দগ্ধদের চিকিৎসা দিতে ঢাকায় পৌঁছেছে চীনের বিশেষ মেডিক্যাল টিম
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধদের চিকিৎসাসেবা দিতে চীনের পাঁচ সদস্যের একটি বিশেষ মেডিক্যাল টিম বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) রাতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছে।
ঢাকার চীনা দূতাবাস এক সংক্ষিপ্ত বার্তায় জানিয়েছে, রাত ১১টার দিকে চীনের ওই চিকিৎসক ও নার্সদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিক্যাল টিম হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। তাদের স্বাগত জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মহাপরিচালক।
এর আগে দগ্ধদের চিকিৎসায় সহায়তা করতে আরও দুটি আন্তর্জাতিক মেডিক্যাল টিম ঢাকায় এসেছে। বুধবার (২৩ জুলাই) সন্ধ্যায় তিন সদস্যের একটি ভারতীয় মেডিক্যাল টিম এবং একই দিনে সিঙ্গাপুর থেকে আরও তিন সদস্যের একটি টিম ঢাকায় পৌঁছে।
এরও আগে, গত ২২ জুলাই সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. চোং সি জ্যাক ঢাকায় আসেন বিমান দুর্ঘটনায় দগ্ধ ও আহতদের চিকিৎসায় সহযোগিতা করতে।
মর্মান্তিক ওই দুর্ঘটনার পর দগ্ধদের উন্নত চিকিৎসার জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
ভোরের আকাশ//হ.র
সংশ্লিষ্ট
রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন পাঁচজনের অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট। বর্তমানে ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে তাদের।শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দীন।তিনি জানান, “আজ শুক্রবার পরপর দুই দগ্ধ শিক্ষার্থী মারা গেছেন। এখনো ৪০ জন ভর্তি রয়েছেন। তাদের মধ্যে পাঁচজন আইসিইউতে আছেন এবং তারা সংকটাপন্ন অবস্থায় আছেন। এ ছাড়া সিভিয়ার ক্যাটাগরিতে রয়েছেন ১০ জন এবং পোস্ট-অপারেটিভ পর্যায়ের আরও ১০ জনকে রাখা হয়েছে ইন্টারমিডিয়েট ইউনিটে। ইনস্টিটিউটের কেবিনে চিকিৎসা নিচ্ছেন আরও ১৫ জন।”তবে আশার খবরও দিয়েছেন ডা. নাসির উদ্দীন। তিনি বলেন, “লাইফ সাপোর্টে থাকা কয়েকজন রোগীর মধ্যে দুজনের অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তাদের ভেন্টিলেটর খুলে দেওয়া হয়েছে এবং তারা এখন নিজে নিজেই শ্বাস নিতে পারছেন। আশা করছি আগামীকাল চার থেকে পাঁচজন রোগীকে ছাড়পত্র দেওয়া যাবে। প্রতিদিনই কিছু রোগীকে ছাড়া সম্ভব হবে।”এদিন সিঙ্গাপুর, চীন ও ভারতের চিকিৎসকদের একটি প্রতিনিধিদল বার্ন ইনস্টিটিউটে আসেন। তারা চিকিৎসক দলের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং রোগীদের অবস্থা সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করেন বলেও জানান পরিচালক।এছাড়া শুক্রবার মৃত্যু হওয়া দুই শিক্ষার্থীর বিষয়ে তিনি বলেন, “আমি নিজেই উপস্থিত থেকে তাদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছি। তাদের মধ্যে একজন, তাসনিম আফরোজ আইমান, শরীয়তপুরের বাসিন্দা। জানাজা শেষে তাকে সেখানেই দাফন করা হবে। আরেক শিশু মুসাব্বির মাকিনের বাড়ি গাজীপুরে। দুই জেলার সিভিল সার্জনদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে দাফনের বিষয়ে।”উল্লেখ্য, রাজধানীর দিয়াবাড়ি এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে বহু শিক্ষার্থীসহ অনেকে দগ্ধ হন।ভোরের আকাশ//হ.র
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেছেন, জীবনের শেষ প্রান্তে এসে কোনো ব্যক্তিগত লক্ষ্য বা স্বার্থ নয়, বরং দেশের জন্য একটি ভালো কাজ করে যেতে চাই। আমার লক্ষ্য একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন জাতিকে উপহার দেওয়া। এটি শুধু আমার একার পক্ষে সম্ভব নয়- এজন্য আমি দেশবাসীর সার্বিক সহযোগিতা এবং দোয়া কামনা করছি।আজ শুক্রবার যশোর কালেক্টরেট মসজিদে জুমার নামাজের আগে মুসল্লিদের উদ্দেশে এক সংক্ষিপ্ত শুভেচ্ছা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।জানা যায়, খুলনায় যাওয়ার পথে যশোরে সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতির সময় কালেক্টরেট মসজিদে তিনি জুমার নামাজ আদায় করেন।প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমি দীর্ঘ সরকারি চাকরি জীবনে অনেক দায়িত্ব পালন করেছি, অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। কিন্তু এই মুহূর্তে যে গুরুদায়িত্ব আমার কাঁধে এসেছে- তা দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে চাই। এ লক্ষ্য অর্জনে সবার আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন।এ সময় তিনি রাজধানীর উত্তরায় ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের জন্য মসজিদে উপস্থিত সবার কাছে দোয়া কামনা করেন। একইসঙ্গে মাইলস্টোন স্কুলের দুর্ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থীদের স্মরণে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে তিনি অংশগ্রহণ করেন এবং শোক প্রকাশ করেন।এসময় নাসির উদ্দীনের সঙ্গে যশোরের জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম, স্থানীয় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।ভোরের আকাশ/জাআ
ঢাকার হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে ড্রাইভওয়ে ও ক্যানোপি এলাকায় যাত্রীদের সঙ্গে দুজনের বেশি প্রবেশ করতে পারবে না বলে জানিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।যা আগামী রোববার (২৭ জুলাই) থেকে এ নির্দেশনা কার্যকর হবে।বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) রাতে এক বার্তায় কর্তৃপক্ষ এ ঘোষণা দিয়েছে।বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালকের মুখপাত্র স্কোয়ার্ডন লিডার মো. মাহমুদুল হাসান মাসুম জানান, নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী যাত্রীদের সঙ্গে সর্বোচ্চ দুজন ব্যক্তি ডিপারচার ড্রাইভওয়ে ও এরাইভাল ক্যানোপি এলাকায় প্রবেশ করতে পারবেন।এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হলো যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক রাখা, বিমানবন্দর এলাকায় যানজট নিয়ন্ত্রণ এবং সর্বোপরি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।তিনি বলেন, সম্মানিত যাত্রীদের বিদায় ও স্বাগত জানাতে আসা ব্যক্তিদের সুশৃঙ্খলভাবে চলাচলের অনুরোধ জানানো হচ্ছে। সকলের সহযোগিতা কাম্য।বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ আদেশক্রমে এ নির্দেশনা বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে।বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে বছরে এক কোটি ২৫ লাখ যাত্রী শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ব্যবহার করে থাকেন। প্রতিদিন ১৪০-১৫০টি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালিত হয়।ভোরের আকাশ/জাআ
বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসা দিতে সিঙ্গাপুর থেকে এসেছে আরও একটি মেডিকেল টিম। পাঁচ সদস্যের দলটি বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ৪০ মিনিটে বাংলাদেশে পৌঁছায়।শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিঙ্গাপুরের দ্বিতীয় এই মেডিকেল টিমের সদস্যসংখ্যা ৫। তাঁরা গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ৪০ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছান।সিঙ্গাপুর থেকে আসা এই দ্বিতীয় মেডিকেল টিমের সদস্যরা ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে গঠিত বিশেষজ্ঞ দলের সঙ্গে যৌথভাবে চিকিৎসা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবেন বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সিঙ্গাপুরের এই মেডিকেল টিমের সদস্যরা কারিগরির পাশাপাশি পেশাগত সহায়তাও দেবেন।ভোরের আকাশ/জাআ