চট্টগ্রামে ১ দিনেই করোনাভাইরাস আক্রান্ত ৯ জন
চট্টগ্রাম নগরীতে বাড়ছে করোনাভাইরাসের প্রকোপ। প্রতিদিন বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। এবার একদিনেই আক্রান্ত হলেন ৯ জন। এ নিয়ে মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ জনে।
এর আগে গত ৬ দিনে করোনা আক্রান্ত হয়েছিল ৯ জন। তবে করোনা আক্রান্ত কারো মৃত্যু হয়নি।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫০টি নমুনা পরীক্ষায় ৯ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
রোববার (১৫ জুন) দুপুরে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদন এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনের তথ্যে জানা যায় , চট্টগ্রাম জেলার ১৫টি ল্যাবের তিনটিতে ১৫০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালে ২৪টি নমুনা পরীক্ষায় ১ জন, এপিক হেলথ কেয়ারে ৪৯টি নমুনা পরীক্ষায় ৪ জন, পার্কভিউ হাসপাতালে ৫৯টি নমুনা পরীক্ষায় ২জন এবং এভারকেয়ার হাসপাতালে ১৮টি নমুনা পরীক্ষায় ২ জনের করোনা শনাক্ত হয়।
এদিকে আক্রান্ত ৯ জনের মধ্যে দুজন উপজেলা এবং ৮ জন নগরীর বাসিন্দা। এছাড়া মোট ১৮ আক্রান্তের মধ্যে ১৫ জন নগরীর ও ৩ জন উপজেলার বাসিন্দা।
অন্যদিকে করোনা সংক্রমণ রোধে মাস্ক পড়াসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। এছাড়া করোনা মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
ভোরের আকাশ/আজাসা
সংশ্লিষ্ট
তারুণ্যের ছোঁয়ায় বদলে যাক বাংলাদেশ- এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে গাইবান্ধায় বৃক্ষরোপণ অভিযান ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে।বুধবার (৩০ জুলাই) বিকালে সদর উপজেলার বল্লমঝাড় ইউনিয়নের উত্তর ধানঘড়া এলাকায় দুই দিন ব্যাপি এ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে।ইউথ ফর বাংলাদেশ গাইবান্ধা সদর উপজেলা শাখার আয়োজনে উত্তর ধানঘড়া-বল্লমঝাড় রোড়ে এক কিলোমিটার এলাকায় কৃষ্ণচূড়া গাছ রোপণ করা হয়।এসময় উপস্থিত ছিলেন রাকিব মিয়া, মনির হোসেন, রিদয় মিয়া, রোকন হাসান, মিথুন মিয়া, ছকু মিয়া, শান্তসহ প্রমুখ।ভোরের আকাশ/জাআ
সাপ ধরতে গিয়ে সাপের ছোবলে প্রাণ গেল এক সাপুড়ের। সাপুড়ের প্রাণনাশী সেই সাপটিকে আবার কাচা চিবিয়ে খেয়ে নিলো আরেক সাপুড়ে। এরকম চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার বল্লভের খাষ ইউনিয়নে। বুধবার (৩০ জুলাই) সকালে বল্লভের খাষ ইউনিয়নের ডাক্তার পাড়ার সাপুড়ে বয়েজ উদ্দিন পাশের ইউনিয়ন কালিগঞ্জের কাপালিপাড়ার ইমরান আলীর বাড়িতে সাপ ধরতে যান। ইমরান আলীর বাড়ির পাকের ঘরে একটি ইদুরের গর্তে বাসা বাধে একটি কিং কোবরা সাপ। সাথে ছিলো ১৫-১৬টি সাপের বাচ্চাও। খাল খুড়ে সাপের বাচ্চাগুলো ধরার পর বড় সাপটি ধরে ফেলেন সাপুড়ে বয়েজ উদ্দিন। সাপটি বস্তায় ঢোকানের আগেই হাতে ছোবল দেয় সেটি। প্রথম দিকে সাপের বিষে কিছু না হলেও বাড়িতে এসে বিষক্রিয়ায় নিস্তেজ হতে থাকেন তিনি। দ্রুত ভূরুঙ্গামারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন চিকিৎসক। মরদেহ বাড়িতে আনার পর একে একে আসতে থাকে কয়েকজন ওঝা ও সাপুড়ে। তারাও এসে বলেন, রুগি মারা গেছেন। মোজাহার নামক একজন ওঝা বড় সাপসহ বাচ্চাগুলো নিয়ে নেন। পরে গাবতলা বাজারে এসে বড় সাপটি কাচায় চিবিয়ে খান তিনি।এসময় গাবতলা বাজারে তার সাপ খাওয়ার দৃশ্য দেখতে প্রচুর লোক ভির জমান। মোজাহারের বাড়ি ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের বলদিয়া বাজার এলাকায়। এলাকায় মোজাহার সাপ খাওয়া মোজাহার নামে পরিচিত। তিনিও সাপ ধরেন ও সাপে কাটা রোগীর চিকিৎসা দিয়ে থাকেন।মোজাহার জানান, বয়েজ উদ্দিনকে হাসপাতালে নেয়ার আগে তিনি খবর পান এবং সাপের পরিচয় পাওয়ার পর বলেছেন তিনি বাঁচবেন না। হাসপাতাল থেকে তাকে ফেরত আনার পর মোজাহারকে ফোনে ডেকে আনেন বয়েজ উদ্দিনের স্বজন। এখানে এসে তিনি মারা গেছেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। পরে বয়েজ উদ্দিনের ধরা সাপের বচ্চাসহ বড় সাপটি তারা আমাকে দেন। এগুলো নিয়ে এসে এই বাজারে বড় সাপটি মেরে রক্ত মাংস খাই। আর ছোট বাচ্চাগুলো ছেড়ে দিবো। তিনি আরোও জানান, কাচা সাপ খাওয়া তার পুরোনো অভ্যাস।এদিকে চিকিৎসক মৃত্যু ঘোষণা করার পরও বয়েজ উদ্দিন বেচে আছে সন্দেহে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঝাঁড়ফুক চলছে বলে জানা যায়।এ বিষয়ে ভূরুঙ্গামারী স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এস.এম.আবু সায়েম জানান, সাপে কাটলে ঝাড়ফুকে কোন কাজ হওয়ার কথা না। সাপে কাটার সাথে সাথে হাসপাতালে আনতে হবে। আমাদের কাছে এন্টি ভেনম মজুদ আছে। লোকজনকে আরোও সচেতন হতে হবে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে সাপের উপদ্রপ বেশী। সাপে কাটলে সাথে সাথে হাসপাতালে আনতে হবে।ভোরের আকাশ/জাআ
যথাযোগ্য মর্যাদায় গণঅভ্যুত্থানের ৫ ও ৬ আগষ্ট যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে গাজীপুর জেলা বিএনপির প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।বুধবার বিকালে গাজীপুর সদরের রাজেন্দ্রপুরে জেলা বিএনপির আহবায়ক একেএম ফজলুল হক মিলনের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, আগামী ৫ আগস্ট উপজেলা পর্যায়ে আনন্দ র্যালী, ৬ আগষ্ট জেলা পর্যায়ে উৎসবমুখর পরিবেশে আনন্দ র্যালী অনুষ্ঠিত হবে।তাছাড়া ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নানা অপকর্মের বিষয়ে নেতা-কর্মীদের সজাগ থাকার আহ্বান জানানো হয়।প্রস্তুতি সভায় উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ডা.এস এফ রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, সদস্য সচিব ব্যারিস্টার ইসরাক আহমেদ সিদ্দিকী সহ বিভিন্ন উপজেলার আহবায়ক কমিটির সদস্য সহ জেলার বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা।ভোরের আকাশ/জাআ
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন’র উপজেলা শাখার উদ্যোগে অবসরপ্রাপ্ত ২০ জন মাদ্রাসা শিক্ষক ও কর্মচারীর প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।বুধবার (৩০ জুলাই) দুপুরে চরফ্যাশন পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কলেজপাড়ায় জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের নিজস্ব ভবনের হলরুমে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই সহায়তা তুলে দেওয়া হয়।জমিয়াতুল মোদার্রেছীন চরফ্যাশন উপজেলা শাখার নিজস্ব তহবিল থেকে এই সহায়তা প্রদান করা হয়।অনুষ্ঠানে জমিয়াতুল মোদার্রেছীন চরফ্যাশন উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুজ্জামান এর সঞ্চালনায় ও সভাপতি অধ্যক্ষ হুমায়ূন সরমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ভোলা-৪ আসনের জামায়াত ইসলামির এমপি প্রার্থী অধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কারামাতিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা নুরুল আমিন, উপাধ্যক্ষ মাওলানা আজিজুর রহমান, অধ্যক্ষ নুরুজ্জামান, অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম, অধ্যক্ষ ইকবাল হোসেন, অধ্যক্ষ শাজাহান, অধ্যক্ষ ওমর ফারুক এবং জমিয়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক শিহাব উদ্দিনসহ আরও অনেকে।অনুষ্ঠানে জানানো হয়, চরফ্যাশন উপজেলায় ইতোমধ্যে অবসর, মৃত্যু, দুর্ঘটনা ও বিভিন্ন জরুরি পরিস্থিতিতে প্রায় ৩০ জন মাদ্রাসা শিক্ষক-কর্মচারীকে মোট ৯ লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা দিয়েছে জমিয়াতুল মোদার্রেছীন।এছাড়া সংগঠনটি সরকারি দিবস উদযাপন, রমজানে ইফতার ও দোয়া মাহফিল আয়োজন, বাৎসরিক সভা ও শিক্ষক-কর্মচারীদের ন্যায্য দাবিদাওয়া আদায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে আসছে।সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, “আমি বিগত ৫ বছর ধরে জমিয়াতের সাথে কাজ করছি। মাদ্রাসা শিক্ষার মানোন্নয়ন, পাঠ্যপুস্তক থেকে আপত্তিকর ছবি-গল্প প্রত্যাহার এবং শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরি জাতীয়করণের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে আন্দোলন-সংগ্রামে অংশ নিয়েছি। সকলের সহযোগিতায় আজ আমরা একটি স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক ও শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত হয়েছি, যার সুফল এখন শিক্ষকদের কল্যাণে ব্যবহার করা সম্ভব হচ্ছে।”তিনি আরও বলেন, “ভবিষ্যতেও এ ধরনের আর্থিক সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।”ভোরের আকাশ/জাআ