ঐতিহ্যবাহী পাকেরহাটে কোরবানির পশু বেচাকেনা জমে উঠেছে
আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে খানসামা উপজেলার সর্ববৃহৎ ঐতিহ্যবাহী পাকেরহাটে কোরবানির পশু বিক্রি জমে উঠেছে ।ঈদুল আযহা উপলক্ষে বিপুল পরিমাণে গরু,ছাগল ও ভেড়া বিক্রির জন্য নিয়ে আসা হয়েছে ঐই হাটে ।
খানসামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুজ্জামান সরকার সরেজমিনে পাকেরহাটে ঘুরে দেখেন।মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ঈদ উল আযহার আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। ঈদকে সামনে রেখে জমজমাট হয়ে উঠেছে পাকেরহাটের এই পশুর হাট। ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপস্থিতিতে চলছে ব্যাপক কেনা-বেচা।প্রতি সপ্তাহের শনি ও মঙ্গলবার পাকেরহাটে পশু বিক্রি হয়।বছর জুরে সপ্তাহের এই দুই দিন বড় পরিসরে পশুর হাট বসে । কোরবানির ঈদকে ঘিরে প্রতি বছরের মতো এ বছরেও জমজমাট হয়ে উঠেছে সর্ববৃহৎ এই পশুর হাট ।
হাটের শৃঙ্খলা বজায় রাখার বিষয়ে হাট ইজারাদারের সাথে কথা হলে তিনি জানান, হাটের শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য সব ধরণের ব্যাবস্থা গ্রহন করা হয়েছে ।হাটে যেন কেউ প্রতারনার শীকার না হয় সে ব্যাপারে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়কেই সর্তক করা হচ্ছে।
ভোরের আকাশ/আজাসা
সংশ্লিষ্ট
নাটোরে চাকা ফেটে বিকল হওয়া পিকআপে নতুন চাকা লাগানোর সময় পেছন থেকে আরেকটি পিকআপের ধাক্কায় এক চালক ও এক আম ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ওসি মাহবুর রহমান।সোমবার (২ জুন) রাত সাড়ে ১১টার দিকে শহরের চকবৈদ্যনাথ এলাকায় এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।নিহত আম ব্যবসায়ী আব্দুল মজিদ (৭০) পাবনা জেলার বেড়া উপজেলার বাসিন্দা ও পিকআপ চালক রনি (৩৫) একই এলাকার বাসিন্দা।এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, আব্দুল মজিদ চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাট থেকে আম কিনে পিকআপে পাবনার বেড়ায় যাচ্ছিলেন। পথে রাত সাড়ে ১১টার দিকে নাটোর শহরে চকবৈদ্যনাথ এলাকায় পিকআপের টায়ার ফেটে যায়। চালক রনি ও আম ব্যবসায়ী আব্দুল মজিদ পিকআপটির পেছনে বেঁধে রাখা অতিরিক্ত চাকা খুলতে পেছনে আসেন। এ সময় পেছন থেকে আরেকটি পিকআপ তাদের ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হন। নাটোর ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার এনায়েতুল হক বলেন, দুজনের মরদেহ নাটোর জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে নিহত দুজনের বাড়ি পাবনার বেড়ায় বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। অজ্ঞাত পিকআপটির সন্ধ্যানসহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।ভোরের আকাশ/আজাসা
ময়মনসিংহের নান্দাইলে মো. সুজন মিয়া (২৮) নামে এক কৃষককে হত্যার পর মরদেহ আম গাছে ঝুলিয়ে রেখেছে দুর্বৃত্তরা। রক্তাক্ত অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।সোমবার (২ জুন) দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার খারুয়া ইউনিয়নের চর মহেশকুর গ্রামে আশ্রয়ণ প্রকল্পের পাশ থেকে সুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।জানা গেছে, নিহত মো. সুজন মিয়া কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার চর জামাইল গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে। তিনি কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।বিষয়টি নিশ্চিত করেন নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, রোববার রাতের কোনো এক সময় সুজন মিয়াকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়। এরপর হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মরদেহটি চর মহেশকুর গ্রামে আশ্রয়ণ প্রকল্পের পাশে নিয়ে এসে আম গাছের ডালে ঝুলিয়ে রাখা হয়।সোমবার বেলা ১১টার দিকে মরদেহটি দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে দুপুর দেড়টার দিকে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।ওসি আরও বলেন, নিহত সুজন মিয়ার মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার মরদেহ রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যার রহস্য উদঘাটনে তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা প্রক্রিয়াধীন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
যশোরের চৌগাছায় তুচ্ছ বিষয় নিয়ে আপন বড় ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন শিহাব হোসেন (২১) নামে এক তরুণ।সোমবার (২ জুন) দুপুরে উপজেলার ধুলিয়ানী ইউনিয়নের শাহাজাদপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।নিহত শিহাব কাতারপ্রবাসী মহিদুল ইসলামের মেজো ছেলে। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত বড় ভাই সুমন হোসেন (২৫) পলাতক রয়েছে।পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, তিন ভাইয়ের মধ্যে শিহাব ছিলেন মেজো। সোমবার দুপুরে পার্শ্ববর্তী এক বাড়িতে দাওয়াতে যাওয়ার জন্য বড় ভাই সুমনের সাইকেল নিয়ে যান তিনি। দাওয়াত শেষ করে বাড়ি ফেরার পর সাইকেল ব্যবহার করা নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়।একপর্যায়ে উত্তেজিত সুমন কোমর থেকে ছুরি বের করে শিহাবের পিঠে আঘাত করেন।শিহাবের মা তারা বেগম বলেন, বাইসাইকেল নিয়ে ওদের মধ্যে ঝগড়া হচ্ছিল, দূর থেকেই টের পেয়েছিলাম। কথাগুলো বলতে বলতেই তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।নিহতের মামা শুকুর আলী বলেন, ঘটনার সময় বাড়ির উঠানে ছিলাম। হঠাৎ চিৎকার শুনে দৌড়ে গিয়ে দেখি শিহাব রক্তে ভেসে যাচ্ছে। তখন সে আমাকে বলল, ‘মামা, আমাকে হাসপাতালে নিয়ে চলো, নাহলে আমি বাঁচব না।’ দ্রুত স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই।চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আনোয়ারুল আবেদীন প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে শিহাবকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, নিহতের পিঠের বামদিকে ছুরির গভীর আঘাত ছিল, যা প্রাণঘাতী হয়ে দাঁড়ায়।ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, এ ঘটনায় অভিযুক্ত সুমন পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।এ ঘটনায় আইনগত প্রক্রিয়া প্রাথমিকভাবে শুরু হয়েছে, ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।ভোরের আকাশ/জাআ
ময়মনসিংহের নান্দাইলে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় করে গাঁজা পরিবহনের সময় দুই মাদক কারবারিকে আটক করা হয়েছে।সোমবার (২ জুন) দুপুরে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের নান্দাইল মুশল্লী বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাদেরকে গাঁজাসহ আটক করা হয়।আটককৃতরা হলেন-অটোরিকশা চালক তফাজ্জল হোসেন (৩২) ও যাত্রী হৃদয় মিয়া (৩০)।ভৈরব উপজেলার শিমুললাটিয়া ইউনিয়নের কান্দাপাড়া গ্রামের রইছ উদ্দিনের ছেলে তফাজ্জল ও একই গ্রামের বিল্লাল হোসেনের ছেলে হৃদয় মিয়া।ময়মনসিংহ মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ইন্সপেক্টর আমিনুল কবির জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে ভৈরব থেকে অটোরিকশায় করে গাঁজা বহন করে নান্দাইলের দিকে আসছে দু-জন। সকাল থেকেই অবস্থান করেন নান্দাইল উপজেলার মুশলী বাস স্ট্যান্ডে এলাকায়। এসময় দ্রুত বেগে আসা আটোরিকশাটি থামিয়ে আটকে দেওয়া হয় চালক ও যাত্রীকে।পরে তল্লাশি চালিয়ে চালক ও যাত্রীর আসনের নিচ থেকে কস্টেপ পেঁচানো অবস্থায় ১৪ প্যাকেট গাঁজা উদ্ধার করা হয়। যার পরিমাণ ২২ কেজি।মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আনোয়ার হোসেন জানান, মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত অটোরিকশাটি জব্দ করা হয়। আটকদের বিরুদ্ধে থানায় মাদক আইনে মামলার দেওয়া হবে।ভোরের আকাশ/জাআ