ছবি : সংগৃহীত
আগামী ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা ও পাকিস্তানের করাচির মধ্যে সরাসরি বিমান চলাচল শুরু হতে পারে। পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার ইকবাল হোসেন খান এ তথ্য জানিয়েছেন বলে বুধবার (২৬ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে পাক সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
ইরানের মহান এয়ার সপ্তাহে তিনটি ফ্লাইট চালাতে পারে বলে জানান তিনি। যা দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং সংযোগ শক্তিশালী করবে।
লাহোর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এলসিসিআই) অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি দূত বলেছেন, দুই দেশের ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করে দেওয়া হয়েছে। এলসিসিআই এবং বাংলাদেশ অনারারি কনস্যুলেটের যৌথ সুপারিশে ভিসা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, “এ সংগঠনের সদস্যদের তিন থেকে চারদিনের মধ্যে ভিসা দেওয়া হবে। এরমাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে ভ্রমণ দ্রুত ও সহজ করা হবে।”
বাণিজ্যিক সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, পাকিস্তান বাংলাদেশে চাল রপ্তানি করতে পারে। অপরদিকে বাংলাদেশ পাকিস্তানে সতেজ আনারস রপ্তানি করতে পারে। পাশাপাশি টেক্সটাইল ও তৈরি পোশাকের অপার সম্ভাবনার কথাও উল্লেখ করেন হাইকমিশনার ইকবাল হোসেন খান।
এছাড়া দুই দেশের মধ্যে সরাসরি কার্গো পরিবহণ সেবা চালু করা হবে বলেও জানান তিনি। গত বছরের ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশ-পাকিস্তানের মধ্যে কার্গো পরিবহন শুরু হয়। চাহিদা বাড়ায় এখন সরাসরি কার্গো পরিবহণের কথা আসছে।
বাণিজ্যের পাশাপাশি শিক্ষাক্ষেত্রেও দুই দেশকে সহযোগিতামূলক কাজে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
হাইকমিশনার বলেন, পাকিস্তানের উচ্চশিক্ষা কমিশন শিগগিরই বাংলাদেশে একটি দল পাঠাবে। যেখানে ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি থাকবে। তাদের লক্ষ্য থাকবে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের পাকিস্তানে উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী করে তোলা।
সূত্র: এক্সপ্রেস ট্রিবিউন
ভোরের আকাশ/মো.আ.
সংশ্লিষ্ট
অবৈধভাবে অবস্থানের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৩৯ জন বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) ভোর সাড়ে ৫টায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশেষ সামরিক ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান এই ৩৯ বাংলাদেশি। এরপর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে দেশে ফেরত কর্মীদের ব্র্যাকের পক্ষ থেকে পরিবহন সহায়তাসহ জরুরি সহায়তা প্রদান করা হয়।ফেরত আসা এই কর্মীদের মধ্যে ২৬ জনই নোয়াখালীর। এছাড়া কুমিল্লা, সিলেট, ফেনী ও লক্ষ্মীপুরের দুজন করে এবং চট্টগ্রাম, গাজীপুর, ঢাকা, মুন্সিগঞ্জ এবং নরসিংদীর একজন করে রয়েছেন। এর আগে চলতি বছরে ১৮৭ বাংলাদেশি ফেরত পাঠায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন।ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম জানিয়েছে, এই ৩৯ জনের মধ্যে অন্তত ৩৪ জন জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ বুরোর (বিএমইটি) ছাড়পত্র নিয়ে ব্রাজিল গিয়েছিলেন। এরপর সেখান থেকে মেক্সিকো হয়ে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেন। আর বাকি পাঁচজনের মধ্যে দুইজন সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রে যায় আর তিনজন দক্ষিণ আফ্রিকা হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেন। এরপর এই ৩৯ জন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের জন্য আবেদন করলে আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।ব্র্যাকের সহযোগী পরিচালক (মাইগ্রেশন ও ইয়ুথ প্ল্যাটফর্ম) শরিফুল হাসান বলেন, এই যে একেকজন ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা খরচ করে শূন্য হাতে ফিরলেন তার দায় কার? এভাবে বৈধভাবে অবৈধ হওয়ার পথে ছেড়ে দেওয়া ভীষণ দুর্ভাগ্যজনক এবং দায়িত্বহীনতা। যে এজেন্সি তাদের পাঠিয়েছিল এবং যারা এই অনুমোদন প্রক্রিয়ায় ছিল তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা উচিত। কয়েক হাজার কর্মী এভাবে ব্রাজিল গিয়েছে। নতুন করে ব্রাজিলে কর্মী পাঠানোর অনুমতি দেওয়ার আগে সরকারের সতর্ক হতে হবে।ফেরত আসা বাংলাদেশি ও বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, এর আগে এই বছরের বিভিন্ন সময়ে ফেরত আসা বাংলাদেশিদের হাতে হাতকড়া, পায়ে শেকল বেঁধে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানো হলেও শুক্রবার ফেরত আসা বাংলাদেশিদের ক্ষেত্রে সেটি হয়নি। ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর দেশটি থেকে অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর অভিযান আরও জোরদার করা হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় একাধিক দফায় বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে। চলতি বছরের ৮ জুন একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে ৪২ বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে আনা হয়। এর আগে ৬ মার্চ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত একাধিক ফ্লাইটে আরও অন্তত ৩৪ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়েছিল। ২০২৪ সালের শুরু থেকে চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানো বাংলাদেশির সংখ্যা ২২০ ছাড়িয়েছে।মার্কিন আইন অনুযায়ী বৈধ কাগজপত্র ছাড়া অবস্থানকারী অভিবাসীদের আদালতের রায় বা প্রশাসনিক আদেশে দেশে ফেরত পাঠানো যায়। আশ্রয়ের আবেদন ব্যর্থ হলে অভিবাসন কর্তৃপক্ষ (আইসিই) তাদের প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করে। সাম্প্রতিক সময়ে এ প্রক্রিয়া দ্রুততর করার কারণে চার্টার্ড ও সামরিক ফ্লাইটের ব্যবহার বেড়েছে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
বাংলাদেশে সবুজ প্রযুক্তি, পাট, টেক্সটাইল ও ওষুধ শিল্পে বড় ধরনের বিনিয়োগে আগ্রহী চীনা বিনিয়োগকারীরা। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ঘোষিত উৎপাদন খাতকেন্দ্রিক রূপান্তর পরিকল্পনার সঙ্গে এই আগ্রহের সামঞ্জস্য রয়েছে বলে জানিয়েছেন এক্সপোর্ট–ইমপোর্ট ব্যাংক অব চায়নার উপ-সভাপতি ইয়াং দংনিং।বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে এ কথা জানান তিনি। তার সঙ্গে ছিলেন চীনের রাষ্ট্রীয় থিঙ্ক–ট্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট অব ফাইন্যান্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটির প্রেসিডেন্ট ড. মা জুন।ইয়াং দংনিং বলেন, বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে চীন বড় অবকাঠামো প্রকল্পে বিনিয়োগ করলেও এখন তাদের বিনিয়োগকারীরা ক্রমশ উৎপাদন খাতে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। এর মধ্যে রয়েছে ছাদ–সোলার প্রযুক্তি এবং বাংলাদেশের ‘সোনালি আঁশ’ পাট—যা দিয়ে জ্বালানি, বায়ো–সার ও প্লাস্টিকের বিকল্প পণ্য উৎপাদনের পরিকল্পনা রয়েছে।তিনি আরও জানান, এসব উৎপাদনমুখী বিনিয়োগে সহায়তা দিতে আগ্রহী এক্সিম ব্যাংক ও চীনা প্রতিষ্ঠানগুলো। ড. মা জুন বলেন, বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পাটশিল্প চীনা বিনিয়োগকারীদের কাছে বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে। তারা বাংলাদেশি অংশীদারদের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে কাজ করতে চান।তার ভাষায়, চীনা প্রতিষ্ঠানগুলো এক মিলিয়ন টন পর্যন্ত পাট ব্যবহার করে সবুজ জ্বালানি, সার ও প্লাস্টিকের টেকসই বিকল্প তৈরি করতে প্রস্তুত।প্রধান উপদেষ্টা চীনের এই আগ্রহকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের উৎপাদন খাতকে রূপান্তর করতে সহায়তা করতে পারে—যা থেকে উন্নত দেশসহ চীনে রপ্তানির সম্ভাবনা তৈরি হবে।‘আমরা এসব খাতে পূর্ণ গতিতে এগোতে পারি,’ বলেন অধ্যাপক ইউনূস। তিনি ফার্মাসিউটিক্যালস ও স্বাস্থ্যসেবা খাতেও চীনের ব্যাপক বিনিয়োগ সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন।বিশ্বের সবচেয়ে বড় সৌরশক্তি উৎপাদক দেশ হিসেবে বাংলাদেশে সোলার প্যানেল ও রুফটপ সোলার সিস্টেমে চীনের বিনিয়োগ বড় ভূমিকা রাখতে পারে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। এছাড়া তিনি চীনা শিল্পকারখানা বাংলাদেশে স্থানান্তরের আহ্বান জানান এবং বন্ধ রাষ্ট্র–মালিকানাধীন পাটকলগুলোকে যৌথ উদ্যোগে ব্যবহারের প্রস্তাব দেন।ইয়াং দংনিং জানান, চীনা কোম্পানিগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ও ই–কমার্স খাতেও বিনিয়োগ সম্ভাবনা খুঁজছে।প্রধান উপদেষ্টা চীনা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিশেষ করে বাংলাদেশের দক্ষিণ–পূর্বাঞ্চলে কারখানা স্থাপনের আমন্ত্রণ জানান—যেখানে দেশের সবচেয়ে বড় সমুদ্রবন্দর এবং মিয়ানমার, থাইল্যান্ডসহ দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার বাজারের নিকটাকর্ষণ রয়েছে।‘এ অংশের সমুদ্র–অ্যাকসেস বিশাল। এখানে কারখানা স্থাপন করে উন্নত দেশসহ চীনেও রপ্তানি করা সম্ভব,’ বলেন তিনি।তিনি চীনা অবকাঠামো কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশ–দক্ষিণ চীন রেল সংযোগ স্থাপনেরও আহ্বান জানান, যাতে পুনর্বাসিত শিল্পকারখানার পণ্য পরিবহন ও আঞ্চলিক বাণিজ্য সহজ হয়।বৈঠকের শুরুতে হংকংয়ের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকে অগ্নিকাণ্ডে বহু মানুষের মৃত্যুর ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা।বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব ও এসডিজি সমন্বয়কারী লামিয়া মোরশেদ এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।ভোরের আকাশ/মো.আ.
দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন শ্রীলংকা উপকূলে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় "ডিটওয়াহ” উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে শ্রীলংকা উপকূল ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে।শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় "ডিটওয়াহ” আজ সকাল ৬ টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৯৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১৯০০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ১৮৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৮৪০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ০২ (দুই) নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারী সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দণ্ডিত হওয়ার পর ভারত শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের বিষয়ে বাংলাদেশের অনুরোধ খতিয়ে দেখছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেছেন, সেই প্রত্যর্পণের শুরুটা হবে পলাতক সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজাপ্রাপ্ত আসামি আসাদুজ্জামান খান কামালকে দিয়ে।আজ শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এসব কথা বলেন তিনি।স্ট্যাটাসে শফিকুল আলম লেখেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং জুলাইয়ের হত্যাকাণ্ডে জড়িত বলে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতৃত্বকে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থার মুখোমুখি হতে হবে। ভারতের পক্ষ থেকেও ইতোমধ্যে জানানো হয়েছে যে, জুলাইয়ের হত্যাকাণ্ডের মামলায় দণ্ডিত হওয়ার পর হাসিনাকে প্রত্যর্পণের আমাদের অনুরোধ তারা পর্যালোচনা করছে।তিনি আরও বলেন, আমরা জানি, হাসিনার শক্তিশালী সমর্থক রয়েছে। তবুও আমি ক্রমশ আরও আশ্বস্ত হচ্ছি যে ‘ঢাকার কসাই’ হিসেবে পরিচিত আসাদুজ্জামান খান কামালকে খুব শিগগিরই বাংলাদেশে প্রত্যর্পণ করে বিচারের আওতায় আনা হবে। হাসিনার প্রায় ১৬ বছরের শাসনামলে সংঘটিত কথিত অপরাধগুলো নিয়ে যত বেশি আলো পড়ে, ততই জুলাইয়ের হত্যাকাণ্ড ও গুমের ঘটনায় কামালের ভূমিকা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে আরও বেশি মনোযোগ পাবে।শফিকুল আলম আরও বলেন, কামাল বা অন্যান্য আওয়ামী লীগ নেতারা যত অর্থই ব্যয় করুন না কেন, চিরদিন দায় এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না। জুলাইয়ের হত্যাকাণ্ডের শিকারদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা এবং হাসিনা আমলে সংঘটিত সব মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার পাওয়ার বিষয়ে যদি আমরা জাতি হিসেবে দৃঢ় ও মনোযোগী থাকি, তবে দায়ীদের পক্ষে শেষ পর্যন্ত পরিণতি এড়িয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে।শেষে তিনি পোস্টে উল্লেখ করেন, ‘এটি কামালকে দিয়েই শুরু হবে, এরপর…’ভোরের আকাশ/মো.আ.