইবান্ধায় পথসভা ও পদযাত্রা করে এনসিপি।বেলা তিনটায় রংপুরের পার্কের মোড়, লালবাগ, শাপলা চত্বর, জাহাজ কোম্পানির মোড়ে পদযাত্রা করে টাউন হলে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া সন্ধ্যা সাতটায় রংপুরের কাউনিয়ায় পথসভা ছিল।এসব কর্মসূচিতে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্যসচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীর উদ্দীন পাটওয়ারী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা প্রমুখ অংশ ছিলেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারির অভিযোগে মো. রমাজান মিয়া ওরফে ‘বলদা রমজান’ (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে যৌথবাহিনী। মঙ্গলবার (১ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে আশুগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে বিভিন্ন আন্তঃনগর ট্রেনের ১০টি টিকিট উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার রমজান উপজেলার চরচারতলা গ্রামের সাত্তার মিয়ার ছেলে। ইউটিউব কমেডি ভিডিওতে অভিনয়ের সুবাদে তিনি ‘বলদা রমজান’ নামে এলাকায় পরিচিত। একটি সূত্র জানায়, রমজান দীর্ঘদিন ধরে রেলস্টেশনে টিকিট কালোবাজারির সাথে জড়িত ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ধরা পড়েন তিনি। আশুগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মোস্তফা কামাল রেজা জানান, রমজানের বিরুদ্ধে টিকিট কালোবাজারির দায়ে থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। বলদা রমজান কৌতুক অভিনয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি শ্রেণীর মানুষের কাছে বেশ পরিচিত।ভোরের আকাশ/আজাসা
জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, জুলাই ঘোষণাপত্র ও জুলাই সনদ নিয়ে টালবাহানা শুরু করেছে সরকার। আমরা স্পষ্টভাবে হুশিয়ারী দিতে চাই, যদি সরকার বা অন্য কেউ মনে করে থাকেন জুলাই আন্দোলনে যারা রাজপথে নেমে এসেছিল তারা ঘরে ফিরে গিয়েছে, তাহলে আপনারা ভুল ভাবছেন। আবু সাঈদের কবর থেকে ঘোষণা করছি বাংলার প্রতিটি পথে-প্রান্তে গিয়ে চাত্র-জনতা, তরুণ-শ্রমিকদের আবারও রাজপথে নেমে আসার আহ্বান জানাবো। আগামী ৩ আগস্ট ঢাকায় জনতা-শ্রমিকদের নিয়ে জুলাই ঘোষণাপত্রের জন্য আবারও আন্দোলন করা হবে। মঙ্গলবার (১ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় রংপুরের পীরগঞ্জের মদনখালী ইউনিয়নের জাফরপাড়া বাবনপুর গ্রামে এসে শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারত শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।নাহিদ ইসলাম বলেন, জুলাই অভ্যুত্থান একটি দল পরিবর্তন কিংবা ক্ষমতার হস্তান্তরের জন্য ঘটেনি। অভ্যুত্থান ঘটেছিল একটি গণতান্ত্রিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠার জন্য। আমরা অনেকে মনে করি জুলাই আন্দোলন ছিল সরকার পতনের আন্দোলন। আমাদের মাঝেও কিছু হতাশা রয়েছে, কারণ আমরা এখনো সম্পূর্ণ বিচার দেখতে পারিনি। বৈষম্যহীন বাংলাদেশে যে সংস্কার হওয়ার কথা তা সম্পূর্ণরূপে আমরা দেখতে পারিনি। তিনি বলেন, বিচার, সংস্কার ও নতুন সংবিধানের যে তিনটি দাবী রয়েছে তা আবু সাঈদের কবরের পাশ থেকে পুনঃব্যক্ত করছি। এনসিপি’র সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, দেশ গড়তে বিচার, সংস্কার ও নতুন সংবিধানের দাবিতে জুলাই পদযাত্রার অনুষ্ঠানিক সূচনা জুলাইয়ের প্রথম শহীদ বীর যোদ্ধা শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে আমরা শুরু করছি। হাজার মানুষের জীবন ও রক্তের বিনিময়ে নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। সে নতুন বাংলাদেশ গড়তে পুরনো কাঠামো ভেঙে নতুন বন্দোবস্তের জন্য মৌলিক সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হবে। তিনি বলেন, যারা গণহত্যা সংগঠিত করেছে, বাংলাদেশের উপর মানবতা বিরোধী অপরাধ চাপিয়ে দিয়েছে তাদেরকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। একই সাথে বাংলাদেশের পুরনো মুজিব বাদী সংবিধান ফেলে দিয়ে নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে গণপরিষদ নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে। এর সবকিছুর মধ্যে দিয়ে নতুন বাংলাদেশ পুনর্গঠিত হবে। তিনি আরও বলেন, আবু সাঈদের কবর এমন এক জায়গা যেখানে আমরা দ্রোহের শক্তি পাই। আবু সাঈদের কবর এমন এক জায়গা যেখান থেকে গোটা বাংলাদেশকে আমরা বিনির্মাণ করার শক্তি পাই। সেই আবু সাঈদের কবরের পাশে এসে আমরা দাঁড়িয়েছি। আবু সাঈদের কবরের মাটি ছুঁয়ে আজ আমরা শপথ করছি, যতদিন পর্যন্ত না নতুন বন্দোবস্ত ও মৌলিক সংস্কারের ভিত্তিতে নতুন বাংলাদেশ, বৈষম্য বিরোধী বাংলাদেশ গঠিত হবে, বাংলাদেশে সামাজিক ন্যায় বিচার, সাম্য ও মানবিক মর্যাদা পুণঃপ্রতিষ্ঠিত হবে ততদিন পর্যন্ত ছাত্র জনতার নেতৃত্বে জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপি’র এ সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব ডাঃ তাসনিম জারা, উত্তরাঞ্চলের মূখ্য সংগঠক সারজিস আলম, দক্ষিণাঞ্চলের মূখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, মূখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দীন পাটোয়ারীসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা। কবর জিয়ারত শেষে তারা আবু সাঈদের পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেন। এ সময় আবু সাঈদের মা মনোয়ারা বেগম নাহিদ ইসলামের মাথায় হাত বুলিয়ে দোয়া করেন। এরপর গাইবান্ধায় পথসভা ও পদযাত্রা করে জাতীয় নাগরিক পার্টি। ৬টায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে শহীদ আবু সাঈদ চত্ত্বরে এনসিপি’র কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা আসেন। সেখানে জুলাই আন্দোলনের শ্লোগান দেন তারা। এরপর পদযাত্রাটি নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে টাউন হলের সামনে শেষ হয়। সেখানে পথসভা করেন জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতারা। ভোরের আকাশ/আজাসা