সংবাদ সম্মেলনকালে আলী রীয়াজ। ছবি : সংগৃহীত
দেশের বিভাগীয় পর্যায়ে হাইকোর্টের বেঞ্চ স্থাপনে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের নবম দিনের সংলাপ শেষে এ কথা জানান তিনি।
আলী রীয়াজ বলেন, রাষ্ট্রপতি ক্ষমার বর্তমান বিধান সংশোধনের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছেছে। নতুন বিধানে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মতামতের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতির অপরাধীকে ক্ষমা করার সুযোগ থাকবে বলে জানান তিনি।
বিচার বিভাগ বিকেন্দ্রীকরণে রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছেছে উল্লেখ করে আলী রীয়াজ বলেন, সংবিধানের ১০০ অনুচ্ছেদ সংশোধনের জন্য ঐকমত্য হয়েছে। বলা হয়েছে রাজধানীতে সুপ্রিম কোর্টের স্থায়ী আসন থাকবে। তবে রাজধানীর বাইরে প্রতিটি বিভাগে প্রধান বিচারপতির পরামর্শ ক্রমে এক বা একাধিক বেঞ্চ থাকবে। অর্থাৎ হাইকোর্টের স্থায়ী ঢাকার পাশাপাশি প্রতিটি বিভাগীয় পর্যায়ে থাকবে- এই বিষয়ে সকল রাজনৈতিক দল ঐকমত্য হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রপতি ক্ষমার বিষয়টি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। গত ১৬ বছর বা তার আগে থেকে রাষ্ট্রপতির ক্ষমার বিষয়টি ব্যাপকভাবে অপব্যবহার হয়েছে। প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল অনুধাবন করেছেন সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রপতি যে ক্ষমার বিষয়টি আছে তা সংশোধন প্রয়োজন। সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও সব নির্বাহী ক্ষমতার মাধ্যমে ক্ষমার বিষয় সংবিধানে যুক্ত করার সুপারিশে সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্য হয়েছে।
আগামী সপ্তাহে নতুন আরও অনেক বিষয়ে আলোচনার অগ্রগতি হবে জানিয়ে আলী রীয়াজ বলেন, জরুরি অবস্থা নিয়ে আলোচনার কথা ছিল। কিন্তু বিষয়টি এনসিসির সঙ্গে সম্পৃক্ত। এখন যেহেতু এনসিসি আলোচনা টেবিলে নেই, তাই আমরা নতুন করে জরুরি অবস্থার বিষয়টি নতুন করে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে হাজির করব। আশা করি আগামী সপ্তাহের মধ্য অন্যান্য বিষয়ে আমরা অগ্রগতি পৌঁছাতে পারব।
ভোরের আকাশ/আজাসা
সংশ্লিষ্ট
সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে যোগ হয়ে পবিত্র আশুরার সরকারি ছুটির কারণে টানা তিন দিনের ছুটি পাচ্ছেন দেশের সরকারি চাকরিজীবীরা। তবে এই ছুটি কার্যকর হবে না জরুরি পরিষেবা সংশ্লিষ্ট কর্মীদের জন্য।সরকারি ছুটির ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, আগামী রোববার (৬ জুলাই) পবিত্র আশুরা উপলক্ষে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগে শুক্রবার (৪ জুলাই) ও শনিবার (৫ জুলাই) যথাক্রমে সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় তিন দিনব্যাপী ছুটিতে যাচ্ছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।এই টানা ছুটিতে বন্ধ থাকবে দেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি দপ্তর। একইসঙ্গে ব্যাংক, বীমা প্রতিষ্ঠান ও শেয়ারবাজারের লেনদেনও বন্ধ থাকবে। এছাড়া দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও এই সময়ে বন্ধ থাকবে।তবে হাসপাতাল, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, পানি, টেলিযোগাযোগ, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীসহ সরকারি-বেসরকারি জরুরি সেবা প্রতিষ্ঠানগুলো যথারীতি খোলা থাকবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।পবিত্র আশুরা মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের জন্য একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিন। এই দিনটি যথাযোগ্য ধর্মীয় ভাবগম্ভীর পরিবেশে পালনে সরকারি ছুটি দিয়ে থাকে বাংলাদেশ সরকার।ভোরের আকাশ//হ.র
মানিকগঞ্জ, ৩ জুলাই – বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার মানিকগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক নাঈমুর রহমান দুর্জয়কে চার দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী এ আদেশ দেন। এর আগে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানা পুলিশ তার ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত চার দিন মঞ্জুর করেন।রিমান্ড শুনানিকালে দুর্জয়ের আইনজীবীরা তার জামিন আবেদন করেন, তবে বিচারক তা নামঞ্জুর করেন। এ সময় আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত বিএনপির নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণ দুর্জয়ের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন।বিষয়টি নিশ্চিত করে মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম আমান উল্লাহ বলেন, “একটি বিস্ফোরক মামলায় তাকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে তোলা হয়। আদালত চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।”মামলার রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন হুমায়ুন কবির এবং আসামিপক্ষে ছিলেন নজরুল ইসলাম বাদশাসহ একাধিক সিনিয়র আইনজীবী।প্রসঙ্গত, ঘিওর, দৌলতপুর ও শিবালয় উপজেলা নিয়ে গঠিত মানিকগঞ্জ-১ আসন থেকে ২০১৪ ও ২০১৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন নাঈমুর রহমান দুর্জয়। গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন।গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার (২ জুলাই) রাতে রাজধানীর লালমাটিয়ার একটি বাসা থেকে দুর্জয়কে গ্রেপ্তার করে মানিকগঞ্জ ডিবি পুলিশ। সদর থানায় দায়ের করা মামলার পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে নির্বাচনী এলাকার আরও তিনটি থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।ভোরের আকাশ//হ.র
বিনিয়োগ, মানবিক সহায়তা ও যুব উন্নয়নসহ বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা বাড়াতে জাপানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।বৃহস্পতিবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) নির্বাহী সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মিয়াজাকি কাতসুরার সঙ্গে এক বৈঠকে এ আহ্বান জানান তিনি।অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “জাপান বাংলাদেশের বিশ্বস্ত বন্ধু। আমি সম্প্রতি জাপান সফরে যে আন্তরিকতা ও আতিথেয়তা পেয়েছি, তা হৃদয় ছুঁয়ে গেছে।” তিনি জাপানে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য আরও বেশি শিক্ষাবৃত্তি এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির অনুরোধ জানান।তরুণদের কর্মসংস্থানের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “অনেক তরুণ জাপানে কাজ করতে চায়। তবে ভাষা একটি বড় বাধা। আমরা প্রস্তাব দিয়েছি, জাপানি শিক্ষকরা সরাসরি বাংলাদেশে এসে বা অনলাইনে ভাষা ও কর্মস্থলের আচরণ শেখাতে পারেন।”বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূস মাতারবাড়ি প্রকল্পকে ‘বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল’ হিসেবে অভিহিত করেন এবং সামুদ্রিক সম্পদ কাজে লাগিয়ে ‘সমুদ্রভিত্তিক অর্থনীতির’ দিকে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।রোহিঙ্গা সংকট নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। বলেন, “হাজার হাজার তরুণ শরণার্থী ক্যাম্পে বেড়ে উঠছে কোনো আশাবাদ ছাড়া। এতে তারা হতাশ ও ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে।”জবাবে জাইকার ভাইস প্রেসিডেন্ট মিয়াজাকি জানান, বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে জাপান অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ এশিয়ায় জাপানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। আমরা বিচার, প্রশাসন, স্থানীয় সরকার ও স্বাস্থ্য খাতে সংস্কারে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি।”তিনি জানান, ২০২৬ সালে বাংলাদেশের এলডিসি উত্তরণের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আইসিটি খাতে মানবসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প চালু করছে জাইকা, যা উভয় দেশের স্থানীয় সরকার, বিশ্ববিদ্যালয় ও কোম্পানির সহযোগিতায় পরিচালিত হবে।নারী খেলোয়াড়দের সফলতা তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমাদের মেয়েরা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জয়ে একের পর এক ইতিহাস লিখছে। তবে তাদের আরও হোস্টেল সুবিধা, প্রশিক্ষণ ও স্বাস্থ্য সহায়তা প্রয়োজন।” এ প্রসঙ্গে মিয়াজাকি জানান, নারীদের খেলাধুলায় জাপান সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করবে।বৈঠকের শেষ দিকে অধ্যাপক ইউনূস জাপানের সঙ্গে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি মূল্যের ঋণ ও অনুদান চুক্তির জন্য কৃতজ্ঞতা জানান এবং উন্নয়ন সহায়তা (ওডিএ) সীমা ৩০০ বিলিয়ন ইয়েন থেকে ৪৫০ বিলিয়ন ইয়েনে উন্নীত করার প্রস্তাব দেন।তিনি বলেন, “বাংলাদেশ সব সময় জাপানের বন্ধুত্ব ও অবদানের কথা মনে রাখবে।”ভোরের আকাশ//হ.র
যেকোনো কসমেটিক সামগ্রী মানবস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হলে ভোক্তা অধিদপ্তর সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলিম আখতার খান।বৃহস্পতিবার জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অ্যাসোসিয়েশন অব স্কিন কেয়ার বিউটি প্রোডাক্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অব বাংলাদেশ (এএসবিএমইবি) আয়োজিত ‘কসমেটিকস ও স্কিনকেয়ার শিল্পখাতের রপ্তানি সম্ভাবনা : ভেজাল ও নিম্নমানের পণ্য আর নয়’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএসটিআইর মহপরিচালক এসএম ফেরদৌস আলম, এএসবিএমইবি সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দীন, অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী, এফবিসিসিআইর সাবেক পরিচালক ইসহাকুল হোসেন সুইট, অর্থনীতিবিদ ও গবেষক ড. মাহফুজ কবির, চিত্রনায়ক মামনুন হাসান ইমন, ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশের সহসভাপতি এমএস সিদ্দিকী প্রমুখ।আলিম আখতার বলেন, বাংলাদেশের মতো সিঙ্গাপুরের জনসংখ্যা বেশি হলেও তাদের পারক্যাপিটা ইনকাম আমাদের চেয়ে বেশি। এটা মূলত সম্ভব হয় একটা আল্টিমেট লিডারশিপের মাধ্যমে, যেটা আমাদেরও প্রয়োজন।তিনি বলেন, সাধারণ ভোক্তারা আমাদের থেকে অনেক কিছু আশা করে। আমরা আমাদের জুডিশিয়ারি পাওয়ার দিয়ে যতটুকু পারি কাজ করার চেষ্টা করি।প্রধান অতিথি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে বলা আছে যে, মিনিকেট বলে কোনো চাল নেই। কিন্তু বাজারে এ চাল দেদারসে বিক্রি হচ্ছে, যা কিন্তু আইনের লঙ্ঘন। এমন কোথাও দেখলে আপনারা (ক্রেতা) আসুন, অভিযোগ করুন। আর সংশ্লিষ্টদের বলবো, এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকুন। আমার দায়িত্বটা অনেক বড়, সে দায়িত্বটা যেন ভালোভাবে করতে পারি, তার জন্য সবারই সহযোগিতা প্রয়োজন।তিনি বলেন, প্রায় সময় একটা কথা শুনি যে, আমরা নাকি একটা পক্ষের কাজ করি। তাই আমাকে যাতে কেউ ব্যবহার করতে না পারে, সেজন্য কিন্তু নিজেকেই সচেতন হতে হবে।কসমেটিক সামগ্রী একটি সেনসিটিভ জিনিস উল্লেখ করে ভোক্তার মহাপরিচালক বলেন, তাই এটা যাতে সঠিকভাবে উৎপাদন ও বিপণন করা হয়, সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।এতে যদি কোনো ব্যত্যয় থাকে, এটা দেখা আমার দায়িত্ব, আমি দেখবো। যদি কোনো কসমেটিক সামগ্রী ঝুঁকিপূর্ণ হয়, আমরা সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেব।বক্তব্যে ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী বলেন, সম্প্রতি এনবিআরের সূত্রমতে প্রকাশিত এক তথ্যে দেখা গেছে যে, আমদানিকালে একটি বিদেশি ব্র্যান্ডের ফিনিশড গুডস (প্যাকেজিংসহ) হিসেবে আইলাইনার পণ্য সব ধরনের শুল্ক ও পরিবহন ব্যয়সহ খরচ পড়েছে ৪ টাকা ৩১ পয়সা। কিন্তু এই পণ্য বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৯৪০ টাকা। এতে করে সরকার ও ভোক্তারা সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে অসাধু আমদানিকারকরা। সুতরাং দেশীয় শিল্প সুরক্ষায় এখনই নজর দিতে হবে। সরকার অসাধু দাপট বন্ধ করতে না পারলে দেশীয় শিল্পকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে না। আর তাতে করে লক্ষাধিক লোক বেকার হয়ে রাস্তায় নামবে। যা সামাজিক ও অর্থনৈতিক সংকট তৈরি করবে।এফবিসিসিআইর সাবেক পরিচালক ইসহাকুল হোসেন সুইট বলেন, বর্তমানে কতিপয় মানহীন ও ভেজাল পণ্যের ছড়াছড়ির খবর প্রায়ই দেখা যায়। এসব ভেজাল পণ্য ব্যবহার করে ক্রেতারা প্রতারিত হচ্ছেন ও বড় ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছেন। তাই স্থানীয় উৎপাদনকে নীতি সহায়তা দিয়ে মানসম্মত পণ্য ক্রেতাদের জন্য সুলভ করা জরুরি। দেশে গ্লোবাল ব্র্যান্ডের উৎপাদন কার্যক্রম সম্প্রচারণে প্রয়োজনীয় কাঁচামাল আমদানি সহজলভ্য করা গেলে এবং সরাসরি কসমেটিকস পণ্যের আমদানি শুল্কহার বাড়ানো হলে দেশীয় উৎপাদন ও উদ্যোগকে এগিয়ে নেওয়া সহজ হবে।ভোরের আকাশ/জাআ